প্রোষিতভর্তৃকা-১
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:৩৬:৪০ দুপুর
যারা প্রবাস জীবন যাপন করেন তারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, কত পরিশ্রম, কত ত্যাগের বিনিময়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চেষ্টা করেন!!! পরিবারের সদস্যদের আরো একটু ভালো রাখার জন্য তারা এই কঠিন জীবন বেছে নিয়েছেন। তাদের এই কষ্টের কোন প্রতিদান কারও পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। বরঞ্চ কখনও কখনও তারা উল্টা আচরণ পেয়ে থাকেন যা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। তারপরেও হাসিমুখে তাকে সব কিছু মেনে নিতে হয়।
এবার আসি মুদ্রার অপর পিঠে। যারা তাদের প্রবাসী প্রিয়জনকে ছেড়ে থাকছেন তাদের অবস্থা কি? পিতামাতা সন্তানকে কাছে পায়না, সন্তান পিতার স্নেহ-শাসন ছাড়াই বড় হচ্ছে। অন্যান্য আপনজনেরাও তাকে বিপদে আপদে, প্রয়োজনে কাছে পায়না। আর স্ত্রী? তাকে সামাজিক পারিবারিক কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিছু ঘটনা, কিছু রটনা......... এভাবেই জীবন কেটে যায়। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য হল প্রবাসীদের স্ত্রীদের কিছু ঘটনা তুলে ধরা। এই ঘটনা গুলোর সবগুলোই আমার দেখা নয়তো শোনা। সব ক্ষেত্রেই যে পরিবারের সদস্যরা দায়ী তা আমি বলছিনা ...... কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তি নিজেই দায়ী।
আমার এই লেখা কাউকে আঘাত দেয়ার জন্য নয়। আমি শুধুমাত্র আমার দেখা, আমার জানা কিছু নারীর সমস্যা তুলে ধরতে চাইছি এই লেখার মাধ্যমে। এটা শুধুমাত্র ঐ নারীর সমস্যা নয়। বরং পারিবারিক ও সামাজিক সমস্যায় আজ রূপান্তরিত হয়েছে। আমি মনে করছি এই বিষয়ে আলোচনা হওয়া সময়ের দাবী।
সম্মানিত সচেতন ব্লগার ভাইবোনদের এই বিষয়ে তাদের অনুভূতি ও মতামত জানানোর জন্য অনুরোধ করছি।
ঘটনা-১
ভদ্রমহিলা আমার দূরসম্পর্কের আত্মীয়া। আমার খালার চাচাতো জা। আমি কখনও উনাকে দেখিনি। কিন্তু আমার খালা ও খালাতো বোনদের কাছে উনার অনেক গল্প শুনেছি। উনার নাম আমার জানা নেই। কারণ খালা যখন গল্প করত উনাকে ‘অমুকের বউ’ বা ‘অমুকের মা’ এভাবেই বলতেন। আর খালাতো বোনেরাও চাচী বলত। যার কারণে নামটা আমার অজানাই রয়ে যায়। ধরে নিই নামটা শায়লা। রূপেগুণে অতুলনীয়া। উনার বিয়ে হয় এক প্রবাসী পাত্রের সাথে। প্রবাসী পাত্র পেয়ে উনার পিতামাতা বেশ খুশীমনেই তাকে বিয়ে দেন। পাত্রের সংসারও বেশি বড় নয়। তিন ভাই ও দুই বোন............ বোনদের বিয়ে হয়ে গেছে। আর আছে বৃদ্ধা মা।
বিয়ের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই স্বামী প্রবাসে চলে যান। কিছুদিন পর শায়লা নিজের ভিতর আরেকজনের অস্তিত্ব টের পেলেন। সবাই খুশী। স্বামী নিয়মিত খোঁজ খবর নেন.........চিঠি ও টাকা পাঠান। বাহ্যিকভাবে তার কোন অভাব নেই। কিন্তু এইসময়ে, এই অবস্থায় তার কাছে যার সবচেয়ে বেশি থাকা প্রয়োজন ছিল তাকে সে এক মুহূর্তের জন্যও পায়নি। শায়লা যথাসময়ে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন। মেয়ের বয়স যখন পাঁচ/ছয় বছর তখন শায়লার স্বামী দেশে আসলেন। এবারও ২/৩ মাস থেকে চলে গেলেন। এবার শায়লা এক পুত্র সন্তানের মা হলেন।
দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে বেশ দিন কেটে যায় শায়লার। বৃদ্ধা শাশুড়ি, আর ছোট দেবর নিয়ে সংসার। ইতিমধ্যে মেজভাইটি বিয়ে করেছে। শাশুড়ি এই ছেলেকে আলাদা করে দিয়েছে। শায়লার ছেলের বয়স যখন ছয়/সাত বছর তখন তার স্বামী দেশে এসে যথারীতি ২/৩ মাস থেকে চলে যান এবং এবারেও শায়লা এক পুত্রসন্তানের মা হলেন। এই ছেলেটিও দিন দিন বড় হচ্ছে।
ছোট ছেলের বয়স যখন পাঁচ কি ছয় বছর তখন শায়লার একমাত্র কন্যা তার পছন্দের একজনের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করলো। মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করায় শায়লার স্বামী রাগ করে আরও ২/৩ বছর পরে বাড়ী আসলো। ততদিনে 'শায়লার কন্যা' এক ছেলের মা হয়ে গেছে।
নিজের বিয়ে থেকে শুরু করে নাতি হওয়া পর্যন্ত প্রায় আঠারো উনিশ বছরের বিবাহিত জীবনে তার দাম্পত্য জীবনের সময়কাল ৬/৭ মাস। একসময় উনার সাথে উনার ছোট দেবরকে নিয়ে ‘কিছু গুঞ্জন’ গ্রামে তৈরি হয়েছিলো। ঘটনা সত্যি মিথ্যা কতটুকু জানিনা। এভাবেই এই শায়লার জীবন অতিবাহিত হচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
২৪৪৪ বার পঠিত, ৮৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাহলে এসব কাহিনীকাররা প্রবাসী পাত্রের দিকে না গেলেই পারে !
প্রবাসীদের সে দেশের মেয়েদেরকে বিয়ে করা কি খুব কঠিন ?
শুধুমাত্র তাকওয়াসম্পন্ন স্ত্রী সন্ধান করলেই কি এসব সমস্যার সমাধান হবে? স্বামীকেও তাকওয়াসম্পন্ন হতে হবে এবং বউ যাতে তার প্রাপ্য সব অধিকার পায় তা-ও স্বামীকে নিশ্চিত করতে হবে।ধন্যবাদ
আব্দুল্লাহ ভাই সাবধান।
এখানে আমি মনে করি শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ,দেবর এবং সেই বউ সহ সবার মন মানসিকতার পরিবর্তন হলেই এ অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব। ধন্যবাদ
আসলে কি জানেন...বেশীর ভাগ প্রবাসীরা বিয়ের আগেও পরে প্রতিবছরে বা দুইবছরে মাত্র কিছু দিন দেশে এসে প্রিয়জনদের সাথে থাকার সুযোগ পায়। বাকীটা সময় প্রবাসেই থাকে। স্বামীর অনুপস্থিতে প্রিয়তমা বউটি কাঁদকে কাঁদকে বালিশ ভেজাবে..এই তো তাদের জীবন..........কেউবা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ...
এই বিষয়ের কোন সমাধান নাই। এইভাবেই চলতে থাকবে..
আপা, আপনার শিরনামের শব্দটা বড়ই অচেনা লাগল৷ ওটার মানেও বুঝলামনা৷ধন্যবাদ৷ সামনে চলুক৷
চোখের সামনে যে ঘটনাগুলি দেখেছি তা থেকে সামান্য কিছু তুলে ধরতে চেষ্টা করব।
স্কুলে এককথায় প্রকাশ পড়েছিলাম ‘যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে- প্রোষিতভর্তৃকা,
আপনি ২ নং কমেন্ট এ দেখে নিতে পারেন। ধন্যবাদ।
অত্যন্ত বাস্তব এবং প্রায় প্রবাসীদের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার একটি নমুনা এটি।
্িাঅনেক প্রবাসী অপারগতার কারণে এমনটি করেন। আবার কেউ কেউ টাকা জমানোর জন্যই এই তামাশাটি করে থাকেন। শেষোক্তদেরকে আমি সাবধান করার চেষ্টা করি সবসময়।
আমার এক বন্ধু এভাবেই দীর্ঘদিন প্রবাসে কাটানোর পর এখন দেশে দামী গাড়ী-বাড়ির মালিক। তিনি নিজেই আমার নিকট তার স্ত্রীর আক্ষেপের কথা বলেছেন এভাবে- ’তোমার এই গাড়ী-বাড়ীর চেয়ে তোমাকেই প্রয়োজন ছিল আমার আরো অনেক আগে’।
উচ্চ শিক্ষার্জনের লক্ষ্য অথবা এলিট জবের লোভে দূরপ্রাচ্য তথা উন্নত বিশ্বে যারা যাচ্ছেন তাদের কথা এখানে আমার আলোচনার বিষয় নয়। তাদের সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে কম মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের তুলনায়।
এখন আসছি মূল প্রসংঙ্গে- কোন একটি পত্রিকায় পড়েছিলাম প্রায় আশি লক্ষের বেশী বাংলাদেশী শুধু মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। সে হিসেবে ধরা যায় আমাদের দেশের প্রতিটি পরিবারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রাসীদের সাথে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই বিরাট সংখ্যাক মানুষ প্রবাসী জীবন বেছে নিয়েছে শুধু মাত্র নিজের ও পরিবার পরিজনের জীবনযাত্রায় গতিশীলতা আনার জন্যই। এ কথা অনশ্বীকার্য যে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্সের ফলে আমাদের পরিবারগুলোর বেশীর ভাগই কিছুটা হলেও আর্থিক স্বচ্ছলতা এসেছে। কিন্তু যে বিষয়টা সমাজের নীতি নির্ধারকদের ভাবনায় চেদ পড়েনি তা হলো পারিবারিক ব্যবস্থায়, সামাজিক বন্ধনে, জাতিগত কৃষ্টি কালচারে, নীতিনৈতিকতায় আমরা কতটুকু এগিয়ে গেলাম বা কতটুকু পিছিয়ে পড়লাম প্রবাসী জীবন বেচে নেয়ার ফলে? যদি আমরা কোন কোন প্রবাসীর ক্ষেত্রে খন্ড খন্ডভাবে চিন্তা করি তবে দেখতে পাবো ভয়াবহ বেদায়নাদায়ক করুণ কাহিনীতে বিষিয়ে তুলেছে কারো কারো পারিবারিক জীবন- ফলশ্রুতিতে বিভিন্ন ধরনের দূর্ঘনা। এসব ঘটনাগুলোকে কোন অবস্থাতেই নিচক কোন বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। কারণ সমস্ত খবরা খবর তো আর মিডিয়ার উপাদেয় খাদ্য বানানোর সুযোগ থাকে না। আবার এর উল্টো দিকও যে নেই তাও আমরা অশ্বীকার করছি না।
যাই হোক আপনি এক্ষেত্রে (সম্ভবত প্রথম কিস্তি হিসেবে)একটি ঘটনার সূত্রপাত করেছেন। তাই আমিও প্রাসংঙ্গিক মন্তব্য করার সুযোগ পাচ্ছি না বিস্তারিতভাবে। ইনশায়াল্লাহ হয়তো আপনার ধারাবাহিক বর্ণনাগুলোর হয়তো সম্পূরক হিসেবে আমিও দূয়েকটি ঘটনার অবতারণা করতেও পারি। তাও আপনার ব্লগ পাতায়। আপত্তি নেই তো?
আর হ্যাঁ শিরোনাম পড়ে প্রথমে তো কিছুই বুঝতে পারিনি। অবশ্য ড. সালেহ মতিনের মন্তব্য এবং আপনার উত্তর দেখে শব্দটির অর্থ শিখতে পারলাম। এজন্য আপনাকে এবং ড. মতিন ভাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনি এই মন্তব্যটিকে কিছু বাস্তব ঘটনা সংযুক্ত করে আপনার ব্লগ থেকে পোস্ট আকারে দিতে পারেন।
পরিবার ভাঙ্গার যে প্রথা শুরু হয়েছে তা যদি এখনই রোধ করা না যায় তবে আর কিছু বছর পরে আমরা একটি ভয়ঙ্কর ভঙ্গুর সমাজ দেখতে পাব।
আবারও ধন্যবাদ।
একশর্তে কর্তে পারি বিয়া...
২জন যদি থাকি সবস্ময় মিলিয়া-মিশিয়া
'এই শর্তে করতে পারি বিয়া
আমারে রাখ যদি তোমার কাছে নিয়া'
'এই শর্তে করতে পারি বিয়া
আমারে রাখ যদি তোমার কাছে নিয়া'
-----------------------------
তাহলে আমাদের কি হবে?????????????????????????
সৈনিককেও তো ৩ মাস পরে ছুটি দেয় তার পরিবারের কাছে যাবার জন্য।
ঐ ব্যাটার বৌ যে অন্যকাউকে মান,অসম্মানের ভয়ে বিয়ে করেনাই এখনো, এটা ওর ভাগ্য।
আয় রোজগারের জন্য বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে আজ অনেককেই প্রবাসে পাড়ি জমাতে হচ্ছে।
কেউ যদি দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করতে পারে তবে সে বাইরে যেতেই পারে। তবে এ ক্ষেত্রে স্ত্রী ও পরিবারের হক আদায়ের ব্যাপারে তাকে সচেতন থাকতে হবে।
ধন্যযুক্ত ইমরান ভাই
আর প্রবাসীরাও সন্তান-স্ত্রীর মুখে হাসি ফোটানোর জন্যই দূর প্রবাসে থাকেন, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কষ্ট করে উপার্জন করেন। দুই পক্ষকেই নানা কষ্ট সহ্য করতে হয়, কিন্তু এর একটা সন্তোষজনক সহাবস্থান তৈরী করা অবশ্য জরুরী!
আরও একটা বিষয় কি জানো? মেয়েদের পদস্খলনকেই হাই লাইট করা হয়।
পদস্খলন যারই হোকনা কেন তা অবশ্যই গুরুতর অন্যায়। কিন্তু মেয়েদেরকে একতরফা দোষারোপ করাও আমাদের অন্যতম সামাজিক ব্যাধি।
ধন্যবাদ
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
মানুষের "শারিরিক চাহিদা" ব্যাপারটাকে অস্বীকার করতে চাইলেও করার কোন উপায় নেই।
সেখানে মাসলার ব্যাপারতো চলে আসেই যে,
নিজ স্ত্রীকে এভাবে ফেলে বছরের পর বছর বিদেশে পরে থাকা কতটুকু ইসলামিক?জিহাদ ব্যতীত ইসলামে সন্যাস নিষিদ্ধ আবার আমরা ইসলামের ইতিহাসের দিকে তাকালেও দেখতে পাই বিবাহিতদের বড় অংশ নিজ স্ত্রী-সন্তান সহ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতেন। বিবাহিত ব্যক্তি যারা নিজ স্ত্রীকে ফেলে রেখে জিহাদে এসেছেন যদি তারা জীবিত থাকতেন তাদেরকেও কয়েকমাস পর পর তাদের স্ত্রী-পরিবারের নিকট পাঠিয়ে দেয়া হত। আমাদের দেশে মাঝেমাঝেই এমন অভিযোগ ওঠে প্রবাসি স্বামীর স্ত্রীদের নিয়ে।গ্রাম্য শালিসে অনেক সময় গৃহবধুদের নির্যাতনের খবর পত্রিকাতেও আসে। আমার পরিচিত এক ভাইয়ের বোনই পালিয়ে গেছে একটা নেশাগ্রস্হ ছেলের সাথে। অথচ ঘরে ছোট একটা বাচ্চা মেয়ে ছিল তার। যে বাড়িতে তার বিয়ে হয়েছিল তাদের আর্থিক অবস্হা-সামাজিক মর্জাদা ছিল ইর্ষনীয়। কিন্তু স্বামী থাকতেন প্রবাসে। যখন তার স্বামী তাকে জিঙ্গেস করেছিল: তোমাকে আমি কখনো কোন জিনিস থেকে বঞ্চিত করিনি তুমি এমন একটা ছেলের সাথে পালিয়ে গেলে কিভাবে? অন্তত আমাদের মেয়েটার কথা ভাবতে। সেই আপু উত্তর দিয়েছিলেন: তুমি আমাকে সব দিয়েছ কিন্তু আমাকে ফেলে বিদেশ পরে ছিলে আমি কতদিন একা থাকব? ইসলাম মদ তখনই নিষিদ্ধ করেছে যখন সমাজে তার আর কোন প্রয়োজন ছিলনা। রাসূল(সাঃ)ও পরবর্তীতে খলিফারা নারী-পুরুষের রজমের শাস্তি তখনই প্রদান করেছেন যখন খেলাফত রাষ্ঠ্র সেসব নারী-পুরুষের বিবাহ ও যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করার পরেও তারা আইন ভঙ্গ করেছে, সীমালঙ্ঘন করেছে। প্রেম হারাম। সাথে সাথে সেকুলার সমাজ তার বিয়েও হারাম করে রেখেছে। বাবা-মাও সেকুলার ধ্যান-ধারণা নিয়ে চলেন তো একটা ছেলে বা মেয়েকে কতক্ষণ ইসলামের কথা শুনিয়ে সাধু বানিয়ে রাখবো? কম বয়সী ছেলে-মেয়েরা পালিয়ে গেলে মিডিয়া বাবা-মাকে গালাগালি করবে,আবার তাড়াতাড়ি বিয়ে দিতে গেলেও চিল্লাবে, বাল্য বিবাহ এদের গ্রেফতার কর। সবার বোঝা উচিত অন্তত মা-বাবার।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ দিলাম।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
এই সব দেখে আমার তখন মনে হত আমরা অভিশপ্ত জাতি । এইখানে এক বাংগালী পুরুষ স্ত্রী-সন্তানের জন্য ছটফট করছে আর দেশে স্ত্রী- সন্তান ও মা-বাবা তার জন্য ছটফট করছে।
ধন্যবাদ আপুকে। অনেক মুল্যবান একটি বিষয় তুলে আনার জন্য
ভাই জবাব দিলেন,' বিদেশ থাকে, অবস্থা বেশ ভালো। আর পড়ালেখা তেমন একটা নাই।' ছেলে এস.এস.সি পাশ কি না এটাও উনি স্পষ্টভাবে বলতে পারলেননা।
এক পর্যায়ে আমি জানতে চাইলাম- বিয়ের পর কি মেয়েকে বিদেশে নিয়ে যাবে?
উনি অবাক হয়ে বললেন,'ওকে নিবে কেন?'
এই হচ্ছে আমাদের অভিভাবকদের অবস্থা।
তার চেয়ে প্রবাস জীবন শেষ করেই বিয়ে করা উচিত।
তার চেয়ে প্রবাস জীবন শেষ করেই বিয়ে করা উচিত।
শ্রমিক ভিসার প্রবাসীরা ইচ্ছে করলেও স্ত্রীকে নিয়ে যেতে পারেননা, আইনের বাধা!
আবার দেশে এসে সংসার করবেন- সেটা দুঃসাধ্য এজন্য যে, সংসার নির্বাহ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে!
কষ্ট তো উভয়েরই- কিন্তু রুজি-রোজগারের প্রয়োজনে এটা করতে বাধ্য হন!
যদি প্রবাসীদের চাকুরিবিধি ও ছুটির শর্তগুলো উভয় দেশের সরকার সেভাবে নির্ধারণ করতো তবে এ সমস্যার সমাধান সহজ হতো!
ছয়মাসে একমাস বাধ্যতামূলক ছুটি- তাহলে এ সমস্যার সমাধান ৯০% হয়ে যেতো মনে করি!
অসংখ্য সুহৃদ ও আত্মীয়ের সাথে আলাপের বিশ্লেষণ ও আমার বাস্তব অভিজ্ঞতায় "প্রোষিতভর্তৃকা" ও "প্রোষিতপত্নীক" উভয় পক্ষেরই সমস্যা ও কষ্ট তাঁরা সহ্য করে যান নিরুপায় হয়ে, বিকল্প সহজতর উপায় না থাকায়!
সুতরাং এ সমস্যার সমাধান ব্যক্তি বা সামাজিক উদ্যোগে সম্ভব নয়- যতক্ষণ আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমঝোতা ও চুক্তিতে এটিকে বিবেচনায় না আনা হয়!
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে পারে! (যদিও তাদের কারো কারো নীতি/আচরণের কারণে ঐ শব্দটা উচ্চারণেও ঘৃণা জাগে আমার)
১) এ ব্যাপারে সরকারী উদ্যেগ একান্তভাবে কাম্য।
২) পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে।
৩)এছাড়াও আমার মনে হয় প্রবাসীগণও
যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবী পেশ করতে পারে।
৪) যেহেতু বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর রেমিটেন্সের একটা বিরাট প্রভাব রয়েছে তাই উর্ধ্বতন মহলে এই বিষয়কে আমলে নেয়ার জন্য প্রবাসীগণ যোগাযোগ করতে পারেন।
আমি মনে করি এটার একমাত্র সমাধান সম্ভব দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করা আর দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করতে হলে ইসলামীক শাসন কায়েম করতে হবে । তাই বলব এর একমাত্র সমাধান হল কোরআনের শাসন কায়েম করা।
আবারো ধন্যবাদ।
আলহামদুলিল্লাহ ছোট বোনেরা অপ্রবাসী স্বামীদের সাথে খুব সুখে আছে, কিন্তু রহমান আল্লাহ আমাকে দেশ ছাড়া করে প্রবাসী বানিয়ে দিয়েছেন । মাঝে মাঝে প্রবাস জীবকে অভিশাপ মনে হয় ।
যাজ্জাকাল্লাহ খায়ের
মন্তব্য করতে লগইন করুন