ছোটকালের সিনেমা দেখা আর অনন্তের What is Love এবং প্রবাসীদের What is Eid ??
লিখেছেন লিখেছেন চেয়ারম্যান ০৫ অক্টোবর, ২০১৪, ১১:০৪:৩৬ রাত
আমি নানুর আদরের নাতি। কি রকম আদরের লিখে বুঝানো যাবে না।এখনো ফোন দিতে দেরী হলে বলবে , হ্যা এখন আর আমার কি দরকার। এখন তো নতুন একজন এসেছে। আম্মার বড় ছেলে আর নানীর বড় নাতি হিসেবে নানাদের বাড়িতে বেশি যাওয়া হতো। স্কুল শেষ করে প্রায় বৃহস্পতিবারেই নানুর বাড়িতে যেতাম। আমার আম্মার বিয়ের কয়েক মাস পরে নানা মারা যায়,তাই নানাকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি। ইনশাল্লাহ জান্নাতুল ফেরদাউসে নানার সাথে দেখা হবে মহান রবের কাছে সেই প্রার্থনা।
ছোট কালে আমাদের ঘরে টিভি ছিলো না। কারণ দাদা টিভি আনতে দিবে না। ছোটকালে আলিফ লায়লা দেখার কারণে দাদার যে কত দৌড়ানি খেয়েছি তার কোনো খেয়াল নেই। তাই নানীকে দেখা ছাড়া ও ,নানা বাড়িতে যাওয়ার আরেকটি কারণ হলো শুক্রবারের বাংলা সিনেমা দেখা। সাদা কালো টিভিতে , বাজার থেকে ব্যাটারি ভাড়া করে , শুক্রবারের সিনেমা দেখতাম। সিনেমার করুন কাহিনী দেখে কেদে দিতাম। আর ভিলেনদের কে অভিশাপ দিতাম। কেন নায়ক,নায়িকাদের এত কস্ট দেয়। শুক্রবারে সিনেমা দেখে আবার শনিবার সকালে সরাসরি স্কুলে এসে ক্লাস করতাম।
আমাদের থানাতে সিনেমা হল না থাকাতে লাকসাম গিয়ে সিনেমা দেখতাম। লাকসামে ২ টি সিনেমা হল আছে। একটির নাম পলাশ , আরেকটির নাম পড়শী। যখন একদম ছোট ছিলাম তখন মনে করতাম, পলাশে মনে হয় পলাশ নামের কোনো ছেলে নাচ ,গান ও অভিনয় করে। আর পড়শীতে , পাড়া পড়শী মিলে অভিনয় গান,নাটক করে।
তবে বড় হয়ে ও কিছু সিনেমা দেখেছি। বন্ধু আলমগীরের সাইকেলে চড়ে একসাথে তিন জন সিনেমা দেখতে যাওয়া। ৩ জন নিয়ে এক টানা ৭ কিলোমিটার সাইকেল চালানো একজনের জন্য কস্ট হয়ে যেত। তাই ৭ কিলোমিটার রাস্তায় শিফট করে চাইকেল চালাতাম। সিনেমা যাওয়ার টাকা না থাকলে ও কোথায় থেকে টাকা যোগার হত নিজেই জানতাম না। সিনেমা দেখতাম ১২ টা থেকে ৩ টা। বাড়ি থেকে স্কুলে আসার নাম করে সিনেমা দেখতে যেতাম। সিনেমা শেষ করে স্কুলের কাছাকাছি আসতে আসতে স্কুল ছুটি হয়ে যেত.. আর বাজারের কোনো দোকানে রেখে যাওয়া বইগুলো নিয়ে স্কুল ফেরত ছাত্রছাত্রীদের সাথে বাড়িতে যেতাম।
আহ আম্মা তো ভাবতো , আমার ছেলে কত লেখাপড়া করে রে। তবে আম্মা মাঝে মাঝে আমাদের বাড়ির ক্লাসমেট গোয়েন্দাগুলোর মাধ্যমে জেনে যেত আমি কোথায় গিয়েছি। তখনি শুরু হত নন-স্টপ শলার মুঠোর পিঠা। আর এই রকম স্কুল কামাই নিয়ে স্যারেরা তেমন কিছু বলতো না। কারণ আমি ছিলাম সব সময় ক্লাসের ফার্স্ট বয়।
আমাদের বাজারে কয়েকটি সিডি প্লাস চা দোকান ছিলো। সেগুলোতে ২ টাকার কিছু খেলে ১ টি সিনেমা দেখা যেত । তো বিল্লালের দোকানে একদিন চুরি করে সিনেমা দেখতেছি। বর্তমানে সৌদি প্রবাসী শরিফ ভাইয়ের মাধ্যমে আমার দাদা জেনেছে আমি সিনেমা দেখছি। শরিফ ভাই চাইতো না আমি এই সব দেখি। হটাত দেখলাম আমার দাদা সিডি দোকানে ডুকে দিছে দৌড়ানি।
ধরা খেলে নিশ্চিত দাদার হাতের মাইর খেতে হবে। তাই সিডি দোকানের পিছন দিয়ে দিলাম দৌড়। যেখান দিয়ে দৌড় দিলাম সেখানে ছিলো কোমর সমান পানি। কোনো রকমে সাতরে , ভিজা প্যান্ট নিয়ে চলে গেলাম নানার বাড়িতে। ২ দিন পরে বন্ধু মারফত জানলাম ছোট ভাই অসুস্থ। তারপর বাড়িতে আসার পর অবশ্য দাদা কিছু বলে নাই। দাদার এই রকম দৌড়ানি খাওয়ার অনেক স্মৃতি আছে।
বর্তমান সময়ে অবশ্য সিনেমা দেখাই হয় না। ফেসবুক, ব্লগ,নিউজ নিয়েই সময় চলে যায়। বিভিন্ন কারণে আলোচিত বর্তমান সময়ের আলোচিত নায়ক অনন্ত জলিলের সাথে এটিএন বাংলার এক সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করি। তিনি সেই সাক্ষাত্কারে ইংলিশ উচ্চারণে কিছু ভুল করার কারণে আরো বেশি আলোচিত হয়েছিলেন। যাই হোক অনন্তের যখনি কোনো ছবি বের হয় তখন প্রথাগত মিডিয়ার সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়াতে ও ঝড় উঠে। তার সর্বশেষ ছবির নাম সম্ভবত নিঃস্বার্থ ভালোবাসা'.ইংরেজিতে সিনেমাটির নাম রেখেছেন (What Is Love)? । এত দিন নামের এই ইংরেজি রূপক অর্থের কোনো অর্থ বুঝেনি।
তবে গতকাল রাত্রে যখন হটাত ঈদ নিয়ে ভাবতেছি , আনমনে অনন্তের ছবির মত ভাবলাম , What is Eid ? নরমাল অর্থ দাড়ায় ঈদ মানে কি ? কিন্তু আপনি যদি অনন্তের এই ছবির মত , বাংলাদেশের একটি বৃহত জনগোষ্ঠী , যারা বাংলাদেশের ইকনোমিকে টিকিয়ে রেখেছেন , তাদের জীবনধারা ও কার্যক্রম ভাবেন , তাহলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জীবনে ও বছরের ২ টি ঈদ , অনন্তের ছবির মত , What is Eid । অর্থাৎ নিঃস্বার্থ ঈদ।
আপনি যখন দেশে থেকে ঈদের পরিকল্পনা করছেন , কেমন পোশাক কিনবেন,বা আপনাদের কোরবানির গরুটি কেমন হবে , তখন প্রবাসে অবস্থানকারী আপনার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তিটি , আপনার পোশাক ও কুরবানির গরুর টাকা যোগাতে , হয়তো টাকা বাঁচানোর জন্য দুপুর বেলায় ঠিকভাবে খায়নি। সেই বাচানো টাকা পাঠায় আপনাদের জন্য। আপনারা ঈদে নতুন পোশাক পড়ে আনন্দ করেন , আর হয়তো আপনার ভাই আপনাদের পড়ালেখা চালাতে গিয়ে গত ৩ ঈদে নিজের জন্য একটি প্যান্ট ও কিনেনি। যদি ও তার প্যান্টটি নিচ দিয়ে ছিড়ে গেছে।
প্রবাসে অবস্থানকারী ভাইটি যখন একমাস বাড়িতে টাকা পাঠাতে না পারে , তখন আপনাদের হাজারো অভিযোগ। ভাই কেন ঠিক মত টাকা দেয় না ? কিন্তু আপনি কি কখনো ভাইকে এক মিনিট ফোন দিয়ে জিগ্যেস করেছেন , ভাই কি কোনো সমস্যায় আছে ? না আপনার হাতে সেই সময় কই ?
বর্তমান সময়ে ভাইবার ,স্কাইপের যুগে এক মিনিট কল করতে কোনো টাকাই খরচ হয় না। আপনার ভাই আপনার জন্য যখন বিদেশ থেকে টাকা পাঠায় , সেই টাকাটি পাওয়ার পর এক মিনিট ফোন করে টাকা পাওয়ার কথাটি শুনানোর সময় নেই। থাকতো ধন্যবাদ দেওয়া।;
আপনার ভাইয়ের প্রদত্ত টাকা যখন শেষ হয়ে যায় , তখন হয়তো একটি মিস কল দিয়ে ভাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চান ,ভাই টাকা দরকার। কিন্তু আপনার ভাই যে আকামা , বা ভিসা লাগাতে গিয়ে প্রত্যেক বছর অনেক টাকা খরচ করে , অথবা মালিকের কাছ থেকে বেতন পায়নি , এগুলো কখনই বিবেচনা করেন না।
প্রবাসে সব সময় আপনার আপনজন একাকীত্বে থাকে। আপনারা যখন আত্মীয় স্বজনের বাসায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন , আপনার প্রবাসী ভাইটি হয়তো ঈদের দিন কোনো ছুটি পায়নি। অথবা পেলে ও আপনাদের কথা ভেবে একাকী একাকীত্বে বাসায় বসে নীরবে অশ্রু বিসর্জন করছে ।
তবু ও ঈদ উপলক্ষে ও ৮৮ লক্ষ প্রবাসীর মধ্যে অনেক প্রবাসীর খবর বাংলাদেশে অবস্থানরত আত্মীয় স্বজনরা না নিলে ও , একটি শুভেচ্ছা না পেলে ও , নিঃস্বার্থভাবে আপনাদের রুটি রুজির ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। আর এই রুটি রুজির ব্যবস্থা করতে পেরেই আপনার ভাইটি অনেক খুশি। আর পার করছে,What is Eid অর্থাৎ নিঃস্বার্থ ঈদ
আর এই ভাবেই সংগ্রাম করে যাচ্ছে ৮৮ লক্ষ বাংলাদেশী প্রবাসী। সেই রকম একজন প্রবাসীর পক্ষ থেকে সবাইকে ঈদ মুবারক।
বিষয়: বিবিধ
২৬১২ বার পঠিত, ৫৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ছোটবেলা দেখা যায় আমাদের মতোই ভয়াবহ বেত্তোমিয ছিলেন ...
তয় ভাবি ভালো?
ঈদ মুবারক। ঈদের শুভেচ্ছা 3:-O 3:-O
ফেলে আসা শৈশবের সোনালী দিনগুলোর বর্ণনা অজান্তেই টেনে নেয় সুদুর অতীতে।
প্রবাসীদের জীবন পর্যলোচনায় অসাধারণ মুল্যায়ণ সম্বলিত আবেগঘন সুন্দর লেখনী উপহার দেয়ায় অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানচ্ছি..........
ঈদ মুবারক
গরু না খাসি ? <:-P
আসলে ছোটকালে এই রকম কিছু না কিছু ঘটনা সবার একই রকম ছিলো। কারণ ঘটনাগুলো তো সবাই মিলেই হত
আমি দৌড়ানি বেশি খেয়েছি ক্রিকেট খেলার জন্য। সেটা না হয় আরেক দিন লিখব।
ডারুণ উপভোগ্য পোস্ট
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
ঈদের শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক
ত্যাগের আলোয় ব্যক্তি ও সমাজ জীবন আলোকিত হোক
আপনাকে ও ধন্যবাদ। ভাবি বাচ্চা সহ ফ্যামিলির সবাইকে ঈদ মুবারক।
আল্লাহ আমাদের কুরবানির প্রকৃত শিক্ষায় আলোকিত করুক। আমিন
বিদেশ গিয়ে আকামার ঝক্কি ঝামেলায় পড়ে হা হুতাশ করে টাকা ঠিক ঠাক না দিলে বউটা থাকেবতো!
যাকগে সমবেদনা সকল প্রবাসীর জন্য।
প্রবাসজীবনের কথা পড়ে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে এলো !
দোআ রইলো প্রবাসীর পাঠানো টাকাকে ভালোবাসার সাথে সাথে প্রবাসী ভাইটিকেও এর থেকে বেশি ভালবাসুক তার পরিবার পরিজনেরা!
সুন্দর ও স্টিকি পোস্টে অনেক অনেক শুভেচ্ছা!
আলহামদুলিল্লাহ ফার্স্ট বয় হিসেবে স্যারেরা অনেক আদর করতো। স্কুল মিস করলে ও কিছু বলতো না
মন ভরাক্রান্ত করে কি করবেন। এটাই তো বাস্তবতা আপুনি।
আপনাকে ও শুভেচ্ছা এবং ঈদ মুবারক। সাথে আপনার পরিবারকে ও
আসলেই প্রবাসীদের বেদনা শুধু প্রবাসীরাই বুঝতে পারে
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও ঈদ মুবারক
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও ঈদ মুবারক
নানীকে দেখা ছাড়া ও ,নানা বাড়িতে যাওয়ার আরেকটি কারণ হলো শুক্রবারের বাংলা সিনেমা দেখা। - সিনেমা দেখে জান্নাতুল ফেরদৌস যাত্রা?
তখনি শুরু হত নন-স্টপ শলার মুঠোর পিঠা
কোনো রকমে সাতরে , ভিজা প্যান্ট নিয়ে চলে গেলাম নানার বাড়িতে।
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা'.ইংরেজিতে সিনেমাটির নাম রেখেছেন (What Is Love) - চমৎকার অনুবাদ
বাংলাদেশের একটি বৃহত জনগোষ্ঠী , যারা বাংলাদেশের ইকনোমিকে টিকিয়ে রেখেছেন , তাদের জীবনধারা ও কার্যক্রম ভাবেন , তাহলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের জীবনে ও বছরের ২ টি ঈদ , অনন্তের ছবির মত , What is Eid । অর্থাৎ নিঃস্বার্থ ঈদ।
আপনি যখন দেশে থেকে ঈদের পরিকল্পনা করছেন , কেমন পোশাক কিনবেন,বা আপনাদের কোরবানির গরুটি কেমন হবে , তখন প্রবাসে অবস্থানকারী আপনার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তিটি , আপনার পোশাক ও কুরবানির গরুর টাকা যোগাতে , হয়তো টাকা বাঁচানোর জন্য দুপুর বেলায় ঠিকভাবে খায়নি। সেই বাচানো টাকা পাঠায় আপনাদের জন্য। আপনারা ঈদে নতুন পোশাক পড়ে আনন্দ করেন , আর হয়তো আপনার ভাই আপনাদের পড়ালেখা চালাতে গিয়ে গত ৩ ঈদে নিজের জন্য একটি প্যান্ট ও কিনেনি। যদি ও তার প্যান্টটি নিচ দিয়ে ছিড়ে গেছে।
