প্রোষিতভর্তৃকা-১

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:৩৬:৪০ দুপুর



যারা প্রবাস জীবন যাপন করেন তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, কত পরিশ্রম, কত ত্যাগের বিনিময়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করেন!!! পরিবারের সদস্যদের আরো একটু ভালো রাখার জন্য তারা এই কঠিন জীবন বেছে নিয়েছেন। তাদের এই কষ্টের কোন প্রতিদান কারও পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। বরঞ্চ কখনও কখনও তারা উল্টা আচরণ পেয়ে থাকেন যা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। তারপরেও হাসিমুখে তাকে সব কিছু মেনে নিতে হয়।

এবার আসি মুদ্রার অপর পিঠে। যারা তাদের প্রবাসী প্রিয়জনকে ছেড়ে থাকছেন তাদের অবস্থা কি? পিতামাতা সন্তানকে কাছে পায়না, সন্তান পিতার স্নেহ-শাসন ছাড়াই বড় হচ্ছে। অন্যান্য আপনজনেরাও তাকে বিপদে আপদে, প্রয়োজনে কাছে পায়না। আর স্ত্রী? তাকে সামাজিক পারিবারিক কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিছু ঘটনা, কিছু রটনা......... এভাবেই জীবন কেটে যায়। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য হল প্রবাসীদের স্ত্রীদের কিছু ঘটনা তুলে ধরা। এই ঘটনা গুলোর সবগুলোই আমার দেখা নয়তো শোনা। সব ক্ষেত্রেই যে পরিবারের সদস্যরা দায়ী তা আমি বলছিনা ...... কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তি নিজেই দায়ী।

আমার এই লেখা কাউকে আঘাত দেয়ার জন্য নয়। আমি শুধুমাত্র আমার দেখা, আমার জানা কিছু নারীর সমস্যা তুলে ধরতে চাইছি এই লেখার মাধ্যমে। এটা শুধুমাত্র ঐ নারীর সমস্যা নয়। বরং পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যায় আজ রূপান্তরিত হয়েছে। আমি মনে করছি এই বিষয়ে আলোচনা হওয়া সময়ের দাবী।

সম্মানিত সচেতন ব্লগার ভাইবোনদের এই বিষয়ে তাদের অনুভূতি ও মতামত জানানোর জন্য অনুরোধ করছি।

ঘটনা-১

ভদ্রমহিলা আমার দূরসম্পর্কের আত্মীয়া। আমার খালার চাচাতো জা। আমি কখনও উনাকে দেখিনি। কিন্তু আমার খালা ও খালাতো বোনদের কাছে উনার অনেক গল্প শুনেছি। উনার নাম আমার জানা নেই। কারণ খালা যখন গল্প করত উনাকে ‘অমুকের বউ’ বা ‘অমুকের মা’ এভাবেই বলতেন। আর খালাতো বোনেরাও চাচী বলত। যার কারণে নামটা আমার অজানাই রয়ে যায়। ধরে নিই নামটা শায়লা। রূপেগুণে অতুলনীয়া। উনার বিয়ে হয় এক প্রবাসী পাত্রের সাথে। প্রবাসী পাত্র পেয়ে উনার পিতামাতা বেশ খুশীমনেই তাকে বিয়ে দেন। পাত্রের সংসারও বেশি বড় নয়। তিন ভাই ও দুই বোন............ বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। আর আছে বৃদ্ধা মা।

বিয়ের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই স্বামী প্রবাসে চলে যান। কিছুদিন পর শায়লা নিজের ভিতর আরেকজনের অস্তিত্ব টের পেলেন। সবাই খুশী। স্বামী নিয়মিত খোঁজ খবর নেন.........চিঠি ও টাকা পাঠান। বাহ্যিকভাবে তার কোন অভাব নেই। কিন্তু এইসময়ে, এই অবস্থায় তার কাছে যার সবচেয়ে বেশি থাকা প্রয়োজন ছিল তাকে সে এক মুহূর্তের জন্যও পায়নি। শায়লা যথাসময়ে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন। মেয়ের বয়স যখন পাঁচ/ছয় বছর তখন শায়লার স্বামী দেশে আসলেন। এবারও ২/৩ মাস থেকে চলে গেলেন। এবার শায়লা এক পুত্র সন্তানের মা হলেন।

দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে বেশ দিন কেটে যায় শায়লার। বৃদ্ধা শাশুড়ি, আর ছোট দেবর নিয়ে সংসার। ইতিমধ্যে মেজভাইটি বিয়ে করেছে। শাশুড়ি এই ছেলেকে আলাদা করে দিয়েছে। শায়লার ছেলের বয়স যখন ছয়/সাত বছর তখন তার স্বামী দেশে এসে যথারীতি ২/৩ মাস থেকে চলে যান এবং এবারেও শায়লা এক পুত্রসন্তানের মা হলেন। এই ছেলেটিও দিন দিন বড় হচ্ছে।

ছোট ছেলের বয়স যখন পাঁচ কি ছয় বছর তখন শায়লার একমাত্র কন্যা তার পছন্দের একজনের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করলো। মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করায় শায়লার স্বামী রাগ করে আরও ২/৩ বছর পরে বাড়ী আসলো। ততদিনে 'শায়লার কন্যা' এক ছেলের মা হয়ে গেছে।

নিজের বিয়ে থেকে শুরু করে নাতি হওয়া পর্যন্ত প্রায় আঠারো উনিশ বছরের বিবাহিত জীবনে তার দাম্পত্য জীবনের সময়কাল ৬/৭ মাস। একসময় উনার সাথে উনার ছোট দেবরকে নিয়ে ‘কিছু গুঞ্জন’ গ্রামে তৈরি হয়েছিলো। ঘটনা সত্যি মিথ্যা কতটুকু জানিনা। এভাবেই এই শায়লার জীবন অতিবাহিত হচ্ছে।

বিষয়: বিবিধ

২৪১২ বার পঠিত, ৮৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

176665
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৯
আলোর আভা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ ।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০৪
129828
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনার জন্যও অনেক অনেক ধন্যবাদ রইলো আপাHappy
176666
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৯
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : ধন্যবাদ ফাতিমা, বহুদিন পর শব্দটি সামনে ভাসল ‘প্রোষিতভর্তৃকা’। দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছি, বাংলা পড়াতাম। ক্লাসে এককথায় প্রকাশ পড়াতে গিয়ে ‘যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে- প্রোষিতভর্তৃকা, যে স্বামীর স্ত্রী বিদেশে থাকে-প্রবাসপত্নীক, এভাবে পড়াতাম। আজ আপনার লেখা পড়ে সেই মধুর ও স্মুতিময় জীবনে ফিরে গেলাম। ধন্যবাদ অাপনাকে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:১১
129829
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : যে স্বামীর স্ত্রী বিদেশে থাকে-এটার এক কথায় প্রকাশ 'প্রোষিতপত্নীক' পেয়েছি। 'প্রবাসপত্নীক' শব্দটি আজ জানলাম। ধন্যবাদHappy
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:১২
129837
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার জানাটাও সঠিক, তবে প্রোষিতপত্নীক হলো বিদেশগতা স্ত্রী বা পত্নীর বিরহে কাতর যে স্বামী। প্রোষিত শব্দাংশটির সাথে বিরহ/ কিছুটা ব্যাথা জড়িত। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো লাগল।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৩
129842
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদ ভাইHappy Happy
176689
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:১৬
হতভাগা লিখেছেন : যেহেতু স্বামী নিয়মিত টাকা পাঠাচ্ছে তাহলে তো আর কোন সমস্যা থাকার কথা নয় , নচেত প্রবাসী পাত্র বিয়ে করলো কি দেখে?
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২৪
129840
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এখানে টাকার সমস্যা নয়.... সামাজিক, পারিবারিক যে সমস্যাগুলি তৈরি হয় বা মেয়েরা যা ফেস করছে/ করাচ্ছে তা তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদHappy

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৬
130154
আহমদ মুসা লিখেছেন : এখানে সমস্যা কি শুধু টাকা পাঠানো এবং প্রবাসী পাত্র চয়েস করার কারণেই সৃষ্টি হচ্ছে? আপনার কথার অর্থ যদি আমরা প্রবাসী পাত্র চয়েস করাকে অনুচিত মনে করি তাহলে যারা প্রবাসী দাতের বিয়ে শাদী করার অধিকার কে অশ্বীকার করা হচ্ছে না?
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:২৮
131141
হতভাগা লিখেছেন : @ ফাতিমা মারিয়াম ও আহমাদ মুসা :

তাহলে এসব কাহিনীকাররা প্রবাসী পাত্রের দিকে না গেলেই পারে !

প্রবাসীদের সে দেশের মেয়েদেরকে বিয়ে করা কি খুব কঠিন ?
176705
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১২
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : প্রবাসীদের অনেক রকমের সমস্যা আছে তার মধ্যে এটাই বড় সমস্যা। তবে প্রবাসীকে সচেতন হতে হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২০
129853
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : কিন্তু কিভাবে সচেতনতা আসবে তা বললে সবাই একটু উপকৃত হতHappy
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪১
129982
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : এই বিষয়ে একটি পোস্ট করলাম দেখবেন
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:২৬
130055
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমি একজন নারীর কথা জানি যিনি মোটামুটি ধার্মিক ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন স্বামীর অনুপস্থিতির কারনেই হোক বা অন্য কোন কারনেই হোক তিনি একজনের সাথে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন।

শুধুমাত্র তাকওয়াসম্পন্ন স্ত্রী সন্ধান করলেই কি এসব সমস্যার সমাধান হবে? স্বামীকেও তাকওয়াসম্পন্ন হতে হবে এবং বউ যাতে তার প্রাপ্য সব অধিকার পায় তা-ও স্বামীকে নিশ্চিত করতে হবে।ধন্যবাদHappy
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:০৮
130062
ইমরান ভাই লিখেছেন : পোস্টপি পড়ে "প্রবাসী" শব্ধটি দেখে আব্দুল্লাহ ভাইয়ের জন্য ভয় লাগছে। Surprised Surprised

আব্দুল্লাহ ভাই সাবধান। Tongue
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৩
130123
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : ভয় পাবেন না
176711
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২০
রাইয়ান লিখেছেন : আপু , এরকম প্রষিতভর্তিকারা এখন প্রায় প্রতি ঘরেই একজন হলেও আছে। আমি এরকম কয়েকজনের জীবন দেখেছি। তারা বিবাহিত হবার পরেও স্বামীর সান্নিধ্য ও সাহচর্য থেকে বঞ্চিত। সারা জীবনটি বিলিয়ে দিচ্ছেন শ্বশুরবাড়িতে , বিনিময়ে পাচ্ছেননা প্রাপ্য মর্যাদাটুকুও। এই পরিস্থিতি বদলানো প্রয়োজন , কিন্তু কিভাবে !
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৮
129863
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এর কারণ এটা হতে পারে যে আমাদের সমাজে কোন কোন পরিবারে বাড়ির বউকে রক্ত মাংসের মানুষ মনে করা হয়না।

এখানে আমি মনে করি শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ,দেবর এবং সেই বউ সহ সবার মন মানসিকতার পরিবর্তন হলেই এ অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব। ধন্যবাদHappy
176713
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয় উত্থাপন করেছেন। আমাদের সমাজ বা সরকার প্রবাসিদের ফরেন কারেন্সি রেমিটেন্স এর জন্য যত উন্মুখ এই কারনে সৃষ্ট সমস্যাগুলির সমাধানে তত্ই চুপ। অতি দুঃখের সাথে দেখেছি প্রবাসী বড় ভা্ই এর পাঠান টাকায় ছোট ভাই বোনদের নিত্যনতুন মোবাইল ফোন কিনে দিচ্ছেন মা। কিন্তু সেই ভাই এর স্ত্রী ঈদের সময় পুরান কাপড় পড়া। এটি আমার আত্মিয় স্বজনের মধ্যেই দেখা এবং এধরনের অনেক ঘটনার কথা জানি।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৫
129868
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এই ব্যাপারে স্বামীদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তবে মুদ্রার উল্টোপিঠও আছে। ধন্যবাদHappy
176725
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৪
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : আপনার পোষ্ট পড়ে আমার পোষ্ট..হে প্রবাসী স্বামী আবার তুমি আসবে ফিরে আমায় কথা দাও' এর কাহিনী মনে পড়ে গেল...

আসলে কি জানেন...বেশীর ভাগ প্রবাসীরা বিয়ের আগেও পরে প্রতিবছরে বা দুইবছরে মাত্র কিছু দিন দেশে এসে প্রিয়জনদের সাথে থাকার সুযোগ পায়। বাকীটা সময় প্রবাসেই থাকে। স্বামীর অনুপস্থিতে প্রিয়তমা বউটি কাঁদকে কাঁদকে বালিশ ভেজাবে..এই তো তাদের জীবন..........কেউবা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ...

