পুলিশ না ছিনতাই কারি। (একটি ঘৃনা পোষ্ট)
লিখেছেন লিখেছেন হারানো ওয়াছিম ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১০:০৯:২৫ রাত
আমার বন্ধুর বড় বোনের বিয়ে। তাই বেশ কিছুদিন যাবত বন্ধু মনে একটা চাপা আনন্দ খেলা করে যাচ্ছে। পরীক্ষা চলার কারনে এত দিন বাড়ি যেতে পারে নাই। আজ যাবে বলে ঠিক করলো। যাবার আগে সে শাখারি বাজার থেকে অনেক গুলো বাজি কিনছে। বিভিন্ন রকমের। প্রায় দুই হাজার টাকার। মাদারিপুর তাদের বাড়ি। একটু বারতি আনন্দের জন্য কেনা এই আতশ বাজি গুলো। যা হোক, বাজি গুলো কিনে তাতি বাজার আসার পর পুলিশের তল্লাসির মুখে পরে। অতপর ধরা। পুলিশ কে বুঝিয়ে বলা হলো বিয়ের কথা। এক পুলিশ মজা করে বলবো আমরা কি দাওয়াত পাচ্ছি? ভাবলাম হয়তো আমাদের আটকাবে না। কিন্তু চিন্তা করার আগেই এক পুলিশ ৫ হাজার টাকা দাবি করে বসলো। আমি বললাম এখানে এর অর্ধেক টাকার বাজি ও নাই। পুলিশের ভাষ্য তাকে কি? টাকা দেও নইলে থানায় চল। আমরা বললাম তাহলে বাজি রেখে দেন। না তা হবে না। আমার বন্ধু বললো তাহলে থানায় নিয়ে চলেন তবু আপনাদের টাকা দিবো না। আমিও তাতে সায় দিলাম। কিন্তু পুলিশরা তার ধারে কাছেও গেল না। এক পুলিশ জোর করে আমাদের মানি বেগ দুটি বের করে নিলো। আমার মানি বেগে ১০০ টাকার মত ছিলো কিন্তু আমার বন্ধুর বেগে ৩৫০০ টাকা। শালারা সব রেখে দিলো। আমার বন্ধু বললো তার বাড়ি যাবার টাকা নাই। তাতেও তাদের মন গললো না। বললো যাও যাও ........ বাজি ফুটানো ভাল না!!!!!!!!!
একটি ঘটনা। (সত্য)
একবার যাত্রাবাড়ি ছিনতাই কারির হাতে পরছিলাম। সব নিয় গিয়ে ছিলো। তাদের খুব ভয় পেয়েছিলাম। তবু সাহস করে বলেছিলাম, আমার বাসায় যাবার টাকা নাই। আমাকে ১০০ টাকা দিয়েছিলো। ছিনতাই কারিদের গালি দেবার পর ভালো কিছু বলার মত ঐ টাকার কথাটা বলতে পারতাম।
এই জানোয়ারের বাচ্চা পুলিশ গুলোকে আমি গালি ছারা আর কিছুই দিতে পারলাম না।
একটা কথাঃ শাখারি বাজার যে সকল দোকানে বাজি বিক্রী করে তার সব কটি দোকান পুলিশের জানা। এবং সব গুলো দোকান থেকে তারা নিয়মিত চাঁদা পায়।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন