- আংক্যাল
লিখেছেন লিখেছেন অন্য চোখে ২৫ এপ্রিল, ২০১৬, ০২:৪১:২৩ দুপুর
গল্পটা প্রথম শুনেছিলাম স্বপন বাবুর কাছে। আমার আগের অপিষ এর পিয়ন স্বপন বাবু। খুব রসিয়ে ধীরে কথা বলেন। আরো অনেক কথাই বলতেন আর হাসাতেন। অপিষ এর পিয়নরাইতো হর্তাকর্তা। তারা না আসলে অপিষইতো চলেনা। সাতসকালে কারো অপিষে ঢুকার সাধ্যকি আছে? যদি পিয়ন আগে না ঢুকে! কারন চাবিতো তার কাছেই থাকে যে। এসব গল্পগুলো স্বপনবাবুর কাছে থেকেই শোনা।
এইযে সাত সকালে অপিষে আসা আর রাত করে বাড়ী ফেরা এটাইতো পিয়ন কেরনীদের জীবন যাপন। ওদিকে সন্তান দেখেনা তার বাবাকে, কারন সকালে যখন অপিষে রওনা হয় তখন সে ঘুমে আর রাতে যখন ফিরে তখনও সে ঘুমে। একদিন হঠাৎ ছুটির দিনে বাবাকে দেখে বলে আম্মু আংকেলটা কে?
স্বপন বাবুর গল্পগুলো বলেছিলাম উমামার আম্মুকে। তার যখন মন খারাপ থাকে তখন গল্পগুলো কাজে দেয়। কিছুটা হলেও মেঘ সরে। প্রবাস চাকরী। দেশে যাবো যাবো করছি সেই কবে থেকে। আগামী জানুয়ারীতে যাবো বলেছি গত জুন মাসে। জানুয়ারী আসতেই বললাম রোজর ঈদে যাবো। ঈদ সামনে এবার বললাম কোরবানী ঈদেই যাবো শিওর। বউ বলল আপনার ছোট কন্যা বড় হয়ে যাচ্ছে, আপনাকেতো আর চিনবেনা, আপনি আসতে আসতে ততদিনে কথা শিখে যাবে আর আপনাকে আংক্যাল ডাকবে।
কথাগুলো বসে বসে গিলেছে নার্সারী পড়ুয়া বড় কন্যা উমামা। গতকাল ফোন দিয়েছি সেই রিসিভ করলো আগ বাড়িয়ে। ধরেই, হ্যালো আংকেল তুমি কেমন আছো? ভালোতো? বলে আর হাসে, হাসে আর বলে। ওদিকে ওর আম্মু চিল্লাচ্ছে এই বেয়াদ্দপ কাকে কি বল?
বিষয়: বিবিধ
১১৮৯ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর বাবা যত কিছুই করুক না কেন সে তো তাম্র পদকের বেশী পাবে না , তার সাথে দেখা হতেই হবে এমন তো কিছু না !
ঠিকঠাক মত চাহিদা পূরণ না হলে তখনই কেবল ডাক পড়তে পারে , কৈফিয়ত দিতে ।
সন্তান বাবাকে তাম্র পদক দিয়েছে, এমন কিছু গল্প নিয়ে হাজির হয়ে যান। ! @ হতচ্ছাড়া
সন্তান বাবাকে তাম্র পদক দিয়েছে, এমন কিছু গল্প নিয়ে হাজির হয়ে যান। ! @ হতচ্ছাড়া
তো আপনি, জ্যাঠা ডাক শোনার আগেই চলে আসুন।
বাবার কলিজায় রক্ত ঝরে-
সেটা কি সে বোঝে??
আল্লাহ সহায় হোন
মন্তব্য করতে লগইন করুন