এই বিষয়ের কোন সমাধান নাই। এইভাবেই চলতে থাকবে..
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৫৫
129885
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমি পরবর্তী পর্বগুলোতে পরকীয়ার বিষয়টি তুলে ধরতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। তবে আমার কি মনে হয় জানেন? যাদের পক্ষে সম্ভব বউ বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়াটাই ভালো। ধন্যবাদHappy
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৭
129887
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বেশীর ভাগ প্রবাসী বউকে সাথে রাখতে পারে না। স্বল্প বেতনের জব করে বলে ওরা বউকে সাথে রাখাতো দুরের কথা সংসার চালাতেও হিমশিম খায়..
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:১০
130063
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমার মতে দেশে এসে হালচাষ করাও ভালো। প্রচুর টাকার মালিক হওয়ার চেয়ে সংসার সামলানো,পরিবারের সাথে থাকাই উত্তম।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০৬
130080
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ইমরান ভাই, হালচাষ করে জীবিকা নির্বাহ করাও ভালো - এই কথাটা বলা যতটা সহজ কার্যকর করা ততটাই বা তার চাইতেও কঠিন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১১
130081
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আচ্ছা, জামাল ভাই যারা পরিবার নিয়ে যেতে একেবারেই অক্ষম তাদের পক্ষে এটা কি সম্ভব হতে পারে যে অন্তত বছরে ২/১ বার তারা দেশে আসবে? তাহলে হয়তো পারিবারিক ভাঙ্গন রোধ করা যেতেও পারে! এটা আমার একান্ত নিজস্ব মত। ধন্যবাদ।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১২
130870
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : না সম্ভব নয়..কারন বেশীর ভাগ প্রতিষ্টানে দুই বছরে মাত্র দুই মাসের ছুটি দেয়। প্রতিবছর দেশে গেলে ওরাতো বাড়ীতে টাকাও পাঠাতে পারবে না। একটি টিকেট খচর ত্রিশ হাজার টাকার উপরে। আর কত যে খরচ।
176744
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০৩
শেখের পোলা লিখেছেন : এক কথায় বলতে হয় এটি মেয়েদের প্রতি চরম অন্যায়৷ কিন্তু সাথে একটু পিছনে না গিয়ে পারছি না৷ ১৯৭২ সালই হবে ঠিক মনে নেই, পাশের গ্রামের ফজলে স্যার পি এইচ ডি করতে বিদেশ যাবেন৷ আশ পাশের গ্রামে সাড়া পড়ে গেল৷ আমরা তাঁকে সম্বর্ধনা দিয়ে বিদায় করলাম৷ সবাই গর্ববোধ করেছিল৷এর পর কাইয়ূম ভাই মিস্ত্রী হয়ে বিদেশ গেলে অনেকে খুশী হল অনেকে বলল, দেশেকি ভাতের অভাব হয়ে গেল৷ আমি নিজেও এক সময় বিদেশ যেতে ইচ্ছু হলে আমার চাচার সাফ কথা দেশেই ভাত আছে৷ ক্রমে ক্রমে দেশে সত্যই ভাত নাই হতে থাকল৷ তখন জীবন জীবিকার জন্য আর না গিয়ে উপায় নেই, তাই এখন মানুষ বাধ্য হচ্ছে বউ ছেলে মেয়ে মা বাবাকে রেখে জমি গয়না বেচে বিদেশে চাকর খাটতে যেতে৷ চেতনাধারীদের কাছে এটা মহত প্রাপ্তি হলেও ইসলামের দৃষ্টিতে স্ত্রীর থেকে একটানা চার মাস দূরে থাকা অন্যায়৷ অথচ একদিন এটা ঐচ্ছিক ছিল৷
আপা, আপনার শিরনামের শব্দটা বড়ই অচেনা লাগল৷ ওটার মানেও বুঝলামনা৷ধন্যবাদ৷ সামনে চলুক৷
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩৩
130050
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : যারা জীবিকার তগিদে প্রবাসে যায় তাদের যে কতরকম সমস্যা ফেস করতে হয় তা ভুক্তভোগীরাই জানেন। দেশে যেই স্বজনদের রেখে যাচ্ছেন তাদের বিশেষ করে স্ত্রীর সমস্যাগুলো তুলে ধরাই আমার পোস্টের উদ্দেশ্য।

চোখের সামনে যে ঘটনাগুলি দেখেছি তা থেকে সামান্য কিছু তুলে ধরতে চেষ্টা করব।

স্কুলে এককথায় প্রকাশ পড়েছিলাম ‘যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে- প্রোষিতভর্তৃকা,

আপনি ২ নং কমেন্ট এ দেখে নিতে পারেন। ধন্যবাদ।

176754
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫৫
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ‘প্রোষিতভর্তৃকা’ শব্দটি আজকেই শিখলাম।

অত্যন্ত বাস্তব এবং প্রায় প্রবাসীদের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার একটি নমুনা এটি।

্িাঅনেক প্রবাসী অপারগতার কারণে এমনটি করেন। আবার কেউ কেউ টাকা জমানোর জন্যই এই তামাশাটি করে থাকেন। শেষোক্তদেরকে আমি সাবধান করার চেষ্টা করি সবসময়।

আমার এক বন্ধু এভাবেই দীর্ঘদিন প্রবাসে কাটানোর পর এখন দেশে দামী গাড়ী-বাড়ির মালিক। তিনি নিজেই আমার নিকট তার স্ত্রীর আক্ষেপের কথা বলেছেন এভাবে- ’তোমার এই গাড়ী-বাড়ীর চেয়ে তোমাকেই প্রয়োজন ছিল আমার আরো অনেক আগে’।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০০
130079
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আসলে এই বিষয়গুলিকে মেয়েদের অভিভাবকরাও খুব একটা গুরুত্ব দেয়না। তারাও শুধুমাত্র অর্থনৈতিক সচ্ছলতার দিকটাই দেখে। যদিও ওটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের উপায় কি? পারিবারিক ভাঙ্গন রোধ করার কোন পথ জানা আছে কি?
১০
176785
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৫
আহমদ মুসা লিখেছেন : একটি গুরুত্বপূণ বিষয়ে কলম ধরেছেন। সেই ছোট্ট বয়স থেকেই লক্ষ্য করে আসছি প্রবাসীদের কেন্দ্র করে নানান ধরনের ইতিবাচক ও নেতিবাচক অনেক ঘটনা যেমন শুনেছি তেমনি কিছু কিছু চাক্ষুষ ঘটনার নিজেও স্বাক্ষী। আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে যারা প্রবাসী তাদের বেশীর ভাগই মধ্যপ্রাচ্য কেন্দ্রিক। আমার পরিচিত এমন অনেক অনাত্মীয় প্রবাসীদের তিক্ত/বেধনাদায়ক/মধুর কাহিনীও শুনেছি এবং দেখেছি। আমাদের দেশটা একটি উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার ফলে এবং দেশের বেশির ভাগ মানুষ দারিদ্র সীমার নীচে অবস্থান করার কারণে জীবনযাত্রায় কিছুটা গতিশীলতা আনার জন্যই মূলত মানুষ বিদেশগামী হচ্ছে। এর পেছনে আরো বেশ কিছু কারণও রয়েছে। তম্মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে দেশীয় শ্রম বাজারে কাংখিত মূল্য না পাওয়া। সাধারণ সেন্সে বিবেচনা করলে সরকারী অথবা বেসরকারী চাকরীর বাজারে এভারেজ আয়ের উপর যদি জরিপ করা হয় তবে সঠিক উত্তরটি পাওয়া যেতে পারে। চাকরী ছাড়াও যারা অন্যন্যা পেশায় জড়িত তাদের মধ্যেও খুব কম সংখ্যাক মানুষই কাংখিত আয় করতে পারছেন।
উচ্চ শিক্ষার্জনের লক্ষ্য অথবা এলিট জবের লোভে দূরপ্রাচ্য তথা উন্নত বিশ্বে যারা যাচ্ছেন তাদের কথা এখানে আমার আলোচনার বিষয় নয়। তাদের সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে কম মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের তুলনায়।
এখন আসছি মূল প্রসংঙ্গে- কোন একটি পত্রিকায় পড়েছিলাম প্রায় আশি লক্ষের বেশী বাংলাদেশী শুধু মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। সে হিসেবে ধরা যায় আমাদের দেশের প্রতিটি পরিবারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রাসীদের সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই বিরাট সংখ্যাক মানুষ প্রবাসী জীবন বেছে নিয়েছে শুধু মাত্র নিজের ও পরিবার পরিজনের জীবনযাত্রায় গতিশীলতা আনার জন্যই। এ কথা অনশ্বীকার্য যে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্সের ফলে আমাদের পরিবারগুলোর বেশীর ভাগই কিছুটা হলেও আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে। কিন্তু যে বিষয়টা সমাজের নীতি নির্ধারকদের ভাবনায় চেদ পড়েনি তা হলো পারিবারিক ব্যবস্থায়, সামাজিক বন্ধনে, জাতিগত কৃষ্টি কালচারে, নীতিনৈতিকতায় আমরা কতটুকু এগিয়ে গেলাম বা কতটুকু পিছিয়ে পড়লাম প্রবাসী জীবন বেচে নেয়ার ফলে? যদি আমরা কোন কোন প্রবাসীর ক্ষেত্রে খন্ড খন্ডভাবে চিন্তা করি তবে দেখতে পাবো ভয়াবহ বেদায়নাদায়ক করুণ কাহিনীতে বিষিয়ে তুলেছে কারো কারো পারিবারিক জীবন- ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন ধরনের দূর্ঘনা। এসব ঘটনাগুলোকে কোন অবস্থাতেই নিচক কোন বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সমস্ত খবরা খবর তো আর মিডিয়ার উপাদেয় খাদ্য বানানোর সুযোগ থাকে না। আবার এর উল্টো দিকও যে নেই তাও আমরা অশ্বীকার করছি না।
যাই হোক আপনি এক্ষেত্রে (সম্ভবত প্রথম কিস্তি হিসেবে)একটি ঘটনার সূত্রপাত করেছেন। তাই আমিও প্রাসংঙ্গিক মন্তব্য করার সুযোগ পাচ্ছি না বিস্তারিতভাবে। ইনশায়াল্লাহ হয়তো আপনার ধারাবাহিক বর্ণনাগুলোর হয়তো সম্পূরক হিসেবে আমিও দূয়েকটি ঘটনার অবতারণা করতেও পারি। তাও আপনার ব্লগ পাতায়। আপত্তি নেই তো?
আর হ্যাঁ শিরোনাম পড়ে প্রথমে তো কিছুই বুঝতে পারিনি। অবশ্য ড. সালেহ মতিনের মন্তব্য এবং আপনার উত্তর দেখে শব্দটির অর্থ শিখতে পারলাম। এজন্য আপনাকে এবং ড. মতিন ভাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০৮
130131
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার পরিপূরক মন্তব্যের জন্য শ্রদ্ধেয় ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।Happy

আপনি এই মন্তব্যটিকে কিছু বাস্তব ঘটনা সংযুক্ত করে আপনার ব্লগ থেকে পোস্ট আকারে দিতে পারেন।

পরিবার ভাঙ্গার যে প্রথা শুরু হয়েছে তা যদি এখনই রোধ করা না যায় তবে আর কিছু বছর পরে আমরা একটি ভয়ঙ্কর ভঙ্গুর সমাজ দেখতে পাব।

আবারও ধন্যবাদ।
১১
176795
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:০৭
ভিশু লিখেছেন : কাহিনীগুলো খুবই ভয়ঙ্কর এবং বেদনারও! আল্ট্রাসনো ডিপার্টমেন্টে আরো অনেককিছু শোনা যায়! গাইনীর ডাক্তার পুস্পিতা আরো ভালো বলতে পারবেন! তাই তো বর-কনেদের কথা হওয়া উচিত এর্কোম:
একশর্তে কর্তে পারি বিয়া...Tongue Tongue Tongue
২জন যদি থাকি সবস্ময় মিলিয়া-মিশিয়া
I Don't Want To See I Don't Want To See I Don't Want To See Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone Don't Tell Anyone
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২১
130083
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হুমমম.... আমার মনে হয় মেয়েদের শর্তটা এমন হওয়া উচিৎ-

'এই শর্তে করতে পারি বিয়া
আমারে রাখ যদি তোমার কাছে নিয়া'Straight Face
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪৭
130095
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : আমার মনে হয় মেয়েদের শর্তটা এমন হওয়া উচিৎ-

'এই শর্তে করতে পারি বিয়া
আমারে রাখ যদি তোমার কাছে নিয়া'
-----------------------------
তাহলে আমাদের কি হবে?????????????????????????Crying Crying Crying Crying Crying
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
130127
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : মিয়াজী ভাই, আপনিতো শর্ত ছাড়াই পেয়ে গেলেনTongue Smug
১২
176810
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:০৯
আফরা লিখেছেন : গুরুজী খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন ।অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২২
130084
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : জুনিয়রকে অনেক ধন্যবাদ জানাইHappy Love Struck
১৩
176889
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:০৫
ইমরান ভাই লিখেছেন : আমার মতে দোষ ঐ পুরুষের। সংসার ছেড়ে বিদেশে থাকে বছরের পর বছর। এটা কি মুসলিমের কাজ?
সৈনিককেও তো ৩ মাস পরে ছুটি দেয় তার পরিবারের কাছে যাবার জন্য।

ঐ ব্যাটার বৌ যে অন্যকাউকে মান,অসম্মানের ভয়ে বিয়ে করেনাই এখনো, এটা ওর ভাগ্য।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৯
130146
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : এই ঘটনা শুধু একজনের নয়, এটা আজ বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যায় রূপান্তরিত হয়েছে।

আয় রোজগারের জন্য বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে আজ অনেককেই প্রবাসে পাড়ি জমাতে হচ্ছে।

কেউ যদি দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করতে পারে তবে সে বাইরে যেতেই পারে। তবে এ ক্ষেত্রে স্ত্রী ও পরিবারের হক আদায়ের ব্যাপারে তাকে সচেতন থাকতে হবে।

ধন্যযুক্ত ইমরান ভাইTongue Happy
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৩
130150
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ৭ নং কমেন্ট আবার দেখে আসেন। ওখানে আপনার কথার জবাব দিয়েছি।Happy
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৩৯
131369
ইমরান ভাই লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যযুক্ত বোনজি Happy Happy
১৪
176909
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৪৯
তাবাসসুম তাহরিমা লিখেছেন : প্রোষিতভর্তৃকাদের একটি বাস্তব বর্ণনা। ভালো লাগলো।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
130085
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
১৫
176913
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
ইশরাত জাহান রুবাইয়া লিখেছেন : আপু লিখতে থাকুন। অবশ্যই এই ব্যাপারটা নিয়ে সচেতনতা জরুরী। প্রবাসীদের স্ত্রীদের জীবন আসলেই এভাবে নিঃসঙ্গতায়, স্বামীর সান্নিধ্য ব্যাতীতই যায়, নিজেকে অনেকিছু সামলে হয়, আবার সুযোগ পেলে তাঁদের নিয়ে অনেকে নানা গুন্জনও তুলে! আবার কেউ নিজেকে সংযত রাখতেও একসময় ব্যর্থ হয়ে পড়েন!

আর প্রবাসীরাও সন্তান-স্ত্রীর মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই দূর প্রবাসে থাকেন, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করে উপার্জন করেন। দুই পক্ষকেই নানা কষ্ট সহ্য করতে হয়, কিন্তু এর একটা সন্তোষজনক সহাবস্থান তৈরী করা অবশ্য জরুরী!
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৭
130164
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : পুরূষ হোক বা নারী হোক এই অবস্থায় সংযত রাখাটাই বেশ কঠিন। তবে এই ক্ষেত্রে বেশী ভুক্তভোগী মেয়েরাই।

আরও একটা বিষয় কি জানো? মেয়েদের পদস্খলনকেই হাই লাইট করা হয়।

পদস্খলন যারই হোকনা কেন তা অবশ্যই গুরুতর অন্যায়। কিন্তু মেয়েদেরকে একতরফা দোষারোপ করাও আমাদের অন্যতম সামাজিক ব্যাধি।

ধন্যবাদHappy
১৬
176922
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৭
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : এই ধরনের বিয়ের মাধ্যমে আসলে স্বামী স্ত্রী কারোরই বিয়ের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়না যার ফলে জন্ম নেয় নানান সমস্যা ও গুজব। বিয়ের উদ্দেশ্য যে বাবামায়ের জন্য একজন পার্মানেন্ট বুয়া সংগ্রহ করা নয় বরং বাবা মা এবং স্ত্রী সকলকে যার যার অধিকার বুঝিয়ে দেয়া সেটা বুঝার আগে ছেলেদের বিয়ে করা উচিত নয়, কেননা তখনই স্ত্রীকে বাবামায়ের কাছে রেখে তারা বছরের পর বছর একা কাটিয়ে দেয়। এই বিষয়ে আরো বলার ছিল। পরে সময় পেলে শেয়ার করব ইনশা আল্লাহ্।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
130170
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপা, যে গুজবগুলো তৈরি হয় তা যে সব ক্ষেত্রে মিথ্যা তা নয়। আমাদের সমাজ এখনও বিয়ে মানেই 'বউ এসেই শশুরবাড়ির খেদমতে লেগে যাবে' এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেনা। বিশেষ করে গ্রামে এই অবস্থা বেশি দেখা যায়। শহরও পিছিয়ে নেই। বউটাযে মানুষ,তার যে কিছু চাওয়া পাওয়া থাকতে পারে এটাই পরিবারের সদস্যরা বুঝেনা। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে স্বামীও না।

চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদHappy
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:০৫
130434
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : গ্রামের মানুষ এখনো শ্বশুড় শ্বাশুড়ির সেবা করাকে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ইবাদত এর মতো মনে করে। এমনকি বাবা মায়ের সেবার চেয়েও তাদের কাছে শ্বশুড় শ্বাশুড়ির সেবাটা গুরুত্বপূর্ণ।

১৭
176942
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫০
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : প্রবাসীর বুকে কষ্টের আগুন বিরহের আগুন,এই কষ্টের অসহ্য যন্ত্রনা প্রবাসী ছাড়া আর কেউ বুঝবে না।আমাদের প্রতিদিনের কষ্ট কাহিনী অনেকেই জানে না, বেশীর ভাগ সময় আমরা নিজেই প্রকাশ করতে সাচ্ছন্দ বোধ করি না কারন কষ্টের কথা যন্ত্রনার কথা প্রকাশ করাও এক ধরনের কষ্ট।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:০৬
130321
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : একদিকে পরিবার পরিজনের কষ্ট। অন্যদিকে প্রবাসীদের কষ্ট। এই সমস্যার কোন সমাধান কি আদৌ আছে?
১৮
176962
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৭
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : অনেক কথা ইচ্ছা করলে বলা যায় কিন্তু বড়দের সামনে বলা উচিত কিনা জানিনা।"একসময় উনার সাথে উনার ছোট দেবরকে নিয়ে ‘কিছু গুঞ্জন’ গ্রামে তৈরি হয়েছিলো।ঘটনা সত্যি মিথ্যা কতটুকু জানিনা। এভাবেই এই শায়লার জীবন অতিবাহিত হচ্ছে।"____________________________
মানুষের "শারিরিক চাহিদা" ব্যাপারটাকে অস্বীকার করতে চাইলেও করার কোন উপায় নেই।
সেখানে মাসলার ব্যাপারতো চলে আসেই যে,
নিজ স্ত্রীকে এভাবে ফেলে বছরের পর বছর বিদেশে পরে থাকা কতটুকু ইসলামিক?জিহাদ ব্যতীত ইসলামে সন্যাস নিষিদ্ধ আবার আমরা ইসলামের ইতিহাসের দিকে তাকালেও দেখতে পাই বিবাহিতদের বড় অংশ নিজ স্ত্রী-সন্তান সহ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতেন। বিবাহিত ব্যক্তি যারা নিজ স্ত্রীকে ফেলে রেখে জিহাদে এসেছেন যদি তারা জীবিত থাকতেন তাদেরকেও কয়েকমাস পর পর তাদের স্ত্রী-পরিবারের নিকট পাঠিয়ে দেয়া হত। আমাদের দেশে মাঝেমাঝেই এমন অভিযোগ ওঠে প্রবাসি স্বামীর স্ত্রীদের নিয়ে।গ্রাম্য শালিসে অনেক সময় গৃহবধুদের নির্যাতনের খবর পত্রিকাতেও আসে। আমার পরিচিত এক ভাইয়ের বোনই পালিয়ে গেছে একটা নেশাগ্রস্হ ছেলের সাথে। অথচ ঘরে ছোট একটা বাচ্চা মেয়ে ছিল তার। যে বাড়িতে তার বিয়ে হয়েছিল তাদের আর্থিক অবস্হা-সামাজিক মর্জাদা ছিল ইর্ষনীয়। কিন্তু স্বামী থাকতেন প্রবাসে। যখন তার স্বামী তাকে জিঙ্গেস করেছিল: তোমাকে আমি কখনো কোন জিনিস থেকে বঞ্চিত করিনি তুমি এমন একটা ছেলের সাথে পালিয়ে গেলে কিভাবে? অন্তত আমাদের মেয়েটার কথা ভাবতে। সেই আপু উত্তর দিয়েছিলেন: তুমি আমাকে সব দিয়েছ কিন্তু আমাকে ফেলে বিদেশ পরে ছিলে আমি কতদিন একা থাকব? ইসলাম মদ তখনই নিষিদ্ধ করেছে যখন সমাজে তার আর কোন প্রয়োজন ছিলনা। রাসূল(সাঃ)ও পরবর্তীতে খলিফারা নারী-পুরুষের রজমের শাস্তি তখনই প্রদান করেছেন যখন খেলাফত রাষ্ঠ্র সেসব নারী-পুরুষের বিবাহ ও যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করার পরেও তারা আইন ভঙ্গ করেছে, সীমালঙ্ঘন করেছে। প্রেম হারাম। সাথে সাথে সেকুলার সমাজ তার বিয়েও হারাম করে রেখেছে। বাবা-মাও সেকুলার ধ্যান-ধারণা নিয়ে চলেন তো একটা ছেলে বা মেয়েকে কতক্ষণ ইসলামের কথা শুনিয়ে সাধু বানিয়ে রাখবো? কম বয়সী ছেলে-মেয়েরা পালিয়ে গেলে মিডিয়া বাবা-মাকে গালাগালি করবে,আবার তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে গেলেও চিল্লাবে, বাল্য বিবাহ এদের গ্রেফতার কর। সবার বোঝা উচিত অন্তত মা-বাবার।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
130171
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : প্রথমেই আপনাকে ধন্যবাদ দিলাম একটি যুক্তিপূর্ণ মন্তব্য করার জন্য। আপনার এতো লম্বা মন্তব্যটি পড়ে যদি বাংলাদেশী কোন অমুসলিম প্রবাসী অথবা তার পরিবারে চলমান প্রবাসজনিত সমস্যা সমাধানের পথ খুজার চেষ্টা করে তবে কি তিনি সামান্যতমও সমাধানের কোন উংগিত পাবেন? আপনারা যারা নিজেদের ইসলামপন্থী অথবা ইসলাম ইসলাম বলে চিল্লা চিল্লী করেন তাদের একটি কমন সমস্যা হচ্ছে এটা। ইসলামকে তারা এতোই মিনিমাইজ করে ফেলেন যেন নিজ জাতি বা গোষ্টীর জন্য কপিরাইট করে ফেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এভাবে আপনাদের চিন্তার কারণেই তো আজ ইসলামপন্থীদের সাম্প্রদায়িক, জঙ্গী, মৌলবাদী ইত্যকার বাক্যবাণে গালিগালাজ ও নিন্দাবাদে জর্জরিত করে। অথচ কোরআন-সুন্নাহর বাণীগুলোকে মানব জাতির মুক্তির একমাত্র সনদ বলে দাবী করেন আপনারা অথবা জগতের সর্বশ্রেষ্ঠতম মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা) কে দুনিয়াতে শুধুমাত্র মুসলমানদের সমস্যা সমাধানের জন্যই প্রেরণ করা হয়নি। তাকে রাহমাতুল্লিল আলামিন বলে ঘোষণা করা হয়েছে পবিত্র কোরআনে। আমার মনে হয় সত্যিকারের একজন ইসলামপন্থীর চিন্তা-চেতনায় তার নিজ জাতির জন্য যেমন চিন্তা করা উচিত তেমনি তার চার পাশের ঐ সমস্ত মানুষগুলোর কল্যাণের কথাও চিন্তা করা উচিত যাদের মধ্যে দ্বীনের আলো তথা কোরআন-সুন্নাহর নুরানী তেজস্ক্রীয়তার প্রভাব পড়েনি। ইসলাম যে তলোয়ারের জোরে মানুষকে দ্বীনের পথে আনেননি, ইসলাম তার শ্বাস্বত মহিমা দিয়েই দুনিয়ার পথহারা মানুষগুলোকে দ্বীনের পথে নিয়ে এসেছে- একথাটি প্রমাণ করতে হবে ইসলামপন্থীদেরকেই যারা ইসলামের প্রচার, প্রসার ও প্রতিষ্ঠার স্বাপ্ন লালন করেন নিজের বুকে।

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ দিলাম।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:০৮
130218
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : যুক্তিসঙ্গত মন্তব্যের জন্য আপনাদের দুজনকেই ধন্যবাদ।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩৫
130334
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ঘুম ভাঙাতে চাইকে ধন্যবাদHappy
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
130877
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : @ মাননীয় কবি সাহেবা জবানা ফাতিমা মারিয়াম, আপনার উত্তর দেখে মনে হচ্ছে আমার মন্তব্যটা আপনার পছন্দ হয়নি। ব্লগার ঘুম ভাঙ্গাতে চাইয়ের মন্তব্যটাই আপনার পছন্দ হয়েছে। এক্কাজ করেন- আমার কথাডা যেহেুত আপনের হছন্দ হয়নি তাই আবর্জনার মত দূয়ে মুছে পরিস্কার করার জন্য আমার প্রতি মন্তব্যটা ডিলিট কইরা দেন। আমি ডিলিট কইরবার হারতেছি না আপনের ব্লগ হওনের কারণে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৫
131527
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : গ্যাঞ্জাম ভাইকে ধন্যবাদHappy
১৯
176971
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৮
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : অত্যন্ত বাস্তবসম্মত ও গুরুত্বপূর্ন বিয়য়টি নিয়ে কল ধরার জন্য আপনাকে আন্তরিক শুকরিয়া! আসলে শুধুমাত্র ভুক্তভোগীরাই বুঝেন কি পরিমান মানসিক কষ্ট হয় এই সময়টাতে! আশাকরি লিখে যাবেন!শুকরিয়া আপু! Good Luck Rose
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:১১
130323
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : কয়েকটি ঘটনা লিখার ইচ্ছা আছে। পারিবারিক ভাঙ্গন রোধ করার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে। প্রবাসীদের পারিবারিক অশান্তি/ভাঙ্গন আজ সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে।

সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদHappy Praying
২০
177000
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩৬
সিকদারর লিখেছেন : আমিও বেশ কিছুদিন প্রবাসে ছিলাম । তখন ছিলাম অবিবাহিত । সেই সময় বিবাহীত প্রবাসিদের দেখলে মনে হত ডাংগায় তোলা মাছ। সারাদিন কাজে থাকে তখন সমস্যা হয় না। যখন কাজ শেষ করে ফিরে আসে তখন ফ্রেশ হয়ে প্রথমে দেশে ফোন করে কথা বলে । কথা শেষ হওয়ার পর শুরু হয় ছটফটানি । আর কত দিন আছে ছুটি পাওয়ার, যাওয়ার সময় কি কি নিবে এই সব হিসাব করে ঘুমাতে যায়। আর যেদিন দেশে যাওয়ার টিকেট কাটে সেদিন থেকেত সেই প্রবাসীর রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় । প্রায় সারা রাত কামরার বাইয়ে সিড়ির উপর বসে জেগে থাকে আর ভাবে আর কত দিন বাকি ফ্লাইটে উঠার।
এই সব দেখে আমার তখন মনে হত আমরা অভিশপ্ত জাতি । এইখানে এক বাংগালী পুরুষ স্ত্রী-সন্তানের জন্য ছটফট করছে আর দেশে স্ত্রী- সন্তান ও মা-বাবা তার জন্য ছটফট করছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:১৫
130325
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : কি যন্ত্রণাময় জীবন! এর বাস্তবসম্মত সমাধান হওয়া দরকার। কিন্তু কিভাবে?
২১
177044
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১৫
সায়েম খান লিখেছেন : কিছু মেয়ে আছে যারা তাদের নষ্ট চরিত্র কখনো বদলাতে পারেনা। আর কিছু ভাল মেয়েও লোভে পড়ে বিপথগামী হয়। তবে আমি মনেকরি বিদেশে ৫-৭ বছর ধরে থাকা অনুচিত।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:১৫
130327
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : মতামতের জন্য ধন্যবাদ সায়েম ভাই।
২২
177073
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:১০
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আমাদের দেশে এখনো গ্রামে প্রবাসী বর দের কদর অনেক। ছেলে বিদেশ থাকলেই হল পড়াশুনা কম হোক আপত্তি নেই এমন অনেক পরিবারেই আছে। পুরা পরিবার যখন ঐ ছেলেটির আয় রোজগারের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তখন স্বাভাবিকভাবেই তার নিজের জীবন বলে কিছু থাকেনা। পরিবারের সমস্ত ব্যয়ভার একা সামলাতে গিয়ে দেশে আসতে পারেনা। বউ,ছেলেমেয়ের জন্য যে স্বামী/বাবার দরকার আছে এটা অন্যরা বুঝতে চায়না। অনেকের ধারনা স্বামীর পাঠানো টাকায় স্ত্রীরা ফুর্তি করে বেড়াচ্ছে সমস্যা কি! কিন্তু আসলেই কি ওরা ভাল আছে! আমাদের সমাজ শায়লাদের একা থাকার জন্য কতটুকু নিরাপদ! সামাজিক নিন্দা থেকে গাঁ বাঁচিয়ে চলতে প্রতিনিয়ত নিজেদের বিসর্জন দেয়। কোন দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা মাঝখানে ইসলামকে টেনে নিয়ে আসি। ইসলাম সন্ন্যাস জীবন পালনের কথা বলেনি। স্বামীদের কষ্ট এক রকম, স্ত্রীদেরটা অন্যরকম। ভাইরা যারা দেশের বাইরে থেকে সর্বদা দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তাদের জন্য সরকারের আরো অনেক বেশী মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি তাদের পরিবারের লোকজনের ওই ভাইটির উপর নির্ভরতা কমানো উচিত যাতে তিনি সময়ের গ্যাপটা কমিয়ে ঘন ঘন দেশে আসতে পারেন।

ধন্যবাদ আপুকে। অনেক মুল্যবান একটি বিষয় তুলে আনার জন্য Good Luck Applause Love Struck
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:২৫
130330
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : গতকাল সকালবেলা আমার ফুফাত ভাই ফোন করে উনার মেয়ের বিয়ের দাওয়াত দিলেন। মেয়েটি এবার এইচ.এস.সি. পরীক্ষা দিবে। আমি জানতে চাইলাম- পাত্র কি করে, পড়াশোনা কতটুকু করেছে?

ভাই জবাব দিলেন,' বিদেশ থাকে, অবস্থা বেশ ভালো। আর পড়ালেখা তেমন একটা নাই।' ছেলে এস.এস.সি পাশ কি না এটাও উনি স্পষ্টভাবে বলতে পারলেননা।

এক পর্যায়ে আমি জানতে চাইলাম- বিয়ের পর কি মেয়েকে বিদেশে নিয়ে যাবে?

উনি অবাক হয়ে বললেন,'ওকে নিবে কেন?'

এই হচ্ছে আমাদের অভিভাবকদের অবস্থা।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৫:৪৫
130801
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র,কিন্তু খুব কম লোকই এসব নিয়ে ভাবে।
২৩
177089
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৪৭
বিন হারুন লিখেছেন : আমরা আসলে নিজের সুখ নিয়ে বেশী ভাবি, আমার সুখের জন্য আরেকজন কত কুরবানি দিচ্ছে তার স্বার্থের কথা ভাবার অনুভুতি আমাদের হয় না. Rose
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৩০
130333
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : উভয়ে যদি উভয়কে বুঝে এবং একজন অন্যজনের কুরবানিকে সম্মান করে তবেই সুখী জীবন যাপন করা সম্ভব।ধন্যবাদHappy
২৪
177240
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৯
মিশেল ওবামা বলছি লিখেছেন : কি আর বলবো, এসব কাহীনি দেখে খুব খারাপ লাগে...
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
130417
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : Sad Sad Sad Sad
২৫
177271
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:০২
আবু আশফাক লিখেছেন : আমার মনে হয় এমন প্রবাসীদের বিয়ে না করাই উচিত।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
130418
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বিয়ে অবশ্যই করবে। কিন্তু যথাযথভাবে হক আদায় করতে হবে। ধন্যবাদ।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
130429
আবু আশফাক লিখেছেন : তিন বছর পর যিনি ৩ মাসের জন্য বাড়িতে আসতে পারেন, স্ত্রীকে সাথে রাখার মতো যোগ্যতা যার নেই (তথা ইনকাম কম) তার জন্য রোযা রাখাই ভালো। তিনি হক আদায় করছেন কি?
তার চেয়ে প্রবাস জীবন শেষ করেই বিয়ে করা উচিত।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
130430
আবু আশফাক লিখেছেন : তিন বছর পর যিনি ৩ মাসের জন্য বাড়িতে আসতে পারেন, স্ত্রীকে সাথে রাখার মতো যোগ্যতা যার নেই (তথা ইনকাম কম) তার জন্য রোযা রাখাই ভালো। তিনি হক আদায় করছেন কি?
তার চেয়ে প্রবাস জীবন শেষ করেই বিয়ে করা উচিত।
২৬
177317
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০০
আবু সাইফ লিখেছেন : এটি একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমস্যা!

শ্রমিক ভিসার প্রবাসীরা ইচ্ছে করলেও স্ত্রীকে নিয়ে যেতে পারেননা, আইনের বাধা!

আবার দেশে এসে সংসার করবেন- সেটা দুঃসাধ্য এজন্য যে, সংসার নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে!

কষ্ট তো উভয়েরই- কিন্তু রুজি-রোজগারের প্রয়োজনে এটা করতে বাধ্য হন!

যদি প্রবাসীদের চাকুরিবিধি ও ছুটির শর্তগুলো উভয় দেশের সরকার সেভাবে নির্ধারণ করতো তবে এ সমস্যার সমাধান সহজ হতো!
ছয়মাসে একমাস বাধ্যতামূলক ছুটি- তাহলে এ সমস্যার সমাধান ৯০% হয়ে যেতো মনে করি!

অসংখ্য সুহৃদ ও আত্মীয়ের সাথে আলাপের বিশ্লেষণ ও আমার বাস্তব অভিজ্ঞতায় "প্রোষিতভর্তৃকা" ও "প্রোষিতপত্নীক" উভয় পক্ষেরই সমস্যা ও কষ্ট তাঁরা সহ্য করে যান নিরুপায় হয়ে, বিকল্প সহজতর উপায় না থাকায়!

সুতরাং এ সমস্যার সমাধান ব্যক্তি বা সামাজিক উদ্যোগে সম্ভব নয়- যতক্ষণ আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমঝোতা ও চুক্তিতে এটিকে বিবেচনায় না আনা হয়!


মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারে! (যদিও তাদের কারো কারো নীতি/আচরণের কারণে ঐ শব্দটা উচ্চারণেও ঘৃণা জাগে আমার)
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০১
130495
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : যৌক্তিক কিছু পয়েন্ট তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ৬ মাসে বা বছরে একবার ছুটি পেলে সমস্যার সমাধান অনেকটাই সম্ভব।

১) এ ব্যাপারে সরকারী উদ্যেগ একান্তভাবে কাম্য।

২) পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে।

৩)এছাড়াও আমার মনে হয় প্রবাসীগণও
যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবী পেশ করতে পারে।

৪) যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর রেমিটেন্সের একটা বিরাট প্রভাব রয়েছে তাই উর্ধ্বতন মহলে এই বিষয়কে আমলে নেয়ার জন্য প্রবাসীগণ যোগাযোগ করতে পারেন।

২৭
177371
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:১৫
সিকদারর লিখেছেন : এটি একটি বিশাল সমস্যা যদিও এর বিশালতা ভুক্তভোগী ছাড়া কারো পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব না।
আমি মনে করি এটার একমাত্র সমাধান সম্ভব দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করা আর দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করতে হলে ইসলামীক শাসন কায়েম করতে হবে । তাই বলব এর একমাত্র সমাধান হল কোরআনের শাসন কায়েম করা।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২২
130499
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : হুমম....... আপনার এই পয়েন্টটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধানকে পরিপূর্ণরূপে মেনে চলার কোন বিকল্প নেই।ধন্যবাদ।
২৮
177502
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১৪
ইবনে হাসেম লিখেছেন : কোরআনের শাসন যে কখন আসবে তা তো বলা যাচ্ছে না। দিল্লী হনুজ দূর অস্ত। তবে বর্তমানের সমস্যার সমাধানে আমাদেরকে সামাজিকভাবে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অবতারণা করেছেন আপনি। আশা করি, সামাজিকভাবে সমস্যাটি মোকাবিলায় আপনার এই প্রচ্ষ্টো মাইলস্টোন হয়ে থাকবে।
আবারো ধন্যবাদ।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৩
130822
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : সমাজিক কোন সংগঠন যদি এ ব্যাপারে এগিয়ে না আসে তবে প্রবাসীরা স্ব-উদ্যেগে এরকম সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলতে পারে। তারপর সেই সংঠনের মাধ্যমে তাদের দাবী-দাওয়া সংশ্লিষ্ট মহলে পেশ করতে পারে। ধন্যবাদ।
২৯
177525
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:১৫
সজল আহমেদ লিখেছেন : আপু দুটো পার্টই আমার কাছে ভাল লেগেছ।ধন্যবাদ আপনাকে এতচমত্‍কার ১টা লেখা উপহার দেয়ার জন্য।আল্লাহ আপনার হেফাজাত করুক।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৩
130823
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying Praying
৩০
177588
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪৫
জেদ্দাবাসী লিখেছেন : আমার ছোট তিন বোন, তাদের জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসলে প্রবাসী শুনলেই না করে দিতাম । কারন আসে-পাসে দেখেছি শুনেছি, যে কাহিনীগুলি আপনি ব্লগে তুলে এনেছেন ।
আলহামদুলিল্লাহ ছোট বোনেরা অপ্রবাসী স্বামীদের সাথে খুব সুখে আছে, কিন্তু রহমান আল্লাহ আমাকে দেশ ছাড়া করে প্রবাসী বানিয়ে দিয়েছেন । মাঝে মাঝে প্রবাস জীবকে অভিশাপ মনে হয় ।

যাজ্জাকাল্লাহ খায়ের
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৯
130824
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : প্রবাসী হওয়াটা দোষের কিছু নয়, জীবিকার তাগীদে একটা মানুষ প্রবাসী হতেই পারে। কিন্তু এর ফলে সৃষ্ট পারিবারিক- সামাজিক সমস্যাগুলো বর্তমানে এতটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে এর জন্য পদক্ষেপ নেয়া জরূরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধন্যবাদ।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
130871
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : হে আল্লাহ আমাদেরকে মু্ক্ত করে দাও। দেশে সকল বেকারের কর্মস্থান থাকলে কেউ প্রবাসে আসবে না.............
৩১
178259
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:৫৮
অজানা পথিক লিখেছেন : ফেবুতে কমেন্টস করেছি
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:২৪
131317
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : Happy Happy Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File