শহীদের সংজ্ঞা নিয়ে বিভ্রান্তিঃ মূলত ইসলামী আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই উদ্দেশ্য
লিখেছেন লিখেছেন বর্ণক শাহরিয়ার ১৪ আগস্ট, ২০১৩, ০২:৫২:২১ দুপুর
কিছু জ্ঞান পাপী ইসলামের শহীদদেরকে নিয়ে অহেতুক বিতর্ক দিচ্ছে। তাদের দাবী জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির করে যারা নিহত হচ্ছেন তারা শহীদ নয়। তাদের বলছি, আপনারা শহীদের কি বোঝেন? আপনাদের কাছে তো দেবন্দ্রনাথ আর দেবাশীষরাও শহীদ হয়ে যায়। অনেককেইতো দেখেছি গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ছোট ভাইকেও শহীদ বলতে। কারন তার মৃত্যু হয়েছে বুলবুলের দেয়া অধ্যাপক গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার কারনে জামায়াত-শিবিরের হাতে! পরে অবশ্য দেখা গেছে বুলবুলের সেই ভাইয়ের মৃত্যুর পেছনে নারী গঠিত কারন ছিল। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে সে লুচ্ছামী করেছিল কোন নারীর সাথে। এখন এটি আর কোন মিডিয়া আলোচিত গহ না।
এখন আবার অনেককেই বলতে দেখছি, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে ইসলামী আন্দোলন করার অপরাধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসীর বন্দবস্ত করছে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিহতদের তারা শহীদ বলতে নারাজ। তাদের উদ্দেশ্যে নীচের বলছি,-
এখানে দেখতে হবে, ব্যাক্তিটি মুখ্য নাকি তার আদর্শই মূখ্য। বর্তমান সময়ে ব্যাক্তিকে টার্গেট করেই ইসলামকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে।
এই যেমন ধরুন মিশরে, মুরসীর জন্য লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ আন্দোলন করছে। এই পর্যন্ত সেখানে মারা গেছে ৩৮০ জন। আর আজকে এখন পর্যন্ত শহীদ হয়েছেন ৪৫০ (জানি না, সংখ্যা কততে গিয়ে ঠেকে) এই এদের উদ্দেশ্য কি মুরসীকে রক্ষা করা? মিশরের ইতিহাস চিন্তা করে দেখুন, আজ থেকে কয়েক দিন/মাস/বছর পরে অবশ্যই প্রমাণ হবে মুরসীকে সরিয়ে সেনা ক্যু ঘটিয়েছে ইসরাইল ও আমেরিকা। উদ্দেশ্য তাদের মুরসী কিংবা ব্রাদারহুড সফল হয়ে গেলে দুনিয়াতে ইসলাম খুবই শক্তিশালি হবে। তখন আর আমেরিকা-ইসরাইলের কোন ষড়যন্ত্রই কাজে আসবে না। এখন বলুন, মুরসীর জন্য যারা জীবন দিল, তাদেরকে কি শহীদ বলা যাবে না? তাহলে শহীদ হবেটা কে?
এই ভাবেই হামলা করে মিশরের ইসলাম পন্থীদের স্তব্ধ করে দিতে চায় যালিম শ্রেণী
তোমরা কোথায় পেয়েছেন, শুধুমাত্র নবী (সঃ) ও সাহাবী ছাড়া কাউরে জন্য জীবন দেয়া যাবে না? আমরা এখন তাদেরকে পাব কোথায়? তাহলে কি কোরআনের সূরা বাকারার এই আয়াতের হুকুম রহিত হয়ে গেছে? ﴿وَلَا تَقُولُوا لِمَن يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَٰكِن لَّا تَشْعُرُونَ﴾ আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদেরকে মৃত বলো না ৷ এই ধরনের লোকেরা আসলে জীবিত ৷ কিন্তু তাদের জীবন সম্পর্কে তোমাদের কোন চেতনা থাকে না। সূরা বাকারা, আয়াত ১৫৩।
বাংলাদেশে এইভাবেই রাজপথ রঞ্জিত করা হয় ইসলামের সৈনিকদের
মিশর বাদ দিয়ে বাংলাদেশের দিকে তাকান; জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে প্রহসনের বিচার চলছে। তাদের অপরাধ শুধুমাত্র ইসলামী আন্দোলল করা। আজ যদি তারা বলেন, ঠিক আছে আমরা আর সেক্যুলারের বিরুদ্ধাচরন করবো না। দেখবেন তারা একদম সুপার ফ্রেশ(!) হয়ে বের হয়ে যাবে। কিন্তু না, তারা যালিমের সাথে কোন আপোশ করবেন না। তাই আজ তারা অপরাধী, ফাষীর দন্ড প্রাপ্ত। এখন আপনি চুপ করে থাকবেন কিভাবে? তাদের জন্য রাস্তায় নেমে যালিমের গুলি বুকে নিয়ে মৃত্যুটাকে আপনি শহীদ বলবেন না কোন যুক্তিতে?
বিষয়: বিবিধ
২২৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন