শিবিরকে IHS এর সন্ত্রাসী লিস্টে যোগ করতে সাহায্য করেন ভারতীয় অনুরাগ গুপ্ত
লিখেছেন লিখেছেন চেয়ারম্যান ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৮:১২:৪৫ সকাল
গতকালকে যখন IHS এর গত ১৩ তারিখের প্রেস রিলিজে (যদি ও আমাদের মিডিয়া গতকাল খবর দিয়েছে) শিবিরকে ৩ নাম্বার সন্ত্রাসী লিস্ট দেখি তখনি সন্দেহ হয়েছিলো , নিশ্চয় কোনো চক্রান্ত কাজ করছে এইখানে। শিবিরকে আলকায়েদার আগে স্থান দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য যাওয়ারি কার্ড না খেলতে পেরে শিবির কার্ড খেলতে চেয়েছে। যাই হোক কালকে IHS এর ওয়েবসাইটে গিয়ে খুজি কে আছে এই সাইটের পিছনে ? দেখতে দেখতে পেয়ে গেলাম এক দাদাবাবুর নাম। যিনি কোম্পানির একজিকিউটিভ ডিরেক্টর।
সূত্র : http://www.ihs.com/about/executives.aspx
সন্দেহ করেছিলাম কাজটা তাহলে আমেরিকায় বসে জাতির নাতি আর দাদাবাবু শলাপরামর্শ করেই করেছে।
পরে আজকে সংগ্রামের একটি রিপোর্টে চোখ আটকে গেলো।
আইএসএস একটি ভাড়াখাটা সংস্থা
ভারতীয় বংশোদ্ভূত কর্মকর্তার মাধ্যমে শিবিরকে জড়িয়ে রিপোর্ট করা হয়েছে খবরে বলা হয় , আইএসএস কোন অলাভজনক কল্যাণধর্মী সংগঠন নয়। জনকল্যাণে বিশ্বব্যাপী কাজ করা সংগঠনসমূহের তালিকায় তাদের নাম নেই। এটা একটি ভাড়াখাটা সংস্থা। যারা টাকা দেয় তাদের পক্ষে তারা কাজ করে দেয়। আলোচিত রিপোর্টটিও সে রকম একটি। এই সংগঠনের নির্বাহী সহ-সভাপতি (স্ট্রাটেজি, প্রডাক্ট এন্ড অপারেশন) সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তার নাম অনুরাগ গুপ্তা। তিনি একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এ ধরনের রিপোর্টের পরিকল্পনা, পরিচালনা এবং প্রচারণা তিনিই করে থাকেন।
যেই প্রেস রিলিজটি করা হয়েছিলো সেখানে শিবিরের নাম ছাড়া শিবির নিয়ে একলাইন ও লেখা নাই। কারণ হচ্ছে তারা আসলে শিবির সম্পর্কে তেমন কিছুই জানে না। তাদেরকে যে টাকা দিয়ে এই রিপোর্ট করিয়েছিল এটা সুস্পস্ট।
আমি তাদেরকে পরশু ইমেইল করেছি , যে কিসের ভিত্তিতে তারা এই রিপোর্ট করেছে? আজকে পর্যন্ত ইমেইলের কোনো রিপ্লাই পাইনি। রিপোর্টটি বানোয়াট , তাই মনে হয় রিপ্লাই নেই।
আপনারা ও এই ভুয়া লিস্টের বিরুদ্বে ইমেইল করতে পারেন এই এড্রেসএ
ফোন করতে পারেন। এটি লন্ডনের নাম্বার।
Amanda Russo, +44 208 276 4727
অনুরাগ গুপ্তের সাথে বিশ্বের প্রায় ৬২ টি কোম্পানির লিঙ্ক রয়েছে। তার লিঙ্কডিন প্রোফাইলে আরো বিস্তারিত দেখুন
http://www.linkedin.com/pub/anurag-gupta/61/6a0/799
তার নিজের নামে ও একটি ওয়েবসাইট আছে। ওয়েবসাইটটি হলো.. http://www.anuraggupta.com/
