বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ মুজিবের স্থান হলো,বাঁদরের তৈলাক্ত বাঁশ বেড়ে উঠার গল্পের মত
লিখেছেন লিখেছেন চেয়ারম্যান ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৭:৪১:২১ সন্ধ্যা
আপনারা হয়তো স্কুলে থাকার সময় বাঁদরের বাঁশে উঠার গল্পটি পড়েছিলেন ছিলেন। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যবেক্ষণে আমার মনে হলো,বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ মুজিবের স্থান হলো,বাঁদরের তৈলাক্ত বাঁশ বেড়ে উঠার গল্পের মত :P
সারাজীবন অমি পিয়াল গোত্রের লোকজন তৈল আর ধাক্কা দিয়ে মুজিবকে বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁশের আগার কাছাকাছি নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়দিন পরেই মুজিব কাকু ইতিহাসের বাঁশের আগার কাছাকাছি স্থান থেকে ধপাস করে পড়ে যান :P
একবার মেজর জলিল টান দেন তো , আবার কাদের সিদ্দিকী, পরের বার কবি শামসুর রহমান :(
পরে জাফর ষাড় আওয়ামী রাজনীতির দুর্বত্তায়ন না দেখার ভান করার জন্য যখন পত্রিকায়, নিজের বাসায় টেলিভিশন নেই বলে মিথ্যা কথার মাধ্যমে পত্রিকায় কলাম লেখে আওয়ামীলীগের জঙ্গীপনা রাজনীতির দায়মুক্তি দেন , সেই জাফর স্যারই আবার ১৫ ই আগস্ট কলাম লিখেন , ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখনি ,আমার বাসায় আমি শুধু বঙ্গবন্ধুকে দেখার জন্যই টেলিভিশন কিনেছিলাম। অথবা শাহবাগীদের উত্সাহ দিতে বলেন , বঙ্গবন্ধু কবর থেকে শাহবাগীদের লম্পজম্প দেখে আনন্দিত হচ্ছেন। এই রকম কথা বলে জাফর ইকবাল যখন আবার মুজিবকে বাশের আগায় উঠাতে চান , তখনি তাজউদ্দিনের মেয়ে মুজিব কাকুর লেঞ্জা ধরে টান মারেন। কাকু এক্কারে বাশের গোড়ায় চলে আসেন।
কবি শামসুর রাহমান নিজেও তাঁর স্মৃতিচারণমূলক বই 'কালের ধুলোয় লেখা' বইতে লিখেছেন যে শেখ মুজিব, "জয় বাংলা, জিয়ে পাকিস্তান!" বলে তাঁর বক্তব্য শেষ করেছিলেন
আবার যখন মুরগি কবর ও নবনীতম্বরা , শেখ মুজিবকে নিয়ে কোনো বিতর্ক হবে না , উনি ইতিহাসের চতুর্থ আসমানে অবস্থান করছে বলে যখন একাত্তর টিভিতে মুজিব পূজা শুরু করে , তখনি জেনারেল সফিউল্লাহ শেখ মুজিবের পায়জামা ধরে টান দেন , তখনি মুজিব কাকু বাঁশের মাঝামাঝি চলে আসেন।
আবার যখন বর্তমান সময়ের ও বাংলাদেশের সর্বশ্রেস্ট মুক্তিযুদ্বের পেপারকার্টিং গবেষক , চটি ওরফে পর্দা পিয়াল, ডক্টর আইজু , সুশান্ত ও সিপি ( *দানীর পোলা ) গ্যাং শেখ মুজিবকে তাদের জন্মদাতা বাপের চেয়ে বেশি মনে করে , বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ন খচিত অক্ষরে লিখে রাখতে চায়, তখনি লন্ডন থেকে তারেক জিয়া একটি বোম্ব মারে , এক্কারে ইরাকের বোমা। তখনি মুজিব কাকু ইতিহাসের বাশে উঠা তো দুরের কথা , বাশ থেকে ১০০ হাত দুরে যাওয়ার উপক্রম , তখনি শেখ মুজিবের সহকারী স্বাধীনতার পর হাজারো মানুষের রক্তে রঞ্জিত যার হাত,সেই খুনি তোফায়েল ও শেখ মুজিবকে বাঁশে উঠানোর চেষ্টা না করে উল্টা খেস্তখিউর শুরু করেন , তখনি বুঝা যায় শেখ মুজিব কি আসলেই ইতিহাসের বাঁশের চূড়ায় উঠতে যোগ্য ? নাকি আমরা শুধু এতদিন আওয়ামীলীগের মিথ্যা ইতিহাসই জেনে আসছি।
তারপর শেখ মুজিবের খুনের উত্সাহ্দাতা , শেখমুজিব মারা যাওয়ার পর ট্যাঙ্কের উপর নেচে গেয়ে আত্মসমপর্ন করেছেন , সেই সব ইনু মেননরা পিতার কাফফারা দিয়ে এবং ৪০ হাজার জাসদ নেতাকর্মীর রক্তের সাথে বেইমানি করে ,হাসিনার পা লেশন করে,বঙ্গবন্ধু না হলে এই দেশ হতো না , তিনিই বাঙালি জাতির জনক বলে মুজিবকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন , তখনি একে খন্দকার মুজিবকোটকে টান মেরে একেবারে বাশের গোড়ায় এনে মুজিব কাকুর ইতিহাসের ১৪ টা বাজিয়ে দেন।
আর সাথে সাথে আওয়ামী অন্ধ সমর্থকেরা কোনো যুক্তি দিতে না পেরে ঘেউ করেন তখনি আরো ক্লিয়ার হয়ে যায় ইতিহাসে মুজিব কাকুর অবস্থান কোথায় হওয়া দরকার।
আওয়ামী ইতিহাসের বাহিরে যারা যারা শেখ মুজিব ৭ই মার্চের ভাষন , "জিও পাকিস্তান" বলে শেষ করেছিলেন বলে তাদের বইতে উল্লেখ করেছিলেন :-
বর্তমানে বাংলাদেশের এই রকম বাঁদরে ও বাঁশের মত ইতিহাসকে ফেলে , দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি বাদ দিয়ে,ইতিহাসে যার যে অবস্থান , সেই অবস্থানে রেখেই সঠিক ইতিহাসের চর্চা করা উচিত। নাহলে সারাজীবনই আমরা বাঁদর ও বাঁশের গল্প নিয়েই পড়ে থাকবো।
বিষয়: বিবিধ
৪৮৬৯ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাড়াবাড়ি করলে এই রকম পরিণতিই হবে
Very good one. I can see somebody is threatening you. The is the real face of BAL. When they see the truth they can not digest.
Thanks for sharing.
ধুতি খুইল্যা গেছে...
অনেকটা বাঁশগাছে আব্বা ঝুলে আছে, নীচ থেকে খন্দকার সাব ধৃতি টান মারছে...হেতে কি ঝুলি রইবো না ধুতি ধইরবো!
এই সময় আপনারা বেরসিকরা তামশা কর্তাছেন@!
মন্তব্য করতে লগইন করুন