.......... পতিতাবৃত্তি,পতিতা এবং আমাদের পতিত সমাজ ব্যবস্থা
লিখেছেন লিখেছেন বিবেকবান ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৯:৫৭:০৩ সকাল
............. আমাদের এই স্বাধীন দেশে লাইসেন্স,ননলাইসেন্স এবং ভাসমান ভাবে হয়তো কয়েক হাজার গণিকা(পতিতা)আছে যারা গণিকাবৃত্তির(পতিতাবৃত্তি) সাথে নানাভাবে যুক্ত...
......... এখন আসুন যদি ধরেনি আমাদের দেশে ২০০০০ গণিকা আছে তাহলে প্রতিদিন যদি তাদের নিকট আমাদের এই তথাকথিত ভদ্র পল্লী থেকে একজন করেও ভদ্রলোক বা অভদ্রলোক তাদের নিকট যায় তাহলে মাসে প্রায় ২০০০০*৩০= ৬০০০০০(৬ লক্ষ) ভদ্রলোক তাদের চরিত্র হারিয়ে ফেলছে।আর এটা যদি ১ বছর হয় তাহলে প্রায় ৬লক্ষ*১২=৭২ লক্ষ ভদ্রলোক তাদের যৌন চাহিদা মেটাতে গিয়ে চরিত্র নামক মহামূল্যবান সম্পদ হারিয়ে চরিত্রহীন হয়ে পড়ছে।হয়তো এর মাঝে অনেকেই একাধিক বারও গমন করতে পারে ......আর এদের অনেকেরই অভ্যাসগত কারণে বারবার যেতে পারে সুতারাং সংখ্যার বিষয়ে বির্তক থাকতে পারে তবে সংখ্যাটি নেহাত কম নয়...
.................. এখন যে মানব সন্তান গুলো এই গণিকাদের কাছে যাচ্ছে তারাতো কোন মায়ের সন্তান,তারাতো কোন বোনের ভাই অথবা কোন স্ত্রীর স্বামী।আর তাদের এই অনাকাংক্ষিত এক বার মাত্র যাত্রা তাদেরকে চরিত্রহীন ছেলে,ভাই ও স্বামীতে পরিণত করছে সেটা এ সমাজের মানুষ জানুক বা না জানুক।আর এই চরিত্রহীন মানুষগুলোর যে প্রভাব সমাজ ব্যবস্থায় তা খুবই মারাত্নক বলে মনে হয় কারণ তারা যে পথে পা বাড়িয়েছিল তা ছিল ধবংসের।হয়তো বা কেউ কেউ ফিরে আসতে পারে কিন্তু আজীবন এই যাতনা তাকে বহন করে বেড়াতে হবে।হয়তো সে কোনদিন তার সন্তান,মা,বোনের এবং প্রিয় বধুযার চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারবে না বরং মিথ্যা অভিনয় করে যেতে হবে ভালত্বের............
.................. বিভিন্ন সময় গণিকাদের নিয়ে মানবাধিকার কর্মীরা,সিনেমার কলা-কুশলীরা এবং সংবাদপত্র সহ মিডিয়ার নানা মায়া কান্নার কথা দেখা ও শোনা যায়।তাদের নিয়ে মানববন্ধন হয়,সিনেমা হয়,সংবাদপত্রে নানা কড়পত্র ও বিশেষ সংখ্যা বের হয় কিন্তু তাদের ভাগ্য উন্নয়ন আর হয় না.........হবে কি করে এরা তো সমস্যার গোয়ায় না গিয়ে আগায় পানি ঢালে.........
.................. মাত্র কয়েক হাজার মানুষকে(নারীদের)এ সমাজ এই মানবতার জন্য লজ্জাজনক কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখতে পারলো না।ছি কি লজ্জা,ধিক্কার জানাই এ সমাজ ও সমাজের ব্যবস্থাপকদের।দেখুন বাংলাদেশের সংবিধানঃ
“১৮(২) গণিকাবৃত্তি ও জুয়াখেলা নিরোধের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন”
............ ব্যবস্থা অবশ্য একটি গ্রহণ করা হয়েছে আর তা হল এটাকে পেশা হিসেবে পরিগণিত করে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।কি লজ্জা এও কি সম্ভব একজন নারীর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদকে ব্যবসায়ের উপকরণ বলতে আর ভাবতেই লজ্জা লাগে আর তাকে কিনা লাইসেন্সনিকরণ।
.................. ভাগ্য বিতাড়িত হয়ে এই সকল অসহায় নারীরা মানবতাবিরোধী এমন পেশা গ্রহণ করলো আর আমাদের মত ভদ্রবেশী শয়তানেরা তাদের খরিদদার।কিন্তু এরাও তো কারো বোন কারো মা সর্বপরি এদেশের মাটির সন্তান।১৯৭১ সালে সমভ্রম হারানো নারীদের প্রতি আমাদের কি অপরিসীম শ্রদ্ধা ও ভক্তি অথচ প্রতিদিন,প্রতিনিয়তই এ দেশের মাঝে বাস করে সামান্য পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য কয়েক হাজার নারী নিত্যদিন ধর্ষিত হচ্ছে আর আমারা ............ এ লজ্জা আমার,আপনার,আমাদের সকলের ...... বন্ধ হোক এই মানবতাবিরোধী কাজ......
বিষয়: বিবিধ
১৫৭৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একে তো নাচুনে বুড়ি , তার উপরে আবার ঢোলে বাড়ি
মন্তব্য করতে লগইন করুন