এই হচ্ছে কথিত সন্ত্রাসী লিস্টের ইতিবৃত্ত। আওয়ামীলীগ কেন শুধু শুধু দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে ? আসুন আমরা সবাই আওয়ামীলীগের এই অপকর্মের বিরুদ্বে সোচ্চার হই। কারণ দেশে জঙ্গি জুজুর ভয় দেখিয়ে সশস্ত্র যুদ্ব শুরু হলে আওয়ামী লীগ , বিএনপি , জামায়াতের কেউই বাচতে পারবে না। মধ্যখানে আমাদের দেশটি হবে আরেকটি সিরিয়া।
বিষয়: বিবিধ
২৭৮৫ বার পঠিত, ৪৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চেয়ার ম্যান সাবকে ধন্যবাদ৷ নাটকটির ভেদ প্রকাশ করার জন্য৷
যে আল-কায়েদার নামে আমেরিকাসহ সারা দুনিয়া তটস্থ , সেই আল-কায়েদাই যখন প্রথম চারে নেই এবং শিবির প্রথম তিন -এ - এটাই তো রিপোর্টটির গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ করে দেয় ।
যার নাম প্রথমে এসেছে তার নাম তো অন্তত আমি জীবনেও শুনি নাই । তারা নাকি আল - কায়েদা , তালেবানদের চেয়েও বেশী সশস্ত্র !
What a fun !
এসব ছাইপাশ দিয়ে নিউজ বানিয়ে সর্বভুক পাঠকদের চমকে দেওয়া প্রথম আলোর খুব পুরনো ট্যাকটিক্স ।
যারা নিয়মিত প্রথম আলো পড়েন তারা এটা খুব সহজেই ধরতে পারেন ।
প্রথম আলো নিয়মিত পড়ুন এবং শত্রুদের সম্পর্কে স্ট্র্যাটেজি সম্পর্কে অবগত হউন।
প্রথম আলো যা দেখালো ভাই!
তবে আমি খুব খুশী করণ বাংলাদেশের রাম বাম মিডিয়ার বিশবাসযোগ্যতা একেবারে শেষ করে দিতে এদের দরকার ছিল। তারা তা করছে।
- আমি ব্যাপক টাস্কিত।
বিশ্ব মোড়লরা চায় বাংলাদেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনিত হোক। যাতে বিশ্ব মোড়লরা গিয়ে নির্যাতিত অসহায় মানুষের মুখে দুধকলা দিয়ে একটু সহনূভুতির মূলক দুয়েক একটা কথা বলুক,
ভবিষ্যত বানী হচ্ছে এখানে রাসায়নিক অস্ত্র নেই তবে আলকায়েদার মতো কিছু জঙ্গী সংগঠন আছে বলে যুদ্ধ বাধাতে প্রস্তুত মোড়লরা,
হয়ত ইরাকের মতো এখানে কোন আলকায়দা নামক অস্ত্রধারী জঙ্গী না থাকার প্রমান তারা দিতে পারবেনা একদিন।
আঁই এই বেডাড়ে ভাল কইরা চিনি! হের ছোড ভাই নারায়ন গুপ্তা আমার কলিগ আছিল। বহু দিন তার লগে কাজ করছি। হের বাড়ি ঘর ঠিকানা আঁর ভালাই জানা আছে। চেয়ারম্যান সাহেব আন্নে সঠিক জায়গায় হাত মারছেন।
শিবির যে এখন আল কায়েদাকে ডিঙ্গিয়া গেছে, হেই কথা জাইনতে পারি আমার কিযে খুশী লাগতাছে। আমামীলীগের ভারতীয় দাদালদের নিবংশ করানোর লাইগা শিবিরের মত আন্তার্জাতিক বুদ্ধিমান মানুষ লাগব। এইডা তো আমাগো খুশীর খবর, বেজার হওনের কুন দরকার নাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন