ছন্দে ছন্দে আল কুরআন -১৬
লিখেছেন লিখেছেন ফাতিমা মারিয়াম ০১ জুন, ২০১৩, ০৬:০৬:০৯ সন্ধ্যা
সাহায্য চাই, প্রভু
************************
পৃথিবী ও আকাশে যা কিছু আছে সব হলো আল্লাহর,
( একচ্ছত্র মালিকানা তাঁর, কে করে অস্বীকার )?
যে কথা তোমরা প্রকাশ করো অথবা করো গোপন,
হিসাব নেবেন তিনি সব কিছুর সে কথা রেখো স্মরণ।
.
তারপর তিনি যাকে ইচ্ছা করে দেবেন ক্ষমা,
যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেবেন ( হিসাব রয়েছে জমা )।
অধিকারী তিনি সকল কিছুর ওপর শক্তি খাটাবার,
অধিকারী তিনি সর্বময় ও অবাধ ক্ষমতার।
.
ঈমান এনেছে রসূল সেই হিদায়াতের প্রতি,
রবের পক্ষ থেকে যা নাজিল হয়েছে ( তা সত্য অতি )।
যেসব লোক রসূলের প্রতি এনেছে তাদের ঈমান,
সেই হিদায়াত মানে তারা দিয়ে মন-প্রাণ।
.
আল্লাহকে তারা মেনে নেয়, মানে ফেরেশতাদের,
কিতাবসমূহে, রসূলগণে বিশ্বাস আছে তাদের।
বলে তারা, "মোরা পৃথক করিনা রসূলগণের মাঝে,
আদেশ শুনে অনুগত রই, অমান্য করিনা যে।
.
ক্ষমা করে দাও আমাদের তুমি প্রভু, হে রহমান,
ফিরে যাব মোরা তোমারই দিকে হে শক্তিমান।"
সাধ্যের বাইরে কোন কাজ চাপিয়ে দেননা তিনি,
যেটুকু করার ক্ষমতা আছে সেটুকুই দেন জানি।
.
ভালো ভালো কাজ যে করে আজ ভালো ফল তার তরে,
শাস্তি পাবে সে-ই খারাপ কাজ যে করে।
হে রব! মোদের ভুল সমূহ পাকড়াও করোনা,
পূর্ববর্তীদের ন্যায় কঠিন বোঝা চাপিয়ে দিওনা।
.
যে বোঝা বহার সাধ্য নাই তা দিওনা মোদের,
কোমল হয়ে অপরাধগুলো ক্ষমা করো আমাদের।
করূণা করো মোদের প্রতি তুমিই মোদের 'মাওলা',
সাহায্য করো কাফিরদের করতে মোকাবিলা।
.
[ সূরা আল বাকারাহ; আয়াত নং: ২৮৪, ২৮৫ ও ২৮৬ ]
আয়াতগুলির অর্থঃ
২৮৪) আকাশসমূহে ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর। তোমরা নিজেদের মনের কথা প্রকাশ করো বা লুকিয়ে রাখো, আল্লাহ অবশ্যি তোমাদের কাছ থেকে তার হিসাব নেবেন। তারপর তিনি যাকে ইচ্ছা মাফ করে দেবেন এবং যাকে ইচ্ছা শাস্তি দেবেন, এটা তাঁর এখতিয়ারাধীন। তিনি সব জিনিসের ওপর শক্তি খাটাবার অধিকারী।
২৮৫) রসূল তার রবের পক্ষ থেকে তার ওপর যে হিদায়াত নাযিল হয়েছে তার প্রতি ঈমান এনেছে। আর যেসব লোক ঐ রসূলের প্রতি ঈমান এনেছে তারাও ঐ হিদায়াতকে মনে-প্রাণে স্বীকার করে নিয়েছে। তারা সবাই আল্লাহকে, তাঁর ফেরেশতাদেরকে, তাঁর কিতাবসমূহকে ও তাঁর রসূলদেরকে মানে এবং তাদের বক্তব্য হচ্ছেঃ “আমরা আল্লাহর রসূলদের একজনকে আর একজন থেকে আলাদা করি না। আমরা নির্দেশ শুনেছি ও অনুগত হয়েছি। হে প্রভু! আমরা তোমার কাছে গোনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করছি। আমাদের তোমারই দিকে ফিরে যেতে হবে।
২৮৬) আল্লাহ কারোর ওপর তার সামর্থের অতিরিক্ত দায়িত্বের বোঝা চাপান না। প্রত্যেক ব্যক্তি যে নেকী উপার্জন করেছে তার ফল তার নিজেরই জন্য এবং যে গোনাহ সে অর্জন করেছে, তার প্রতিফলও তারই উপর বর্তাবে। (হে ঈমানদারগণ, তোমরা এভাবে দোয়া চাওঃ) হে আমাদের রব! ভুল-ভ্রান্তিতে আমরা যেসব গোনাহ করে বসি, তুমি সেগুলো পাকড়াও করো না। হে প্রভু! আমাদের ওপর এমন বোঝা চাপিয়ে দিয়ো না, যা তুমি আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিলে। হে আমাদের প্রতিপালক! যে বোঝা বহন করার সামর্থ্য আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ো না। আমাদের প্রতি কোমল হও, আমাদের অপরাধ ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি করুণা করো। তুমি আমাদের অভিভাবক। কাফেরদের মোকাবিলায় তুমি আমাদের সাহায্য করো।
মূনাফিকের কার্যকলাপ এখানে
বিষয়: বিবিধ
২৫০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন