Exclusive: সাঈদী ও দেলু শিকদার কি একই ব্যক্তি ? ট্রাইবুনালের নথি আর বিভিন্ন দলিল কি বলে ?
লিখেছেন লিখেছেন চেয়ারম্যান ২১ এপ্রিল, ২০১৪, ০৯:১৫:৩২ রাত
২০১৩ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনাল মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে দেলু শিকদার অভিহিত করে ফাসির রায় দেন ।অর্থাৎ ট্রাইবুনাল বলছে দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম হলো দেলু শিকদার। এই পোস্টে আমরা সেই প্রশ্নটিই খুজবো আসলেই দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীই কি দেলু সিকদার ? না দেলু শিকদার নামে অন্য কেউ ছিলো ?
১) তদন্ত কর্মকর্তার স্বীকারোক্তির দলিল :
প্রথমেই যাবো ২০১২ সালের ১৮ ই জুলাইয়ে ট্রাইবুনালে দেওয়া তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের সাক্ষ্যের দিকে। ঐদিন তিনি ট্রাইবুনালে জেরায় দেলোয়ার সিকদার নামে একজন রাজাকার থাকার কথা স্বীকার করেন। ওই দিন ট্রাইবুনালের জেরার ডিফেন্স আইনজীবী মিজানুল ইসলাম তাকে প্রশ্ন করেন, ‘পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্বাদের করা রাজাকারদের তালিকায় রাজাকারের মধ্যে ৪৬ নম্বরে দেলোয়ার শিকদার, বাবা রসুল শিকদার নামে এক ব্যক্তির নাম রয়েছে? তদন্ত কর্মকর্তা জবাব দেন, জি রয়েছে।
হেলাল উদ্দিনের সাক্ষ্য দেওয়া ট্রাইবুনাল কতৃক সার্টিফাইড কপি হলো এটি
২) মুক্তিযুদ্ব সংসদের রাজাকারের তালিকায় দেলু সিকদার:
তদন্ত কর্মকর্তার উল্লেখিত স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পিরোজপুরে মুক্তিযুদ্বাদের করা রাজাকারদের তালিকায় ৪৬ নাম্বারে একজন রাজাকার ছিলো। তার নাম দেলু শিকদার। সেই তালিকার ছবি দেখবেন এখন। যেটি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ব সংসদ থেকে সংগৃহিত।
এখানে ৪৬ নাম্বার তালিকায় সুস্পট লেখা আছে যে দেলোয়ার শিকদার নামের একজন রাজাকার ছিলো এবং তার পিতার নাম রসুল শিকদার।
৩) সরকার পক্ষের আসামীর দেলু সিকদারের কথা স্বীকার :
২০১২ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারী রাজাকার দেলোয়ার শিকদার , পিতা রসুল শিকদার নামে একজন রাজাকার ছিলো এবং স্বাধীনতার পর তাকে এলাকাবাসী পিটিয়ে হত্যা করে , এই রকম স্বীকারোক্তি দিয়ে ট্রাইবুনালে সাক্ষ্য দেন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী মধুসূদন ঘোরামী ।
ট্রাইবুনালের জেরায় মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা রাজাকার দেলোয়ার শিকদারের পিতৃ পরিচয় (রসুল শিকদার) সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে প্রশ্ন করলে প্রবীণ সাক্ষী মধুসূদন ঘরামী বলেন, এই নামে একজন রাজাকার ছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার অপকর্মের কারণে মুক্তিযোদ্ধা এবং এলাকাবাসীর রোষের শিকার হয়ে পিরোজপুরে নিহত হয়ে থাকতে পারে সে।
তাহলে তদন্ত কর্মকর্তা, মুক্তিযুদ্বা সংসদের রাজাকারের তালিকা ও রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী মধুসূদন ঘোরামীর সাক্ষ্য অনুযায়ী পিরোজপুরে দেলোয়ার শিকদার ওরফে দেইল্যা শিকদার নাম একজন রাজাকার ছিলো।
অন্যদিকে দেলু শিকদারের ভাই নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে,সাঈদী এবং দেলু শিকদার একই ব্যক্তি নন. স্বাধীনতার পর তার ভাইকে মুক্তিযুদ্বারা হত্যা করেছে। দেখুন দেলু সিকদারের ভাইয়ের সেই এক্সক্লুসিভ ভিডিও :---
৫) আল্লামা সাইদী ও দেলু শিকদারের পিতার নাম ভিন্ন :
এখন আমরা দেখবো আল্লামা সাঈদীর পিতার নাম কি ?
সাঈদীর সার্টিফিকেট অনুযায়ী সাইদীর পিতার নাম ইউসুফ সাঈদী। রসুল সিকদার নয়।
তাহলে এটি সুস্পস্ট দেলোয়ার শিকদারের বাবার নাম রসুল শিকদার আর আল্লামা সাঈদীর বাবার নাম ইউসুফ সাঈদী। তারা ২ জন ২ ব্যক্তি।
৬) দেলোয়ার সাইদী ও দেলু শিকদারের পারিবারিক পার্থক্য :
এখন আমরা দেলোয়ার সাঈদীর ও দেলোয়ার শিকদারের পারিবারিক তথ্যের পার্থক্য দেখবো।
এখানে দেখা যাচ্ছে ২ জনের ২ পরিবার এবং ২ জনের পিতা ভাই,নানার তথ্য সম্পুর্ন ভিন্ন। তাহলে এটি সুস্পস্ট যে,দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে দেলু শিকদার বানিয়ে ট্রাইবুনালের দেওয়া ফাসির রায় সুস্পস্ট জুলুম।
৭) যে ২টি অভিযোগে ফাসির আদেশ তার অভিযোগ খন্ডন :
আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্বে ২ টি অভিযোগে ফাসি দেওয়া হয় , একটি হলো ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা এবং আরেকটি হলো বিশাবালি হত্যা।
@ ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা :------------
মুক্তিযুদ্বের পর ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা মামলায় ইব্রাহিম কুট্টির বউ একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু সেখানে আল্লামা সাঈদীর নাম নেই। তিনি যদি জড়িত থাকতেন তাহলে অবশ্যই সাঈদীর নাম থাকতো। উল্টো বর্তমান পিরোজপুরের ওলামা লীগ নেতা মোসলেম মওলানার নাম রয়েছে। আরেকটি মজাদার বিষয় হলো ওই মামলার এফআইআর এ দেলোয়ার হোসাইন নামের একজন সাক্ষীর নাম রয়েছে , আসামির নাম নয়।ওই এফআইআর এর কপিটি হলো
@বিশাবালি হত্যা :
আরেকটি অভিযোগ হলো বিশাবালি হত্যা মামলা। বিশাবালির ভাই সুখরঞ্জন বালিকে সত্য সাক্ষী দিতে আসার কারণে তাকে ট্রাইবুনালের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। যিনি এখন ভারতের কারাগারে আছেন।
গুম হওয়ার আগে সুখরঞ্জন বালি বলেন তার ভাইয়ের হত্যায় আল্লামা সাঈদী জড়িত ছিলেন না।
সুখরঞ্জন বালির সাক্ষ্য দেখুন। তিনি বলেছেন আল্লামা সাঈদী ৭১ সালে কোনো অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না। তার ভাইয়ের হত্যা মামলায় আল্লামা সাঈদী জড়িত নয়। এ
এই ২ দলিলে প্রমান করে দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী ৭১ সালে কোনো অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না।
৮) স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্র-পিরোজপুরের ইতিহাসে সাঈদীর নাম নেই:
আপিল শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বলেন, ‘মাওলানা সাঈদী যদি ১৯৭১ সালে কিছু করতো, তাহলে এ দুটি বইয়ে অবশ্যই তার নাম থাকতো। এটা খুবই সিগনিফিকান্ট (তাৎপর্যপূর্ণ) একটা বিষয়। এছাড়া পিরোজপুর জেলার ইতিহাস বইয়ে পিরোজপুরের কৃতি সন্তানদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। এটিও খুবই সিগনিফিকান্ট। বইটি সম্পাদনার সাথে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের নাম রয়েছে। তিনি জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিনিধিত্ব করেন। এটাও ইমপরটেন্ট বিষয়।’
৯)আয়েশা ফয়েজের বইতে ও সাইদীর নাম নেই :
মাওলানা সাইদীর বিরুদ্বে জাফর ইকবাল ও হুমায়ুন আহমেদের বাবাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু হুমায়ুন আহমেদের মা আয়েশা ফয়েজের লেখায় সাঈদীর বিরুদ্বে একটি কথা ও লিখা নাই। যদি তার স্বামীর হত্যাকারী সাইদী হত তাহলে অবশ্যই আল্লামা সাঈদীর নাম থাকতো।
১০) মুক্তিযুদ্বা শাহজান ওমর,সাদেক হোসেন খোকা সহ পেশাজীবী ও আইনজীবিদের মুখে শুনুন সাঈদী ও দেলু শিকদার একই ব্যক্তি নয়
১১) বিভিন্ন দলিলে স্বাধীনতার আগে ও পরে সাইদীর নাম সাইদীই ছিলো
এবার আমরা আরো পিছনে যাবো। বিভিন্ন দলিলে আমরা দেখবো স্বাধীনতার আগে এবং পরে দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী ছিলো , দেলু শিকদার নয়।
A ) ১৯৬৪ সালে যশোরের ওয়াজের লিফলেট :
