ফাসির দিনে ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তার ছেলের প্রচুর সাহসী বিনোদন Winking Tongue

লিখেছেন লিখেছেন চেয়ারম্যান ০১ অক্টোবর, ২০১৩, ০৭:২৬:৩৪ সন্ধ্যা



সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও রায়ের কপি আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন। তাই ধরে নিয়েছিলেন রায় কি দিবে। কিন্তু রায়ের দিন ও তিনি ছিলেন প্রচুর হাস্যরস্যক। করেছেন কিছু সেই রকম উক্তি। বাবার সাথে সাথে ছেলে ও বিনোদনধর্মী উক্তি করতে কম যান নাই। এই রকম কিছু উক্তির সঙ্কলন :-----

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী :-----

১) বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর আলমকে লক্ষ করে বলেন, “আইন করেছি আমরা। তাই তোরা জজ হইছোছ। দুই দিন আগে প্রকাশিত রায়ও তোরা ঠিকমত রিডিং পড়তে পারছো না। দুঃখ লাগে তোদের কেন চাকরি দিলাম।

২) রায়ের এক পর্যায়ে বিচারপতি আনোয়ারুল হক যখন পড়তে থাকেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী পাঁচবারের সংসদ সদস্য- সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ জানিয়ে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, “জনগণ আমাকে ছয়বার সংসদে পাঠিয়েছে। তবে যেহেতু আপনারা রায়ে তা লেখেই ফেলেছেন, পাঁচবারই থাকুক।”

৩) আমাকে নির্বাচন করতে না দেয়ার জন্য বেচারারা এত কষ্ট করছে। ৯৬ সালে বিএনপি থেকে যখন বাদ পড়েছিলাম, তখন আমি ছিলাম দেশপ্রমিক। পরে আবার বিএনপিতে যোগ দেয়ায় কবীরা গোনাহ করে ফেলেছি।”মন্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি এ রায়কে ‘সহিহ হাদিস’ বলে আখ্যা দেন।

৪) রায় পড়াকালীন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী উচ্চস্বরে বলেন, “এই রায় বেলজিয়াম ও দিল্লি থেকে লেখে আনা হয়েছে। স্যার (বিচারপতি) এগুলো অনলাইনে চলে এসেছে। পড়ার দরকার নেই। গত দুই দিন আগেই তা প্রকাশ পেয়েছে। এখন খামাখা পড়ে লাভ কী? সময় নষ্ট।”এই সময় বিচারপতিরা রায় পড়া কয়েক সেকেন্ডের জন্য বন্ধ করে দেন। তবে কেউই কোনো কথা বলেননি

৫) সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, “এখন সংসদ অধিবেশন চলছে। আর তারা জবরদস্তি করে রায় দিয়ে দিচ্ছে। যে সব জায়গায় আমি জীবনেও যাইনি, এমনকি ভোট চাইতেও না অথচ রায়ে বলা হচ্ছে আমি নাকি সেখানে গিয়ে মানুষ হত্যা করেছি।

৬) জাতিসংঘের অধিবেশনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিদেশীদের সাহার্য্য চেয়েছেন দাবি করে তিনি এই সময় এজলাসে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ডেইলি স্টারের প্রতিবেদককে বলেন, “তুমি যে পত্রিকায় কাজ কর, তা বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশনায় চলে। তোমার সম্পাদককে বইলো আমি তাকে স্মরণ করেছি।” এ সময় তিনি ডেইলি স্টারকে দিল্লি স্টার বলেও মন্তব্য করেন।

৭) ৩ নাম্বার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন যখন রায় পড়ছিলেন তখন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “তোমার বইনের (বোন) লগে আমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, শালা।”এই সময় তিনি আরো বলেন, “সোনা লাল হইয়া গেছে, কিন্তু এখনো ঠিক আছে। ফাঁসি দিবা তো, দাও সমস্যা নাই।

৮) আজানের সময় রায় পড়া বন্ধ রাখায় তিনি বলেন, “আজানের সময় নাস্তিকরা এভাবে মুখ বন্ধ কইরা দিল অথচ তারাই সংবিধান থেকে আল্লাহ ওপর আস্থা ও বিশ্বাস উঠিয়ে দিয়েছে।”

৯) “সাঈদী (আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী) সাহেবের মতো লোককে যেখানে ফাঁসি দেয়া হয়, সেখানে আমি তো অনেক বড় গোনাহগার। কাদের মোল্লাকে কসাই কাদের বইলা ফাঁসি দিয়া দেয়া হয়েছে।”এক পর্যায়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, “উনি দেশটারে একটা পাগলখানা বানাইছে।

১০) তার বিরুদ্ধে আনীত ২৩ অভিযোগের মধ্যে ৯টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্থ করে ট্রাইব্যুনাল যখন তাকে সাজা দেয় তখন তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, নো নেভার।এক পর্যায়ে তিনি বলেন, এক কথায় বললেই তো হয় যে, ৩০ লাখ লোক আমি মারছি।

১১)বিচারপতিরা কখনো আমাকে মাননীয় সংসদ সদস্য সম্বোধন করেননি। তাহলে তাদেরকে কেন আমি মাই লর্ড বলবো।

১২) রায় পড়া শুরু করার একটু পর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, রায় লিখে আনা হয়েছে। বাংলা ভালো করে পড়তে পারে না। আর লেখে আনা রায় পড়তেছে। ত্রিশ বছর ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষ আমার পক্ষে রায় দিয়ে আসছেন। আর আজ এখানে তিন কুতুবের (বিচারপতির) রায় শোনার জন্য আমাকে বসিয়ে রেখেছে।

১৩) প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যখন তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে একসাথে আন্দোলন করেছিলাম তখন আমি ছিলাম তার চাচাতো ভাই। কত ভালোবাসা। নিজের হাতে রান্না করে আমাকে খাইয়েছিলেন।

বাপের ছেয়ে ও কম যান নাই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী । তার কিছু উক্তি হলো :----



১) ট্রাইব্যুনালের বাইরে হুম্মান সাংবাদিকদের বলেন, “রায় গতকালই পইড়া ফালাইছি। আজ তামশা দ্যাখতে আইছি।”

২) বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে হুম্মাম পাল্টা প্রশ্ন করেন, “আইজ পর্যন্ত দ্যাখছেন মুখ বন্ধ কইরা থাকতে?”

৩) রায় দেখতে কে কে এসেছেন- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ফুল গুষ্টিসুদ্ধা চইলা আইছি”

৪)এক পর‌্যায়ে হুম্মাম সাংবাদিকদের বলেন, “আমার বাবারেত সাকা বানাইছেন, আমারে আবার হুকা বানাইয়েন না

বিষয়: বিবিধ

৪২৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File