আমি গর্বীত জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হিসেবে
লিখেছেন লিখেছেন বর্ণক শাহরিয়ার ১০ মে, ২০১৩, ০৭:২৯:২৮ সন্ধ্যা
হ্যাঁ, আজ আমি গর্বিত এই কারনে যে; আমি জামায়াতে ইসলামীর মত একটি দলের সমর্থক। দুনিয়া সৃষ্টির পর থেকে হাবিল আর কাবিলের দ্বন্ধের মাধ্যমে শুরু হয়েছে হক এবং বাতিলের সহাসমিরণ। যত দিন পৃথিবী থাকবে ততদিনই রবে এই সংঘাত।
ইসলামের আগমনের অনেক আগে যখন সেক্রেটিসকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয়, তখন কিন্তু বিচারপতিরা তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে দোষি সাব্যস্ত করেই মৃত্যু দন্ড দিয়েছিল। পরবর্তিতে সত্যের উম্মেষ ঘটেছে। হাজার বছর পরে এসেও একশ্রেণীর মানুষ আজও সক্রেটিসের সেই আদর্শকে নিজ জীবন ও রাষ্ট্রে এপ্লাই করার প্রয়াস পাচ্ছে। তারা আজও কাঁদে একজন সক্রেটিসের জন্য।
ঠিক তেমনি, ইসলামের আগমনের পর এমন কোন মনীষি নেই, যাদের আমরা স্মরণ করি, যাদের জন্য আমরা গর্ব করি। অথচ সেসব মহান পুরুষও কিন্তু নির্যাতিত হয়েছেন, দন্ডিত হয়েছেন। ইমামে আযম আবু হানিফা, ইমাম রাযি, ইমাম মালেকসহ অনেকেই। এমনকি দিকবিজয়ী পৃথিবী শ্রেষ্ঠ সেনাপতি তারিক, বাংলার গগনে ইসলামের বার্তাবাহক সেনাপতি মোহাম্মদ বীন কাসিমও অভিযুক্ত হয়েছেন, মৃত্যু দন্ডে দন্ডিত হয়ে শহীদ হয়েছেন।
হ্যাঁ, বলতে পারেন, শতাব্দী পুরনো কাসুন্দি গাচ্ছি! না, আধুনিক যুগেও ঘটেছে এমন নজির রয়েছে। ওমর মুখতার, সাইয়েদ কুতুব শহীদ, আব্দুল করিম রাওদাহসহ অনেক অনেক মহান পুরুষ; যাদের বিরহ আজও আমাদের তাড়িয়ে বেড়ায়।
লক্ষ্য করুন, সবাই কিন্তু দোষি সাব্যস্ত হয়ে দন্ডিত হয়েছেন, ফাঁসিতে ঝুলেছেন। কিন্তু কি হয়েছে? পরে প্রমাণিত হয়েছে তারা নির্দোষ ছিলেন, সেই বিচারকরারা এবং শাসকরা যালিম ছিলেন এমন বার্তা আজ আমাদের চলার গতিতে সাহস যোগাচ্ছে।
মালয়শিয়ার আনোয়ার ইব্রাহীম সমকামিতা অভিযোগে বছরের পর বছর কারা বরন করার পর জনগন তার চরিত্রে খুজে পেয়েছে স্বচ্ছতা।
ওপরের এত উপমার সম্মিলন শুধু এই জন্যই যে, বাংলাদেশেও আজ তেমন বিচার হচ্ছে। কতকি অভিযোগ! নিজের ইচ্ছে মত আদেশ, বিধি-নিষেধ এবং সব শেষ নাটক মহানাটকের পর ফাঁসী, মিষ্টি কত কিছু!!!
কিন্তু এত কিছুর পরও আমি কিন্তু হতাশ নই। সত্য সমাগত, মিথ্যা অপসৃত, মিথ্যার বিলুপ্তি অবিশ্বম্ভাবি। মহান আল্লাহ তার বানি অক্ষরে অক্ষরে ফলান। অতএব আমাদের সু-দৃঢ় বিশ্বাস জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ একদিন নিঃষ্কলুষ মানুষ হিসেবে উদয় হবেন।
কিন্তু হয়তো আপসুস থেকে যাবে তাদের বিদায়ের ঘটনা। তখন মানুষ হায় হায় করব, কিন্তু কিছুই করার থাকবেনা। আর এখন যারা কলকাঠি নাড়ছে, তারা চির দিনই নিন্দিত হতে থাকবে মীর জাফরদের মত। সেই দিনের প্রত্যাশায়..... হয়তো দেখেবো, হয়তো দেখবো না
বিষয়: বিবিধ
২০৯৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন