প্রসঙ্গ যুদ্ধপরাধ বিচারঃ অতি আত্মবিশ্বাস জামায়াতের জন্য মরণ ফাঁদ

লিখেছেন লিখেছেন বর্ণক শাহরিয়ার ১৪ মে, ২০১৩, ১২:৩৩:১০ দুপুর

ছোট বেলায় সাইমুম সিরিজের পোঁকা গিজগিজ করতো মাথার ভেতর। ক্লাশে বইয়ের ভেতর রেখে লুকিয়ে সাইমুম পড়াতে কিছু শিখতে ব্যার্থ হলেও একটা জিনিষ ভালই শিখেছি। যেটা পরবর্তীতে বেশ কাজে লেগেছে। দস্যিপনায় মেতে উঠতে রণ কৌশল ঠিক করতে অপর পক্ষের বন্থুদের অতি আত্মবিশ্বাসের ধোকায় ফেলে ফল নিজের ঘরে তুলে আনার চেষ্টা অবিরত থাকত।

“শক্রর অতি আত্মবিশ্বাস তার পরাজয়ের একটা কারন যারা সাইমুম পড়েছেন, তারা আহমদ মুসার এই কথাটি ভাল করেই জানেন। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে তাকালে মনে হবে, জামায়াতে ইসলামীও একই সমস্যায় জর্জরিত।

বাকশালী এই সরকার ক্ষমতায় বসেই বিডিআর ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের নিবেদিত প্রাণ সেনা অফিসারদের নিদন করার পর নিদনে নেমেছে বাংলার আরেক নিবেদিত প্রাণ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিঃশেষ করার প্রত্যয়ে।



তথাকথিত সেই যুদ্ধাপরাধ বিচারের শুরু থেকেই একের পর এক নাটক মঞ্চায়ন হয়ে আসছে, কিন্তু যে অর্থে ভিকটিম এই জামায়াতে ইসলামী থেকে প্রতিরোধ আসার কথা ছিল, সেরকম কিছুই হচ্ছে না। শুধুমাত্র ঐ এক রাজপথ ছাড়া।

ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত মামলায় গ্রেফতার করে শেষ পর্যন্ত যুদ্ধপরাধ হয়ে অবশেষে মানবতা বিরোধি অপরাধ মামলায় ফাঁসি পর্যন্ত দেয়া হয়ে গেছে, তারপরও আচ্ছাবাজন জামাত ক্যাঙ্গারু কোটে কুতকুত খেলে যাচ্ছে।

জামায়াত প্রথম থেকেই বলে আসছে, আর যাই হোক যুদ্ধাপরাধ মামলায় অন্তত সাঈদী সাহেবের কিচ্ছু হবে না! কি হয়েছে.....? জামায়াত নেতাদের মধ্যে সবার আগে ফাঁসীর রায় হয়েছে

এরপর বল্ল, সবাইকে ধরলেও অন্তত অধ্যাপক গোলাম আযমকে গ্রেফতার করবে না!! কি হয়েছে....? গ্রেফতারতো করেছেই, উপরন্তু সীমাহীন মানসিক নির্যাতন করেছে।

এরকম আরো কত আত্মতুষ্টিতে জামায়াত ভুগেছে, অথচ সবশেষ হয়েছে তাদেরর চাহিদার বিপরিত প্রান্তে।

এরপরও জামায়াত কেন স্কাইপে কোটে মামলা লড়ছে? উত্তরে বলা হল, যদি মামলা না লড়তাম, তাহলে কি এসব নাটকের কথা মানুষ জানতো??

ভালতো ভাল না? বাংলালিক দামে যখন ১৭ বছরের শিশুকে ১৭০ জনেকে দর্ষনের অভিযোগে ফাঁসি দেয়া হয়! যখন দেলোয়ার সিকদারের দোষ দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর গাঢ়ে চাপিয়ে মৃত্যু দন্ড দেয়া হয়!! যখন কসাই কাদেরের দোষ আব্দুল কাদের মোল্লার ওপর চাপিয়ে যাবজ্জীবন কারা দন্ড দেয়া হয়!!! তখন আর এসব দলীয় বিচারপতিদের কাছ থেকে ভাল আর কি আশা করছে জামায়াত?

সবশেষে মাওলানা একেএম ইউসুফের গ্রেফতারের পর আবার এসব বিচারপতিলীগের নেতাদের কাছে গিয়ে জামিনের আবেদন করা হয়, তখন এটাকে জামায়াতের তামাশা ছাড়া আর কিই বা বলা চলে?

ভাল লাগে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের কর্মকান্ডে। সেদিন একেএম সফিউল্লাহ নামক এক চিনালের বাচ্চা (যে কিনা বলেছে, সংবিধানে বিসমিল্লাহ রাখার জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি!) স্কাইপে ক্যালেঙ্কারির কোট পরিদর্শনে(!) গেল

অথচ দেখুন, মাওলানা সাঈদী সাহেবের রায়ের দিন জাহাঙ্গির নগরের ভিচি আনোয়র চুপ তাঁরদিকে তেড়ে এসেছিল। কিন্তু তখন জামায়াতে ছোট ছোট আইনজীবিরা তা ছেয়ে চেয়ে দেখেছে। কিন্তু তারা বাধা না দিয়ে যদি আনোয়ারের দু’গালে দুইটা লাগিয়ে দিত তাহলে অন্তত আদালতের ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও বাড়ত, কমতা না।

সবশেষ বলবো, স্কাইপগেট ক্যালেঙ্কারির পর জামায়াত এই তথাকথিত আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়ে ধর্না দেয়াটাই হচ্ছে বড় ভুল। মাকাল গাছ থেকে গোলাপের আশাকরার মত অবস্থা হয়েছে জামায়াতের আত্মবিশ্বাস!!!!!!

বিষয়: বিবিধ

১৯৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File