ক্বিয়ামাতের একটি অন্যতম আলামত
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ৩০ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:৫৮:০৬ দুপুর
ক্বিয়ামাতের একটি অন্যতম আলামত হচ্ছে শেষ যুগে একটি অলৌকিক পশুর আবির্ভাব। যা কুরআন হাদীস কর্তৃক প্রমাণিত।
কুরআনের প্রমাণঃ
মহান আল্লাহ্ বলেন, 'আর যখন আমার কথা সত্য হবার সময় তাদের কাছে এসে যাবে তখন আমি তাদের জন্য মৃত্তিকা গর্ভ থেকে একটি পশু বের করবো। সে তাদের সাথে কথা বলবে যে, লোকেরা আমাদের আয়াত বিশ্বাস করতো না।' (আন-নামাল, আয়াত ৮২)
উক্ত আয়াতে সরাসরি পশুটির কথা উল্লিখিত হয়েছে এবং পশুটি তখনই বের হবে যখন মানুষ আল্লাহ্ তা‘আলার সকল বিধি-বিধান ছেড়ে দেবে।
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ঘোষিত শাস্তি এসে যাওয়া মানে আলিমগণের মৃত্যু, জ্ঞানের বিলোপ এবং কুরআন উঠে যাওয়া। অতএব তোমরা কুরআন মাজীদ বেশী বেশী তিলাওয়াত করো তা উঠিয়ে নেয়ার আগে-ভাগেই।
(ক্বুরতুবী ১৩/২৩৪)
হাদীসের প্রমাণঃ
রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তিনটি বস্তু যে দিন বের হয়ে আসবে সেদিন কারোর ঈমান তাঁর কোন ফায়দায় আসবে না যদি সে ইতিপূর্বে ঈমান না এনে থাকে অথবা ঈমান আনার পর কোন নেক ‘আমাল সম্পাদন করে না থাকেঃ পশ্চিম দিক সূর্য উঠা, দাজ্জাল ও জমিন থেকে বের হওয়া একটি বিশেষ পশু।'
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৫৮)
আব্দুল্লাহ বিন ‘আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, 'আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি ক্বিয়ামাতের সর্ব প্রথম নিদর্শন হচ্ছে পশ্চিম দিক থেকে সূর্য উঠা এবং এক উত্তপ্ত সকালে মানব জনপদে একটি বিশেষ পশুর বের হওয়া। দু’টোর যেটিই আগে বের হোক না কেন অপরটি তাঁর পিছে পিছেই বের হবে।'
(সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৯৪১)
পশুটির ধরনঃ
পশুটির ধরন নিয়ে ‘আলিমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে।
আল্লামাহ্ ক্বুরতুবী বলেনঃ “এ সম্পর্কে সর্ব প্রথম কথা হলো, পশুটি সালিহ আলাইহি সালামের উটের বংশধর এবং এটিই সঠিক মন্তব্য।”
পশুটি বের হওয়ার স্থানঃ
পশুটির বের হওয়ার স্থান নিয়ে ‘আলিমদের মাঝে কিছু মতভেদ রয়েছে যা নিম্নে প্রদত্ত হলোঃ
১) পশুটি মক্কার সর্ব বৃহৎ মাসজিদ থেকে বের হবে। হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “পশুটি বের হবে সর্ব বৃহৎ মাসজিদ থেকে। তা হঠাৎ মাটি ফেটে বের হবে।
(মাজ্মা‘উয-যাওয়ায়িদ, ৮/৭-৮)
২) পশুটি তিনবার বের হবে। একবার কোন এক মরু এলাকায় বের হয়ে আবার লুকিয়ে যাবে। অতঃপর কোন এক জন বসতিতে বের হবে। সর্ব শেষ মাসজিদুল হারামে বের হবে।
পশুটি যা করবেঃ
১) পশুটি বের হয়ে মু’মিন ও কাফিরদের দাগ লাগিয়ে দিবে। মু’মিনের চেহারা মূসা আলাইহি সালামের লাঠি দিয়ে [কপালের দিক থেকে] সাদা করে দিবে। অতঃপর তা চকমক করতে থাকবে। আর এটিই হচ্ছে তাঁর ঈমানের পরিচায়ক।
২) অন্য দিকে কাফিরের নাকে সুলাইমান আলাইহি সালামেরআংটি দিয়ে দাগ দিবে যা হবে কুফরির আলামত।
৩) সে মানুষের সাথে কথা বলবে।
[লেখাটি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত। ]
বিষয়: বিবিধ
১৭১২ বার পঠিত, ৮৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হযরত নাওয়াস ইবনে সাময়ান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম ﷺ ‘দাজ্জাল’ সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি কখনো বিষয়টি অবজ্ঞার সুরে প্রকাশ করেন আবার কখনো গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেন। এমন কি আমাদের ধারণা হল দাজ্জাল খেজুর বাগানের কোন এক স্থানে লুকিয়ে রয়েছে। যখন আমরা তাঁর নিকট হতে ফিরে যাচ্ছিলাম তিনি আমাদের প্রকৃত অবস্থা বুঝে ফেললেন।
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, 'তোমাদের কি হয়েছে?'
আমরা বললাম, 'ইয়া রাসূলুল্লাহ ﷺ! আপনি সকাল বেলা দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। আপনি তা অবজ্ঞাভরে এবং কখনো গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছিলেন। এতে আমাদের ধারণা হয়েছিল, সম্ভবত ঐ সময়ে দাজ্জাল খেজুর বাগানের কোথাও অবস্থান করছে।'
তিনি বলেন, 'তোমাদের ব্যাপারে আমি দাজ্জালের ফিতনার খুব একটা আশঙ্কা করি না। যদি আমার উপস্থিতিতে সে আত্মপ্রকাশ করে তবে আমি নিজে তোমাদের পক্ষ হতে তার বিপক্ষে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াব। আর যদি আমার অবর্তমানে সে আত্মপ্রকাশ করে তবে প্রত্যেকে নিজেরাই তার বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে। মহান আল্লাহ আমার অর্বতমানে তোমাদের রক্ষক। দাজ্জাল ছোট ছোট কোঁকড়ানো কেশবিশিষ্ট যুবক। তার চোখ হবে ফোলা। আমি তাকে আবদুল ওযযা ইবনে কাতান সদৃশ মনে করি। যে ব্যক্তি তার সাক্ষাৎ পাবে সে যেন সূরা কাহাফের প্রাথমিক আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করে। দাজ্জাল শাম ও ইরাকের সাথে সংযোগে রক্ষাকারী রাস্তায় আত্মপ্রকাশ করবে। সে তার ডানে ও বায়ে হত্যা, ধ্বংস ও ফিতনা ফ্যাসাদ ছড়াবে। হে আল্লাহ বান্দাগণ! অটল ও স্থির হয়ে থেক।'
আমরা জিজ্ঞেস করলাম, 'ইয়া রাসূলুল্লাহ! সে কত সময় দুনিয়াতে বর্তমান থাকবে?'
তিনি বলেন, 'চল্লিশ দিন। এর একদিন হবে, এক বছরের সমান, একদিন হবে এক মাসের সমান এবং একদিন হবে এক সপ্তাহের সমান। অবশিষ্ট দিনসমূহ তোমাদের এ দিনের কি মতই দীর্ঘ হবে।'
আমরা জিজ্ঞেস করলাম, 'ইয়া রাসূলুল্লাহ! যে দিনটি এক বছরের সমান হবে সেদিন কি একদিনের সালাতই আমাদের জন্য যথেষ্ট হবে?'
তিনি বললেন, 'না; বরং অনুমান করে সালাতের সময় ঠিক করে নিতে হবে।'
আমরা জিজ্ঞেস করলাম, 'ইয়া রাসূলুল্লাহ! দুনিয়াতে দাজ্জাল কত দ্রুত গতি সম্পন্ন হবে?'
তিনি বলেন, 'বায়ুতাড়িত মেঘের মত দ্রুত গতি সম্পন্ন হবে। সে এক সম্প্রদায়ের নিকট আসবে এবং তাদেরকে নিজের দিকে আহবান জানাবে। তারা তার প্রতি ঈমান স্থাপন করবে এবং তার হুকুমের অনুসরণ করবে। সে আকাশকে নির্দেশ দেবে। আকাশ তাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করবে। সে যমীনকে আদেশ দেবে এবং যমীন উদ্ভিদ উৎপাদন করবে। তাদের গৃহপালিত জন্তুরা সন্ধ্যায় ঘরে ফিরবে। এগুলোর কুঁজ সু্উচ্চ, দুধের বাঁটগুলো লম্বা এবং স্ফীত হবে। এরপর সে আর এক সম্প্রদায়ের কাছে আগমন করবে এবং তাদরকে নিজের দিকে আহ্বান জানাবে। তারা তার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করবে। দাজ্জাল তাদের কাছ হতে চলে যাবে। তারা অতি দ্রুত অজন্মা ও দুর্ভিক্ষের কবলে পতিত হবে। তাদের হাতে ধন-সম্পদ কিছুই অবিশষ্ট থাকবে না। দাজ্জাল এ বিধ্বস্ত অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করার সময় বলবে, তোমার গচ্ছিত সম্পদরাজি বের করে দাও। সাথে সাথে সে অঞ্চলের ধন- সম্পদ মধু মক্ষিকার মতো তার অনুসরণ করবে।
এরপর সে পূর্ণ বয়স্কা এক যুবককে আহ্বান জানাবে। (কিন্তু সে তাকে অস্বীকার করবে।) দাজ্জাল তাকে তরবারী দিয়ে দু’টুকরা করে ফেলবে। এরপর টুকরা দু’টিকে আলাদাভাবে একটি তীরের পাল্লা পরিমাণ দূরত্বে থাকবে। এরপর সে ডাকবে এবং টুকরো দু’টি চলে আসবে। তার চেহারা তখন প্রফুল্ল ও হাস্যময় হবে। ইত্যবসরে আল্লাহ তায়ালা মাসীহ ইবনে মরিয়াম আলাইহিস সালামকে প্রেরণ করলেন। তিনি দামেস্কের পূর্ব অংশে সাদা মিনারের উপরে হালকা জাফরানী (হলুদ) রং এর কাপড় পরিহিত অবস্থায় ফেরেশতারা কাঁধে ভর দিয়ে নেমে আসবেন। যখন তিনি মাথা অবনত করবেন তখন মনে হবে যেন তার মাথায় মুক্তার মত পানির বিন্দু টপকাচ্ছে। যখন তিনি মাথা উঠাবেন তখনো তাঁর মাথা হতে মতির দানার মতো ঝরছে বলে মনে হবে। যে কাফেরের গায়ে তাঁর নিঃশ্বাস লাগবে তার বেঁচে থাকা সম্ভব হবে না। (সঙ্গে সঙ্গে মারা যাবে) ।
তাঁর দৃষ্টি যতদূরে যাবে তাঁর নিঃশ্বাসও ততদূর পৌঁছবে। তিনি দাজ্জালকে পিছু ধাওয়া করবেন এবং লুদ নামক স্থানে তাকে হত্যা করবেন। এরপর ঈসা আলাইহিস সালাম ঐসব ব্যক্তিদের কাছে আসবেন যাদেরকে আল্লাহ দাজ্জালের ফিতনা হতে নিরাপদে রেখেছেন। তিনি তাদের চেহারা হতে মলিনতা দূর করে দেবেন এবং বেহেশতে তাদের যে মর্যাদা হবে তা বর্ণনা করবেন। ইত্যবসরে মহান আল্লাহ হযরত ইসা আলাইহিস সালাম এর কাছে এ মর্মে হুকুম করবেন, আমি এমন একদল বান্দাকে পাঠিয়েছি যাদের বিপক্ষে অস্ত্রধারণ করার শক্তি কারো হবে না। তুমি আমার এসব বান্দাকে নিয়ে তূর পাহাড়ে চলে যাও। এরপর মহান আল্লাহ ইয়াজুজ মাজূজের সম্প্রদায়কে পাঠাবেন। তারা প্রত্যেক উচ্চভূমি হতে দ্রুত বেগে বেরিয়ে আসবেন। তাদের অগ্রবর্তী দলসমূহ তাবারিয়া হ্রদের উপর দিয়ে অতিক্রম করবে। তারা এ হ্রদের সব পানি পান করে ফেলবে। তাদের পরবর্তী দলও এ অঞ্চল দিয়ে অতিক্রম করবে। তারা বলবে এখানে কোন এক সময়ে পনি ছিল।
আল্লাহর নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সাথীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়বেন। এমন সময় তাদের কাছে গরুর একটি মাথা এত মূল্যবান মনে হবে যেমন বর্তমানে তোমরা একশ’ দীনারকে মূল্যবান মনে কর। তখন আল্লাহর নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সঙ্গীগণ আল্লাহর কাছে বিনীতভাবে ফরিয়াদ করবেন। আল্লাহ তায়ালা তাদের (ইয়াজুজ-মাজুজ) প্রত্যেকের ঘাড়ে এক ধরনের কীট সৃষ্টি করে দেবেন। ফলে তারা সবাই এক সাথে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এরপর আল্লাহর নবী ঈসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সঙ্গীগণ পাহাড় থেকে জনপদে নেমে আসবেন। কিন্তু তাঁরা পৃথিবীতে এক ইঞ্চি জায়গাও ইয়াজুজ মাজূজের লাশ ও এর দুর্গন্ধ ব্যতীত ফাকা পাবেন না।
এরপর আল্লাহর নবী ইযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সাহাবা আল্লাহর কাছে কাতরভাবে প্রার্থনা করবেন। আল্লাহ তায়ালা বুখতী উটের কুজ সদৃশ পাখি প্রেরণ করবেন। এসব পাখি লাশসমূহকে উঠিয়ে আল্লাহ যেখানে ফেলে দেয়ার নির্দেশ দেবেন সেখানে ফেলে দেবে। এরপর মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ এমন বৃষ্টি প্রেরণ করবেন যা প্রতিটি স্থান, তা মৃত্তিকাই হোক অথবা বালি ধুয়ে আয়নায় মত পরিস্কার করে দেবেন। এরপর ভূমিকে বলা হবে, তোমরা ফল উৎপাদন কর এবং কল্যাণ ফিরিয়ে নাও (এত বরকত, কল্যাণ ও প্রাচুর্য দেখা দিবে) একটি ডালিম খেয়ে পূর্ণ একটি দল পরিতৃপ্ত হবে এবং ডালিমের খোসাটি এত বড় হবে যে তার ছায়ার তারা আশ্রয় নিতে পারবে। গবাদি পশুতেও এত প্রাচুর্য দেয়া হবে যে একটি দুধের উটের দুধ হবে একটি বড় দলের জন্য যথেষ্ট। একটি দুধের গাভীর দুধ একটি গোত্রের জন্য যথেষ্ট হবে এবং একটি দুধের বকরী পরিবারের জন্য যথেষ্ট হবে। এ সময় আল্লাহ তায়ালা পবিত্র বায়ু প্রবাহিত করবেন। এ বায়ু তাদের বগলের নিচ পর্যন্ত লাগবে। ফলে সকল মু’মিন ও মুসলমানের রূহ কবজ হয়ে যাবে। শুধু মন্দ ব্যক্তিরাই বেঁচে থাকবে। তারা পশুর মত প্রকাশ্যে সহবাস করবে। তাদের বর্তমানেই ক্বিয়ামাত সংঘটিত হবে।'
(মুসলিম)
০ তার মানে যখন শিঙ্গায় প্রথম বার ফুঁক দেওয়া হবে ঠিক সেই মুহূর্তে দুনিয়াতে কোন মুসলমান অবশিষ্ট থাকবে না ?
মনে হয় বর্তমান দুনিয়াতে তার আলামত শুরু হয়ে গেছে। আজ থেকে ২০/৩০ বছর পূর্বে পর্ণোগ্রাফী এতো ভয়াবহ ভাবে দুনিয়ার আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ার কল্পনা করা যেতো? আজ যে কোন বয়সের লোকদের হাতের নাগালেই এসে গেছে মোবাইল প্রযুক্তির কল্যাণে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মই এই জগণ্য কাজের শিকার হচ্ছে বেশী।
হযরত রিবয়ী ইবনে হিরাশ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আমি আবু মাসউদ আনসারী সাথে হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহু এর কাছে এলাম। আবু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে বলেন, ‘আপনি দাজ্জাল সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ ﷺএর কাছে যা শুনেছেন তা আমাকে বলুন।’
তিনি বলেন, ‘দাজ্জাল আবির্ভাব হবে এবং তার সাথে পানি ও আগুন থাকবে। কিন্তু লোকজন যে পানি দেখতে পাবে তা হবে মূলত জ্বলন্ত আগুন। আর লোকজন তার সাথে যে আগুন দেখতে পাবে তা হবে মূলত সুপেয় ঠান্ডা পানি।’
এ হাদীস শুনে আবু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমিও মহানবী ﷺ কে এ কথা বলতে শুনেছি।
(বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আ’স রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে দাজ্জালের আবির্ভাব হবে এবং সে চল্লিশ পর্যন্ত অবস্থান করবে।’
বর্ণনাকারী বলেন, ‘নবী করীম ﷺ চল্লিশ দিন, না চল্লিশ মাস, না চল্লিশ বছর বলেছেন তা আমার মনে নেই।’
‘এরপর আল্লাহ তায়ালা হযরত ঈসা ইবনে মারিয়াম আলাইহিস সালামকে প্রেরণ করবেন। তিনি দাজ্জালকে খুঁজে বের করে হত্যা করবেন। এরপর মানুষ সাত বছর এমনভাবে কাটাবে যে দু’জনের মধ্যেও কোন রকম শত্রুতা থাকবে না। মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ শামের দিক গতে একটি শীতল বায়ু প্রবাহিত করবেন। ফলে দুনিয়ার বুকে এমন কোন ব্যক্তি অবশিষ্ট থাকবে না যার মধ্যে সামান্য পরিমাণ সৎকাজের আগ্রহ বা ঈমান রয়েছে; বরং এ প্রকারের সকল ব্যক্তিদের রূহ কবজ করবে। এমন কি কোন ব্যক্তি যদি পাহাড়ের গুহায় গিয়ে আত্মগোপন করে বায়ু সেখানে গিয়ে তাদের রূহ কবজ করবে। এরপর শুধু দৃষ্কৃতরীরাই বেঁচে থাকবে। তারা যৌনতা ও কুপ্রবৃত্তির বেলায় পাখির মত এবং জুলুম অত্যাচারের বেলায় হিংস্র জন্তুর মত হবে। তারা পুণ্য কর্ম বলতে কিছুই করবে না এবং খারাপ কাজ বলতে কোনটাই না করে ছাড়বে না।
শয়তান মানুষের রূপ ধরে তাদের কাছে আসে বলবে, ‘তোমরা কি আমার কথা মানবে?’
তারা বলবে, ‘তুমি আমাদের কি কাজ করতে বল?’
তখন শয়তান তাদেরকে মূর্তি পূজার নির্দেশ দেবে। মূর্তি পূজা চলাকালীন সময়ে তাদের খাদ্য দ্রব্যের বৃদ্ধি পেতে থাকবে; জীবনটা অত্যন্ত বিলাসী ও আনন্দ উল্লাসময় হবে। এরপর শিংগায় ফুঁ দেয়া হবে। যে ব্যক্তি শিংগার শব্দ শুনতে পাবে, সে ঘাড় বাঁকিয়ে সে দিকে তাকাবে এবং ঘাড় উঠাবে। সর্বপ্রথম যে ব্যক্তি আওয়াজ শুনতে পাবে সে তখন তার উটের পানির চৌবাচ্চা পরিস্কার করতে থাকবে। এরপর সে অজ্ঞান হয়ে পড়বে এবং তার আশে পাশের লোকজনও অজ্ঞান হয়ে যাবে। এরপর মহান আল্লাহ শিশির বিন্দুর ন্যায় বৃষ্টি প্রেরণ করবেন।
অথবা তিনি বলেছেন, ‘মুষলধারে বৃষ্টি অবর্তীণ করবেন। এর প্রভাবে মানবের শরীর গঠিত হয়ে উঠবে। পরে দ্বিতীয়বার শিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে। তখন সকল মানুষ উঠে দাঁড়িয়ে চারিদিকে তাকাতে থাকবে। তখন বলা হবে,’ হে লোক সকল! তোমাদের রবের কাছে এসো।’
এরপর (হুকুম দেয়া হবে) ‘তাদের দাঁড় করাও।’
কেননা, তাদের পুংখানুপুংখরূপে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর বলা হবে, ‘এদের হতে দোযখের অংশটি বের করে ফেল।’
বলা হবে, ‘কি পরিমাণ?’
বলা হবে, ‘প্রতিহাজারে নয়শ নিরানব্বই জন (একজন মাত্র বেহেশতী) ।’
এটাই সেই দিন তরুন বালক বৃদ্ধ হয়ে যাবে। সে দিন সব কিছু স্পষ্ট করে উপস্থাপন করা হবে।
(মুসলিম)
হযরত হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, ‘মক্কা মদীনা শরীফাইন ছাড়া এমন কোন জনপদ অবশিষ্ট থাকবে না দাজ্জাল যেখানে পদদলিত করবে না। এ দুই পবিত্র নগরীর প্রতিটি প্রবেশদ্বারে ফেরশতারা কাতারবন্দি হয়ে পাহারা দিতে থাকবে। দাজ্জাল সাবখাহ নামক স্থানে এসে পৌঁছলে মদীনাতে তিনবার ভূমিকম্প হবে। এরূপে মহান আল্লাহ সব কাফের ও মুনাফেকদের মদীনা হতে বের করে দিবেন। ‘
(মুসলিম)
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, ‘ইস্পাহানের সত্তর হাজার ইয়াহূদী দাজ্জালে অনুসারী হবে। এরা সবুজ রং-এর চাদর পরিহিত হবে। ‘
(মুসলিম)
আল্লাহ আমাদের সকলকে যথাযথ জাযা দান করুন। আমীন
হযরত উম্মে শারীফ হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত। তিনি নবী করীম ﷺ কে বলতে শুনেছেন, ‘দাজ্জালের ভয়ে লোকজন পাহাড়ের দিকে পলায়ন করতে থাকবে। ‘
( মুসলিম)
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ ﷺকে বলতে শুনেছি । তিনি বললেন, “হযরত আদম আলাইহিস সালাম এর জন্ম হতে মহাপ্রলয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দাজ্জালের বিপর্যয় ও ফিতনার চেয়ে বিরাট ফিতনা আর কোন কিছুই হবে না।’
(মুসলিম)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু নবী করীমﷺ কর্তৃক বর্ণনা করেছেন। নবী করীম ﷺ ইরশাদ করেছেন, ‘দাজ্জাল আত্মপ্রকাশ করলে ঈমানদার ব্যক্তিদের মধ্যে এক ব্যক্তি তার কাছে যাবে। তার সাথে দাজ্জালের প্রহরীদের দেখা হবে।
তারা তাকে বলবে, ‘কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা করছ?’
সে বলবে,’ আমি এই আবির্ভূত ব্যক্তির কাছে যেতে ইচ্ছা করছি।’
প্রহরীর বলবে, ‘আমাদের রবের প্রতি কি তোমাদের ঈমান নেই?’
সে বলবে, ‘আমাদের রবের ব্যাপারে তো কোনরূপ গোপনীয়তা নেই।’
তারা বলবে, ‘একে হত্যা কর।’
কিন্তু এদের মধ্যে কেউ কেউ বলাবলি করবে, ‘তোমাদের রব কি তোমাদেরকে তার অগোচরে কোন ব্যক্তিকে হত্যা করতে নিষেধ করেননি?’
সুতরাং তারা তাকে দাজ্জালের কাছে নিয়ে যাবে। যখন মু’মিন ব্যক্তি দাজ্জালকে দেখবে তখন বলবে, ‘হে লোক সকল! এই তো সেই দাজ্জাল যার প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহﷺ বলে গেছেন।’
এরপর দাজ্জালের নির্দেশে তার দেহ হতে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে। তার পেট ও পিঠ উন্মুক্ত করে পিটানো হবে আর বলা হবে, ‘তুমি কি আমার প্রতি ঈমান স্থাপন কর না?’
উত্তরে মু’মিন ব্যক্তি বলবে, ‘তুমিই তো সেই মিথ্যাবাদী মাসীহ দাজ্জাল।’
সুতরাং তার নির্দেশে মু’মিন ব্যক্তির মাথার সিথি হতে দু’পায়ের মধ্য পর্যন্ত করাত দিয়ে চিরে দু’টুকরা করা হবে। দাজ্জাল তার দেহের এ দুই অংশের মধ্য দিয়ে এদিক হতে ওদিকে গমন করবে। এরপর সে মু’মিন ব্যক্তির দেহকে সম্বোধন করে বলবে,’ পূর্বের মত হয়ে যাও।’
তখন সে আবার পরিপূর্ণ মানব হয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। আবার সে বলবে, ‘এখন কি তুমি ঈমান পোষণ কর?’
মু’মিন মানবটি বলবে,’ তোমার সম্পর্কে এখন আমি আরো প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম।’
সে মানবদেরকে ডেকে বলবে, ‘হে মানবমণ্ডলী! আমার পর এ আর কারো কিছু করতে পারবে না।’
দাজ্জাল পুনরায় তাকে হত্যা করতে চাইবে। কিন্তু আল্লাহ তার ঘাড়কে গলার নিচের হাড় পর্যন্ত পিতলে মুড়িয়ে দেবেন। ফলে সে তাকে হত্যা করার আর কোন উপায় পাবে না। বাধ্য হয়ে সে তার দু’হাত ও দু’পা ধরে ছুঁড়ে ফেলবে। মানুষে ধারণা করবে দাজ্জাল তাকে আগুনে নিক্ষেপ করেছে। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে সে বেহেশতে নিক্ষিপ্ত হবে।
রাসূলুল্লাহﷺ ইরশাদ করেছেন, ‘এই ব্যক্তি বিশ্ব জগতের রব আল্লাহর কাছে মানবের মধ্যে সবচেয়ে উন্নত স্তরের শহীদের মর্যাদা লাভ করবে।’
( মুসলিম)
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!
হযরত মুগীরা ইবনে শু’বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘দাজ্জালের ব্যাপারে আমি রাসূলুল্লাহﷺ কে যত বেশি প্রশ্ন করেছি; অন্য কেউ তত প্রশ্ন করেনি।’
তিনি আমাকে বলেছেন, ‘সে তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।’
আমি বললাম, ‘লোকজন বলে থাকে যে তার সাথে রুটির পাহাড় এবং পানির ঝর্ণা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে এটা সামান্য তুচ্ছ ব্যাপার।’
( বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহﷺ ইরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক নবী তাঁর উম্মতকে কানা মিথ্যাবাদী (দাজ্জাল) সম্পর্কে সর্তক করেছেন। সাবধান! সে কানা। তোমাদের মহান ও শক্তিমান রব অন্ধ নন। সেই কানা মিথ্যাবাদী দাজ্জালের কপালে কাফ্ ফা এবং রা লিপিবদ্ধ থাকবে (কাফির)।’
( বুখারী ও মুসলিম )
হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে এমন কথা বলব না যা অপর নবী তাঁর উম্মাতকে বলেন নি। সে হবে কানা এবং সে তার সাথে দোযখের মত একটি এবং বেহেশতের মত একটি বস্তু নিয়ে আসবে। সে যাকে বেহেশত বলে পরিচয় দেবে সেটা হবে প্রকৃতপক্ষে দোযখ। তেমনিভাবে তার সাথের দোযখটি হবে প্রকৃতপক্ষে বেহেশত। ‘
(বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, 'রাসূলুল্লাহ ﷺ লোকদের নিকট দাজ্জাল সম্পর্কে আলাপ করছিলেন। তিনি বলেন, 'মহান আল্লাহ এক চক্ষুবিশিষ্ট নন। কিন্তু মাসীহ দাজ্জালের ডান চক্ষু কানা, তার চোখ আঙ্গুরের দানার মত ফোলা হবে। '
(বুখারী ও মুসলিম )
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,' মুসলমানেরা ইয়াহূদীদের বিপক্ষে যুদ্ধ না করা পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হবে না। এমনকি পরাজিত হয়ে ইয়াহুদীরা মুসলমানদের ভয়ে পাথর ও বৃক্ষের আড়ালে আত্মগোপন করবে। কিন্তু বৃক্ষ এবং পাথরও বলে উঠবে, 'হে মুসলিমগণ! এখানে ইয়াহূদী আমার পেছনে লুকিয়ে আছে। তুমি এসে হত্যা কর।'
কিন্তু ‘গারকাদ’ নামক গাছ তা বলবে না। কেননা ঐটা ইয়াহূদীদের গাছ।
(বুখারী ও মুসলিম)
হযরত রিবয়ী ইবনে হিরাশ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, 'আমি আবু মাসউদ আনসারী সাথে হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহু এর কাছে এলাম। আবু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে বলেন, 'আপনি দাজ্জাল সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ ﷺএর কাছে যা শুনেছেন তা আমাকে বলুন।'
তিনি বলেন, 'দাজ্জাল আবির্ভাব হবে এবং তার সাথে পানি ও আগুন থাকবে। কিন্তু লোকজন যে পানি দেখতে পাবে তা হবে মূলত জ্বলন্ত আগুন। আর লোকজন তার সাথে যে আগুন দেখতে পাবে তা হবে মূলত সুপেয় ঠান্ডা পানি।'
এ হাদীস শুনে আবু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, 'আমিও মহানবী ﷺ কে এ কথা বলতে শুনেছি।'
(বুখারী ও মুসলিম)
হযরত হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, 'মক্কা ও মদীনা শরীফ ছাড়া এমন কোন জনপদ অবশিষ্ট থাকবে না দাজ্জাল যেখানে পদদলিত করবে না। এ দুই পবিত্র নগরীর প্রতিটি প্রবেশদ্বারে ফেরশতারা কাতারবন্দি হয়ে পাহারা দিতে থাকবে। দাজ্জাল সাবখাহ নামক স্থানে এসে পৌঁছলে মদীনাতে তিনবার ভূমিকম্প হবে। এরূপে মহান আল্লাহ সব কাফের ও মুনাফেকদের মদীনা হতে বের করে দিবেন। '
(মুসলিম
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, 'ইস্পাহানের সত্তর হাজার ইয়াহূদী দাজ্জালে অনুসারী হবে। এরা সবুজ রং-এর চাদর পরিহিত হবে। '
(মুসলিম)
হযরত উম্মে শারীফ রাদিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত। তিনি নবী করীম ﷺ কে বলতে শুনেছেন, 'দাজ্জালের ভয়ে লোকজন পাহাড়ের দিকে পলায়ন করতে থাকবে। '
( মুসলিম)
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ ﷺকে বলতে শুনেছি । তিনি বললেন, “হযরত আদম আলাইহিস সালাম এর জন্ম হতে মহাপ্রলয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দাজ্জালের বিপর্যয় ও ফিতনার চেয়ে বিরাট ফিতনা আর কোন কিছুই হবে না।’
(মুসলিম)