১৯৬৪ সালে যশোরের থানার ফতেহপুর গ্রামে ফতেহপুর মসজিদ প্রাঙ্গনে একটি আজিমুশ্ শান জলসার আয়োজন করা হয়। সে জলসা উপলক্ষে তখন লিফলেট প্রচার করা হয় এলাকায়। যশোর আল আমিন আর্ট প্রেস কর্তৃক ছাপাকৃত সেই লিফলেটের একটি কপি পাওয়া গেছে। লিফলেটে ওয়াজ মাহফিলে দুজন বক্তার পরিচিতি তুলে ধরা হয়। একজন হলেন মাওলানা মো: নুরুল ইসলাম ফারুকী এবং অপরজন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।
লিফলেটে “মাওলানা মো: দেলওয়ার হোসেন সাইদী” এভাবে নামটি লেখা আছে। অর্থাৎ সেখানেও নামের সাথে সাঈদী শব্দটি ছিল।
ফতেহপুর মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে প্রচার করা হয় এ লিফলেট
এই লিফলেট স্পস্ট প্রমান করে আল্লামা সাঈদীর নাম ১৯৬৪ সালের সময় ও দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ছিলো।
B) মতিঝিল কলোনী মাঠে ওয়াজ মাহফিলের খবর :
মতিঝিল পি এন্ড টি (বর্তমানে টিএন্ডটি) কলোনী মসজিদ মাঠে ১৯৭৪ সালের ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী একটি তাফসির মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ মাহফিলে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী প্রতিদিন তাফসির পেশ করেছেন। ১৯৭৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় মাহফিলের খবরে মাওলানার নাম দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী লেখা হয়। ইত্তেফাকের কপিটি হলো
C ) ১৯৭৫ সালের জুন মাসে ইস্যু করা সাঈদীর পাসপোর্ট :
১৯৭৫ সালের জুন মাসে ইস্যু করা আল্লামা সাঈদীর পাসপোর্টে ও লেখা আছে দেলোয়ার হোসাইন সাইদী,পিতা ইউসুফ সাইদী।
পাসপোর্টের কপিটি হলো
আল্লামা সাঈদীর শুধু দেশে না বিদেশে ও বিভিন্ন সময় ওয়াজ করেছেন। সেই ওয়াজগুলোর দাওয়াত পত্রে বা লিফলেটে আল্লামা সাঈদীর নাম দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ছিলো।
D) ১৯৭৮ সাল..ইস্ট লন্ডনে মসজিদের দাওয়াতপত্র
E ) ১৯৭৮ সাল..বার্মিংহামের ওয়াজের দাওয়াতপত্র।
F ) পরের বছর আবারো লন্ডনে , অর্থাত ১৯৭৯ সালের ওয়াজের দাওয়াতপত্র। যেখানে ও নাম লেখা আল্লামা সাঈদী
G ) ১৯৭৯ সালে লন্ডনের ওয়াজের দাওয়াত পত্র
একই বছর আবারো লন্ডনের বিচহিল নামক স্থানে অর্থাত ১৯৭৯ সালের ওয়াজের দাওয়াতপত্র। যেখানে ও নাম লেখা আল্লামা সাঈদীর।
E) ১৯৮১ সালে নিউওয়ার্কে ওয়াজের লিফলেট।
১৯৮১ সালে নিউওয়ার্কে ওয়াজের লিফলেটে ও নাম লেখা আল্লামা সাঈদীর।
F ) ১৯৮৪ সালে কাতারের ওয়াজ মাহফিলে:
১৯৮৪ সালে কাতারের ওয়াজ মাহফিলে ও আল্লামা সাঈদীকে দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে হিসেবে অভিহিত করা হয়।
১২) পারিবারিকভাবে নাম রাখার ইতিহাস :
তাহলে সকল তথ্যাদি প্রমান করে আল্লামা সাঈদী আর দেলু সিকদার একই ব্যক্তি নয়। আল্লামা সাঈদীর নাম জন্ম থেকেই দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী রাখা হয়। আল্লামা সাঈদীর পারিবারিক সূত্র জানায় মাওলানা সাঈদীর জন্মলাভের পরপরই ফুরফুরা শরীফের পীর মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক এ অঞ্চল সফরে আসেন। তখন মাওলানা ইউসুফ সাঈদীর আমন্ত্রনে তিনি তাদের বাড়িতে যান এবং সদ্যজন্ম নেয়া পুত্র সন্তানের নাম রাখেন ‘দেলাওয়ার’। এটি ফার্সি শব্দ যার অর্থ যুদ্ধে বিজয়ী বীর। পারিবারিক সূত্র জানায় ফুরফুরা শরীফের পীরের দেয়া নামের সাথে তখনই বংশ পরমপরায় তার নামের সাথে ‘সাঈদী’ শব্দ যুক্ত হয়। যার প্রমান উপরের সমস্ত কাগজপত্রে আছে। পারিবারিক সূত্র আরো জানায় মাওলানা সাঈদীর পিতার নামের সাথেই শুধু সাঈদী যুক্ত আছে তা নয় বরং তার দাদার নামের সাথেও সাঈদী শব্দ যুক্ত ছিল
আল্লামা সাঈদীকে নিয়ে আরো কিছু এক্সক্লুসিভ ভিডিও দেখুন।
১৩) সরকারের পক্ষের সাক্ষীরা ও বলছেন আল্লামা সাঈদী দেলোয়ার সিকদার নয়। এবং তিনি কোনো যুদ্বাপরাধের সাথে জড়িত নয়
১৪) বিভিন্ন দলিল প্রমান করে আল্লামা সাঈদী ও দেলু শিকদার একই ব্যক্তি নয়
১৫) সেই বিখ্যাত স্কাইপে স্কেন্ডাল
বিষয়: বিবিধ
৪৭৭২০ বার পঠিত, ৪৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নিরপরাধ আল্লামা সাঈদীর মুক্তি ছাড়া আর কিছু মানি না!
আল্লামা সাইদী অবশ্যই নিরপরাধ।
মুক্তি চাই
ইসলামী আন্দোলনকে বেগবান করার সব রাস্তা তৈরী করছে খুনী হাসিনা। এসব নিষ্পাপ লোকের কান্না আরশে পৌঁছতে আর কোন বাধা নাই। আল্লাহ জালিমদের দুনিয়াতে অপদস্ত করবেন আর জাহান্নামের অতল গহবরে এদের স্থান বরাদ্ধ করে রেখেছেন।
সাঈদী সাহেব এই মিশনে নতুন নন, সূমাইয়া, খাব্বাবের রাস্তা ধরেই ইসলাম টিকে আছে, যৌবনদীপ্ত হয়ে কোটি কোটি তরুনদের প্রেরণা যোগায়।
আমরা আমাদের কাজ ঠিক ভাবে করতে হবে। বাকিটা আল্লাহ দেখবেন
কিন্তু হাম্বারা যুক্তি প্রমাণ মানেনা, দুই নম্বরী কইরা জিততে চায়।
বিবেক যাদের অন্যের কাছে বন্ধক রাখা তাদের কাছে এসমস্ত বিষয় দলীল কোন কাজে আসে না।
যারা মিথ্যা বলে এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় উভয়েই জাহান্নামী। যারা এ কাজে বাধ্য করে তারাও।
পোস্টে প্লাস+++++++++++++++
অনেক ধন্যবাদ
জাযাকাল্লাহ খায়ের
কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে জামাতীরা ত্যাগ স্বীকার করে, রক্ত ঝড়িয়ে আন্দোলন সফলতার ধারপ্রান্তে আনার আগেই তাদেরকে মিসগাইড করে ফেলে তাদের কথিত রাজনৈতিক বন্ধুরা।
গত বছর যখন সাঈদীকে জুডিশিয়াল মার্ডারের ফরমাইশী রায় ঘোষণা করলেন তখন সারা দেশ অগ্নি গর্ভ হয়ে জনবিস্ফোরণ ঘটেছিল। কিন্তু জামাতীরা যাদেরকে রাজনৈতিক বন্ধু হিসেবে এতোদিন দহরম মহরম করে আসছিল সেই বাইয়ুনপি নামের হিজরা দলের হিজরাদের বুদ্ধি ধইরা হঠাৎ আন্দোলনের বারুদে পানি ডেলে দিলেন নিজেরাই। অথচ তখন আওমী লীগ এবং তাদের শেল্টারদাতা ইন্ডিয়ান গোয়েন্দ সংস্থা ‘র’ এর ঢাকা চ্যাপ্টারের কালপ্রিট শয়তানগুলো পালানো্র পথ খুজতেছিল। জামাতিরা নিজেদেরকে দাবী করে রাজনীতি বুঝার ক্ষেত্রে তারাই হচ্ছে গডফাদার। অথচ তারাই পরিচয় দিলো রাজনীতিতে তারা কত বড় রাম ছাগল।
ইসলাম বিরোধী ২/১ একজন এখানে কমেন্ট করেছে কিন্তু উল্টাপাল্টা মন্তব্য পোস্ট সংস্লিষ্ট নয়।
প্রায় ২৩হাজার লোক পড়েছে,
কেউ এর বিপক্ষে যুক্তি পেশ করতে পারেনি।
সুতরাং নিঃসন্দেহে এই পোস্ট সফল।
ধন্যবাদ চেয়ারম্যান সাবকে।
জাযাকাল্লাহু খায়ের
মন্তব্য করতে লগইন করুন