বর্তমান সময়ে জামায়াত শিবির যা করতে পারে - ১ম পর্ব- সমাজসেবা ও তৃণমূলে পৌঁছার কৌশল
লিখেছেন লিখেছেন চেয়ারম্যান ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:০৪:৪১ রাত
যদি কোনো গাছের মূল ঠিক থাকে তাহলে সেই গাছটির উপর যত ঝড় বৃষ্টি আসুক না কেন, তা উপড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে ..ঠিক একইভাবে যদি আমরা কোনো সংগঠন, প্রতিষ্ঠান বা রাজনৈতিক দলের কথা চিন্তা করি,তাদের ক্ষেত্রে ও একই কথা প্রযোজ্য। জামায়াত শিবিরের বিরুদ্বে একটি অভিযোগ,স্বাধীন বাংলাদেশে প্রায় ৪৩ বছর কাজ করে ও তারা সংগঠনকে তৃনমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারেনি..কেন করতে পারেনি সেটি নিয়ে আমি কোনো বিতর্কে যাবো না..তবে কিভাবে যেতে পারে সেটি নিয়েই এই লেখা।আর এই লেখাটি শুধু জামায়াত না , যে কেউ ১০ বছর অনুসরণ করলেই অনেক দূর আগাতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। আর এই সংগঠনটি জামায়াতের নামে হবে না,হবে নতুন নামে।
জামায়াত দাওয়া সংগঠন হিসেবে রেখে, এক ঝাক তরুণ মেধাবী নেতৃত্বের মাধ্যমে নতুন এই রাজনৈতিক সংগঠনটিকে পরামর্শ ও সহযোগিতা দিবে। কল্পনা করুন শিবির শিবিরই থাকলো। জামায়াত নতুন নামে একটি রাজনৈতিক শাখা খুললো , নাম দিলো ৯০ ডিগ্রী এঙ্গেলে ঘুরে "বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি"
যেভাবে শিবির ও জাস্টিস পার্টি তৃণমূলে কাজ করবে
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রত্যেকটি জেলা, থানা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে শিবির ও জাস্টিস পার্টির (জামায়াত ) সাংগঠনিক কার্যক্রম আছে। আর এই লেখাটি মূলত এই স্ট্রাকচারের জন্য প্রযোজ্য। জাস্টিস পার্টিকে ৩০০ আসনে ৩০০ জনকে ভবিষ্যত সাংসদ হিসেবে চিন্তা করে , প্রত্যেকটি সংসদীয় আসনে একটি করে কমিটি করতে হবে। সেই কমিটির প্রধান , মানে ভবিষ্যত সাংসদ মেক্সিমাম সময় ওই এলাকায় থাকতে হবে। আর এই কমিটির কাজ বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় জাস্টিস পার্টির ফান্ড থাকবে। ফান্ডের স্বল্পতা থাকলে কয়েকটি জেলায় প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা যেতে পারে।
ওই কমিটির কাজ হবে ওই এলাকার প্রত্যেকটি মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা। তথ্যগুলো থাকবে কনফিডেন্টশিয়াল। একজনের তথ্য আরেকজন জানবে না। তথ্য নেওয়ার সময় প্রত্যেকটি মানুষকে জানাতে হবে , যে কোনো সমস্যার জন্য যেন এই কমিটির সাথে যোগাযোগ করে।
তথ্যগুলো হবে এমন..
১) নাম ২) ঠিকানা ৩) পড়ালেখা ৪) রক্তেরগ্রুপ/ কারো রক্ত লাগলে রক্ত দিতে রাজি আছে কিনা ? ৫) আর্থিক অবস্থা ৬) মোবাইল নাম্বার ৭) বিশেষ কোনো অসুখ আছে কিনা ? যেমন ডায়বেটিস , ক্যান্সার ইত্যাদি। ৮) ছেলে মেয়ে কয়জন। তারা কি করে ? ৯) পরিবারে মুক্তিযুদ্বা আছে কিনা ? বা মুক্তিযুদ্বে কেউ মারা গিয়েছে কিনা ? ( এতে সারাদেশে মুক্তিযুদ্বাদের প্রকৃত তালিকা ও শহীদদের তালিকা ও পাওয়া যাবে )
১০) পেশা ১১) ছাত্র হলে রোল নাম্বার কত ইত্যাদি ?