প্রবাসে অবস্থানকারী ভাইটি যখন একমাস বাড়িতে টাকা পাঠাতে না পারে , তখন আপনাদের হাজারো অভিযোগ। ভাই কেন ঠিক মত টাকা দেয় না ? কিন্তু আপনি কি কখনো ভাইকে এক মিনিট ফোন দিয়ে জিগ্যেস করেছেন , ভাই কি কোনো সমস্যায় আছে ? না আপনার হাতে সেই সময় কই ? - প্রবাসীদের মনের কথা বলেছেন ভাই, এই পোস্ট স্টিকি করার জন্য মডারেটরদের ধন্যবাদ
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু ও ঈদ মুবারাক। আল্লাহ আমাদের ভাল কাজগুলো গ্রহন করুন এবং আমাদের ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিন, আমীন
আপনি তো প্রবাসে আছেন। আপনি ও এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী।
ওয়ালাইকুম আসসালাম।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও ঈদ মুবারক
প্রবাসিদের টাকার যে অপব্যবহার হয় সেই জন্য প্রবাসিরাও খানিকটা দায়ি। আমি দেখেছি বিদেশ থেকে প্রচুর অর্থ নিয়ে এসে সেই অর্থ বোনের বা মেয়ের বিয়েতে বিপুল অপচয় করে আবার বিদেশে ফিরে যাচ্ছে। এই অর্থ যদি কো উৎপদন মুলক ক্ষেত্রে ব্যায় করা হতো সেই ক্ষেত্রে তা দেশের ও অনেক উপকারে আসত। এক প্রবাসিকে দেখেছি ছোটভাইকে পার্টটাইম চাকরি করতে দেয়নি পড়ার ক্ষতি হবে বলে। সেই ছোটভাই দির্ঘদিন চাকরি পায়নি। তার খরচ বহন করতে হয়েছে তাকেই। অথচ ছেলেটি যদি পড়ার সময়ই পার্টটাইম চাকরি করত তাহলে সে সহজেই একটি চাকরি পেত তার অভিজ্ঞতার জন্য। প্রবাসিদের আমার মনে হয় আবেগ কে নিয়ন্ত্রন করে চলার চেষ্টা করা উচিত। এই আবেগের জন্য তাদের পরিশ্রম এর ফল নষ্ট হচ্ছে।
ভাই ইচ্ছে করলেই বিয়েতে কম খরচ করা যায় না। আমার বিয়েতে একদম সিম্পল করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারা যায় না। আত্মীয় স্বজনদের কত আবদার।
তবে এটি ঠিক অনেক প্রবাসী সুযোগ থাকা সত্বে ও উত্পাদনমূলক খাতে বিনিয়োগ করে না। তবে আমাদের দেশে যেহেতু মেক্সিমাম মানুষ মিডল ক্লাসের , তাই সবাই আগে একটি ভালো বাড়ি করতে চায়। এই টাকা দিয়ে উত্পাদনমুখী কিছু করে , যদি ইনকামের একটি সোর্স তৈরী করা যায় তাহলে সারা জীবন বিদেশ করতে হয় না
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও ঈদ মুবারক
প্রবাসীদের কথাগুলো পড়ে খুব খারাপ লাগলো।
পোস্ট সুন্দর হয়েছে - ভালো লাগলো অনেক। যাজাকাল্লাহু খাইর।
হ্যা ভাই এই ভাবেই প্রবাসীরা দেশকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও ঈদ মুবারক
এক বড় ভাই দীর্ঘ প্রবাস জীবনে আয় করা মোটা অঙ্কের টাকা ছোটভাইকে পাঠিয়েছিলেন দুই ভাই একত্রে ব্যবসা করবেন বলে। ছোটভাই সে টাকায় শহরে বড় ব্যবসা দাঁড় করায়। দেশে ফিরে বড় ভাইও ব্যবসায় অংশগ্রহণ করে। কিন্তু এক মাসের মাথায় বড়ভাইকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বিদায় করা হয়। কিছুই করার ছিল না। আদরের বিশ্বস্ত(??)ছোটভাই ব্যবসার সমস্ত কাগজপত্র নিজের নামে করে নিয়েছে। সে বড় ভাই এক কন্যা ও স্ত্রী নিয়ে অসহায় অবস্থায় পড়ে আবার ধারকর্জ করে বিদেশ গেল। এ হচ্ছে অবস্থা!
ভাল্লাগ্লো খুব...
মন্তব্য করতে লগইন করুন