জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি সম্পর্কে কতিপয় আয়াত-১

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ০৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:৫২:০০ বিকাল



১) 'আর যে কিতাবটি আমি আমার বান্দার ওপর নাযিল করেছি সেটি আমার কিনা- এ ব্যাপারে যদি তোমরা সন্দেহ পোষণ করে থাকো তাহলে তার মতো একটি সূরা তৈরি করে আনো এবং নিজেদের সমস্ত সমর্থক গোষ্ঠীকে ডেকে আনো – এক আল্লাহকে ছাড়া আর যার যার চাও তার সাহায্য নাও, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তাহলে এ কাজটি করে দেখাও।

কিন্তু যদি তোমরা এমনটি না করো আর নিঃসন্দেহে কখনই তোমরা এটা করতে পারবে না, তাহলে ভয় করো সেই আগুনকে, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, যা তৈরি রাখা হয়েছে সত্য অস্বীকারকারীদের জন্য।'



[আল বাকারাহঃ আয়াত নং -২৩ ও ২৪]

২) 'তারা বলে, জাহান্নামের আগুন আমাদের কখনো স্পর্শ করবে না, তবে কয়েক দিনের শাস্তি হলেও হয়ে যেতে পারে। এদেরকে জিজ্ঞেস করো, তোমরা কি আল্লাহর কাছ থেকে কোন অঙ্গীকার নিয়েছো, যার বিরুদ্ধাচারণ তিনি করতে পারেন না? অথবা তোমরা আল্লাহর ওপর চাপিয়ে দিয়ে এমন কথা বলছো যে কথা তিনি নিজের ওপর চাপিয়ে নিয়েছেন বলে তোমাদের জানা নেই? আচ্ছা জাহান্নামের আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে না কেন?

যে ব্যক্তিই পাপ করবে এবং পাপের জালে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়বে সে-ই জাহান্নামী হবে এবং জাহান্নামের আগুনে পুড়তে থাকবে চিরকাল।'


[আল বাকারাহঃ আয়াত নং -৮০ ও ৮১]

৩) 'কিন্তু আজ সেই তোমরাই নিজেদের ভাইদেরকে হত্যা করছো, নিজেদের গোত্রীয় সম্পর্কযুক্ত কিছু লোককে বাস্তভিটা ছাড়া করছো, যুলুম ও অত্যধিক বাড়াবাড়ি সহকারে তাদের বিরুদ্ধে দল গঠন করছো এবং তারা যুদ্ধবন্দী হয়ে তোমাদের কাছে এলে তাদের মুক্তির জন্য তোমরা মুক্তিপণ আদায় করছো। অথচ তাদেরকে তাদের গৃহ থেকে উচ্ছেদ করাই তোমাদের জন্য হারাম ছিল। তাহলে কি তোমরা কিতাবের একটি অংশের ওপর ঈমান আনছো এবং অন্য অংশের সাথে কুফরী করছো? তারপর তোমাদের মধ্য থেকে যারাই এমনটি করবে তাদের শাস্তি এ ছাড়া আর কি হতে পারে যে, দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছিত ও পর্যুদস্ত হবে এবং আখেরাতে তাদেরকে কঠিনতম শাস্তির দিকে ফিরিয়ে দেয়া হবে? তোমাদের কর্মকান্ড থেকে আল্লাহ‌ বেখবর নন।

এই লোকেরাই আখেরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবন কিনে নিয়েছে। কাজেই তাদের শাস্তি কমানো হবে না এবং তারা কোন সাহায্যও পাবে না।'



[আল বাকারাহঃ আয়াত নং -৮৫ ও ৮৬]

৪) 'আর তার চাইতে বড় যালেম আর কে হবে যে আল্লাহর ঘরে তাঁর নাম স্মরণ করা থেকে মানুষকে বাধা দেয় এবং সেগুলো ধ্বংস করার প্রচেষ্টা চালায়? এই ধরনের লোকেরা এসব ইবাদাতগৃহে প্রবেশের যোগ্যতা রাখে না আর যদি কখনো প্রবেশ করে, তাহলে ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় প্রবেশ করতে পারে। তাদের জন্য রয়েছে এ দুনিয়ায় লাঞ্ছনা এবং আখেরাতে বিরাট শাস্তি।'

[আল বাকারাহঃ আয়াত নং -১১৪]

৫) 'মূলতঃ আল্লাহ‌ তাঁর কিতাবে যে সমস্ত বিধান অবতীর্ণ করেছেন সেগুলো যারা গোপন করে এবং সামান্য পার্থিব স্বার্থের বেদীমূলে সেগুলো বিসর্জন দেয় তারা আসলে আগুন দিয়ে নিজেদের পেট ভর্তি করছে। কিয়ামতের দিন আল্লাহ‌ তাদের সাথে কথাই বলবেন না, তাদের পত্রিতার ঘোষণাও দেবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।'

[আল বাকারাহঃ আয়াত নং -১৭৪]

৬) 'যারা ঈমান আনে আল্লাহ‌ তাদের সাহায্যকারী ও সহায়। তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর মধ্যে নিয়ে আসেন। আর যারা কুফরীর পথ অবলম্বন করে তাদের সাহায্যকারী ও সহায় হচ্ছে তাগুত। সে তাদের আলোক থেকে অন্ধকারের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। এরা আগুনের অধিবাসী। সেখানে থাকবে এরা চিরকালের জন্য।'

[আল বাকারাহঃ আয়াত নং -২৫৭

৭) 'কিন্তু যারা সুদ খায় তাদের অবস্থা হয় ঠিক সেই লোকটির মতো যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল করে দিয়েছে। তাদের এই অবস্থায় উপনীত হবার কারণ হচ্ছে এই যে, তারা বলেঃ “ব্যবসা তো সুদেরই মতো।” অথচ আল্লাহ‌ ব্যবসাকে হালাল করে দিয়েছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। কাজেই যে ব্যক্তির কাছে তার রবের পক্ষ থেকে এই নসীহত পৌঁছে যায় এবং ভবিষ্যতে সুদখোরী থেকে সে বিরত হয়, সে ক্ষেত্রে যা কিছু সে খেয়েছে তাতো খেয়ে ফেলেছেই এবং এ ব্যাপারটি আল্লাহর কাছে সোপর্দ হয়ে গেছে।আর এই নির্দেশের পরও যে ব্যক্তি আবার এই কাজ করে, সে জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে সে থাকবে চিরকাল।'



[আল বাকারাহঃ আয়াত নং -২৭৫]

বিষয়: বিবিধ

২৫৫৯ বার পঠিত, ৬০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

160415
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০০
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সবাইকে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে হেফাযত করুন। আমীন। জাযাকিল্লাহু আপুজ্বী।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৪
115016
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying বারাকাল্লাহু ফীকPraying Praying Praying
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৫
115017
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ দু্’আ করতেন, 'ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার সমীপে পানাহ চাচ্ছি কবর আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মরণের ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জাল এর ফিতনা থেকে।'

[ বুখারি ]
160417
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০২
সুমন আখন্দ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৬
115018
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদHappy Praying
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৮
115019
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



নুমান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, 'কিয়ামতের দিন ঐ ব্যাক্তির সবচে হালকা আযাব হবে, যার দু-পায়ের তালুতে রাখা হবে প্রজ্জলিত অঙ্গার, তাতে তার মগয ফুটতে থাকবে।'

[ বুখারি ]
160421
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:০৫
আফরোজা হাসান লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সবাইকে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে হেফাযত করুন।আমীন। Praying Praying Praying
জাযাকিল্লাহু খাইরান আপুজ্বী। Love Struck Love Struck
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৯
115020
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying

বারাকাল্লাহু ফীকPraying Praying Praying
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৩
115022
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



উসামা ইবন যায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সুত্রে রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ 'আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়ালাম, (এরপর দেখতে পেলাম যে) তথায় যারা প্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশই নিঃস্ব। আর ধনাঢ্য ব্যাক্তিরা আবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে, আর জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার হুকুম দেওয়া হয়েছে। এরপর আমি জাহান্নামের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন (দেখতে পেলাম যে) এখানে প্রবেশ কারীদের অধিকাংশই হচ্ছে নারী।'

[ বুখারি ]
160426
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:১৮
জোছনার আলো লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সবাইকে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে হেফাযত করুন। Praying Praying Praying
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৪
115023
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying আমীনPraying আমীনPraying
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:০৯
115028
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেনঃ 'জান্নাত তোমাদের কারো জুতার ফিতার চাইতেও বেশি কাছাকাছি আর জাহান্নামও তদ্রুপ।'

[ বুখারি ]
160438
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৫:৪২
সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ ইয়া আল্লাহ আমাদেরকে কুরআন অর্থ সহ পড়ে বুঝার তওফিক দান করিও। আমিণ।
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:১০
115029
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying Praying Praying
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:১৪
115031
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তোমাদের কেউ মারা গেলে অবশ্যই তার সামনে সকাল ও সন্ধ্যায় তার অবস্থানস্থল উপস্থাপন করা হয়। যদি সে জান্নাতী হয়, তবে (অবস্থানস্থল) জান্নাতীদের মধ্যে দেখানো হয়। আর সে জাহান্নামী হলে, তাকে জাহান্নামীদের (অবস্থানস্থল দেখানো হয়) আর তাকে বলা হয়, এ হচ্ছে তোমার অবস্থান স্থল, ক্বিয়ামত দিবসে আল্লাহ তোমাকে পুনরুত্থিত করা অবধি।'

[বুখারী ও মুসলিম]
160455
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৪
মাই নেম ইজ খান লিখেছেন : আল্লাহ আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে মুক্তি দিন। আমীন।
১০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩২
115347
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying Praying Praying
১০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩৫
115350
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন জান্নাত সৃষ্টি করলেন, তখন জিবরাইল (আ.)-কে বললেন, 'যাও, জান্নাত দেখে আস।'

তিনি গিয়ে উহা এবং উহার অধিবাসীদের জন্য যেই সমস্ত জিনিস আল্লাহ তা‘আলা তৈরী করে রেখেছেন, সবকিছু দেখে আসলেন, এবং বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! যে কেহ এই জান্নাতের অবস্থা সম্পর্কে শুনবে, সে অবশ্যই উহাতে প্রবেশ করবে। (অর্থাৎ, প্রবেশের আকাঙ্খা করবে)।'

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের চারপার্শে কষ্টসমূহ দ্বারা বেষ্টন করে দিলেন, অতঃপর পুনরায় জিবরাইল (আ.)-কে বললেন, 'হে জিবরাইল! আবার যাও এবং পুনরায় জান্নাত দেখে আস।'

তিনি গিয়ে উহা দেখে আসলেন এবং বললেন, 'হে আল্লাহ! এখন যা কিছু দেখলাম, উহার প্রবেশপথ যে কষ্টকর। আমার আশংকা হচ্ছে যে, কোন একজনই উহাতে প্রবেশ করবে না।'

রাসূলে আকরাম ﷺবলেন, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যখন জাহান্নামকে সৃষ্টি করলেন, তখন বললেন, 'হে জিবরাইল! যাও, জাহান্নাম দেখে আস।'

তিনি দেখে এসে বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! যে কেহ এই জাহান্নামের ভয়ংকর অবস্থার কথা শুনবে, সে কখনও উহাতে প্রবেশ করবে না। (অর্থাৎ, এমন কাজ করবে, যাতে উহা হতে বেঁচে থাকতে পারে)।'

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের চারপার্শে প্রবৃত্তির আকর্ষণীয় বস্তু দ্বারা বেষ্টন করলেন এবং পুনরায় জিবরাইলকে বললেন, 'আবার যাও এবং দ্বিতীয়বার উহা দেখে আস।'

তিনি গেলেন এবং এবার দেখে এসে বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমরা ইজ্জতের কসম করে বলছি, আমার আশংকা হচ্ছে, একজন লোকও উহাতে প্রবেশ ব্যতীত বাকী থাকবে না।'

[আবু দাউদ,,তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত]
160555
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১১
শেখের পোলা লিখেছেন : "তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে, সে তা অতিক্রম করবে না, এটা আপনার রবের অবধারিত ফায়ালা৷" সুরা মাইয়াম-৭১৷ আল্লাহ যেন আমাদের তা অতিক্রম করার তৌফিক দেয়৷
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:২০
115655
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:২৪
115657
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তোমাদের (ব্যবহৃত) আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ মাত্র।'

বলা হল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহু ! জাহান্নামীদের শাস্তির জন্য দুনিয়ার আগুনই তো যথেষ্ঠ ছিল।'

তিনি বললেন, ‘দুনিয়ার আগুনের উপর জাহান্নামের আগুনের তাপ আরো উনসত্তরগুন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেক অংশে তার সমপরিমাণ উত্তাপ রয়েছে। ’

[ বুখারি ]
160592
০৮ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:৪১
আলোর আভা লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সবাইকে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে হেফাযত করুন।আমীন।
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩২
115661
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৫
115664
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হারিসা ইবনে ওহব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি,

'আমি কি তোমাদের দোজখীদের বিষয়ে জানাব না? তারা হলো প্রত্যেক অহংকারী, সীমালংঘনকারী, অবিনয়ী ও উদ্ধত লোক।'

(বুখারী, মুসলিম)
160599
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৩২
জোবাইর চৌধুরী লিখেছেন : বরাবরের মতই ভালো লেগেছে।
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৫
115665
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy Praying
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৭
115667
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ দু্’আ করতেন, 'ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার সমীপে পানাহ চাচ্ছি কবর আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মরণের ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জাল এর ফিতনা থেকে।'

[ বুখারি ]
১০
160621
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:০৫
রাবেয়া রোশনি লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সবাইকে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে হেফাযত করুন।
আমীন Praying
জাজাকাল্লাহু খাইরান আপু।
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪০
115669
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying

বারাকাল্লাহু ফীকPraying Praying Praying
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪১
115670
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :




নুমান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, 'কিয়ামতের দিন ঐ ব্যাক্তির সবচে হালকা আযাব হবে, যার দু-পায়ের তালুতে রাখা হবে প্রজ্জলিত অঙ্গার, তাতে তার মগয ফুটতে থাকবে।'

[ বুখারি ]
১১
160688
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
মিশেল ওবামা বলছি লিখেছেন : আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে জাহান্নামের আজাব থেকে হেফাজত করুন এবং জান্ণাতে যাওয়ার তৌফিক দান করুন, আমীন। ভালো থাকুন, আপী...
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৩
115671
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীন আমীন সুম্মা আমীনPraying Praying Praying
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৪
115672
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



উসামা ইবন যায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সুত্রে রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ 'আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়ালাম, (এরপর দেখতে পেলাম যে) তথায় যারা প্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশই নিঃস্ব। আর ধনাঢ্য ব্যাক্তিরা আবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে, আর জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার হুকুম দেওয়া হয়েছে। এরপর আমি জাহান্নামের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন (দেখতে পেলাম যে) এখানে প্রবেশ কারীদের অধিকাংশই হচ্ছে নারী।'

[ বুখারি ]
১২
160918
১০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:৪৬
ধ্রুব নীল লিখেছেন : 'যারা ঈমান আনে আল্লাহ‌ তাদের সাহায্যকারী ও সহায়। তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর মধ্যে নিয়ে আসেন। আর যারা কুফরীর পথ অবলম্বন করে তাদের সাহায্যকারী ও সহায় হচ্ছে তাগুত। সে তাদের আলোক থেকে অন্ধকারের মধ্যে টেনে নিয়ে যায়। এরা আগুনের অধিবাসী। সেখানে থাকবে এরা চিরকালের জন্য।'
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৬
115673
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের জাহান্নামের শাস্তি থেকে হিফাজত করুন।আমীনPraying
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
115674
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেনঃ 'জান্নাত তোমাদের কারো জুতার ফিতার চাইতেও বেশি কাছাকাছি আর জাহান্নামও তদ্রুপ।'

[ বুখারি ]
১৩
160958
১০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৩:২৮
ভিশু লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ খাইরান... Praying
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৮
115675
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : বারাকাল্লাহু ফীকPraying Praying Praying
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৯
115677
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তোমাদের কেউ মারা গেলে অবশ্যই তার সামনে সকাল ও সন্ধ্যায় তার অবস্থানস্থল উপস্থাপন করা হয়। যদি সে জান্নাতী হয়, তবে (অবস্থানস্থল) জান্নাতীদের মধ্যে দেখানো হয়। আর সে জাহান্নামী হলে, তাকে জাহান্নামীদের (অবস্থানস্থল দেখানো হয়) আর তাকে বলা হয়, এ হচ্ছে তোমার অবস্থান স্থল, ক্বিয়ামত দিবসে আল্লাহ তোমাকে পুনরুত্থিত করা অবধি।'

[বুখারী ও মুসলিম]
১৪
160995
১০ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:২৩
সায়েম খান লিখেছেন : শেখার আছে অনেক কিছু ...
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫২
115678
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : জ্বী ঠিক বলেছেনHappy
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৩
115679
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, আল্লাহ তা‘আলা যখন জান্নাত সৃষ্টি করলেন, তখন জিবরাইল (আ.)-কে বললেন, 'যাও, জান্নাত দেখে আস।'

তিনি গিয়ে উহা এবং উহার অধিবাসীদের জন্য যেই সমস্ত জিনিস আল্লাহ তা‘আলা তৈরী করে রেখেছেন, সবকিছু দেখে আসলেন, এবং বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! যে কেহ এই জান্নাতের অবস্থা সম্পর্কে শুনবে, সে অবশ্যই উহাতে প্রবেশ করবে। (অর্থাৎ, প্রবেশের আকাঙ্খা করবে)।'

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতের চারপার্শে কষ্টসমূহ দ্বারা বেষ্টন করে দিলেন, অতঃপর পুনরায় জিবরাইল (আ.)-কে বললেন, 'হে জিবরাইল! আবার যাও এবং পুনরায় জান্নাত দেখে আস।'

তিনি গিয়ে উহা দেখে আসলেন এবং বললেন, 'হে আল্লাহ! এখন যা কিছু দেখলাম, উহার প্রবেশপথ যে কষ্টকর। আমার আশংকা হচ্ছে যে, কোন একজনই উহাতে প্রবেশ করবে না।'

রাসূলে আকরাম ﷺবলেন, অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা যখন জাহান্নামকে সৃষ্টি করলেন, তখন বললেন, 'হে জিবরাইল! যাও, জাহান্নাম দেখে আস।'

তিনি দেখে এসে বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমার ইজ্জতের কসম! যে কেহ এই জাহান্নামের ভয়ংকর অবস্থার কথা শুনবে, সে কখনও উহাতে প্রবেশ করবে না। (অর্থাৎ, এমন কাজ করবে, যাতে উহা হতে বেঁচে থাকতে পারে)।'

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা জাহান্নামের চারপার্শে প্রবৃত্তির আকর্ষণীয় বস্তু দ্বারা বেষ্টন করলেন এবং পুনরায় জিবরাইলকে বললেন, 'আবার যাও এবং দ্বিতীয়বার উহা দেখে আস।'

তিনি গেলেন এবং এবার দেখে এসে বললেন, 'হে আল্লাহ! তোমরা ইজ্জতের কসম করে বলছি, আমার আশংকা হচ্ছে, একজন লোকও উহাতে প্রবেশ ব্যতীত বাকী থাকবে না।'

[আবু দাউদ,,তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত]
১৫
161217
১১ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৯
প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন লিখেছেন : আপনার কষ্ট করে লিখা আল্লাহ কবুল যেন করেন ,,আমিন
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৮
115681
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying Praying Praying
১১ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:৫৯
115682
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, 'তোমাদের (ব্যবহৃত) আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ মাত্র।'

বলা হল, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহু ! জাহান্নামীদের শাস্তির জন্য দুনিয়ার আগুনই তো যথেষ্ঠ ছিল।'

তিনি বললেন, ‘দুনিয়ার আগুনের উপর জাহান্নামের আগুনের তাপ আরো উনসত্তরগুন বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেক অংশে তার সমপরিমাণ উত্তাপ রয়েছে। ’

[ বুখারি ]
১৬
161254
১১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:২৯
অজানা পথিক লিখেছেন : শুকরিয়া
১১ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০০
115683
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy Praying
১১ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:০০
115684
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



হারিসা ইবনে ওহব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি,

'আমি কি তোমাদের দোজখীদের বিষয়ে জানাব না? তারা হলো প্রত্যেক অহংকারী, সীমালংঘনকারী, অবিনয়ী ও উদ্ধত লোক।'

(বুখারী, মুসলিম)
১৭
162065
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০৩:০৯
আহমদ মুসা লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান করুক। মানুষ যদি তার বাস্তব জীবনে কোরআনের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী ছলে তবেই জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে রক্ষা পাবে।
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:০৯
116407
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে কুরআনের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী চলার তাওফিক দান করুন। আমীনPraying
১৩ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:১০
116410
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ দু্’আ করতেন, 'ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার সমীপে পানাহ চাচ্ছি কবর আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন ও মরণের ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জাল এর ফিতনা থেকে।'

[ বুখারি ]
১৮
162696
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪২
সাইদ লিখেছেন : আল্লাহ আমাদের সবাইকে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে হেফাযত করুন।
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৩৩
116962
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
১৫ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৩৫
116964
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :




নুমান ইবন বাশীর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি যে, 'কিয়ামতের দিন ঐ ব্যাক্তির সবচে হালকা আযাব হবে, যার দু-পায়ের তালুতে রাখা হবে প্রজ্জলিত অঙ্গার, তাতে তার মগয ফুটতে থাকবে।'

[ বুখারি ]
১৯
164657
২০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:০৫
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : শোকরিয়া।
২০ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২১
119028
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : ধন্যবাদHappy
২০ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২৪
119031
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



উসামা ইবন যায়িদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সুত্রে রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ 'আমি জান্নাতের দরজায় দাঁড়ালাম, (এরপর দেখতে পেলাম যে) তথায় যারা প্রবেশ করেছে তারা অধিকাংশই নিঃস্ব। আর ধনাঢ্য ব্যাক্তিরা আবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে, আর জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার হুকুম দেওয়া হয়েছে। এরপর আমি জাহান্নামের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন (দেখতে পেলাম যে) এখানে প্রবেশ কারীদের অধিকাংশই হচ্ছে নারী।'

[ বুখারি ]
২০
176022
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ রাত ১২:১৩
মুমতাহিনা তাজরি লিখেছেন : আল্লাহ যেন আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করেন।আমীন।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৫
129322
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : আমীনPraying
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৬
129326
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন :



আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেনঃ 'জান্নাত তোমাদের কারো জুতার ফিতার চাইতেও বেশি কাছাকাছি আর জাহান্নামও তদ্রুপ।'

[ বুখারি ]

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File