কিছুটা আদমশুমারির মত। অনেকেই সব তথ্য দিতে চাইবে না। কিন্তু যতটুকু সম্ভব নিতে হবে।
আবার একই এলাকার অবকাঠামোর আরেকটি তালিকা করতে হবে। যেমন ১) কতটি প্রাইমারি স্কুল আছে ? ২) হাইস্কুল কতটি ৩) কলেজ বা ডিগ্রী কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কয়টি ? ৪) কিন্ডারগার্টেন কয়টি ৫) রাস্তাঘাটের অবস্থা কেমন ? ৬) কোন বাড়িতে বিদ্যুত আছে বা নাই ইত্যাদি।
কেন আপনি এই তথ্যগুলো নিবেন ?
আপনি এই তথ্যগুলো নিলে আপনার চোখের সামনে আপনার পুরো এলাকার চিত্র ভেসে উঠবে। আপনি জনগনের প্রয়োজনীয়তাটাকে বুঝবেন। তাদের আসলে কি দরকার ? বা জনগণ কোন পরিস্থিতিতে আছে সেটা একদম আয়নার মত পরিস্কার হবে আপনার সামনে।
তথ্যগুলো দিয়ে কি করবেন ?
এখন জনগনের অবস্থা বিবেচনা করে আপনি একটি পরিকল্পনা সাজান। কিভাবে কি করবেন। পরিকল্পনা ও কাজ এমন হতে পারে।
১) ছাত্রছাত্রীদের জন্য : আপনি যখন এলাকার প্রত্যেকটি মানুষের তথ্য নিবেন তখন আপনার কাছে সুস্পস্ট কোন ছাত্রটি কেমন। তাদের আর্থিক সচ্ছলতা আছে কিনা ?কোনো ছাত্রের যদি আর্থিক অবস্থার কারণে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় তাহলে জাস্টিস পার্টি মাসিক কিছু টাকা দিতে পারে। সেটা ১০০ টাকা ও হতে পারে। আর প্রত্যেক স্কুলের রোল নাম্বার ১ থেকে ৫ পর্যন্ত সবাইকে ও বৃত্তি দেওয়া যেতে পারে। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যেতে পারে।
প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে লাইব্রেরীর ব্যবস্থা করা যেতে পারে , যেখানে মানুষ বই পড়তে পারবে।বই ধার নিয়ে বাড়িতে পড়তে পারবে। আবার একটি নির্দিষ্ট সময়ে বই ফেরত দিবে।
ছাত্রছাত্রীদের ফ্রি কম্পিউটার ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এই সব লাইব্রেরিতে শুধু ইসলামিক বই না,রবীন্দ্রনাথ , নজরুল , ফররুখ, বিশ্বের বিভিন্ন ভালো লেখকের বই ও বিজ্ঞান বিষয়ক বই থাকবে। কিন্তু যেসব বই পড়লে মানুষের নৈতিকতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে সেই সব বই বাদ দিতে হবে। আর জাস্টিস পার্টিকে ও নৈতিক গুনাবলী সম্পন্ন লোক তৈরী করার জন্য প্রচুর স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
২) গরিব মানুষের জন্য : আপনার নেওয়া তথ্য ঘেটে দেখলে আপনি দেখবেন কে গরিব আর কে ধনী। কার চলতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাদেরকে কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন অথবা প্রতিবন্ধীদের জন্য মাসিক কিছু অনুদান দিতে পারেন। গরিব রোগী যারা আছেন , তাদেরকে সপ্তাহে অন্তত একবার জাস্টিস পার্টির ডাক্তার দিয়ে ফ্রি প্রেসক্রিপশনে প্রতি ইউনিয়নে চিকিত্সা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সম্ভব হলে বেসিক ঔষদ যেমন প্যারাসিটামল, হিস্টাসিন ফ্রি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। লাভের কথা বাদ দিয়ে, শুধু যেই টাকা খরচ হবে সেই টাকা চার্জ করে গরিব রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। জটিল কোনো রোগ যেমন ক্যান্সার বা ডায়বেটিস আক্রান্তদের বিশেষভাবে সাহায্য করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম দিয়ে এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম এখন এইসব কাজ করে কিনা আমার জানা নেই।
সম্ভব হলে প্রত্যেক আসনে একটি করে ব্লাড ব্যাঙ্কের ব্যবস্থা করা। তবে যারা রক্ত দিতে ইচ্ছুক তাদের তালিকা ও কন্টাক নাম্বার যেহেতু আপনার কাছে আছে , ব্লাড ব্যাংক না হলে ও চলবে। তবে কারো রক্ত লাগলে আপনার কমিটির সাথে যোগাযোগ করলে,রক্ত দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে সহজেই রক্তের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
৩) কৃষকের জন্য : কৃষি বাংলার প্রাণ। এলাকায় যারাই কৃষি কাজ করে , তাদের জন্য জাস্টিস পার্টি থেকে বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ দিয়ে ফ্রি ট্রেনিং দিতে হবে। কিভাবে জৈব সার উত্পাদন করতে হবে ? পোকামাকড় দমন , কিভাবে সেচ দিতে হবে, প্রাকৃতিকভাবে আলু সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ট্রেনিং হতে পারে। ফসল ফলানোর আগে প্রত্যেক মৌসুমে এই ধরনের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) যুবকদের জন্য : যারা বেকার আছেন , তাদেরকে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের উপর্যোগী ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা। প্রত্যেক থানায় অন্তত একটি স্পোর্টস ক্লাব খুলতে হবে। আর তার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫) রাস্তাঘাটের উন্নয়ন : আপনি হয়তো ভাবছেন আপনি তো এমপি,মন্ত্রী,চেয়ারম্যান বা কোনো কিছুই না , তাহলে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন কিভাবে করবেন। আসলে রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করতে হলে এমপি হতে হয়না। হয়তো আপনার এলাকার রাস্তায় বিশাল একটি গর্ত হয়ে আছে , অথবা ভেঙ্গে গেছে। জাস্টিস পার্টির কয়েকজন কর্মী গিয়ে এই গর্তটি ঠিক করে দিতে পারে। এতে মানুষ ইনফ্লুয়েন্স হবে।
৬) সব সময় জনসংযোগ ও খোজখবর নেওয়া : বাংলাদেশে একটি বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষ সবসময় হতাশায় ভুগে। তা হলো আমাদের এমপিরা শুধু নির্বাচনের আগে এলাকায় যান। তারপর আর কোনো খবর রাখেন না। আপনি একজন জাস্টিস পার্টির এমপি হবেন। আপনার বেলায় যেন কেউ এই রকম কথা না বলতে পারে , সেই দিকে কঠিন দৃষ্টি রাখতে হবে। যিনি জাস্টিস পার্টি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী , তাকে সব সময় এলাকার গণমানুষের সাথে দলমত নির্বিশেষে যোগাযোগ রাখতে হবে।
৭) প্রফেশনালদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখা : স্থানীয় সাংবাদিক , ব্যবসায়ী , মসজিদের ঈমাম, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতা ও পুলিশের সাথে আপনাদের ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। কোনো দলীয় প্রোগ্রাম না করে ও পুলিশ , সাংবাদিক , ব্যবসায়ী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের জন্য চা চক্রের ব্যবস্থা করতে পারেন। এতে অন্যদের সাথে আন্তরিকতা বাড়বে।
৮) সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তৈরী করা : একটি কথা সবাই বলে ইসলামপন্থীরা অন্যান্য ব্যবসায়ে যতটা আগানো ঠিক মিডিয়া বিজনেসে তারা ততটাই পিছনে। জাস্টিস পার্টির যারা মিডিয়াতে কাজ করতে ইচ্ছুক , তাদেরকে স্থানীয় পত্রিকাতে কাজ করার ব্যবস্থা করে দেওয়া , অথবা সম্ভব হলে নিজেরাই প্রত্যেক আসনে একটি পত্রিকা প্রকাশনার ব্যবস্থা করে। এতে তৃনমূল থেকে দক্ষ মিডিয়া কর্মী তৈরী হবে আবার উপরের বর্ণনাকৃত কাজগুলো বাস্তবায়ন হলে, তা মানুষের কাছে পত্রিকার মাধ্যমে পৌছে যাবে। এতে মানুষ জাস্টিস পার্টি সম্পর্কে পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি দেখাবে।
সংস্কৃতি একটি দেশকে পরিবর্তন করে দিতে পারে , তাই অপসংস্কৃতিকে নৈতিকভাবে উন্নত করতে হলে জাস্টিস পার্টিকে কালচারাল কাজ করতে হবে। যেমন জাস্টিস পার্টির ব্যানারে প্রত্যেক এলাকায় গানের আয়োজন করা , কবিতা আবৃতি প্রতিযোগিতা স্ট্রিট ড্রামা , নাটক ইত্যাদির ব্যবস্থা করা। যা অপসংস্কৃতি দূর করতে অনেকাংশে সাহায্য করবে।
৯) শ্রমিকদের জন্য কাজ করা : এলাকার খেটে খাওয়া শ্রমিকদের উন্নয়নের জন্য কাজ করা। তাদেরকে নিরাপদে কাজ করার জন্য ট্রেনিং দেওয়া। হেলথ এন্ড সেফটির বিষয়ে জ্ঞান দেওয়া। কেউ বিদেশ যেতে চাইলে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে না পারলে ও অন্তত পরামর্শ দেওয়া। বিদেশে যাওয়ার পর জাস্টিস পার্টির লোক দিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করানো , সেই যেই দলের লোকই হোক না কেন ?
১০) যৌনকর্মীদের জন্য পুনর্বাসনমূলক কাজ : দেশের অধিকাংশ পতিতা নিজেরা ইচ্ছা করে এই কাজে সম্পৃক্ত হয়নি। কেউ অভাবের তাড়নায় , কেউবা পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে এই ধরনের কাজে জড়িয়ে গেছে। তাদের তাদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যেমন ফ্রি গার্মেন্টস অ কাজ করার ট্রেনিং। অথবা জাস্টিস পার্টি নিজেরাই গার্মেন্টস করে তাদের জন্য চাকুরীর ব্যবস্থা করবে।
১১) টোকাই,ছিন্নমূল,মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন : এরা সমাজের অবহেলিত। এদেরকে জাস্টিস পার্টির ব্যানারে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা এবং সুস্থ হলে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া।
১২) গবেষণা : গবেষণা ছাড়া ভবিষ্যত সমস্যা নিরুপন ও বর্তমান কাজকে কিভাবে গতিশীল করা যায় , তা ভালোভাবে জানা যায় না। এই জন্য দরকার অন্তত প্রত্যেক জেলায় একটি রিসার্স কেন্দ্র থাকা দরকার। যারা আগামী ৫০ বছর পর কি হবে, গত ৫০ বছরে আন্দোলন কিভাবে হয়েছিল , সেগুলো যাচাই বাছাই , গবেষণা করে কোন পথে চলা দরকার সেগুলোর দিকনির্দেশনা দিবেন।
উপরোক্ত কাজগুলোর অর্থায়ন : অনেকেই হয়তো বলবেন এর জন্য দরকার অনেক অর্থের। বর্তমানে আমরা সবাই ভলিন্টিয়ার হিসেবে যেমন কাজ করি , তখন ও করবো। ডাক্তার, কৃষিবিদ বা ইঞ্জিনিয়াররা ও সপ্তাহে একদিন নিজ এলাকায় ভলেন্টিয়ারি কাজ করবেন। তাহলে অনেক অর্থের সাশ্রয় হবে। তবু ও দরকার অর্থের। যেভাবে এই কাজগুলোর অর্থায়ন হতে পারে।
১) জাস্টিস পার্টির কেন্দ্রীয় ফান্ড ২) কর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের ইয়ানত ৩) যাকাত। যাকাত দেওয়ার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ব করা ৪) আপনি যখন এই ভালো কাজগুলো শুরু করবেন তখন দলমত নির্বিশেষে এই কাজে অনেকেই সাহায্য করবে।
জাস্টিস পার্টি ( জামায়াত ) ও শিবির মিলে, তৃণমূলে পৌছতে যদি উপরোক্ত কাজগুলো করে তাহলে সহজে ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ঘরে তার দাওয়াত পৌছে দিতে পারবে। সহজেই মানুষের মন জয় করতে পারবে। তার জন্য দরকার হবে এই কাজগুলোর ভালো প্রচারণার। এবং ইনশাল্লাহ ১০ বছরে একটি ভালো রেজাল্ট আশা করা যেতে পারে।
এই কাজগুলো আর কেউ না করলে আমি করবো ইনশাল্লাহ
বিষয়: বিবিধ
২২৮৯ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এভাবে লিখতে থাকুন। আপনি চাইলে লেখাটি জাস্টিস পরিচালিত বিভিন্ন ফেবু পাতায় শেয়ার করতে পারেন। আমাকে বললে আমিও করতে পারি।
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1665/lokmanbinyousuf/39245
এ ব্যপারগুলো আসলে ইদানিং অনেকেই বিচ্ছিন্ন ভাবে করে থাকেন। সে বিচ্ছিন্ন চিন্তাগুলোর একটি পূর্নাঙ্গ রুপরেখা চেয়ারম্যন সাহেবের লিখনীতে ফুটে উঠেছে। আল্লাহ তাঁরকলমকে আর ও শানিত করুন
সামাজিক কাজের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত দাওয়াত দানের সুযোগ সৃষ্টি করা এবং দাওয়াত দান। ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষে মানুষের মন জয়ের উদ্দেশ্যে দাওয়াতি কাজ করলে তা অন্য কোন দলের জন্য ফলপ্রসূ হলেও ইসলামী আন্দোলনের জন্য তা ফলপ্রসূ হবেনা। বরং আমার মনে হয়, ইসলামী বিপ্লবের জন্য ইসলামী আদর্শের প্রতি মানুষের মনকে প্রস্তুত করাটাই অধিক জরুরী। সে কাজের জন্য, দাওয়াতী ফিল্ড তৈরি জরুরী আর সে ফিল্ড ক্রিয়েট করার জন্য সবার কাছে পৌছে যাওয়া জরুরী আর সে পৌছানোর জন্য সামাজিক কাজ প্রয়োজন।
আরেক দিক থেকে সামাজিক কাজ গুরুত্বপূর্ন। আর তা হল- মানুষের সেবা করা, দেশের সেবা করার আল্লাহ তায়ালার নির্দেশনা রয়েছে। সেজন্যই দাওয়াতি কাজ করা।
অর্থাৎ নিয়তের জায়গাটা ঠিক করাটা জরুরী।
আরেকটু ক্লিয়ার করার জন্য-
মানুষকে যদি ইসলামী আন্দোলনের সমর্থক না বানিয়ে শুধু দায়িত্বশীলদের আচরনের সমর্থক বানিয়ে ইসলামী সংগঠন ক্ষমতায় আসে তবে তা স্থায়ী হওয়াটা কঠিন.।
যখনই আপনি ন্যায় ইনসাফ কায়েমের কথা বলবেন, তখনই প্রচন্ড বাধা আসবে পাহাড় সমান হয়ে। সেই বাধা অতিক্রমের জন্য ব্যবসথাও থাকতে হবে। নাহয় মিশরের মতো হবে। আপনার এই চিন্তার সাথে এসব বিষয় যোগ করুন। একটি পুর্ণাঙ্গ বিপ্লবের জন্য একটি জাতিকে তৈরী করতে হলে আর কি কি উপাদান লাগবে তা ও ভাবুন। আপনাদের মতো তরুনরা এগিয়ে এলে নিশ্চয়ই আরও ভাল আইডিয়া,আরো ভাল এবং শক্ত সংগঠন, ডেডিকেতেড এবং কারিশমেটিক লিডারশইপ আসবে। তারা সকল বাধা বিপত্তিকে ডিঙিয়া মনজিলে মকসুদের পৌছাবে এমন আশা করছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন