অপপ্রচারঃ এবং প্রফেসর গোলাম আযম স্যারের জনপ্রিয়তা
লিখেছেন লিখেছেন বর্ণক শাহরিয়ার ২৬ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:৪২:৪১ দুপুর
মক্কা বিজয়ের পর এক বৃদ্ধা আতঙ্কিত অবস্থা একটি পুটলি নিয়ে মক্কা থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে হযরত মুহাম্মদের (সঃ) সাথে তার দেখা হয়ে গেল। বৃদ্ধার কষ্ট দেখে রাসুল (সঃ) তার বোঝাটি নিজ কাদে নিয়ে নিলেন।
আল্লাহর খাস বান্দা
চলতে চলতে তিনি বৃদ্ধাকে তার গন্তব্যে কোথায় জিজ্ঞেস করলে বৃদ্ধা জবাব দিল নগরীতে মোহাম্মদ নামক এক গারেল লোক প্রবেশ করেছে। সে নাকি মানুষদের কষ্ট দেয়, হত্যা করে ইত্যাদি ইত্যাদি, তাই আমি তার হাত থেকে বাঁচতে ঐ যে পাহাড়ের গুহা রয়েছে সেখানে যাচ্ছি। বাকি জীবন এখানেই আত্মগোপনে থাকতে হবে।
মোহাম্মদ (সঃ) তাকে সেখানে পৌঁছিয়ে দিলেন। তাকে কয়েকদিন চলতে পারার মত খাদ্য সংগ্রহ করে দিলেন। শেষে ফিরে আসার সময় বৃদ্ধা বলল হে বৎস, তুমি আমার এত উপকার করলে কিন্তু তোমাকেতো চিনলাম না! তোমার নাম কি?
জবাবে রাসুল বললেন, হে মা আপনি যার ভয়ে এখানে আত্মগোপন করলেন, আমিই সে মোহাম্মদ (সঃ)। বৃদ্ধা তার ভুল বুঝতে পারলেন। তিনি বুঝলেন, তিনি যা শুনেছেন তা সবেই অবিশ্বাসীদের পক্ষ থেকে অপপ্রচার। তিনি সাথে সাথেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন।
জনপ্রিয়তা কি মাপতে পারবেন?
গত ৪৩ বছর ধরে বাংলাদেশে একটা আইডল বিল্ডআপ ছিল। রাজাকার কথাটি শুনলেই অধ্যাপক গোলাম আযম স্যারের মূর্ত প্রতিক ভেসে আসত। শেষে ৬/সাত বছর ধরেতো তাঁকে এই দেশের সবচেয়ে খারাপ মানুষ হিসেবে দৃশ্যপটে হাজির করা হয়েছে।
কিন্তু কি হয়েছে? এত অপপ্রচার মূহুর্তেই ধূলিস্যাত করে দিয়েছেন গোলাম আযম যার অর্চনা করতেন, সেই মহান পরাক্রমশালি আল্লাহ। এত অপপ্রচারেরও অধ্যাপক গোলাম আযম স্যার চরম ধৌর্যের পরিচচয় দিয়েছেন। “ইন্নাল্লাহা মায়াস সবেরীন” নিশ্চয় আল্লাহ ধৌর্যশীলদের সাথে আছেন’। কোরআনের সেই অমীয় বানীকে সত্য করে দেখিছেন রাজাধিরাজ।
অবিশ্বাসী শয়তানের অনুসারীরা গোলাম আযম স্যারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছেন। তিনি চুপ ছিলেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর মানুষ দেখেছে স্যারের জনপ্রিয়তা। তাঁর জনপ্রিয়তা যে এত আকাশ চুম্বি তা কেউ কল্পনায়ও ভাবেনি।
লক্ষ লক্ষ মানুষ স্যারের জানাযায় অংশ নিতে ছুটে গিয়েছে ঢাকায়। অথচ পএর আগে প্রতিটি জেলায়ও অনুষ্ঠিত হয়েছে তাঁর গায়েবানা জানাযাহ। যেখানেও উপড়ে পরেছিল সাধারণ মুসলমানরা। আর ঢাকায় তাঁর যে জানাযাহ হয়েছে সেটাতো বাংলাদেশের এযাবতকালের সর্ববৃহত জানাযাহ।
স্যারের মৃত্যুর পর মুনুষ জেনেছে তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের কাছে তিনি একজন প্রিয় ইসলামিক পন্ডিত ব্যাক্তি। সৌদী আরব, কাতার, তুরষ্ক, জাপান, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, দ.আফ্রিকাসহ শতাধিক দেশে সহস্রাধিক জানাযায় প্রায় কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছে স্যারের জানাযায়।
একজন মানুষ কতটা জনপ্রিয় এবং নির্দোশ, তা প্রমাণিত হয় তাঁর মৃত্যুর পর মানুষদের এক্সপ্রেশনের ওপর। আর সেটাই আল্লাহ দেখিয়েন গতকাল আমাদের। প্রফেসর গোলাম আযম স্যার জান্নাতের অতিথি হয়ে তাঁর রবের আতিথ্য গ্রহণ করে আমাদের জন্য আল্লাহর দরবারের নিশ্চয় ফরিয়াদ করছেন। আল্লাহ তার জীবনের একমাত্র স্বপ্ন “ইসলাম প্রতিষ্ঠাকে” যেন বাস্তবে দান করেন। সে সাথে স্যারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাকারিদের হেদায়েত দেন। আমিন
বিষয়: বিবিধ
১৫৬৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মুসুল্লিদের উপছে পড়া ভিড়ের কারনে ৩ দফায় জানাজার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামজের ইমামতি করেন মাওঃ জাহাঙ্গীর আলম, মাওঃ রবিউল ইসলাম, ও মাওঃ রাকিব আল মাদানী।
মন্তব্য করতে লগইন করুন