আমাদের মা-বাবা আমাদের জান্নাত
লিখেছেন লিখেছেন বিবেকবান ০৫ নভেম্বর, ২০১৫, ০৬:৫৯:৫৯ সন্ধ্যা
.................................. কত শীতের সকালে সবাই যখন বেঘোরে ঘুমাচ্ছে তখন আমাদের চির জনম দুঃখী মা শীতে কাঁপতে কাঁপতে উঠে আমাদের জন্য গরম ভাত রান্না করে দিয়েছে।স্কুল-কলেজ থেকে ফিরে এমন কোন দিন হয়নি যে ভাত নেই বরং ঐ জনম দুঃখী মা-ই তার খাবারটুকু না খেয়ে হয়তো বা আমাদের জন্য রেখে দিয়েছেন যাতে তার খোকা/খুকি যেন না খেয়ে না থাকে।আহারে মা কি দিয়ে যে তোমার হ্তৃদয়টি তৈরি। অনেক রাতে নিজেরা অন্ধকারে থেকে আমাদের লেখাপড়ার জন্য তেলটুকু আমাদের কুপিতে ঢেলে দিয়েছেন।বাবার হাড় ভাঙ্গা খাটুনি সংসারের চাকাকে সচল রাখার জন্য এর মাঝে অতিরিক্ত হিসেবে আমাদের লেখাপড়া খরচ এ যেন ফোঁড়ার উপর বিষ ফোঁড়ার মত.........
.................................... আমাদের এই সমাজ অর্ধশিক্ষিত,অক্ষর জ্ঞানহীন মা-বাবার শিক্ষিত সন্তানকে গ্রহণ করতে পারলেও ঐ অর্ধশিক্ষিত,অক্ষর জ্ঞানহীন মা-বাবাকে গ্রহণ করতে পারে না বা চাইও না।হায়রে শিক্ষিত সমাজ একবারও ভাবলে না এই অর্ধশিক্ষিত,অক্ষর জ্ঞানহীন মা-বাবাই তাদের জীবনের সবচেয়ে সন্দুর সময়টুকু ব্যয় করেছে এই তথাকথিত শিক্ষিত সন্তানকে শিক্ষিত করার জন্য তাকে মানুষ বানানোর জন্য।
.............................. আজ সমাজের দৃষ্টিতে এই কৃষক ও গৃহিনী অশিক্ষিত,জ্ঞানহীন,নোংরা,সমাজে চলে না অথচ এদের এই ঘাম ঝরানো,নোংরা শরীর থেকেই আমাদের মত উদ্ধত,তথাকথিত শিক্ষিতদের জন্ম।যাদের রক্ত-মাংস খেয়ে আমরা মানুষ তাদের প্রতি সমাজের আচরণ কত নির্মম,নিশংস্র।
.............................. যে খেটে খাওয়া কৃষক এবং লেখাপড়া না জানা গৃহিনীর সন্তান দেশের সব্বোর্চ বিদ্যাপীঠ থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করলো এ গর্ব কি শুধু সন্তানের নাকি এই অর্ধশিক্ষিত,অক্ষর জ্ঞানহীন মা-বাবার যারা তাদের মাথায় তেল না দিয়ে,ভাল কাপড় না পরে,কোন উপলক্ষ্যে ভাল খাবার না খেয়ে টাকা বাঁচিয়ে সন্তানকে তিলে তিলে মানুষ করার স্বপ্ন দেখেছে।
....................................... ত্যাগ কাকে বলে সেটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন আমাদের এই অর্ধশিক্ষিত,অক্ষর জ্ঞানহীন মা-বাবারা কিন্তু যে সমাজের চোখ অন্ধ সে হয়তো তা দেখতে পাবে না।নিজেরা ময়লা বিছনা,ময়লা কাপড়,মাটিতে শুয়েছেন অথচ সন্তানকে দিয়েছেন সবচেয়ে ভাল বিছনা,ভাল কাপড় ও চৌকির ব্যবস্থা যাতে তার নাড়ি ছেঁড়া ধন কষ্টে না থাকে।
.............................. মাঝে মাঝে ভাবি মা-বাবার এত সম্মান কেন দেওয়া হয়েছে, তখন বুঝি কি ত্যাগ কি কোরবানী।দশ মাস দশ দিন কি পরিমাণ কষ্ট ব্যথা বেদনা সহ্য করে মা আমাদের ধারণ করেছেন।আমাদের পেটে নিয়ে না জানি কতদিন না খেয়ে থেকেছেন।না জানি মা আমদের কত নির্ঘম রাত কাটিয়েছেন। হয়তো আমরা মা-বাবা না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের মর্ম বোঝবো না......
................................. আমাদের মা-বাবা আমাদের জান্নাত সুতারাং তথাকথিত রঙ্গীন সমাজের চোখ ধাঁধানো স্বপ্ন যদি আমাদের অন্ধ করে দেয় তাহলে জান্নাত নয় তার বিপরীত জায়গায় হবে আমাদের উপযুক্ত স্থান .........
বিষয়: বিবিধ
১২২২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দরদ দিয়ে লিখাখানি পড়ে নয়ন অশ্রু সজল! রব্বির হাম হুমা কামা রব্বা ইয়ানি সগীরা!
জাযাকাল্লাহু খাইর।
জাযাকাল্লাহু খাইর ..অনেক ধন্যবাদ
পাপুশ বানাইলেও ঋণের শোধ হবে না
এমন দরদী ভেব কেউ হবে না
আমার মাগো।
আসুন সবাই মিলে সেই মায়ের ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করার চেষ্টা করি। আর আল্লাহর কাছে দোয়া করি- রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি ছাগিরা।
জাযাকাল্লাহু খাইর ..অনেক ধন্যবাদ
জাযাকাল্লাহু খাইর ..অনেক ধন্যবাদ
জাযাকাল্লাহু খাইর ..অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন