জামায়াতসহ ১৮ দলীয় জোটের উচিত দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা
লিখেছেন লিখেছেন বর্ণক শাহরিয়ার ১৮ নভেম্বর, ২০১৩, ১০:১৫:৩৮ রাত
সবাই যখন জাতীয় বেঈমান এরশাদকে নিয়ে হায়হুতাশ করছেন, তখন একটা বিষয় খেয়াল রাখা উচিত। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যা ঘরিষ্টতা পেয়ে ক্ষমাতায় গিয়েছিল এরশাদের কোন রকম সমর্থন ছাড়াই। কিন্তু অপরদিকে ২০০৯ সালে আ,লীগ সরকার গঠন করে এরশাদের সমর্থন নিয়ে।
অতীত ইতিহাস বলছে, এরশাদের মত ক্যারেক্টা লুজ নেতা ও তার দলের প্রয়োজন আ,লীগের মত ক্ষমতা লিস্পুদের জন্য। কিন্তু চারদলীয় (বর্তমানে ১৮ দলীয়) জোটে এমন লোকদের কোন স্থান নেই।
১৮ দলীয় জোটে রয়েছে বিএনপি’র মত একটি দল। যে দলটি গণমানুষের দল হিসেবে স্বিকৃতি প্রাপ্ত, যে দলের রয়েছে সাধারণ মানুষের বিপুল জনসমর্থন ও ভালবাসা। আবার এই জোটে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ইসলামীক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। যেই দলের কর্মীদের রয়েছে বিপুল হিম্মত, সাহস আর একান্তিকাত। এই দলের কর্মীদের আপসহীন মনোভাব যেমন বাতিলের পতন ঘটাতে সদা তৎপর, তেমনি সৎ ও যোগ্য কর্মী বাহিনী হল এই দলের অহঙ্কার যা দেশের অলঙ্কার।
অন্যদিকে মহাজোটের প্রধান দল আ,লীগের সবচেয়ে বড় পরিচয় ৯০.৪ ভাগ মুসলমানের দেশে তারা রাম-বামের দোষর। ইসলাম ও মুসলমানের বিপরীত প্রান্তে তাদের অবস্থান। অবশ্য নির্বাচন আসলে এদের মাথায় টুপি, হিজাব, পট্টি হাতে তসবীহ, কাঁদে জায়নামাজ প্রভৃতি উঠে আসে। যা দিয়ে তারা আবেগ প্রবণ মুসলমানদের বিপদগামী করে। আর এই জোটের আরেক দল, এরশাদের জাতীয় পার্টির কথাতো আগেই বলেছি। তাবে এই দলটির বড় পরিচয় এটি রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক পার্টি।
শোনা যাচ্ছিল আত্মঃস্বীকৃত দালাল এরশাদ ক দিন আগে ১৮ দলীয় জোটের সাথে ঐক্যমত্ত্ব ঘোষণা করবেন। এমনটি যদি ঘটতো তবে দেশ অনেক গভীরে নিমজ্জিত হত। ১৮ দলীয় জোটে ভাঙ্গন দেখা দিত। আ,লীগ লাভবান হত।
আর এনটি যদি ঘটতো, তবে সবচেয়ে বেকায়দায় পড়তো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। কারন নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতকে বিএনপি দূর দূর করে তারিয়ে দিত অথবা আন্দোলন শেষ হওয়ার পর নির্বাচনে জামায়াতের অংশ নেয়াটা অসম্ভবপর হয়ে যেত।
অতএব, আপাত দৃষ্টিতে এরশাদে ফল্টি খাওয়াকে বিরোধী দলের জন্য ক্ষতি মনে হলেও মূলত এটি ১৮ দলের জন্য অনেক ভাল এবং কল্যাণকর হয়েছে। তাই তাদের উচিত আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানানো
বিষয়: বিবিধ
১২১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন