মিডিয়া ক্যু চলছেঃ আওয়ামীলীগের নাটক হয়ে যায় জনতার মঞ্চ (গণজাগরন মঞ্চ) আর জনতার বিক্ষোভ হয়ে যায় জামাত-শিবিরের তান্ডব
লিখেছেন লিখেছেন শাবিপ্রবি ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১১:৪৩:৪৫ রাত
গোয়েবলস ১৯৩৩-৪৫ সাল পর্যন্ত নাৎসি জার্মানির প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রধান ছিলেন। বিদ্বেষপূর্ণ বক্তৃতা এবং ইহুদিবিরোধী তৎপরতার জন্য তিনি কুখ্যাত ছিলেন।হিটলারের মন্ত্রি গোয়েবলস নাকি বলেছিলেন একটি মিথ্যা যদি ১০০ বার বলা যায় তাহলে তা সত্যি বলে জনগন মেনে নেয়।
আমাদের দেশের অধিকাংশ প্রচার মাধ্যম যেন হিটলারের তথ্যমন্ত্রী গোয়েবলসের উত্তরসুরী। গোয়েবলস যেমন করে সাজিয়ে-গুছিয়ে একটা মিথ্যা কথাকে সত্যে রূপ দেয়ার চেষ্টা করতেন বর্তমানে আমাদের দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোও তেমনি একটা মিথ্যাকে সত্যে রূপ দেয়ার জন্যে দিন-রাত বিরামহীন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমাদের দেশের অধিকাংশ প্রচার মাধ্যমের কর্মকান্ড যেন গোয়েবলসের প্রেতাত্মারই হর্ষধ্বনি।
শাহাবগীরা স্পষ্টতই আওয়ামীলীগের অংগসংঘঠনের (যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সাচিপ ইত্যাদির) নেতা কর্মী বা মহাজোটের (ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী, জাসদ, বাসদ ইত্যাদির)নেতা কর্মী। এখানেতো কোন সাধারন বা নিরপেক্ষ জনতাকে দেখা যায়নি। আবার স্লোগান দিচ্ছে ‘জয় বাংলা’ যা কিনা একটি বিশেষ রাজনৈতিক মতাদর্শের বুলি। খাবার বিলি করতে দেখা গেছে ছাত্রলীগের সেক্রেটারীকে, টাকা বিলি করতে দেখা গেছে আওয়ামীলীগের ‘ঈশ্বর’ কে। সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে পাহারা দিল ১৭ দিন ধরে। জামাই আদরে খেয়তে দিল, রাজকীয় পাহারা দিল, সাথে অর্থ দিল এর পরেও কি আমাকে বিশ্বাস করতে হবে এটা সাধারন জনতার মঞ্চ?
আর অন্যদিকে, তরুনদের আরেকটি গ্রুপকে রাস্তায় বেরুতে দিচ্ছেনা, মিছিল মিটিংতো দূরের কথা। নাস্তিক্যবাদী ব্লগারদের যখন ‘জাতীয় বীর’ উপাধি দেওয়া হচ্ছে, দ্বিতীয় মুক্তি যুদ্ধের প্রথম ‘শহীদের’ মর্যাদা দেয়া হচ্ছে তখনই ফুঁসে উঠল তৌহিদী জনতা। গত ২২ তারিখের কর্মসুচী ঘোষনা করল সমমনা ১২ ইসলামী দল, যেখানে একজন জামাত-শিবিরের নেতা-কর্মীকে দেখা গেলনা মিডিয়ার কোন পর্দায়, যেখানে জুম্মা নামাজের পর সকল মত পথের মুসল্লীরা (কয়েকজন নামাজী আওয়ামিলীগারও) ইমাম সাহেবদের আহবানে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল সেটা গোয়েবলসীয় কায়দায় টিভি চ্যানেলগুলোতে প্রচার পেল জামাত-শিবিরের তান্ডব হিসেবে।
এটাতো পুর্ব ঘোষিত কর্ম সূচী ছিল, জামাত-শিবির তান্ডব চালাবে একথা যদি সরকার জেনেই থাকে তাহলে আগের দিন তাদের গ্রেফতার করলনা কেন? জামাত-শিবিরকে মিডিয়া এমন ভাবে হিরু বানাচ্ছে যেন আগামী ইলেকশানে তারা আওয়ামিলীগের প্রতপক্ষ হবে, সরকারের সকল পলিসি তাদের কাছে মার খাচ্ছে, র্যা ব-পুলশ তাদের কাছে ব্যার্থ, বিজিবি ডাকতে হচ্ছে শহরে শহরে। টিভি চ্যানেল গুলো যেভাবে জামাত-শিবিরের শক্তি মত্তার প্রচার চালাচ্ছে তাতে হয়ত ভবিষ্যতে বিএনপির পরিবর্তে জামাতই হয়ে উঠতে পারে আওয়ামীলীগের মূল প্রতিপক্ষ। কেননা এদেশে রাজনীতির মূল মন্ত্র হচ্ছে- জোর যার মুল্লুক তার। মিডিয়া যেন এ মুল্লুক জামাত-শিবিরের মত প্রতিক্রিয়াশীলদের হাতে তুলে না দেয়।
বিষয়: রাজনীতি
১২৯৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন