মুত্তাফাকুন আলাইহি-২৬

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০১:১৭:২৮ দুপুর

জুলুম করা হারাম এবং জুলুম প্রতিরোধ করার নির্দেশ-১

৮৭) হযরত ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘একদা আমরা বিদায় হজ্জ সম্পর্কে পরস্পরে কথাবার্তা বলছিলাম। তখন রাসূলে আকরাম আমাদের মাঝেই উপস্থিত ছিলেন। তখনও বিদায় হজ্জ কি এবং বিদায় হজ্জ কাকে বলে? এ বিষয়ে আমাদের ধারণা ছিল না। এ অবস্থায় রাসূলে আকরাম আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করার পর মসীহে দাজ্জাল সম্পর্কে খোলামেলা কথাবার্তা বললেন।

তিনি বললেন,’ আল্লাহ এমন কোন নবী প্রেরণ করেননি, যিনি স্বীয় উম্মতকে দাজ্জালের ভয় দেখাননি। নূহ আলাইহিস সালাম এবং তাঁর পরবর্তী নবীগণ স্ব স্ব উম্মতকে দজ্জালের ভয় দেখিয়েছেন এবং এই মর্মে সতর্ক করেছেন যে, তোমাদের মধ্যে দজ্জাল আত্মপ্রকাশ করবেই। এ বিষয়টা তোমাদের কাছে মোটেই গোপন থাকবে না। এটাও তোমাদের অজানা নয় যে তোমাদের প্রভু একচোখ বিশিষ্ট বা অন্ধ নন। তোমরা এটা জেনে রাখো যে দজ্জালের ডান চোখ অন্ধ হবে এবং তা বড় আঙ্গুরের মতো ফোলা হবে। কাজেই তোমরা সাবধান হও। তোমাদের পরস্পরের জীবন (রক্ত ) ও ধন-মাল পরস্পরের জন্যে হারাম ও সম্মানিত। যেমন তোমাদের এদিনটি সম্মানিত এবং তোমাদের এমাসটি সম্মানিত। সাবধান থেকো। আমি কি আল্লাহর বিধান তোমাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি?’

উপস্থিত সবাই বললেন,’ হ্যাঁ (আপনি পৌঁছে দিয়েছেন)।’

এরপর তিনি তিনবার বললেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি সাক্ষী থেকো।’

তিনি আবার বললেন, ‘ধ্বংস হোক অথবা আফসোস হোক, খুব মনযোগ দিয়ে শোন! আমার অনুপস্থিতিতে তোমরা পরস্পর রক্তপাত করে আবার কুফরীতে ফিরে যেও না।’

৮৮) হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম বলেন,’ যে ব্যক্তি এক বিঘৎ পরিমাণ জমিতে জুলুম করল অর্থ্যাৎ জোরপূর্বক দখল করল, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার গলায় সাত তবক জমিন লটকিয়ে দেবেন।

৮৯) হযরত আবু মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলে আকরাম ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমকে অবকাশ দিয়ে থাকেন; কিন্তু তিনি যখন তাকে পাকড়াও করেন তখন আর রেহাই দেন না।’

এরপর বিশ্বনবী এই আয়াত তিলাওয়াত করলেন, ‘আর তোমার প্রভু যখন কোন জালিম জনবসতিকে পাকড়াও করেন, তখন তাঁর পাকড়াও এ রকমই কঠিন হয়ে থাকে। তাঁর পাকড়াও বড়ই কঠিন ও নির্মম।’ (সূরা হূদঃ ১০২)

(বুখারী ও মুসলিম)

.

[ রিয়াদুস সালেহীন থেকে সংগৃহিত। হাদিস নং যথাক্রমে-২০৫, ২০৬ ও ২০৭]

মুত্তাফাকুন আলাইহি-২৫

বিষয়: বিবিধ

১৪৯১ বার পঠিত, ৫৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

172879
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৪৫
ইমরান ভাই লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়রান....
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:২৬
126505
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:২৭
126506
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'যে ব্যক্তি জুলুম ও অন্যায় বাড়াবাড়ি করে এমনটি করবে তাকে আমি অবশ্যি আগুনে নিক্ষেপ করবো। আর আল্লাহর জন্য এটা কোন কঠিন কাজ নয়।'
[ আন্ নিসা; আয়াত নং- ৩০]
172902
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২৪
বিন হারুন লিখেছেন : ভালো লাগলো Rose Rose Rose
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:২৮
126509
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদPraying
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:২৯
126511
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :





“যারা মু’মিন পুরুষ ও নারীদের ওপর জুলুম-নিপীড়ন চালিয়েছে, তারপর তা থেকে তওবা করেনি, নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব এবং জ্বালা-পোড়ার শাস্তি।”
[আল বুরূজ; আয়াত নং-১০]
172916
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৫১
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩০
126512
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদHappy Praying
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩১
126513
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :




'এভাবে যারা কুফরী ও বিদ্রোহের পথ অবলম্বন করে এবং জুলুম-নিপীড়ন চালায়, আল্লাহ‌ তাদেরকে কখনো মাফ করবেন না'
[আন্ নিসা; আয়াত নং- ১৬৮ ]
172936
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:২৯
ডক্টর সালেহ মতীন লিখেছেন : অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করার জন্য মুবারকবাদ।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৮
126491
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদHappy Praying
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৩১
126514
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'তবে যে ব্যক্তি জুলুম করার পর তাওবা করবে এবং নিজের সংশোধন করে নেবে, আল্লাহর অনুগ্রহের দৃষ্টি আবার তার দিকে ফিরে আসবে।আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু।'
[ আল মা-য়েদাহ; আয়াত নং- ৩৯]
172958
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:১৯
জবলুল হক লিখেছেন : জাজাকাল্লাহু খায়রান ।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:২১
126502
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:২২
126503
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



“যদি কোন ব্যক্তি খারাপ কাজ করে বসে অথবা নিজের ওপর জুলুম করে এবং এরপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে সে আল্লাহকে ক্ষমাকারী ও পরম দয়ালু হিসেবেই পাবে।”
[আন্ নিসা; আয়াত নং- ১১০]
172971
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৬
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : আপনার কষ্টকে আল্লাহ কবুল করুন। আমিন।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৭
126532
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy Praying
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০০
126535
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺবলেন,'তোমরা জুলুম করা থেকে দূরে থাকো। কেননা, কিয়ামতের দিন জুলুম অন্ধকারময় ধোঁয়ায় পরিণত হবে। (তোমরা) কার্পণ্যের কলুষতা থেকেও দূরে থাকো। কেননা, কার্পণ্যই তোমাদের পূর্বেকার অনেক জনগোষ্টীকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কার্পণ্য তাদেরকে রক্তপাত ও মারপিট করতে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং হারামকে হালাল করতে উস্কানি যুগিয়েছে।

(মুসলিম)
173048
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৮
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : অনেক অনেক ধন্যবাদ
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৪১
126802
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদHappy Praying
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১২
126819
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন; 'একদা রাসূলে আকরাম ﷺ জিজ্ঞেস করলেন,' তোমরা কি জানো কোন্‌ ব্যক্তি দরিদ্র-নিঃস্ব?'

সাহাবীগণ বললেন,' আমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি দরিদ্র যার কোন ধন-মাল নেই।'

তিনি বললেন,' আমার উম্মতের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সবচাইতে দরিদ্র হবে, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি যাবতীয় ইবাদত নিয়ে উপস্থিত হবে; কিন্তু দেখা যাবে যে সে কাউকে গালমন্দ করেছে, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, কারো ধন-মাল আত্মসাৎ করেছে, কারো রক্ত প্রবাহিত করেছে এবং কাউকে মারধোর করেছে অর্থ্যাৎ এসব অপরাধ ও সে সঙ্গে করে নিয়ে আসবে। এদেরকে তার সৎকাজগুলি দিয়ে দেয়া হবে। উল্লেখিত দাবিগুলো পূরণ করার পর্বেই যদি তার সৎকাজ শেষ হয়ে যায়, তাহলে দাবিদারদের গুনাহসমূহ তার ঘাড়ে চাপানো হবে। এরপর তাকে দোযখে ছুঁড়ে মারা হবে।'

(মুসলিম)
173077
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪১
শেখের পোলা লিখেছেন : তারই কিছু দজ্জাল ইতি মধ্য আমাদের মাঝে এসে পড়েছে৷ ধন্যবাদ৷
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৪১
126801
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদHappy Praying
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১২
126820
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেন,'মুসলমান সব সময় সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করে, যতক্ষণ সে অন্যায়ভাবে রক্তপাত না করে অর্থ্যাৎ কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা না করে।

(বুখারী)
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:১৪
126822
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেন,'মুসলমান সব সময় সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করে, যতক্ষণ সে অন্যায়ভাবে রক্তপাত না করে অর্থ্যাৎ কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা না করে।

(বুখারী)
173122
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:১৫
ভিশু লিখেছেন : মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো জালিম জনবসতির প্রতি ব্যবস্থাগ্রহণটি আসলেই বড় কঠিন হয়ে থাকে! তবে আফসোস - ইতিহাস দেখেও বেপরোয়া জুলুমবাজরা সময় থাকতে নিজেদেরকে সংশোধন করে না! সুন্দর পোস্টের জন্য অসংখ্য শুকরিয়া আপনাকে! জাযাকাল্লাহ খাইরান আপুজ্বি...Praying Praying Praying
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৪১
126800
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৪৪
126804
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :





হযরত আদী ইবনে উমায়ের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি, 'আমরা তোমাদের কাউকে কোন সরকারী পদে নিয়োগ করলাম। এরপর সে একটা সূঁচ পরিমাণ অথবা তারচেয়ে বেশি কিছু যদি আমাদের থেকে গোপন করে, তবে সে খেয়ানতকারীরূপে গণ্য হবে। সে কিয়ামতের দিন তা নিয়ে হাযির হবে।'

আনসার গোত্রের জনৈক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বললো,' হে আল্লাহর রাসূল! আমার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিন।'

বর্ণনাকারী বলেন,' আমি যেন এ দৃশ্যটা এখনও দেখতে পাচ্ছি।'

তিনি বললেন,' তোমার হি হয়েছে?'

সে বললো, 'আমি আপনাকে এভাবে এভাবে বলতে শুনেছি।'

তিনি বললেন,' আমি এখনও তাই বলবো। আমরা তোমাদের কাউকে কোন পদে নিয়োগ করলে সে কম-বেশি সবকিছু নিয়ে আসবে। তার থেকে তাকে যা দেয়া হবে তা-ই সে নেবে আর যা থেকে তাকে বারণ করা হবে, তা থেকে বিরত থাকবে।'

(মুসলিম)
১০
173280
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৫৫
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আল্লাহ আমাদেরকে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে রক্ষা করুন।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২৭
126942
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৩০
126948
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'যে ব্যক্তি জুলুম ও অন্যায় বাড়াবাড়ি করে এমনটি করবে তাকে আমি অবশ্যি আগুনে নিক্ষেপ করবো। আর আল্লাহর জন্য এটা কোন কঠিন কাজ নয়।'
[ আন্ নিসা; আয়াত নং- ৩০]
১১
173307
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০৫
আলোর আভা লিখেছেন : আল্লাহর পাকড়াও কঠিন পাকড়াও ।আল্লাহ আমাদের এই কঠিন পাকড়াও থেকে রক্ষা করুন ।

০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২৭
126941
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৩১
126949
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



“যারা মু’মিন পুরুষ ও নারীদের ওপর জুলুম-নিপীড়ন চালিয়েছে, তারপর তা থেকে তওবা করেনি, নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আযাব এবং জ্বালা-পোড়ার শাস্তি।”
[আল বুরূজ; আয়াত নং-১০]
১২
173346
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৭
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : শুকরান।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:২৭
126940
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy Praying
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৩১
126950
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'এভাবে যারা কুফরী ও বিদ্রোহের পথ অবলম্বন করে এবং জুলুম-নিপীড়ন চালায়, আল্লাহ‌ তাদেরকে কখনো মাফ করবেন না'
[আন্ নিসা; আয়াত নং- ১৬৮ ]
১৩
173956
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:২৩
আফরা লিখেছেন : গুরুজী অনেক অনেক জাজাকাল্লাহ ।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০৫
127529
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:১৯
127542
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



'তবে যে ব্যক্তি জুলুম করার পর তাওবা করবে এবং নিজের সংশোধন করে নেবে, আল্লাহর অনুগ্রহের দৃষ্টি আবার তার দিকে ফিরে আসবে।আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু।'
[ আল মা-য়েদাহ; আয়াত নং- ৩৯]
১৪
174116
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৫৫
সায়েম খান লিখেছেন : চমৎকার শেয়ার।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০৫
127530
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy Praying
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:১৯
127543
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



“যদি কোন ব্যক্তি খারাপ কাজ করে বসে অথবা নিজের ওপর জুলুম করে এবং এরপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে সে আল্লাহকে ক্ষমাকারী ও পরম দয়ালু হিসেবেই পাবে।”
[আন্ নিসা; আয়াত নং- ১১০]
১৫
174278
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৪৩
আবু আশফাক লিখেছেন : বরাবরের মতোই সুন্দর। অনেক ধন্যবাদ। জাযাকাল্লাহ খায়ের ফিদদুনিয়া ওয়াল আখেরাহ।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৭
127615
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:১৯
127617
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺবলেন,'তোমরা জুলুম করা থেকে দূরে থাকো। কেননা, কিয়ামতের দিন জুলুম অন্ধকারময় ধোঁয়ায় পরিণত হবে। (তোমরা) কার্পণ্যের কলুষতা থেকেও দূরে থাকো। কেননা, কার্পণ্যই তোমাদের পূর্বেকার অনেক জনগোষ্টীকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কার্পণ্য তাদেরকে রক্তপাত ও মারপিট করতে উদ্বুদ্ধ করেছে এবং হারামকে হালাল করতে উস্কানি যুগিয়েছে।

(মুসলিম)
১৬
177789
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:১২
জোবাইর চৌধুরী লিখেছেন : ভালো লাগলো,অনেক ধন্যবাদ।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:১৮
131307
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদHappy
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:২০
131309
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন; 'একদা রাসূলে আকরাম ﷺ জিজ্ঞেস করলেন,' তোমরা কি জানো কোন্‌ ব্যক্তি দরিদ্র-নিঃস্ব?'

সাহাবীগণ বললেন,' আমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি দরিদ্র যার কোন ধন-মাল নেই।'

তিনি বললেন,' আমার উম্মতের মধ্যে সেই ব্যক্তিই সবচাইতে দরিদ্র হবে, যে কিয়ামতের দিন নামাজ, রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি যাবতীয় ইবাদত নিয়ে উপস্থিত হবে; কিন্তু দেখা যাবে যে সে কাউকে গালমন্দ করেছে, কাউকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে, কারো ধন-মাল আত্মসাৎ করেছে, কারো রক্ত প্রবাহিত করেছে এবং কাউকে মারধোর করেছে অর্থ্যাৎ এসব অপরাধ ও সে সঙ্গে করে নিয়ে আসবে। এদেরকে তার সৎকাজগুলি দিয়ে দেয়া হবে। উল্লেখিত দাবিগুলো পূরণ করার পর্বেই যদি তার সৎকাজ শেষ হয়ে যায়, তাহলে দাবিদারদের গুনাহসমূহ তার ঘাড়ে চাপানো হবে। এরপর তাকে দোযখে ছুঁড়ে মারা হবে।'

(মুসলিম)
১৭
178170
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:২১
অজানা পথিক লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:১৯
131308
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:২১
131310
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেন,'মুসলমান সব সময় সংরক্ষণ ও নিরাপত্তার মধ্যে বসবাস করে, যতক্ষণ সে অন্যায়ভাবে রক্তপাত না করে অর্থ্যাৎ কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা না করে।

(বুখারী)
১৮
178698
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০০
মুমতাহিনা তাজরি লিখেছেন : যাজাকাল্লাহু খাইরান।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৯
131777
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০০
131779
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হযরত আদী ইবনে উমায়ের রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি, 'আমরা তোমাদের কাউকে কোন সরকারী পদে নিয়োগ করলাম। এরপর সে একটা সূঁচ পরিমাণ অথবা তারচেয়ে বেশি কিছু যদি আমাদের থেকে গোপন করে, তবে সে খেয়ানতকারীরূপে গণ্য হবে। সে কিয়ামতের দিন তা নিয়ে হাযির হবে।'

আনসার গোত্রের জনৈক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে বললো,' হে আল্লাহর রাসূল! আমার কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিন।'

বর্ণনাকারী বলেন,' আমি যেন এ দৃশ্যটা এখনও দেখতে পাচ্ছি।'

তিনি বললেন,' তোমার হি হয়েছে?'

সে বললো, 'আমি আপনাকে এভাবে এভাবে বলতে শুনেছি।'

তিনি বললেন,' আমি এখনও তাই বলবো। আমরা তোমাদের কাউকে কোন পদে নিয়োগ করলে সে কম-বেশি সবকিছু নিয়ে আসবে। তার থেকে তাকে যা দেয়া হবে তা-ই সে নেবে আর যা থেকে তাকে বারণ করা হবে, তা থেকে বিরত থাকবে।'

(মুসলিম)

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File