জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি সম্পর্কে কতিপয় আয়াত-৩
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:০০:০৪ দুপুর
১৩) 'আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নাফরমানি করবে এবং তাঁর নির্ধারিত সীমারেখা অতিক্রম করে যাবে, তাকে আল্লাহ আগুনে ফেলে দেবেন। সেখানে সে থাকবে চিরকাল, আর তার জন্য রয়েছে লাঞ্ছনা ও অপমানজনক শাস্তি।' [আন্ নিসা;আয়াত নং -১৪]
১৪)'আর যারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তাদের জন্য তো জাহান্নামের প্রজ্জ্বলিত আগুনই যথেষ্ট। যারা আমার আয়াতগুলো মেনে নিতে অস্বীকার করেছে তাদেরকে আমি নিশ্চিতভাবেই আগুনের মধ্যে নিক্ষেপ করবো। আর যখন তাদের চামড়া পুড়ে গলে যাবে তখন তার জায়গায় আমি অন্য চামড়া তৈরী করে দেবো, যাতে তারা খুব ভালোভাবে আযাবের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে। আল্লাহ বিপুল ক্ষমতার অধিকারী এবং তিনি নিজের ফায়সালাগুলো বাস্তবায়নের কৌশল খুব ভালোভাবেই জানেন।'[আন্ নিসা;আয়াত নং -৫৬]
১৫) 'কিন্তু যে ব্যক্তি রসূলের বিরোধীতায় কোমর বাঁধে এবং ঈমানদারদের পথ পরিহার করে অন্য পথে চলে, অথচ তার সামনে সত্য–সঠিক পথ সুস্পষ্ট হয়ে গেছে, তাকে আমি সেদিকেই চালাবো যেদিকে সে চলে গেছে এবং তাকে জাহান্নামে ঠেলে দেবো, যা নিকৃষ্টতম আবাস।'[আন্ নিসা;আয়াত নং -১১৫]
১৬) 'সে তাদের কাছে ওয়াদা করে এবং তাদেরকে নানা প্রকার আশা দেয়, কিন্তু শয়তানের সমস্ত ওয়াদা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নয়। এ সব লোকের আবাস হচ্ছে জাহান্নাম। সেখান থেকে নিষ্কৃতির কোন পথ তারা পাবে না।'[আন্ নিসা;আয়াত নং -১২০ ও ১২১]
১৭) 'নিশ্চিত জেনো, মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে চলে যাবে এবং তোমরা কাউকে তাদের সাহায্যকারী হিসেবে পাবে না।'[আন্ নিসা;আয়াত নং -১৪৫]
১৮) 'এভাবে যারা কুফরী ও বিদ্রোহের পথ অবলম্বন করে এবং জুলুম-নিপীড়ন চালায়, আল্লাহ তাদেরকে কখনো মাফ করবেন না এবং তাদেরকে জাহান্নামের পথ ছাড়া আর কোন পথ দেখাবেন না, যেখানে তারা চিরকাল অবস্থান করবে। আল্লাহর জন্য এটা কোন কঠিন কাজ নয়।'[আন্ নিসা;আয়াত নং -১৬৮ ও ১৬৯]
জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি সম্পর্কে কতিপয় আয়াত-২
বিষয়: বিবিধ
২১১৯ বার পঠিত, ৭১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ দু্’আ করতেন, 'ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার সমীপে পানাহ চাচ্ছি কবর আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মরণের ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জাল এর ফিতনা থেকে।'
[ বুখারি ]
নুমান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, 'কিয়ামতের দিন ঐ ব্যাক্তির সবচে হালকা আযাব হবে, যার দু-পায়ের তালুতে রাখা হবে প্রজ্জলিত অঙ্গার, তাতে তার মগয ফুটতে থাকবে।'
[ বুখারি ]
উসামা ইবন যায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সুত্রে রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ 'আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়ালাম, (এরপর দেখতে পেলাম যে) তথায় যারা প্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশই নিঃস্ব। আর ধনাঢ্য ব্যাক্তিরা আবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে, আর জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার হুকুম দেওয়া হয়েছে। এরপর আমি জাহান্নামের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন (দেখতে পেলাম যে) এখানে প্রবেশ কারীদের অধিকাংশই হচ্ছে নারী।'
