ছন্দে ছন্দে আল হাদিস-১৪
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ২১ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:০৫:৪৩ বিকাল
আল্লাহর বন্ধু
************************
আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন,
রাসূলে আকরাম ﷺ এই কথা বলেছেন,
“আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি কষ্ট দেয় আমার বন্ধুকে,
আমি লড়াইয়ের ঘোষণা দেই তার বিরুদ্ধে।
.
আমার বান্দা ফরজ ও নফল কাজের মাধ্যমে,
আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে ক্রমে ক্রমে।
এরপর আমি ভালবাসতে থাকি তাকে,
(দিবারাত্রি সে আমায় ডাকে)।
.
ভালোবাসি তাকে আমি যখন,
আমি তার কান হই যা দিয়ে সে করে শ্রবণ।
তার চোখ হয়ে যাই আমি,
যা দিয়ে সে সবকিছু দেখে দিবা-যামী।
.
হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে,
পা হই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে।
তখন সে যা চায় আমার কাছে,
দেই তাকে সব যা কিছু সে যাচে।
.
কখনও যদি আমার কাছে চায় আশ্রয়,
তখন তাকে আশ্রয় আমি দেই নিশ্চয়।"
এই হাদিস সংগ্রহ করেছেন ইমাম বুখারী,
এসো,মোরা আল্লাহর বন্ধু হয়ে জীবন যাপন করি।
.
.
হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'আল্লাহ বলেন, "যে ব্যক্তি আমার বন্ধু কে কষ্ট দেয়, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি। আমার বান্দাহ আমার আরোপিত ফরজ কাজের মাধ্যমে, যা আমার নিকট প্রিয় এবং নফল কাজের মাধ্যমে সর্বদা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। এভাবে (এক পর্যায়ে) আমি তাকে ভালোবাসতে থাকি। আর আমি যখন তাকে ভালোবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে হাঁটা-চলা করে। আর যদি সে আমার নিকট কিছু চায়, আমি তাকে দেই এবং যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দান করি।"
(বুখারী)
.
.
ছন্দে ছন্দে আল হাদিস-১৩
বিষয়: বিবিধ
১৫৯৯ বার পঠিত, ৬৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
'যারা আমার জন্য সংগ্রাম- সাধনা করবে তাদেরকে আমি আমার পথ দেখাবো। আর অবশ্যই আল্লাহ সৎকর্মশালীদেরই সাথে আছেন।'
(আল আনকাবূতঃ আয়াত নং- ৬৯)
' এবং যে চূড়ান্ত সময়টি আসা অবধারিত সেই সময় পর্যন্ত নিজের রবের বন্দেগী করে যেতে থাকো।'
(আল হিজরঃ আয়াত নং-৯৯)
বান্দার হক আদায়
করতে হবে সঠিক ভাবে
মিলবে তবে উপায়
' নিজ প্রভুর নাম স্মরণ করতে থাকো। এবং সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাঁরই জন্য হয়ে যাও।'
(আল মুযযাম্মিলঃআয়াত নং- ৮)
'তোমরা নিজের জন্য যে পরিমাণ কল্যাণ অগ্রিম পাঠিয়ে দেবে তা আল্লাহর কাছে প্রস্তুত পাবে। সেটিই অধিক উত্তম এবং পুরস্কার হিসেবে অনেক বড়। আর তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু।'
(আল মুযযাম্মিলঃআয়াত নং- ২০)
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে, মহান আল্লাহ বলেছেন,” বান্দাহ যখন আমার দিকে আধ হাত পরিমান এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে এক হাত পরিমান এগিয়ে যাই। আর যখন সে আমার দিকে এক হাত এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে দুই হাত এগিয়ে যাই। আর যখন সে আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।”
[বুখারী]
আল্লার বন্ধু হওয়ার তাওফিক চই হে আল্লাহ।
ধন্যবাদ আপাজি
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন,রাসূলে আকরাম ﷺ রাতের বেলা এত বেশি ইবাদত করতেন যে, তার ফলে তাঁর পবিত্র পদযুগল পর্যন্ত ফুলে ফেটে যেত। একদিন আমি তাঁকে বললাম,‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এত কষ্ট করছেন কেন, আল্লাহ তো আপনার অতীত ও ভবিষ্যতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।'
তিনি বললেন,' তাই বলে আমি কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়া পছন্দ করবো না?’
(বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন,রাসূলে আকরাম ﷺ রাতের বেলা এত বেশি ইবাদত করতেন যে, তার ফলে তাঁর পবিত্র পদযুগল পর্যন্ত ফুলে ফেটে যেত। একদিন আমি তাঁকে বললাম,‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এত কষ্ট করছেন কেন, আল্লাহ তো আপনার অতীত ও ভবিষ্যতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।'
তিনি বললেন,' তাই বলে আমি কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়া পছন্দ করবো না?’
(বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, 'রাসূলে আকরাম ﷺ পবিত্র রমযানের শেষ দশক এলে রাতভর জেগে ইবাদত করতেন এবং আপন পরিবারবর্গকেও জাগিয়ে দিতেন। এ সময় তিনি শক্তভাবে ইবাদতে মশগুল থাকতেন (অর্থ্যাৎ পুরো প্রস্তুতি নিয়ে গোটা সময়টা ইবাদতে ব্যয় করতেন।)'
[বুখারী ও মুসলিম]
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺবলেন, ‘মৃত ব্যক্তিকে তিনটি জিনিস অনুসরণ করেঃ তার পরিবার, তার ধন-মাল এবং তার আমল (বা কাজ) তারপর দু’টি জিনিস ফিরে আসে, তার পরিবার ও ধন-মাল। আর সঙ্গে থেকে যায় তার আমল।’
(বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আবু সাফওয়ান আবদুল্লাহ ইবসে বুস্র আসলামী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺবলেছেন, ' (লোকদের মধ্যে) সেই ব্যক্তি উত্তম যার বয়স দীর্ঘ এবং কাজও সুন্দর।'
( তিরমিযী )
'যারা আমার জন্য সংগ্রাম- সাধনা করবে তাদেরকে আমি আমার পথ দেখাবো। আর অবশ্যই আল্লাহ সৎকর্মশালীদেরই সাথে আছেন।'
(আল আনকাবূতঃ আয়াত নং- ৬৯)
' এবং যে চূড়ান্ত সময়টি আসা অবধারিত সেই সময় পর্যন্ত নিজের রবের বন্দেগী করে যেতে থাকো।'
(আল হিজরঃ আয়াত নং-৯৯)
' নিজ প্রভুর নাম স্মরণ করতে থাকো। এবং সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাঁরই জন্য হয়ে যাও।'
(আল মুযযাম্মিলঃআয়াত নং- ৮)
'তোমরা নিজের জন্য যে পরিমাণ কল্যাণ অগ্রিম পাঠিয়ে দেবে তা আল্লাহর কাছে প্রস্তুত পাবে। সেটিই অধিক উত্তম এবং পুরস্কার হিসেবে অনেক বড়। আর তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও। নিশ্চয় আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু।'
(আল মুযযাম্মিলঃআয়াত নং- ২০)
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণনা করেন যে, মহান আল্লাহ বলেছেন,” বান্দাহ যখন আমার দিকে আধ হাত পরিমান এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে এক হাত পরিমান এগিয়ে যাই। আর যখন সে আমার দিকে এক হাত এগিয়ে আসে, আমি তার দিকে দুই হাত এগিয়ে যাই। আর যখন সে আমার দিকে হেঁটে আসে, আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।”
[বুখারী]
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন,রাসূলে আকরাম ﷺ রাতের বেলা এত বেশি ইবাদত করতেন যে, তার ফলে তাঁর পবিত্র পদযুগল পর্যন্ত ফুলে ফেটে যেত। একদিন আমি তাঁকে বললাম,‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এত কষ্ট করছেন কেন, আল্লাহ তো আপনার অতীত ও ভবিষ্যতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।'
তিনি বললেন,' তাই বলে আমি কি আল্লাহর কৃতজ্ঞ বান্দা হওয়া পছন্দ করবো না?’
(বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, 'রাসূলে আকরাম ﷺ পবিত্র রমযানের শেষ দশক এলে রাতভর জেগে ইবাদত করতেন এবং আপন পরিবারবর্গকেও জাগিয়ে দিতেন। এ সময় তিনি শক্তভাবে ইবাদতে মশগুল থাকতেন (অর্থ্যাৎ পুরো প্রস্তুতি নিয়ে গোটা সময়টা ইবাদতে ব্যয় করতেন।)'
[বুখারী ও মুসলিম]
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺবলেন, ‘মৃত ব্যক্তিকে তিনটি জিনিস অনুসরণ করেঃ তার পরিবার, তার ধন-মাল এবং তার আমল (বা কাজ) তারপর দু’টি জিনিস ফিরে আসে, তার পরিবার ও ধন-মাল। আর সঙ্গে থেকে যায় তার আমল।’
(বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আবু সাফওয়ান আবদুল্লাহ ইবসে বুস্র আসলামী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺবলেছেন, ' (লোকদের মধ্যে) সেই ব্যক্তি উত্তম যার বয়স দীর্ঘ এবং কাজও সুন্দর।'
( তিরমিযী )
'যারা আমার জন্য সংগ্রাম- সাধনা করবে তাদেরকে আমি আমার পথ দেখাবো। আর অবশ্যই আল্লাহ সৎকর্মশালীদেরই সাথে আছেন।'
(আল আনকাবূতঃ আয়াত নং- ৬৯)
' এবং যে চূড়ান্ত সময়টি আসা অবধারিত সেই সময় পর্যন্ত নিজের রবের বন্দেগী করে যেতে থাকো।'
(আল হিজরঃ আয়াত নং-৯৯)
' নিজ প্রভুর নাম স্মরণ করতে থাকো। এবং সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাঁরই জন্য হয়ে যাও।'
(আল মুযযাম্মিলঃআয়াত নং- ৮)
মন্তব্য করতে লগইন করুন