মুত্তাফাকুন আলাইহি-২৩

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৩:৫৩:১৬ দুপুর



নসীহত বা উপদেশ ও মঙ্গল কামনাঃ

৭৯) হযরত জারীর ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম এর কাছে নামায কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, সমগ্র মুসলমানদের জন্য কল্যাণ কামনা করা ও সঠিক উপদেশ দানের শপথ গ্রহণ করেছি।’

৮০) হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম বলেছেন,’ তোমাদের কেউই ততক্ষণ পর্যন্ত (পূর্ণ) ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ সে তার ভাইয়ের জন্য তা-ই পছন্দ না করবে, যা সে নিজের জন্যে পছন্দ করে। ‘

.

ন্যায়কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজের প্রতিরোধঃ

৮১) হযরত আবুল ওয়ালীদ ‘উবাদা ইবনে সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘আমরা রাসূলে আকরাম এর কাছে মনোযোগের সাথে শ্রবণ করার, সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে, স্বাভাবিক-অস্বাভাবিক সর্বাবস্থায় আনুগত্য করার এবং নিজেদের ওপর অন্যদেরকে অগ্রাধিকার দেয়ার শপথ গ্রহণ করেছি। আমরা আরো শপথ নিয়েছি যে, যোগ্য ও উপযুক্ত শাসকের সাথে ক্ষমতার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবো না।

রাসূলে আকরাম বলেন, ‘তবে হ্যাঁ, তোমরা যদি তাকে স্পষ্টত ইসলাম বিরোধী কাজে জড়িত দেখ, যে বিষয়ে তোমাদের কাছে আল্লাহ প্রদত্ত কোন দলিল প্রমাণ আছে ,তবে তোমরা তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে পারো।’

আমরা আরো শপথ নিয়েছি, আমরা যেখানেই থাকি না কেন, সর্বাবস্থায় সত্য ও ন্যায়ের কথা বলবো। আর আল্লাহর বিধানমত জীবন যাপনের ব্যাপারে কোন নিন্দুকের নিন্দা বা তিরস্কারের পরোয়া করবো না।’

৮২) হযরত যয়নাব বিনতে জাহাশ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, একদা রাসূলে আকরাম ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে তাঁর কাছে এলেন। তিনি বলছিলেন, ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু, ধ্বংস আরবের সেই খারাবি ও অনিষ্টের কারণে, যা নিকটে এসে পড়েছে। আজ ইয়াজুজ-মাজুজের (বন্দীশালার) দরজা এতটা খুলে দেওয়া হয়েছে।’ এই বলে তিনি তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলী ও তর্জনী দিয়ে একটা বৃত্ত বানিয়ে লোকদের দেখালেন।

আমি বললাম ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে নেককার (খোদাভীরু) লোক উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কি আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো?’

তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, যখন অশ্লীল ও নোংরা কাজের অত্যাধিক বিস্তার ঘটবে।

৮৩) হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম বলেছেন, ‘তোমরা রাস্তার ওপর বসা থেকে বিরত থাকো।’

সাহাবীগণ বললেন,‘হে আল্লাহর রাসূল! রাস্তার ওপর বসা ছাড়া তো আমাদের উপায় নেই। আমরা সেখানে বসে পারস্পারিক প্রয়োজনে কথাবার্তা বলে থাকি।’

রাসূলে আকরাম বললেন, ‘তোমরা যখন রাস্তায় বসা থেকে বিরত থাকতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছো; তাহলে রাস্তার হক আদায় করো।’

তারা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! ‘রাস্তার হক আবার কি?’

তিনি বললেন, ‘রাস্তার হক হলো— দৃষ্টি সংযত রাখা, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা, লোকদের সালামের জবাব দেয়া, তাদেরকে ভালো কাজের নির্দেশ দেয়া এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখা।

(বুখারী ও মুসলিম)

.

.

[ রিয়াদুস সালেহীন থেকে সংগৃহিত। হাদিস নং যথাক্রমে- ১৮২ , ১৮৩,১৮৬, ১৮৯ ও ১৯০]

মুত্তাফাকুন আলাইহি-২২

বিষয়: বিবিধ

১৩৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File