অক্টোবরের ২৮ তারিখ রক্ত ঝরার দিন- সংকলিত পোস্ট (শহীদ পরিচিতি,ছবি,ভিডিও,কলাম )
লিখেছেন লিখেছেন চেয়ারম্যান ২৮ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:৩৭:২৯ সকাল
ঠিক ৮ বছর আগে ২০০৬ সালের এই দিনে এ দেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক কলংকজনক অধ্যায় রচিত হয়। বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লগি বৈঠার উস্কানির মাধ্যমে প্রকাশ্য দিবালোক আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা,লগি বৈঠা দিয়ে তরতাজা যুবকদের সাপের মত পিটিয়ে, মৃত লাশের উপ নৃত্য করার মত পৈশাচিক নৃশংসতা দেখানোর দৃষ্টান্ত স্থাপিত করে । যা ছিলো নজিরবিহীন, যেগুলো কখনই বাংলাদেশে আগে দেখা যায়নি। সেই দিন আওয়ামী তান্ডবে ঝড়ে যায় কতগুলো মেধাবী প্রাণ। খালি হয় মায়ের বুক। আর সেইদিন শুধু কিছু তরুণ মেধাবীদের উপর হামলা হয়নি , হয়েছে পুরো বাংলাদেশের উপর। ২০০৬ এর ২৮ শে অক্টোবরের পর থেকে আজ ও বাংলাদেশের জনগণ তার হারানো স্বাধীনতা , মানবতা কিছুই ফিরে পায়নি। সব আওয়ামী ও বামপন্থী সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হয়ে আছে।
শেখ হাসিনার সাথে সাথে ঐদিন প্রয়াত আওয়ামী সন্ত্রাসী আব্দুর রাজ্জাক ও লগি বৈঠার তান্ডবের হুকুম দেন :
২০০৬ এর ২৮ শে অক্টোবর মইন ফখরুদ্দিনের আমলে শেখ হাসিনা সহ আওয়ামীলীগের অনেক সন্ত্রাসী নেতার বিরুদ্বে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। পরে এক অদৃশ্য কারণে সেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আবার স্থগিত হয়ে যায়। তারপরে আতাতের নির্বাচনে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা সরকার সেই মামলা বাতিল করে দেয়। যার কারণে সেই সময়ের খুনি বাপ্পাদিত্যরা এখন দ্বিগুন উত্সাথে খুন খারাবি চালিয়ে যাচ্ছে। আর সন্তানদের শোকে অঝোরে কেদে কেদে বুজ ভাসান শহীদ শিপন , মাসুম , মুজাহিদ , জসিমের মায়েরা। পিতার শোকে আজও কাতর শহীদ হাবিবুরের সন্তানেরা।
সেই মানুষিক বৈকল্য আওয়ামীলীগের , লগী বৈঠার তান্ডবের বিচার না হওয়াতে এখনো লগি বৈঠা দিয়ে সাপের মত পিটিয়ে মানুষ হত্যা করার সংস্কৃতি চালু রেখেছে আওয়ামীলীগ।
২০০৬ সালের সেই দিন আসলে কি ঘটেছিলো ?
২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রেডিও-টিভিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। মূলত এ ভাষণ শেষ হওয়ার পরপরই দেশব্যাপী শুরু হয় লগি বৈঠার তান্ডব। ২৮ অক্টোবর চারদলীয় জোট সরকারের ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বায়তুল মোকাররমের উত্তর সড়কে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ ছিলো বিকাল ৩টায়। সকাল থেকেই সভার মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। হঠাৎ করেই বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের লগি, বৈঠা ও অস্ত্রধারীরা জামায়াতের সমাবেশ স্থলে হামলা চালায়। তাদের পৈশাচিক হামলায় মারাত্মক আহত হয় জামায়াত ও শিবিরের অসংখ্য নেতা-কর্মী। তাদের এই আক্রমণ ছিল সুপরিকল্পিত ও ভয়াবহ। এক পর্যায়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পল্টনের বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পড়ে এবং নিরীহ জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের বেধড়ক পেটাতে থাকে।
পল্টন মোড়ের পৈশাচিকতা
সেদিন পুরো পল্টনজুড়ে ছিল লগি, বৈঠা বাহিনীর তান্ডবতা। লগি-বৈঠা আর অস্ত্রধারীদের হাতে একের পর এক আহত হতে থাকে নিরস্ত্র জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। তারা শিবির নেতা মুজাহিদুল ইসলামকে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। লগি-বৈঠা দিয়ে একের পর এক আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে জামায়াত কর্মী জসিম উদ্দিনকে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তারা তার লাশের উপর উঠে নৃত্য-উল্লাস করতে থাকে।
আওয়ামীলীগ এর সাথে সেই বর্বরতায় অংশগ্রহণ করে বাম ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীরা ও।
এখন আমরা সেই বর্বরতার ছবি দেখবো।
এবার দেখবেন সেই বর্বরতার কিছু ভিডিও চিত্র :
১) ২৮ শে অক্টোবর ২০০৬ , আওয়ামী বর্বরতার প্রামান্য চিত্র : ১ম পর্ব --
২) ২৮ শে অক্টোবর ২০০৬ , আওয়ামী বর্বরতার প্রামান্য চিত্র : ২য় পর্ব
৩) ২৮ শে অক্টোবর ২০০৬ , আওয়ামী বর্বরতা নিয়ে ছাত্র শিবিরের ডুকুমেন্টারী - ১ম পর্ব
৪) ২৮ শে অক্টোবর ২০০৬ , আওয়ামী বর্বরতা নিয়ে ছাত্র শিবিরের ডুকুমেন্টারী - ২য় পর্ব
৫) ২৮ শে অক্টোবর ২০০৬ , আওয়ামী বর্বরতা নিয়ে ছাত্র শিবিরের ডুকুমেন্টারী - ৩য় পর্ব
৬) ২৮ শে অক্টোবর ২০০৬ , আওয়ামী বর্বরতা নিয়ে হৃদয়স্পর্শী গান :
রক্তে রঞ্জিত ক্ষত বিক্ষত , প্রিয়জনের মুখ আজ যায়না চেনা
৭) ২৮ শে অক্টোবর ২০০৬ , আওয়ামী বর্বরতা নিয়ে আরেকটি গান :
ওরা আওয়ামী , ওরা বাকশালী , ওরা বৈঠা লগি অস্ত্রধারী -
এতক্ষণ বর্বরতার চিত্র দেখলেন। এবার দেখবেন ঐদিন বর্বরতায় কারা কারা শহীদ হয়েছিলো এবং তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি :
১)
নামঃ শহীদ হোসাইন মুহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম
পিতাঃ মোঃ দেলোয়ার হোসেন,মাতা : মাহমুদা দেলোয়ার মুন্নি
বয়সঃ ২২ বছর,স্থায়ী ঠিকানাঃ গ্রামঃ কুলশ্রী
ডাকঘরঃ দরগাবাজার,উপজেলাঃ চাটখিল,জেলাঃ নোয়াখালী
ভাই-বোনঃ দুই ভাই এক বোন
শিক্ষাজীবনঃ শাহাদাতের সময় তিনি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিবিএ অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
সাংগঠনিক জীবনঃ সংগঠনের সদস্য ও মিরপুর ১০ নং ওয়ার্ড সভাপতি ছিলেন।
শাহাদাতের তারিখ ও স্থান-
২৮ অক্টোবর ২০০৬ বায়তুল মোকাররমের উত্তর সড়কে ১৮ দলের হামলায় আহত হয়ে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে শহীদ হন। শহীদ-১২৬ তম
২)
নামঃ শহীদ হাফেজ গোলাম কিবরিয়া শিপন
পিতা : মো: তাজুল ইসলাম
পিতার পেশা : সরকারি চাকরি
মাতা : মোছা: মাহফুজা বেগম
মাতার পেশা : গৃহিণী
বয়স : ২১ বছর
স্থায়ী ঠিকানা : ১১৯/১/খ, পূর্ব বাসাবো,
ঢাকা-১২১৪
ভাইবোন : তিন ভাই ও এক বোন
শিক্ষাজীবন : শাহাদাতের সময় তিনি ঢাকা কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। সাংগঠনিক জীবন : সংগঠনের সাথী ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড বায়তুলমাল সম্পাদক ছিলেন।
শাহাদাতের তারিখ ও স্থান : ২৮ অক্টোবর ২০০৬ বায়তুল মোকাররমের উত্তর সড়কে ১৪ দলের হামলায় আহত হয়ে ইসলামী ব্যাংক সেন্ট্রাল হাসপাতালে শহীদ হন।
শহীদ : ১২৭তম
৩)
নামঃ শহীদ সাইফুল্লাহ মুহাম্মদ মাসুম
পিতা : মাহতাব উদ্দিন আহমদ
পিতার পেশা : অবসরপ্রাপ্ত
মাতা : শামছুন নাহার রুবি
মাতার পেশা : শিক্ষিকা (উপাধ্যক্ষ, ব্রাইটফোর ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা)
বয়স : ১৬ বছর
স্থায়ী ঠিকানা : ১৩০/১৬, বাগানবাড়ি, মাদারটেক, বাসাবো, সবুজবাগ, ঢাকা।
ভাইবোন : দুই ভাই ও তিন বোন
শিক্ষাজীবন : শাহাদাতের সময় তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজে ইংরেজি বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
সাংগঠনিক জীবন : সংগঠনের সাথী ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ সভাপতি ছিলেন।
শাহাদাতের তারিখ ও স্থান : ২৮ অক্টোবর ২০০৬ বায়তুল মোকাররমের উত্তর সড়কে ১৪ দলের হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ নভেম্বর ২০০৬ ভোর ৪টায় ইবনে সিনা হাসপাতালে শহীদ হন।
শহীদ : ১৩১তম
৪)
শহীদ হাবিবুর রহমান মৃধা:
মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার নিবিড় পল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন শহীদ হাবিবুর রহমান মৃধা। পরবর্তীতে জীবিকার সন্ধানে চলে আসেন ঢাকায়। এসবের মাঝেও বেশি সময় ব্যস্ত থাকতেন মানুষকে কুরআন ও হাদীসের কথা বলার জন্য। মাত্র ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া হাবিবুর রহমান আয়ত্ত করেছিলেন কুরআন হাদীসের অনেক বিষয়। যার প্রমাণ পাওয়া যায় তার নিকটাত্মীয় ও এলাকার লোকদের সাথে কথা বলে। তারা জানান, হাবিবুর রহমান আত্মীয়-স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীদের নিকট যখনই যেতেন তাদের সালামের দাওয়াত দিতেন। কুরআন হাদীস নিয়ে আলোচনা করতেন।
২৮ অক্টোবর তাকে লগি বৈঠা বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। প্রথমে তারা হাবিবুর রহমানকে গুলী করে। তারপর লগিবৈঠা দিয়ে উল্লাসের সাথে পিটিয়ে হত্যা করে। এরপর তার লাশ দীর্ঘক্ষণ রাস্তার উপরে পড়ে থাকে। পরে তারা লাশটি গুম করার উদ্দেশ্যে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ উদ্ধার করে লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেও চলে লাশ ছিনিয়ে নেয়ার নানা চেষ্টা। তার নাম মনির হোসেন এবং দলীয় কর্মী দাবি করে আওয়ামী লীগ।
৫)
শহীদ জসিম উদ্দিন: (১)
১৯৭২ সালে চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সুদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। ২০০৪ সালে ২৩ জুলাই চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলার মনিপুর গ্রামের নারগিস আক্তারের সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০০৫ সালের ১৫ মে তিনি কন্যা সস্তানের জনক হন।
লগি বৈঠার তা-বের শিকার হয়ে শহীদ হয়েছেন জসিম উদ্দিন। শহীদ জসিম উদ্দিন ৪ ভাই ২ বোনের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন। বড় ভাই ১৯৯৯ সাল থেকে আমেরিকা অবস্থান করছেন। অপর দুই ভাইও আয়ারল্যান্ডে অবস্থানরত। শহীদ জসিম উদ্দিন ১৯৯৬ সালে সিঙ্গাপুর যান। সেখানে তিনি ২ বছর অবস্থান করেন। ২০০১ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০০২ সালে সৌদি আরব ও ২০০৫ সালে পুনরায় দক্ষিণ আফ্রিকায় যান। পিতার মৃত্যুর সংবাদ শুনে ২০০৬ সালের মার্চে তিনি দেশে আসেন। ১২ নবেম্বর পুনরায় দক্ষিণ আফ্রিকা চলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবর সবকিছু তছনছ হয়ে যায়। লগিবৈঠা বাহিনীর বুলেটের আঘাতে লাশ হতে হলো শহীদ জসিম উদ্দিনকে।
৬)
শহীদ জসিম উদ্দিন:
১৯৮৬ সালের এপ্রিল মাসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর কর্মী ও ৬৬ নং ওয়ার্ডের মিটফোর্ড ইউনিটের সভাপতি ছিলেন। লালবাগের মিটফোর্ড রোডে তাদের বাসা।
২৮ অক্টোবরে লগি-বৈঠা বাহিনীর নির্মম শিকার লালবাগের শহীদ জসিম উদ্দিন। সেদিন লগি-বৈঠাধারী সন্ত্রাসীরা তাকে শুধু সাপের মতো পিটিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, লাশের ওপর উঠে পৈশাচিক নৃত্য উল্লাস করেছে, করেছে আনন্দ উল্লাস। কী অপরাধ ছিল জসিমের? কেন তাকে মরতে হলো? এ প্রশ্নের জবাব আজো খুঁজে পায়নি তার বাবা-মা।
২৮ শে অক্টোবর উপলক্ষে প্রত্যেক বছর বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন কর্মসূচি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। বিবেকবান মানুষদের বিবেককে স্বরণ করিয়ে দিতে প্রচার করে লিফলেট , পোস্টার , স্টিকার। এবার এই বছরের সেই রকম কিছু চিত্র তুলে ধরবো এখন :-
উত্তরা থানা জামায়াতের লিফলেট বিতরন
২৮ শে অক্টোবর নিয়ে কিছু আর্টিকেল ও ব্লগ :-
১) চেতনায় ২৮ শে অক্টোবর
শাহ মাহফুজুল হক
২) ২৮ শে অক্টোবর আহত নূর উদ্দিন
৩) ২৮ শে অক্টোবর’০৬ স্মরণে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিবিরের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
৪) সেই ভয়াল ২৮ শে অক্টোবর কত মায়ের চোখে পানি।
৫) চূড়ান্তভাবে ২৮ অক্টোবরের মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার কোন সুযোগ নেই
- হারুন ইবনে শাহাদাত
৬) ২৮ শে’র রক্ত পিপাসুরা এখনো থামেনি : আব্দুল জব্বার
এই নির্মমতা ও বর্বরতার বিচার না হওয়াতে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা দ্বিগুন উত্সাহে একই কায়দায় খুন চালিয়ে যাচ্ছে। লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা , মারার পর লাশের উপর নৃত্য করা ইত্যাদি করে যাছে অহরহ। তারা জানে তাদের বিচার হবে না। বিচার না হওয়াতে খুনিরা ঠিক একই কায়দায় নাটোরের সানাউল্লাহ বাবুকে হত্যা করেছিলো। তার ও কোনো বিচার হয়নি। উল্টা ভিডিওতে সন্ত্রাসীদের দেখা গেলে ও আদালত তাদেরকে খালাস দিয়ে দিয়েছিলো।
উপরোক্ত ২ ঘটনার বিচার না হওয়াতে ২০১৩ সালের ৫ ই মার্চ ঢাকার পল্টন ও শাপলা চত্বর এলাকায় আওয়ামীলীগ লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে তার উপর নেচেছিলো।
২৮ শে অক্টোবর ২০০৬ এ খুনিরা এইভাবে অস্ত্র হাতে হামলা করেছিলো। এই ছবিটি হেফাজতের উপর হামলার ছবি।
২৮ শে অক্টোবরের মত একই কায়দায় আবারো হেফাজতের উপর বর্বরতা।
পল্টনে হেফাজতের কর্মীদের সাপের মত পিটিয়ে হত্যা, আরো ছবি পাবেন এখানে
উপরে উল্লেখিত ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে বুঝা যায় , আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ও জঙ্গিরা মানুষ হত্যার জন্য ২৮ শে অক্টোবরের মত ঘৃণ্য পদ্বতি বেচে নিচ্ছে। বিচারিক আদালতে তাদের বিচার না হওয়াতে তারা আরো দ্বিগুন উত্সাহ পাচ্ছে। আওয়ামীলীগের এহেন বর্বর অমানবিক সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে হলে দেশে আইনের শাসন জরুরি। নাহলে এই সব সন্ত্রাসীরা এই ধরনের বর্বরতা ঘটিয়েই যাবে।
বিষয়: বিবিধ
২৫৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন