মুত্তাফাকুন আলাইহি-২
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ২০ জুন, ২০১৩, ০৭:১৩:২৫ সন্ধ্যা
প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সকল কাজ, কথা ও নিয়তে বিশুদ্ধতা ও একনিষ্ঠতা জরুরী-২
৫) আবু মুসা আল আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,রাসুলে করীম ﷺকে জিজ্ঞাসা করা হলো ‘কোন ব্যক্তি বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য লড়াই করে , আর কেউ আত্ম সম্মান ও বংশমর্যাদার জন্য লড়াই করে, আবার কোন লোক প্রদর্শনেচ্ছায় লড়াই করে। এদের মধ্যে কে আল্লাহ্..র পথে (লড়াই করে)?’
রাসুলে করীম ﷺ বলেন , ‘যে ব্যক্তি শুধু আল্লাহ্..র কালেমা সমুন্নত করার জন্য লড়াই করে সে- ই আল্লাহ্..র পথে (লড়াই করে)।’
৬) হযরত আবু বাকরাহ নুফাই’ ইবনে হারিস আস সাকাফী রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন, “যখন দু’জন মুসলমান তরবারী কোষমুক্ত করে পরস্পর লড়াইয়ে লিপ্ত হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয়েই জাহান্নামের যোগ্য হয়ে যায়।”
আমি নিবেদন করলাম,”হে আল্লাহর রাসূল! হত্যাকারীর জাহান্নামের হকদার হওয়াটাতো বুঝলাম; কিন্তু নিহত ব্যক্তির জাহান্নামী হওয়ার কারণটা কী?”
রাসূলে আকরাম ﷺবললেন, ” কারণটা হলো এই যে, সেও তো তার প্রতিপক্ষকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
৭) হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺবলেছেন,”পুরুষদের পক্ষে জামা’য়াতে নামায আদায় করার সওয়াব তার ঘরে ও বাজারে নামাজ পড়ার চেয়ে বিশ গুণেরও বেশি। এই কারণে যে, কোনো ব্যক্তি যখন খুব ভালভাবে ওযু করে নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে গমন করে এবং নামাজ ছাড়া তার মনে আর কোন উদ্দেশ্য থাকে না, তখন মসজিদে প্রবেশ না করা পর্যন্ত তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং তার একটি গুনাহও মাফ হয়ে যায়।
মসজিদে প্রবেশ করে যতক্ষণ পর্যন্ত সে নামাযের অপেক্ষায় বসে থাকে, ততক্ষণ সে নামাযের অনুরূপ সওয়াবই পেতে থাকে। আর যে ব্যক্তি নামায আদায়ের পর কাউকে কষ্ট না দিয়ে অযুসহ মসজিদে অবস্থান করে, ততক্ষণ ফেরেশতারা তার মার্জনার জন্য এই বলে দো’আ করতে থাকে,” হে আল্লাহ! একে তুমি ক্ষমা করে দাও; হে আল্লাহ এর তওবা কবুল কর; হে আল্লাহ! এর প্রতি তুমি দয়া প্রদর্শন করো।”
৮) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺতাঁর মহান ও পরাক্রমশালী প্রভুর সূত্রে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আল্লাহ্ সৎকাজ এবং অসৎকাজ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তারপর তা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন । অতএব কোন ব্যক্তি কোন সৎকাজের সংকল্প করে তা না করলেও তাকে আল্লাহ্ তা’লা একটি পূর্ণ নেকী দান করেন। আর যদি সে উক্ত কাজ করে তবে আল্লাহ্ দশ থেকে সাতশত পর্যন্ত এমনকি তার চেয়েও বেশি সাওয়াব দান করেন। আর কেউ কোন অসৎ কাজের সংকল্প করে তা না করলে আল্লাহ্ তার বিনীময়ে তাকে একটি পূর্ণ সাওয়াব দান করেন। আর সে সেই অসৎ কাজটি করলে আল্লাহ্ তার কারণে তার একটি মাত্র গুনাহ্ লিখেন। ‘
[বুখারী ও মুসলিম]
[ রিয়াদুস সালেহীন থেকে সংগৃহিত। হাদিস নং যথাক্রমে ৮,৯,১০ ও ১১]
মুত্তাফাকুন আলাইহি-১
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন