থেমসের তীরে একদিন..ছবি ব্লগ ; ;
লিখেছেন লিখেছেন চেয়ারম্যান ২৪ জুন, ২০১৪, ০৯:৪৮:৩৮ রাত
থেমস নদী (টেমস নদী) ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত অন্যতম প্রধান একটি নদী। লন্ডন শহর এই নদীর তীরে অবস্থিত। লন্ডনের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হবার কারণেই এই নদী বিখ্যাত, অবশ্য আরও বেশ কিছু শহর ধুয়ে দিয়ে গেছে এই নদীটি। এর মধ্যে রয়েছে অক্সফোর্ড, রেডিং এবং উইন্ডসর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর অনেক পর্যটক এই নদী এবং নদীর উপরের টাওয়ার ব্রীজ দেখতে আসেন।
গত ২১ শে জুন , বাংলাদেশী ছাত্রদের সংগঠন বাংলাদেশ ফোরাম ইউরোপের পক্ষ থেকে থেমস নদীতে ভ্রমণের জন্য রিভার ক্রুজের ব্যবস্থা করা হয়। এই প্রোগ্রামে প্রায় ১১০ জন ডেলিগেট অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে অনেক বোনেরা ও ছিলেন। দুপুর ২ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে নদী ভ্রমন শেষ হয়।
দুপুরে প্রথমে আমরা যাই থেমসের তীরে অবস্থিত গ্রীনউইচ ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে। এর পাশে আছে মেরিন জাদুঘর।
জাদুঘরের পাশের একটি ছবি ----
তারপর ঐখানের খোলা মাঠে প্রথমে হালকা নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়।
সম্মানিত ভলেন্টিয়ার ভাইয়েরা অনেক কষ্ট করে নাস্তা বন্টন করেছিলেন।
তারপর স্কাউটের বিভিন্ন টেকনিক নিয়ে কথা বলেছিলেন সিরাজুল ইসলাম নামের এক ভাই। এবং প্র্যাকটিক্যালি ও কিছু টেকনিক , সবার অংশগ্রহনে ও দেখিয়েছিলেন।
সেই রকমই কিছু ছবি -----
খেলাধুলার পর কিভাবে নদী ভ্রমন হবে , তার নির্দেশনা দিচ্ছেন সালেহী ভাই। আর তার নির্দেশনা শুনছেন ডেলিগেট ভাইয়েরা
তারপরে আরো কিছু খেলার আয়োজন করা হয়,যেমন বেলুন ফুটানো , বালিশ খেলা..তবে বালিশ খেলায় বালিশ ছিলো না , বালিশের বদলে ফুটবল দিয়ে বালিশের প্রক্সি দিতে হয়েছিলো
তারপর দুপুরের খাবারের আয়োজন করা হয়।
খাওয়া দাওয়ার পর সবাইকে আবারো নির্দেশনা ও একটি করে ব্যাগ দেওয়া হয়। ব্যাগটিতে বিকেলের নাস্তা দেওয়া হয়েছিলো।
ব্যাগ দেওয়ার পূর্বে -----------
আমাদের সাথে তখন যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত জনাব মজিবুর রহমান মঞ্জু।
গ্রীনউইচের একটি খোলা মাঠ -------
তারপর আমরা সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষমান রিভার ক্রুজে উঠার প্রস্তুতি নিলাম ---
রিভার ক্রুজে উঠার পর থেমসের উপর চলতে থাকলো আমাদের ক্রুজ। সবাই ব্যস্ত ছবি তুলতে ---
থেমসের বুক চিড়ে চলছে আমাদের ক্রুজ।-------
ঢেউয়ের তালে তালে চলছি আমরা
প্রায় ২০-৩০ মিনিট পর টাওয়ার ব্রিজের নিচে।
টাওয়ার ব্রিজ পার হয়ে ওয়েস্টমিনিস্টারের কাছে।
একদম লন্ডন আইয়ের পাশে
পার্লামেন্ট ভবন। নদীর একদম পাশেই।
আবার আমরা ওয়েস্টমিনিস্টার থেকে ব্যাক করলাম গ্রীনউইচের দিকে। তবে আমাদের গন্তব্য এবার শুধু গ্রীনউইচ না , তার থেকে আরো দুরে। তখন প্রায় শেষ বিকেল পেরিয়ে গোধুলি লগ্ন শুরু হলো ------
এটি হলো ও-টু এরিনা। এখানে বড় বড় কনফারেন্স বা ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। কিছুটা বাংলাদেশের চায়না মৈত্রী হলের মত।
এটি হলো ক্যাবল কার। নদীর উপর দিয়ে তারের সাহায্যে কার চলে।
এখানে একটি কম্পিটিশন হচ্ছে। নিজের আঞ্চলিক ভাষায় নাম , ঠিকানা ও নিজের সম্পর্কে বলা। সালেহী ভাই রাজশাহী সম্পর্কে বলেছিলেন।
উপরের ২ টি ছবি হলো লন্ডন রক্ষার বাধ।
বাধের ওই দিক থেকে আমরা আবার ও-টু এরিনাতে ব্যাক করলাম। কারণ আমাদের এখানে নামতে হবে। এখন রাত প্রায় ১১ টার কাছাকাছি।
এবারে আমাদের প্রোগ্রাম শেষ করতে হবে। তাই অনেকের অনুভুতি জানতে চাওয়া হলো ----
উনার নাম মিজানুর রহমান। উনি একজন হোমিও ডাক্তার। আগে কখনই এই রকম ট্যুরে যান নাই। উনি ওনার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন আগে আমি অনেক ট্যুরে গিয়েছি। কিন্তু এই রকম ভালো কোনো ট্যুরে লাগে নাই। এখানে উনার সবচেয়ে যেটি ভালো লেগেছিলো , শত আনন্দের মাঝে ও সবাই নামাজের জন্য আন্তরিক ছিলো।
তারপর একে একে দ্বায়িত্বশীলরা বক্তব্য দিয়ে পুরুস্কার দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
তারপর ঘরে ফেরা ---------------------------
লন্ডনে শুধু মাত্র এই নদী দিয়ে ব্রিটিশ সরকার লক্ষ লক্ষ পাউন্ড আয় করতেছে। আমাদের জন্য ও সেই সুযোগ ছিলো। ঢাকার পাশেই বুড়িগঙ্গা ছিলো। ইচ্ছে থাকলেই অনেক কিছু করার ছিলো। কিন্তু ভূমিদস্যুদের কাছে সরকারের অসহায় আত্মসমর্পণ , নদীর অপব্যবহার , বর্জ নিষ্কাশনের কারণেই অনেক টাকা হারাচ্ছে বাংলাদেশ। বিনোদন বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ।
বিষয়: বিবিধ
২০০৫ বার পঠিত, ৫১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আবার আফসোসও লাগলো ।
এদের মাত্র গুটি কয়েক নদী । আর কি সুন্দরভাবেই না তারা এগুলোকে প্রটেক্টেড রাখে । বোঝাই যাচ্ছে যে নদীর পার গুলো সুন্দর করে বাঁধাই করা । আর আমাদের মত অবৈধ দখল তো কল্পনাও করা যায় না ও শিল্প কারখানার বর্জ্য ফেলে না ।
টেমস্ নদী কি চওড়ায় বুড়িগঙ্গার মত হবে ?
আপনি একটা খবর দেন
ভালো লাগলো ছবি,বর্ণনা
অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া ,মজিবুর রহমান মঞ্জু ভাই একবার দুবাই এসেছিলেন উনার সাথে দেখা হয়েছিল অনেক ,মিষ্টি উনার কথায় নিশ্চয় আপনারা তার কথায় অনেক তৃপ্তি পেয়েছেন ,ধন্যবাদ।
মানিনা মানবোনা চেয়ারম্যান সাহেবকে চেয়ারে দেখতে চাই।
আর এ বিষয়টি অনেক বড় অর্জন।
আমিও এরকম ঘুড়তে গিয়েছিলাম এ বছর আর আমাদের নামাজ নিয়ে বড় প্লান ছিলে আলহামদুল্লাহ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোষ্টটির জন্য।
তাই চেয়ারসহ ছবি নাই
তাইলে তো অনেক ইটিস পিটিস হইছে ভায়া
মন্তব্য করতে লগইন করুন