[ বুখারি ]
আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেনঃ 'জান্নাত তোমাদের কারো জুতার ফিতার চাইতেও বেশি কাছাকাছি আর জাহান্নামও তদ্রুপ।'
[ বুখারি ]
আল্লাহ আমাদের জাহান্নামের আগুন হইতে হেফাজত করুন।
আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তোমাদের কেউ মারা গেলে অবশ্যই তার সামনে সকাল ও সন্ধ্যায় তার অবস্থানস্থল উপস্থাপন করা হয়। যদি সে জান্নাতী হয়, তবে (অবস্থানস্থল) জান্নাতীদের মধ্যে দেখানো হয়। আর সে জাহান্নামী হলে, তাকে জাহান্নামীদের (অবস্থানস্থল দেখানো হয়) আর তাকে বলা হয়, এ হচ্ছে তোমার অবস্থান স্থল, ক্বিয়ামত দিবসে আল্লাহ তোমাকে পুনরুত্থিত করা অবধি।'
[বুখারী ও মুসলিম]
আহমাদ ইবন হাম্বল (র)....আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: রসুল (সা)বলেন, যখন তোমরা সালাতের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ শেষ করবে, তখন আল্লাহর নিকট চারটি বিষয় হতে পানাহ (আশ্রয়) চাইবে। ১. জাহন্নামের আযাব ২.কবরের আযাব ৩. জীবিত ও মৃত্যুকালে যাবকীয় ফিতনা হতে এবং ৪. দাজ্জালের ক্ষতি হতে (আবু দাউদ হা/৯৮৩, হাদসি সহিহ,মুসলিম,নাসাঈ,ইবন মাজাহ)
ইবনে আব্বাস (রা) নবী (সা) হতে বর্ণনা করেছেন। রসুল (সা) তাশাহুদের পর এই দুআ পাঠ করতেন:
]
(আবুদাউদ হা/৯৮৪ হাদিস সহিহ)
আল্লাহ আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন আমিন।
আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন জান্নাত সৃষ্টি করলেন, তখন জিবরাইল (আ.)-কে বললেন, 'যাও, জান্নাত দেখে আস।'
তিনি গিয়ে উহা এবং উহার অধিবাসীদের জন্য যেই সমস্ত জিনিস আল্লাহ তা‘আলা তৈরী করে রেখেছেন, সবকিছু দেখে আসলেন, এবং বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! যে কেহ এই জান্নাতের অবস্থা সম্পর্কে শুনবে, সে অবশ্যই উহাতে প্রবেশ করবে। (অর্থাৎ, প্রবেশের আকাঙ্খা করবে)।'
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের চারপার্শে কষ্টসমূহ দ্বারা বেষ্টন করে দিলেন, অতঃপর পুনরায় জিবরাইল (আ.)-কে বললেন, 'হে জিবরাইল! আবার যাও এবং পুনরায় জান্নাত দেখে আস।'
তিনি গিয়ে উহা দেখে আসলেন এবং বললেন, 'হে আল্লাহ! এখন যা কিছু দেখলাম, উহার প্রবেশপথ যে কষ্টকর। আমার আশংকা হচ্ছে যে, কোন একজনই উহাতে প্রবেশ করবে না।'
রাসূলে আকরাম ﷺবলেন, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যখন জাহান্নামকে সৃষ্টি করলেন, তখন বললেন, 'হে জিবরাইল! যাও, জাহান্নাম দেখে আস।'
তিনি দেখে এসে বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! যে কেহ এই জাহান্নামের ভয়ংকর অবস্থার কথা শুনবে, সে কখনও উহাতে প্রবেশ করবে না। (অর্থাৎ, এমন কাজ করবে, যাতে উহা হতে বেঁচে থাকতে পারে)।'
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের চারপার্শে প্রবৃত্তির আকর্ষণীয় বস্তু দ্বারা বেষ্টন করলেন এবং পুনরায় জিবরাইলকে বললেন, 'আবার যাও এবং দ্বিতীয়বার উহা দেখে আস।'
তিনি গেলেন এবং এবার দেখে এসে বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমরা ইজ্জতের কসম করে বলছি, আমার আশংকা হচ্ছে, একজন লোকও উহাতে প্রবেশ ব্যতীত বাকী থাকবে না।'
[আবু দাউদ,,তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত]
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তোমাদের (ব্যবহৃত) আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ মাত্র।'
বলা হল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহু ! জাহান্নামীদের শাস্তির জন্য দুনিয়ার আগুনই তো যথেষ্ঠ ছিল।'
তিনি বললেন, ‘দুনিয়ার আগুনের উপর জাহান্নামের আগুনের তাপ আরো উনসত্তরগুন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেক অংশে তার সমপরিমাণ উত্তাপ রয়েছে। ’
[ বুখারি ]
হারিসা ইবনে ওহব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি,
'আমি কি তোমাদের দোজখীদের বিষয়ে জানাব না? তারা হলো প্রত্যেক অহংকারী, সীমালংঘনকারী, অবিনয়ী ও উদ্ধত লোক।'
(বুখারী, মুসলিম)
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ দু্’আ করতেন, 'ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার সমীপে পানাহ চাচ্ছি কবর আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মরণের ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জাল এর ফিতনা থেকে।'
[ বুখারি ]
নুমান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, 'কিয়ামতের দিন ঐ ব্যাক্তির সবচে হালকা আযাব হবে, যার দু-পায়ের তালুতে রাখা হবে প্রজ্জলিত অঙ্গার, তাতে তার মগয ফুটতে থাকবে।'
[ বুখারি ]
উসামা ইবন যায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সুত্রে রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ 'আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়ালাম, (এরপর দেখতে পেলাম যে) তথায় যারা প্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশই নিঃস্ব। আর ধনাঢ্য ব্যাক্তিরা আবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে, আর জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার হুকুম দেওয়া হয়েছে। এরপর আমি জাহান্নামের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন (দেখতে পেলাম যে) এখানে প্রবেশ কারীদের অধিকাংশই হচ্ছে নারী।'
[ বুখারি ]
আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেনঃ 'জান্নাত তোমাদের কারো জুতার ফিতার চাইতেও বেশি কাছাকাছি আর জাহান্নামও তদ্রুপ।'
[ বুখারি ]
আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তোমাদের কেউ মারা গেলে অবশ্যই তার সামনে সকাল ও সন্ধ্যায় তার অবস্থানস্থল উপস্থাপন করা হয়। যদি সে জান্নাতী হয়, তবে (অবস্থানস্থল) জান্নাতীদের মধ্যে দেখানো হয়। আর সে জাহান্নামী হলে, তাকে জাহান্নামীদের (অবস্থানস্থল দেখানো হয়) আর তাকে বলা হয়, এ হচ্ছে তোমার অবস্থান স্থল, ক্বিয়ামত দিবসে আল্লাহ তোমাকে পুনরুত্থিত করা অবধি।'
[বুখারী ও মুসলিম]
আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন জান্নাত সৃষ্টি করলেন, তখন জিবরাইল (আ.)-কে বললেন, 'যাও, জান্নাত দেখে আস।'
তিনি গিয়ে উহা এবং উহার অধিবাসীদের জন্য যেই সমস্ত জিনিস আল্লাহ তা‘আলা তৈরী করে রেখেছেন, সবকিছু দেখে আসলেন, এবং বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! যে কেহ এই জান্নাতের অবস্থা সম্পর্কে শুনবে, সে অবশ্যই উহাতে প্রবেশ করবে। (অর্থাৎ, প্রবেশের আকাঙ্খা করবে)।'
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের চারপার্শে কষ্টসমূহ দ্বারা বেষ্টন করে দিলেন, অতঃপর পুনরায় জিবরাইল (আ.)-কে বললেন, 'হে জিবরাইল! আবার যাও এবং পুনরায় জান্নাত দেখে আস।'
তিনি গিয়ে উহা দেখে আসলেন এবং বললেন, 'হে আল্লাহ! এখন যা কিছু দেখলাম, উহার প্রবেশপথ যে কষ্টকর। আমার আশংকা হচ্ছে যে, কোন একজনই উহাতে প্রবেশ করবে না।'
রাসূলে আকরাম ﷺবলেন, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যখন জাহান্নামকে সৃষ্টি করলেন, তখন বললেন, 'হে জিবরাইল! যাও, জাহান্নাম দেখে আস।'
তিনি দেখে এসে বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! যে কেহ এই জাহান্নামের ভয়ংকর অবস্থার কথা শুনবে, সে কখনও উহাতে প্রবেশ করবে না। (অর্থাৎ, এমন কাজ করবে, যাতে উহা হতে বেঁচে থাকতে পারে)।'
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের চারপার্শে প্রবৃত্তির আকর্ষণীয় বস্তু দ্বারা বেষ্টন করলেন এবং পুনরায় জিবরাইলকে বললেন, 'আবার যাও এবং দ্বিতীয়বার উহা দেখে আস।'
তিনি গেলেন এবং এবার দেখে এসে বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমরা ইজ্জতের কসম করে বলছি, আমার আশংকা হচ্ছে, একজন লোকও উহাতে প্রবেশ ব্যতীত বাকী থাকবে না।'
[আবু দাউদ,,তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত]
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তোমাদের (ব্যবহৃত) আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ মাত্র।'
বলা হল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহু ! জাহান্নামীদের শাস্তির জন্য দুনিয়ার আগুনই তো যথেষ্ঠ ছিল।'
তিনি বললেন, ‘দুনিয়ার আগুনের উপর জাহান্নামের আগুনের তাপ আরো উনসত্তরগুন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেক অংশে তার সমপরিমাণ উত্তাপ রয়েছে। ’
[ বুখারি ]
আল্লাহ আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন আমিন
হারিসা ইবনে ওহব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি,
'আমি কি তোমাদের দোজখীদের বিষয়ে জানাব না? তারা হলো প্রত্যেক অহংকারী, সীমালংঘনকারী, অবিনয়ী ও উদ্ধত লোক।'
(বুখারী, মুসলিম)
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ দু্’আ করতেন, 'ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার সমীপে পানাহ চাচ্ছি কবর আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মরণের ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জাল এর ফিতনা থেকে।'
[ বুখারি ]
জীবন হবে ধন্য যদি মোরা মানি ।
মেনে চলার তাওফিক দিও হে দয়াময়
জাহান্নামের আজাবকে পাই ভীষণ ভয়
নুমান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, 'কিয়ামতের দিন ঐ ব্যাক্তির সবচে হালকা আযাব হবে, যার দু-পায়ের তালুতে রাখা হবে প্রজ্জলিত অঙ্গার, তাতে তার মগয ফুটতে থাকবে।'
[ বুখারি ]
উসামা ইবন যায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সুত্রে রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ 'আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়ালাম, (এরপর দেখতে পেলাম যে) তথায় যারা প্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশই নিঃস্ব। আর ধনাঢ্য ব্যাক্তিরা আবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে, আর জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার হুকুম দেওয়া হয়েছে। এরপর আমি জাহান্নামের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন (দেখতে পেলাম যে) এখানে প্রবেশ কারীদের অধিকাংশই হচ্ছে নারী।'
[ বুখারি ]
আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেনঃ 'জান্নাত তোমাদের কারো জুতার ফিতার চাইতেও বেশি কাছাকাছি আর জাহান্নামও তদ্রুপ।'
[ বুখারি ]
আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তোমাদের কেউ মারা গেলে অবশ্যই তার সামনে সকাল ও সন্ধ্যায় তার অবস্থানস্থল উপস্থাপন করা হয়। যদি সে জান্নাতী হয়, তবে (অবস্থানস্থল) জান্নাতীদের মধ্যে দেখানো হয়। আর সে জাহান্নামী হলে, তাকে জাহান্নামীদের (অবস্থানস্থল দেখানো হয়) আর তাকে বলা হয়, এ হচ্ছে তোমার অবস্থান স্থল, ক্বিয়ামত দিবসে আল্লাহ তোমাকে পুনরুত্থিত করা অবধি।'
[বুখারী ও মুসলিম]
আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন জান্নাত সৃষ্টি করলেন, তখন জিবরাইল (আ.)-কে বললেন, 'যাও, জান্নাত দেখে আস।'
তিনি গিয়ে উহা এবং উহার অধিবাসীদের জন্য যেই সমস্ত জিনিস আল্লাহ তা‘আলা তৈরী করে রেখেছেন, সবকিছু দেখে আসলেন, এবং বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! যে কেহ এই জান্নাতের অবস্থা সম্পর্কে শুনবে, সে অবশ্যই উহাতে প্রবেশ করবে। (অর্থাৎ, প্রবেশের আকাঙ্খা করবে)।'
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের চারপার্শে কষ্টসমূহ দ্বারা বেষ্টন করে দিলেন, অতঃপর পুনরায় জিবরাইল (আ.)-কে বললেন, 'হে জিবরাইল! আবার যাও এবং পুনরায় জান্নাত দেখে আস।'
তিনি গিয়ে উহা দেখে আসলেন এবং বললেন, 'হে আল্লাহ! এখন যা কিছু দেখলাম, উহার প্রবেশপথ যে কষ্টকর। আমার আশংকা হচ্ছে যে, কোন একজনই উহাতে প্রবেশ করবে না।'
রাসূলে আকরাম ﷺবলেন, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যখন জাহান্নামকে সৃষ্টি করলেন, তখন বললেন, 'হে জিবরাইল! যাও, জাহান্নাম দেখে আস।'
তিনি দেখে এসে বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! যে কেহ এই জাহান্নামের ভয়ংকর অবস্থার কথা শুনবে, সে কখনও উহাতে প্রবেশ করবে না। (অর্থাৎ, এমন কাজ করবে, যাতে উহা হতে বেঁচে থাকতে পারে)।'
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের চারপার্শে প্রবৃত্তির আকর্ষণীয় বস্তু দ্বারা বেষ্টন করলেন এবং পুনরায় জিবরাইলকে বললেন, 'আবার যাও এবং দ্বিতীয়বার উহা দেখে আস।'
তিনি গেলেন এবং এবার দেখে এসে বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমরা ইজ্জতের কসম করে বলছি, আমার আশংকা হচ্ছে, একজন লোকও উহাতে প্রবেশ ব্যতীত বাকী থাকবে না।'
[আবু দাউদ,,তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত]
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তোমাদের (ব্যবহৃত) আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ মাত্র।'
বলা হল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহু ! জাহান্নামীদের শাস্তির জন্য দুনিয়ার আগুনই তো যথেষ্ঠ ছিল।'
তিনি বললেন, ‘দুনিয়ার আগুনের উপর জাহান্নামের আগুনের তাপ আরো উনসত্তরগুন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেক অংশে তার সমপরিমাণ উত্তাপ রয়েছে। ’
[ বুখারি ]
মন্তব্য করতে লগইন করুন