.............পশ্চিমাদের অনন্ত যুদ্ধ অথবা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের (war on terror) পেছনের কারণ .............

লিখেছেন লিখেছেন বিবেকবান ১৭ নভেম্বর, ২০১৫, ১০:২৫:৪৯ সকাল

............... পশ্চিমাদের অনন্ত যুদ্ধ অথবা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের (war on terror) জ্বালানি যখনই শেষ হয়ে যায় তখনি তারা প্রয়োজনে নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করতেও পিছু পা হয় না।যুগের পর যুগ ধরে দেখা গেছে লক্ষ্য পূরণে জন্য তারা প্রয়োজনে নিজ দেশের মানুষের রক্ত দিয়ে হোলি খেলতেও প্রস্তুত।এ সকল দেশের এমন অভাবনীয় নিরাপত্তার মধ্যেও হামলা করবে কিছু মোল্লা মৌলবি এটি কোন পাগলেও কি বিশ্বাস করবে?কিন্তু তাদের শক্তিশালী মিডিয়া,দেশীয় এজেন্ট আর কোন বিশ্বাসযোগ্য রির্পোট ছাড়াই তৈরি আল-কায়দা(আসলে আল-ফায়দা) এবং হালের আইএস(ইসলামিক স্টেট আসলে ইসরাইলি স্টেট) এর মাধ্যমে সেটি অনায়াসেই করে যাচ্ছে। আর এদের ঘাড়ে পা রেখে মুসলমান দেশ দখল,তেল সাম্রাজ্যের উপরে নিয়ন্ত্রণ,সমৃদ্ধ জনপদ ধবংস,সৌদি,কাতার এর নিকট কোটি কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করে যাচ্ছে নিয়মিত।৭/৭,৯/১১ এবং হালের প্যারিস হামলা এবং হামলার পরই শুরু হয় মায়াকান্না(নিরীহ মানুষের হত্যায় তাদের কিছু যায় আসে না)।আজও জানা যায়নি টুইন টাওয়ার ধবংসের সময় ৫০০০ ইহুদির(কাজ করতো) মধ্যে কেন একজন ইহুদিও মারা যায়নি।তাহলে তারা কি সবই জানতো?ইসরাইল আজ প্রায় এক ঘোরে এ অবস্তায় তারা বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে যেমন কিছু দিন আগে সিরিয়া থেকে ইসরাইলের এক জেনারেলকে আটক করা হয়েছিল এবং স্বীকার করেছে যে আইএস কে টিনিং দেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিল...

(প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। তিনি বলেছেন, প্যারিস হামলার নেপথ্য নায়ক ইসরাইল। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এরআগে পৃথিবীর কোথাও এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়নি। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যেও নয়। মাহাথির বলেন, যতক্ষন পর্যন্ত ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান না হবে ততক্ষন পর্যন্ত এ ধরনের হামলা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।)

..................... আইএস সৃষ্টিতে লাভ কার ????

A. জাপান শান্তির দেশ হিসাবে পরিচিত ছিল কিন্তু যেই আইএস তাদের দেশের ২ জন সাংবাদিককে হত্যা করলো মাথা কেটে তখনি জাতীয়তাবাদী নেতা শিনজে আবে তাদের শান্তির সংবিধান পরির্বতনের সু্যোগ পেলো এবং বাইরে সৈন্য প্রেরণসহ সামরিককরণ শুরু করলো।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শান্তির দেশ জাপান যুদ্ধবাজ হওয়ার উপায় খুঁজে পেল আইএস নামক জুজুর মাধ্যমে।

B. যে ইসরাইল ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের জন্য বড় অভিশাপ তার দিকে এই আইএস নামক ভূত এক টুকরো পাথরও ছুড়ে মারেনি বরং আইএস হামাসকে ধ্বংস করার জন্য হুমকি দেয়।আহ ইসলামের কি বড় খাদেম তারা!

C. যখনই মিশরের আল-সিসিরা অসংখ্য মানুষ হত্যার জন্য বিশ্বব্যাপী নিন্দিত হচ্ছিলো তখনই আইএস তাদের রক্ষাকর্তা হিসাবে এসে কিছু কোপ্টিক খ্রিস্টানের মাথা কেটে নিল আর বিশ্বের মোড়লরা আল-সিসির পক্ষে সাফাই গাইতে লাগলো।এই সব পতিত সেনা শাসকদের বৈধতার জন্য আইএস নামক জুজু বড্ড কার্যকর......

D. বিশ্বব্যাপী ওয়ার অন টেররকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য একটি পক্ষ লাগবে আর সেটি তারা বিভিন্নভাবে সৃষ্টি করে নিয়েছে আর তা হল আল-কায়দা(আসলে আল-ফায়দা) এবং হালের আইএস(ইসলামিক স্টেট আসলে ইসরাইলি স্টেট) নামক ছায়া।কারণ এ যুদ্ধ একা করা যায় না পক্ষ লাগে......

E. আল-কায়দা(আসলে আল-ফায়দা) এবং হালের আইএস(ইসলামিক স্টেট আসলে ইসরাইলি স্টেট) এদেরকে মাধ্যম করে ধ্বংস হলো আফগানিস্তান,ইরাক,সিরিয়া,লিবিয়া আর জ্বলেপুড়ে ছারখার হচ্ছে পাকিস্তান,ইয়েমেন।আর দৃষ্টির অন্তরালে চলে যাচ্ছে ফিলিস্তিন সমস্যা।অথচ সকল সমস্যার মূলই হল ফিলিস্তিন সমস্যা আর এর হোতা হচ্ছে ইসরাইল নামক পরগাছা.........

পশ্চিমা বিশ্বে আজ ইসলাম একটি ক্রমবর্ধমান আর্দশ।এছাড়াও অভিবাসীসহ পুরো ইউরোপ জুড়ে জাতীয়তাবাদী দলের উদ্ভব ঘটেছে এবং তারা মুসলমান বিহীন ইউরোপ চায় ফলে বিভিন্ন সময়ের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এই সকল জাতীয়তাবাদি দলগুলো নানা ঘটনা ঘটিয়ে উদর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়েছে।এর ফলে দেশের মধ্যে ইসলাম বিদ্বেষ এবং মুসলমান দেশগুলোতে আগ্রাসান চালানো,তেল সম্পদ দখল,ইসরাইলকে রক্ষাসহ ইসলামের যে আগমনী বার্তা তাকে থামিয়ে দেওয়া।পশ্চিমারা তাদের এ সকল গেম খুব স্মার্টলি খেলে যাচ্ছে আর মুসলমান বিশ্ব বড্ড সাধারণ ভাবে চিন্তা করছে।অথচ ঘটনার পিছেও অনেক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে.........

বিষয়: আন্তর্জাতিক

১৮৪৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

350020
১৭ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:২৫
অপি বাইদান লিখেছেন : ছাগু বান্ধব পোষ্ট..........।
350318
১৯ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:০৬
বিবেকবান লিখেছেন : সত্য যে বড় নির্মম।যুক্তি চাই আবেগ নয়।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File