বাঁচিয়ে রাখবেননা, প্লীজ মেরে ফেলুন ড. মাসুদদের
লিখেছেন লিখেছেন বর্ণক শাহরিয়ার ২৬ আগস্ট, ২০১৪, ০৯:০২:৩৯ রাত
মিষ্টার বিচারপতি(!) আপনি এত দয়া না দেখালেও পারতেন। কি হত, দিয়েই দিতেন ৫৪ দিনের রিমাণ্ড। নদীতে ঢুবে বাংলার কতগুলো কুলাঙ্গার মারা গেছে! আর এদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জামায়াত। সেই অনুষ্ঠান থেকে ধরে আনা হয়েছে এই দুর্ধর্ষ ইমানদার লোকটাকে।
৮দিন ধরে রিমাণ্ড নামক নির্যাতনের বেধিতে অত্যাচারিত হতে হতে চলন শক্তি হারিয়ে দয়ালু পুলিশদের কাঁদে ছড়ে এসেছে আপনার কাছে। পুলিশ ৫৪ দিন রিমাণ্ড চেয়েছে, কিন্তু মূমূর্ষ লোকাটির প্রতি অকৃত্রিম দয়া দেখিয়ে মাত্র ১৪ দিনের জন্য জালিমের কব্জায় দিয়ে দিলেন! আপনি মহান, আপনি অনন্য...(!)
আসলে কি জানেন, হেই বিচারপতি মহোদয়? আপনারা যখন এজলাসে বসে বসে ড. মাসুদদের রিমাণ্ডে পাঠান, তখন আপনাদের ছেলে কিংবা মেয়েগুলো হয়তো কোন হোটেল বারে গিয়ে হুক্কা টানছে কিংবা ইয়াবা সেবন করছে।
আপনি যেনে খুশি হবেন, কাল দেখলাম; একজন লিখেছেন তার ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষক বন্ধু যখন ঔষধের জন্য ডিসপেন্সারিতে গেলেন, তখন দেখলেন তারই স্কুলের ৭ম শ্রেণী পড়ুয়া একছাত্রী একহাতে দোকানী টাকা দিচ্ছে আর অন্য হাতে কন্ডমের প্যাকেট নিচ্ছে।
হে মহান বিচারপতি আপনি আরো জেনে আনন্দিত হবেন, এখন আর স্কুলের বাচ্চাদের ব্যাগে কেবল বই-ই থাকেনা, বইয়ের ভেতর অনেক রঙ্গিন রঙ্গিন (নীল) সিডি-ভিসিডি থাকে।
একবারতো মসজিদে দেখেছি তারাবীর সময়, ছেলেরা নামাজ না পড়ে মসজিদের এককোনায় বসে বসে মোবাইলে কি যেন দেখছে। পরে একজন উঠে গেলে তাদের আরেকজন বলে উঠল, “কিরে এত তাড়াতারি পেন্ট ভিজিয়ে ফেললি? ডাক্তার দেখাস”
হ্যা, বিচারপতি, আপনাদের আনন্দিত হওয়ারই কথা। কারন আপনারা সফল হচ্ছেন। আপনারা যদি ডক্টর মাসুদদের আরো আগেই এভাবে নিঃশেষ করে দিতেন তবে আপনারা আপনাদের বাচ্চাদের নিয়ে একসাথেই অনেক কিছু করতে পারতেন। আপনাদের স্বপ্ন সফল হত।
আপনাদের সংস্কৃতিক বিপ্লব এতদিন ধরে ব্যার্থ করে দিচ্ছে এই ড. মাসুদ আর দেলোয়ার হোসেনের মত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের এসব মেধাবী ছেলেগুলো। এরা যত দিন থাকবে, ততদিন এরা তরুন সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে। তাই এদেরকে বাঁচতে দেবেন না। এরা বাঁচলে আপনারা লিভ টুগেদারের মত মজা পাবেন না। আপনাদের সহচর শিক্ষকরাও তাদের ছাত্রীদের নম্বারের বিনিময়ে সৌন্দর্যকে হাতিয়ে নিতে পারবে না। তাই এদের আর বাঁচতে দেবেননা। মেরে ফেলুন। ১৪ দিন কেন ৫৪ দিনও না, মৃত্যু পর্যন্তই রিমান্ডে দেন।
পরিশেষে মি. বিচারপতি আপনাদের বলি, পারলে আপনি আপনার এক সন্তানকে একজন ড. মাসুদ বানিয়ে দেখাননা আমাদের! জানেনতো? এই ড. মাসুদ সারা বাংলাদেশের মেধাবী ছাত্রদের মধে্য সেরা মেধাবী হিসেবে হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে গোল্ড মেডেল নিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজাল্টও ফার্স্ট ক্লাস। এমন একজন অধম্য মেধাবীকে মাত্র ১৪ দিনের রিমাণ্ড দিয়ে দয়া পরবশ হওয়ায় আপনাকে স্বাগত।
দেখা হবে ইনশাল্লাহ, সেই আলিমুল গায়েব, রাজাধিরাজ, বিচারকেদের বিচারক, ন্যায় বিচারক মহান আল্লাহর দরবারে। সেই দিন ডঃ মাসুদদের সামনে আপনাদের দাঁড়ানোর অপেক্ষায় থাকলাম.................
