জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি সম্পর্কে কতিপয় আয়াত-১
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ০৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:৫২:০০ বিকাল
১) 'আর যে কিতাবটি আমি আমার বান্দার ওপর নাযিল করেছি সেটি আমার কিনা- এ ব্যাপারে যদি তোমরা সন্দেহ পোষণ করে থাকো তাহলে তার মতো একটি সূরা তৈরি করে আনো এবং নিজেদের সমস্ত সমর্থক গোষ্ঠীকে ডেকে আনো – এক আল্লাহকে ছাড়া আর যার যার চাও তার সাহায্য নাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তাহলে এ কাজটি করে দেখাও।
কিন্তু যদি তোমরা এমনটি না করো আর নিঃসন্দেহে কখনই তোমরা এটা করতে পারবে না, তাহলে ভয় করো সেই আগুনকে, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যা তৈরি রাখা হয়েছে সত্য অস্বীকারকারীদের জন্য।'
[আল বাকারাহঃ আয়াত নং -২৩ ও ২৪]
২) 'তারা বলে, জাহান্নামের আগুন আমাদের কখনো স্পর্শ করবে না, তবে কয়েক দিনের শাস্তি হলেও হয়ে যেতে পারে। এদেরকে জিজ্ঞেস করো, তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে কোন অঙ্গীকার নিয়েছো, যার বিরুদ্ধাচারণ তিনি করতে পারেন না? অথবা তোমরা আল্লাহর ওপর চাপিয়ে দিয়ে এমন কথা বলছো যে কথা তিনি নিজের ওপর চাপিয়ে নিয়েছেন বলে তোমাদের জানা নেই? আচ্ছা জাহান্নামের আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে না কেন?
যে ব্যক্তিই পাপ করবে এবং পাপের জালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়বে সে-ই জাহান্নামী হবে এবং জাহান্নামের আগুনে পুড়তে থাকবে চিরকাল।'
[আল বাকারাহঃ আয়াত নং -৮০ ও ৮১]
৩) 'কিন্তু আজ সেই তোমরাই নিজেদের ভাইদেরকে হত্যা করছো, নিজেদের গোত্রীয় সম্পর্কযুক্ত কিছু লোককে বাস্তভিটা ছাড়া করছো, যুলুম ও অত্যধিক বাড়াবাড়ি সহকারে তাদের বিরুদ্ধে দল গঠন করছো এবং তারা যুদ্ধবন্দী হয়ে তোমাদের কাছে এলে তাদের মুক্তির জন্য তোমরা মুক্তিপণ আদায় করছো। অথচ তাদেরকে তাদের গৃহ থেকে উচ্ছেদ করাই তোমাদের জন্য হারাম ছিল। তাহলে কি তোমরা কিতাবের একটি অংশের ওপর ঈমান আনছো এবং অন্য অংশের সাথে কুফরী করছো? তারপর তোমাদের মধ্য থেকে যারাই এমনটি করবে তাদের শাস্তি এ ছাড়া আর কি হতে পারে যে, দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছিত ও পর্যুদস্ত হবে এবং আখেরাতে তাদেরকে কঠিনতম শাস্তির দিকে ফিরিয়ে দেয়া হবে? তোমাদের কর্মকান্ড থেকে আল্লাহ বেখবর নন।
এই লোকেরাই আখেরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবন কিনে নিয়েছে। কাজেই তাদের শাস্তি কমানো হবে না এবং তারা কোন সাহায্যও পাবে না।'
[আল বাকারাহঃ আয়াত নং -৮৫ ও ৮৬]
৪) 'আর তার চাইতে বড় যালেম আর কে হবে যে আল্লাহর ঘরে তাঁর নাম স্মরণ করা থেকে মানুষকে বাধা দেয় এবং সেগুলো ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চালায়? এই ধরনের লোকেরা এসব ইবাদাতগৃহে প্রবেশের যোগ্যতা রাখে না আর যদি কখনো প্রবেশ করে, তাহলে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় প্রবেশ করতে পারে। তাদের জন্য রয়েছে এ দুনিয়ায় লাঞ্ছনা এবং আখেরাতে বিরাট শাস্তি।'
[আল বাকারাহঃ আয়াত নং -১১৪]
৫) 'মূলতঃ আল্লাহ তাঁর কিতাবে যে সমস্ত বিধান অবতীর্ণ করেছেন সেগুলো যারা গোপন করে এবং সামান্য পার্থিব স্বার্থের বেদীমূলে সেগুলো বিসর্জন দেয় তারা আসলে আগুন দিয়ে নিজেদের পেট ভর্তি করছে। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সাথে কথাই বলবেন না, তাদের পত্রিতার ঘোষণাও দেবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।'
[আল বাকারাহঃ আয়াত নং -১৭৪]
৬) 'যারা ঈমান আনে আল্লাহ তাদের সাহায্যকারী ও সহায়। তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর মধ্যে নিয়ে আসেন। আর যারা কুফরীর পথ অবলম্বন করে তাদের সাহায্যকারী ও সহায় হচ্ছে তাগুত। সে তাদের আলোক থেকে অন্ধকারের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। এরা আগুনের অধিবাসী। সেখানে থাকবে এরা চিরকালের জন্য।'
[আল বাকারাহঃ আয়াত নং -২৫৭
৭) 'কিন্তু যারা সুদ খায় তাদের অবস্থা হয় ঠিক সেই লোকটির মতো যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে। তাদের এই অবস্থায় উপনীত হবার কারণ হচ্ছে এই যে, তারা বলেঃ “ব্যবসা তো সুদেরই মতো।” অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করে দিয়েছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। কাজেই যে ব্যক্তির কাছে তার রবের পক্ষ থেকে এই নসীহত পৌঁছে যায় এবং ভবিষ্যতে সুদখোরী থেকে সে বিরত হয়, সে ক্ষেত্রে যা কিছু সে খেয়েছে তাতো খেয়ে ফেলেছেই এবং এ ব্যাপারটি আল্লাহর কাছে সোপর্দ হয়ে গেছে।আর এই নির্দেশের পরও যে ব্যক্তি আবার এই কাজ করে, সে জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে সে থাকবে চিরকাল।'
[আল বাকারাহঃ আয়াত নং -২৭৫]
বিষয়: বিবিধ
২৫৫৯ বার পঠিত, ৬০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ দু্’আ করতেন, 'ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার সমীপে পানাহ চাচ্ছি কবর আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মরণের ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জাল এর ফিতনা থেকে।'
[ বুখারি ]
নুমান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, 'কিয়ামতের দিন ঐ ব্যাক্তির সবচে হালকা আযাব হবে, যার দু-পায়ের তালুতে রাখা হবে প্রজ্জলিত অঙ্গার, তাতে তার মগয ফুটতে থাকবে।'
[ বুখারি ]
জাযাকিল্লাহু খাইরান আপুজ্বী।
বারাকাল্লাহু ফীক
উসামা ইবন যায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সুত্রে রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ 'আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়ালাম, (এরপর দেখতে পেলাম যে) তথায় যারা প্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশই নিঃস্ব। আর ধনাঢ্য ব্যাক্তিরা আবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে, আর জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার হুকুম দেওয়া হয়েছে। এরপর আমি জাহান্নামের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন (দেখতে পেলাম যে) এখানে প্রবেশ কারীদের অধিকাংশই হচ্ছে নারী।'
[ বুখারি ]
আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেনঃ 'জান্নাত তোমাদের কারো জুতার ফিতার চাইতেও বেশি কাছাকাছি আর জাহান্নামও তদ্রুপ।'
[ বুখারি ]
আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তোমাদের কেউ মারা গেলে অবশ্যই তার সামনে সকাল ও সন্ধ্যায় তার অবস্থানস্থল উপস্থাপন করা হয়। যদি সে জান্নাতী হয়, তবে (অবস্থানস্থল) জান্নাতীদের মধ্যে দেখানো হয়। আর সে জাহান্নামী হলে, তাকে জাহান্নামীদের (অবস্থানস্থল দেখানো হয়) আর তাকে বলা হয়, এ হচ্ছে তোমার অবস্থান স্থল, ক্বিয়ামত দিবসে আল্লাহ তোমাকে পুনরুত্থিত করা অবধি।'
[বুখারী ও মুসলিম]
আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন জান্নাত সৃষ্টি করলেন, তখন জিবরাইল (আ.)-কে বললেন, 'যাও, জান্নাত দেখে আস।'
তিনি গিয়ে উহা এবং উহার অধিবাসীদের জন্য যেই সমস্ত জিনিস আল্লাহ তা‘আলা তৈরী করে রেখেছেন, সবকিছু দেখে আসলেন, এবং বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! যে কেহ এই জান্নাতের অবস্থা সম্পর্কে শুনবে, সে অবশ্যই উহাতে প্রবেশ করবে। (অর্থাৎ, প্রবেশের আকাঙ্খা করবে)।'
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের চারপার্শে কষ্টসমূহ দ্বারা বেষ্টন করে দিলেন, অতঃপর পুনরায় জিবরাইল (আ.)-কে বললেন, 'হে জিবরাইল! আবার যাও এবং পুনরায় জান্নাত দেখে আস।'
তিনি গিয়ে উহা দেখে আসলেন এবং বললেন, 'হে আল্লাহ! এখন যা কিছু দেখলাম, উহার প্রবেশপথ যে কষ্টকর। আমার আশংকা হচ্ছে যে, কোন একজনই উহাতে প্রবেশ করবে না।'
রাসূলে আকরাম ﷺবলেন, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যখন জাহান্নামকে সৃষ্টি করলেন, তখন বললেন, 'হে জিবরাইল! যাও, জাহান্নাম দেখে আস।'
তিনি দেখে এসে বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! যে কেহ এই জাহান্নামের ভয়ংকর অবস্থার কথা শুনবে, সে কখনও উহাতে প্রবেশ করবে না। (অর্থাৎ, এমন কাজ করবে, যাতে উহা হতে বেঁচে থাকতে পারে)।'
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের চারপার্শে প্রবৃত্তির আকর্ষণীয় বস্তু দ্বারা বেষ্টন করলেন এবং পুনরায় জিবরাইলকে বললেন, 'আবার যাও এবং দ্বিতীয়বার উহা দেখে আস।'
তিনি গেলেন এবং এবার দেখে এসে বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমরা ইজ্জতের কসম করে বলছি, আমার আশংকা হচ্ছে, একজন লোকও উহাতে প্রবেশ ব্যতীত বাকী থাকবে না।'
[আবু দাউদ,,তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত]
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তোমাদের (ব্যবহৃত) আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ মাত্র।'
বলা হল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহু ! জাহান্নামীদের শাস্তির জন্য দুনিয়ার আগুনই তো যথেষ্ঠ ছিল।'
তিনি বললেন, ‘দুনিয়ার আগুনের উপর জাহান্নামের আগুনের তাপ আরো উনসত্তরগুন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেক অংশে তার সমপরিমাণ উত্তাপ রয়েছে। ’
[ বুখারি ]
হারিসা ইবনে ওহব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি,
'আমি কি তোমাদের দোজখীদের বিষয়ে জানাব না? তারা হলো প্রত্যেক অহংকারী, সীমালংঘনকারী, অবিনয়ী ও উদ্ধত লোক।'
(বুখারী, মুসলিম)
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ দু্’আ করতেন, 'ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার সমীপে পানাহ চাচ্ছি কবর আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মরণের ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জাল এর ফিতনা থেকে।'
[ বুখারি ]
আমীন
জাজাকাল্লাহু খাইরান আপু।
বারাকাল্লাহু ফীক
নুমান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, 'কিয়ামতের দিন ঐ ব্যাক্তির সবচে হালকা আযাব হবে, যার দু-পায়ের তালুতে রাখা হবে প্রজ্জলিত অঙ্গার, তাতে তার মগয ফুটতে থাকবে।'
[ বুখারি ]
উসামা ইবন যায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সুত্রে রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ 'আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়ালাম, (এরপর দেখতে পেলাম যে) তথায় যারা প্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশই নিঃস্ব। আর ধনাঢ্য ব্যাক্তিরা আবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে, আর জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার হুকুম দেওয়া হয়েছে। এরপর আমি জাহান্নামের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন (দেখতে পেলাম যে) এখানে প্রবেশ কারীদের অধিকাংশই হচ্ছে নারী।'
[ বুখারি ]
আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেনঃ 'জান্নাত তোমাদের কারো জুতার ফিতার চাইতেও বেশি কাছাকাছি আর জাহান্নামও তদ্রুপ।'
[ বুখারি ]
আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তোমাদের কেউ মারা গেলে অবশ্যই তার সামনে সকাল ও সন্ধ্যায় তার অবস্থানস্থল উপস্থাপন করা হয়। যদি সে জান্নাতী হয়, তবে (অবস্থানস্থল) জান্নাতীদের মধ্যে দেখানো হয়। আর সে জাহান্নামী হলে, তাকে জাহান্নামীদের (অবস্থানস্থল দেখানো হয়) আর তাকে বলা হয়, এ হচ্ছে তোমার অবস্থান স্থল, ক্বিয়ামত দিবসে আল্লাহ তোমাকে পুনরুত্থিত করা অবধি।'
[বুখারী ও মুসলিম]
আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন জান্নাত সৃষ্টি করলেন, তখন জিবরাইল (আ.)-কে বললেন, 'যাও, জান্নাত দেখে আস।'
তিনি গিয়ে উহা এবং উহার অধিবাসীদের জন্য যেই সমস্ত জিনিস আল্লাহ তা‘আলা তৈরী করে রেখেছেন, সবকিছু দেখে আসলেন, এবং বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! যে কেহ এই জান্নাতের অবস্থা সম্পর্কে শুনবে, সে অবশ্যই উহাতে প্রবেশ করবে। (অর্থাৎ, প্রবেশের আকাঙ্খা করবে)।'
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের চারপার্শে কষ্টসমূহ দ্বারা বেষ্টন করে দিলেন, অতঃপর পুনরায় জিবরাইল (আ.)-কে বললেন, 'হে জিবরাইল! আবার যাও এবং পুনরায় জান্নাত দেখে আস।'
তিনি গিয়ে উহা দেখে আসলেন এবং বললেন, 'হে আল্লাহ! এখন যা কিছু দেখলাম, উহার প্রবেশপথ যে কষ্টকর। আমার আশংকা হচ্ছে যে, কোন একজনই উহাতে প্রবেশ করবে না।'
রাসূলে আকরাম ﷺবলেন, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যখন জাহান্নামকে সৃষ্টি করলেন, তখন বললেন, 'হে জিবরাইল! যাও, জাহান্নাম দেখে আস।'
তিনি দেখে এসে বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! যে কেহ এই জাহান্নামের ভয়ংকর অবস্থার কথা শুনবে, সে কখনও উহাতে প্রবেশ করবে না। (অর্থাৎ, এমন কাজ করবে, যাতে উহা হতে বেঁচে থাকতে পারে)।'
অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের চারপার্শে প্রবৃত্তির আকর্ষণীয় বস্তু দ্বারা বেষ্টন করলেন এবং পুনরায় জিবরাইলকে বললেন, 'আবার যাও এবং দ্বিতীয়বার উহা দেখে আস।'
তিনি গেলেন এবং এবার দেখে এসে বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমরা ইজ্জতের কসম করে বলছি, আমার আশংকা হচ্ছে, একজন লোকও উহাতে প্রবেশ ব্যতীত বাকী থাকবে না।'
[আবু দাউদ,,তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত]
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তোমাদের (ব্যবহৃত) আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ মাত্র।'
বলা হল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহু ! জাহান্নামীদের শাস্তির জন্য দুনিয়ার আগুনই তো যথেষ্ঠ ছিল।'
তিনি বললেন, ‘দুনিয়ার আগুনের উপর জাহান্নামের আগুনের তাপ আরো উনসত্তরগুন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেক অংশে তার সমপরিমাণ উত্তাপ রয়েছে। ’
[ বুখারি ]
হারিসা ইবনে ওহব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি,
'আমি কি তোমাদের দোজখীদের বিষয়ে জানাব না? তারা হলো প্রত্যেক অহংকারী, সীমালংঘনকারী, অবিনয়ী ও উদ্ধত লোক।'
(বুখারী, মুসলিম)
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ দু্’আ করতেন, 'ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার সমীপে পানাহ চাচ্ছি কবর আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মরণের ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জাল এর ফিতনা থেকে।'
[ বুখারি ]
নুমান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, 'কিয়ামতের দিন ঐ ব্যাক্তির সবচে হালকা আযাব হবে, যার দু-পায়ের তালুতে রাখা হবে প্রজ্জলিত অঙ্গার, তাতে তার মগয ফুটতে থাকবে।'
[ বুখারি ]
উসামা ইবন যায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সুত্রে রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ 'আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়ালাম, (এরপর দেখতে পেলাম যে) তথায় যারা প্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশই নিঃস্ব। আর ধনাঢ্য ব্যাক্তিরা আবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে, আর জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার হুকুম দেওয়া হয়েছে। এরপর আমি জাহান্নামের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন (দেখতে পেলাম যে) এখানে প্রবেশ কারীদের অধিকাংশই হচ্ছে নারী।'
[ বুখারি ]
আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেনঃ 'জান্নাত তোমাদের কারো জুতার ফিতার চাইতেও বেশি কাছাকাছি আর জাহান্নামও তদ্রুপ।'
[ বুখারি ]
মন্তব্য করতে লগইন করুন