হযরত মুগীরা ইবনে শু’বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘দাজ্জালের ব্যাপারে আমি রাসূলুল্লাহﷺ কে যত বেশি প্রশ্ন করেছি; অন্য কেউ তত প্রশ্ন করেনি।’
তিনি আমাকে বলেছেন, ‘সে তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।’
আমি বললাম, ‘লোকজন বলে থাকে যে তার সাথে রুটির পাহাড় এবং পানির ঝর্ণা থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে এটা সামান্য তুচ্ছ ব্যাপার।’
( বুখারী ও মুসলিম)
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে যেন তাঁর প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন - আমীন
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহﷺ ইরশাদ করেছেন, ‘প্রত্যেক নবী তাঁর উম্মতকে কানা মিথ্যাবাদী (দাজ্জাল) সম্পর্কে সর্তক করেছেন। সাবধান! সে কানা। তোমাদের মহান ও শক্তিমান রব অন্ধ নন। সেই কানা মিথ্যাবাদী দাজ্জালের কপালে কাফ্ ফা এবং রা লিপিবদ্ধ থাকবে (কাফির)।’
( বুখারী ও মুসলিম )
হযরত আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, ‘আমি কি তোমাদেরকে দাজ্জাল সম্পর্কে এমন কথা বলব না যা অপর নবী তাঁর উম্মাতকে বলেন নি। সে হবে কানা এবং সে তার সাথে দোযখের মত একটি এবং বেহেশতের মত একটি বস্তু নিয়ে আসবে। সে যাকে বেহেশত বলে পরিচয় দেবে সেটা হবে প্রকৃতপক্ষে দোযখ। তেমনিভাবে তার সাথের দোযখটি হবে প্রকৃতপক্ষে বেহেশত। ‘
(বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, 'রাসূলুল্লাহ ﷺ লোকদের নিকট দাজ্জাল সম্পর্কে আলাপ করছিলেন। তিনি বলেন, 'মহান আল্লাহ এক চক্ষুবিশিষ্ট নন। কিন্তু মাসীহ দাজ্জালের ডান চক্ষু কানা, তার চোখ আঙ্গুরের দানার মত ফোলা হবে। '
(বুখারী ও মুসলিম )
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,' মুসলমানেরা ইয়াহূদীদের বিপক্ষে যুদ্ধ না করা পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হবে না। এমনকি পরাজিত হয়ে ইয়াহুদীরা মুসলমানদের ভয়ে পাথর ও বৃক্ষের আড়ালে আত্মগোপন করবে। কিন্তু বৃক্ষ এবং পাথরও বলে উঠবে, 'হে মুসলিমগণ! এখানে ইয়াহূদী আমার পেছনে লুকিয়ে আছে। তুমি এসে হত্যা কর।'
কিন্তু ‘গারকাদ’ নামক গাছ তা বলবে না। কেননা ঐটা ইয়াহূদীদের গাছ।
(বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন,' মুসলমানেরা ইয়াহূদীদের বিপক্ষে যুদ্ধ না করা পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হবে না। এমনকি পরাজিত হয়ে ইয়াহুদীরা মুসলমানদের ভয়ে পাথর ও বৃক্ষের আড়ালে আত্মগোপন করবে। কিন্তু বৃক্ষ এবং পাথরও বলে উঠবে, 'হে মুসলিমগণ! এখানে ইয়াহূদী আমার পেছনে লুকিয়ে আছে। তুমি এসে হত্যা কর।'
কিন্তু ‘গারকাদ’ নামক গাছ তা বলবে না। কেননা ঐটা ইয়াহূদীদের গাছ।
(বুখারী ও মুসলিম)
হযরত রিবয়ী ইবনে হিরাশ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, 'আমি আবু মাসউদ আনসারী সাথে হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু আনহু এর কাছে এলাম। আবু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে বলেন, 'আপনি দাজ্জাল সম্বন্ধে রাসূলুল্লাহ ﷺএর কাছে যা শুনেছেন তা আমাকে বলুন।'
তিনি বলেন, 'দাজ্জাল আবির্ভাব হবে এবং তার সাথে পানি ও আগুন থাকবে। কিন্তু লোকজন যে পানি দেখতে পাবে তা হবে মূলত জ্বলন্ত আগুন। আর লোকজন তার সাথে যে আগুন দেখতে পাবে তা হবে মূলত সুপেয় ঠান্ডা পানি।'
এ হাদীস শুনে আবু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, 'আমিও মহানবী ﷺ কে এ কথা বলতে শুনেছি।'
(বুখারী ও মুসলিম)
হযরত হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, 'মক্কা ও মদীনা শরীফ ছাড়া এমন কোন জনপদ অবশিষ্ট থাকবে না দাজ্জাল যেখানে পদদলিত করবে না। এ দুই পবিত্র নগরীর প্রতিটি প্রবেশদ্বারে ফেরশতারা কাতারবন্দি হয়ে পাহারা দিতে থাকবে। দাজ্জাল সাবখাহ নামক স্থানে এসে পৌঁছলে মদীনাতে তিনবার ভূমিকম্প হবে। এরূপে মহান আল্লাহ সব কাফের ও মুনাফেকদের মদীনা হতে বের করে দিবেন। '
(মুসলিম
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, ‘ইস্পাহানের সত্তর হাজার ইয়াহূদী দাজ্জালে অনুসারী হবে। এরা সবুজ রং-এর চাদর পরিহিত হবে। ‘
(মুসলিম)
মন্তব্য করতে লগইন করুন