বিষয়: বিবিধ
১৩৫১ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কেউবা সরকারের সমালোচনা করে, কেউবা রাইটস বেইজড নতুন মোড়লের সমালোচনা করে। কেউবা দলকে - জামায়াতকে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে জামায়াতের ক্যলকুলেশানে ক্ষুদ্ধ হচ্ছি - কারন সম্ভবতঃ আমি জামায়াতের প্রাগমাটিজম কে সন্মান করি - কিন্তু রেজাল্ট প্রমান করছে - তাদের প্রাগমিটিজম ভুল হতে মারাত্মক ভুলের দিকে যাচ্ছে। তারা যেনবা সমস্যাটা বুঝতেই পারছেনা। তারা যেন বুঝতেই চাইছেনা - বাংলাদেশে এখন রাজনীতি, গনতন্ত্র, পুলিশিং, আইনের শাসন ইত্যাদি কমপ্লিটলী উধাও হয়ে গেছে। পুরো সিস্টামটাই বুনো, খামখেয়ালীতে ভরা, পশুগোত্রীয়। অমন বুনো, পাগল ও পশুর মত সরকারের বিরুদ্ধে আপনি গনতান্ত্রিক স্টাইলে, পুলিশের প্রতি আস্থা রেখে, আইন আদালতে গিয়ে কোন দিন ও সমাধান পাবেন না, পেতে পারেন না। আপনি ইতোমধ্যেই অসংখ্য কোরবানী করেছেন গনতন্ত্রের আবরনে থাকতে চেয়ে, বিচারের নামে অসংখ্য হত্যা হতে এবং করতে দেখেছেন, পুলিশের হাতে চোর বাটপার এর চেয়ে অনেক বেশী হিউমিলিয়েট হয়েছেন - তারপর ও গনতন্ত্রের পথে এমন ভাবেই লেগে আছেন - যেন তা ইসলাম ধর্মের চেয়ে ও বড় হয়ে গেছে। দেশে হাজার হাজার অনৈসলামিক কান্ড কারখানা হচ্ছে আপনি তা রোধ করতে যাচ্ছেন না - একজন লোককে আপনি খুন হতে দিচ্ছেন না তার জন্য - অথচ হাসিনার গণতন্ত্র, খায়রুল, মানিক্যার আইনের শাসন, আর বেনজিরের পুলিশিং এর প্রতি আপনি পূর্ন আনুগত্য রক্ষা করে চলেছেন। কেন? কেন মুসলিম দের রক্তকে এতটা হালকা এতটা সস্তা করে শাহরিয়ার, মুনতাসির দের বেদীতে এমন করে ফেলছেন। কেন আহ্বান জানাবেন না - এদের জন্য বিচার নিশ্চিত করতে? জামায়াত এর অস্তিত্ব ধ্বংশ হবে এই জন্য? জামায়াত কে টেরোরিস্ট বলবে এই জন্য?
যেখানে পৃথিবীতে একজন ট্রু মুসলিম নেই - যাকে পাবলিকলী টেরোরিস্ট মনে না করা হয় - সেখানে আপনি কিভাবে জামায়াতকে টেরোরিস্ট বই অন্য কিছু ভাবাতে পারবেন - যদি জামায়াতকে মুসলিম সংগঠন বলেন। জামায়াত নেতৃবৃন্দের কাছে আমার আহ্বান দয়া করে আপনাদের আনুগত্য সরান এবং আনুগত্য কোরান হাদীস ও মুসলমানের কাছে সরিয়ে আনুন।
১। একটা ১০০% অবৈধ সরকারের কাছে - জামায়াত কেন আনুগত্য দেখাবে।
২। শতভাগ করাপ্ট এবং খুনী, গুমকারী একটা ফোর্সকে কেন - পুলিশ বলে স্বীকৃতি দিতে হবে।
৩। শতভাগ নীতি ও নৈতিকতাহীন একটা বিচার ব্যবস্থাকে কেন সন্মান জানিয়ে তার কাছে মাই লর্ড বলে হাত জোড় করতে হবে।
অন্যায়কারীর অন্যায়ের সীমা ছাড়িয়ে তা পশুত্বকেও হার মানিয়েছে - আর জামায়াত যেন এখনো রাজনীতি পপুলারিটি বিদেশী বন্ধু নিজেদের অর্থনীতি ইত্যাদি ইস্যুর ভাবনায় তাড়িত হয়ে এক একজন নিষ্পাপ মানুষকে ফাসীর কাষ্টে ঝুলাতে, খুন হতে, গুম হতে, টর্চারড হতে হাতের সব প্যাচ গোচ খুলে দিচ্ছে।
একদিন এদেরকেও বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।
সেই দৃশ্য দেখার অপেক্ষায় রইলাম !
অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন