ছন্দে ছন্দে আল কুরআন -২১

লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ০৯ জুলাই, ২০১৩, ০১:১৯:০৬ দুপুর

রোযার বিধান

*****************


ঈমানদারগণ! ফরয হয়েছে তোমাদের ওপর রোযা,

যেমন হয়েছিলো পূর্ববর্তীদের ওপর (এটা নয় কোন বোঝা)।

আশা করা যায় তাকওয়ার গুণ সৃষ্টি হবে তোমাদের,

এই রোযা কতিপয় নির্দিষ্ট দিনের।

.

যদি কেউ অসুস্থ থাকে কিংবা সফরে রয়,

অন্য সময়ে পূর্ণ করবে এই রোযা নিশ্চয়।

রমযানের এ মাসেই কুরআন হয়েছে নাযিল,

মানবজাতির হিদায়াত এটা ( ভুল নয় এক তিল )।

.

দ্ব্যর্থহীন শিক্ষা কুরআন; সঠিক পথ দেখায়,

হক ও বাতিলের মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য করে দেয়।

যে ব্যক্তি এ মাসের সাক্ষাত পাবে,

অপরিহার্যভাবে পুরো মাস সে রোযা রাখবে।

.

কেউ যদি রোগে পড়ে কিংবা থাকে সফরে,

সে যেন অন্য সময়ে রোযার সংখ্যা পূর্ণ করে।

নরম নীতি নিয়েছেন আল্লাহ তোমাদের প্রতি,

দিতে চান না তিনি কখনই কঠোর নীতি।

.

এই নিয়ম তোমাদের জানিয়ে দিলাম তাই,

রোযার সংখ্যা সঠিকভাবে পূর্ণ করা চাই।

হিদায়াত দান করেছেন আল্লাহ‌ তোমাদের প্রতি,

তাই শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করো দিতে তার স্বীকৃতি।

.

তাঁর প্রতি প্রকাশ করো অশেষ কৃতজ্ঞতা,

( তবেই তিনি খুশি হবেন, মেনে নাও তাঁর কথা )।

রোযার সময় স্ত্রীর কাছে যাবে রাতের বেলা,

( এটাই রবের সঠিক নিয়ম এতে নয় কোন হেলা )।

.

জেনে রাখো, তারা পোশাক স্বরূপ তোমাদের,

তোমরাও একই রূপ পোশাক তাদের।

চুপি চুপি তোমরা করেছ যে পাপ ক্ষমা করে দিয়েছি,

তাদের কাছে রাতে যাওয়া বৈধ করেছি।

.

পানাহার করতে থাকো ততক্ষণ,

রাত্রির কালো রেখা চিরে প্রভাত না হয় যতক্ষণ।

ভোর হয়ে গেলে এসব কাজ ত্যাগ করো,

রাত পর্যন্ত নিজের রোযা পূর্ণ করো।

.

মসজিদে যখন ই’তিকাফে বসো স্ত্রীর কাছে যেওনা,

এগুলো আল্লাহর নির্ধারিত সীমা; সীমা লঙ্ঘন করোনা।

এভাবেই আল্লাহ‌ তাঁর বিধান করেছেন বর্ণনা,

আশা করা যায় ভুল নীতি কেউ গ্রহণ করবেনা।

.

[ আল বাকারাহ; ১৮৩, ১৮৪(আংশিক), ১৮৫ ও ১৮৭ ]

.

.

ছন্দে ছন্দে আল কুরআন -২০

সূরা আন নাবা

বিষয়: বিবিধ

২৪১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File