ইসলামী স্কলারদের নিকট একটি সমস্যার সমাধান চাই।
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তিযোদ্ধার ভাগনে ৩০ মার্চ, ২০১৫, ১১:১৫:৪০ রাত
"কুরআন ও সহীহ সূন্নাহর আলোকে ইসলামী স্কলারদের নিকট একটি সমস্যার সমাধান চাই"
ঘটনা প্রবাহ: এক ব্যক্তি ২০০১ সালে পরিবারের অর্থনৈতিক চাহিদা মিটানোর জন্য দেশে স্ত্রী-সন্তানকে রেখে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে যায়। সেখানে যাওয়ার পর লোকটি পবিত্র রমযান মাসে ওমরাহ পালনের জন্য পবিত্র বাইতুল্লাহতে গিয়ে তারাবীর নামায আদায় করার সময় বাইতুল্লাহর ইমাম হাফেজ ড. আব্দুর রহমান আস- সুদাইস সাহেবের কণ্ঠে পবিত্র কুরআনুল কারীমের তেলাওয়াত শুনে কুরআন জানার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় এমতাবস্থায় (নামাযরত অবস্থায়) কুরআন জানার জন্য ইচ্ছা পোষণ করে মহান আল্লাহর প্রতি প্রার্থনা করে তাওফিক কামনা করেন। পরে আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় কুরআন পড়া শিখে ফেলেন। যখন কুরআনের বাংলা অনুবাদগুলি পড়ে কুরআনের আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পারেন, তখনি দেশে তার পরিবারে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এমতাবস্থায় তিনি তার পরিচিত এক আত্মীয়র মধ্যে একজন দ্বীনি মহিলার নাম ধরে দ্বীন প্রচারে সাহায্যকারী হিসাবে তাকে স্ত্রী হিসাবে পাওয়ার জন্য মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করেন। যা সেই ব্যক্তি এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ জানতো না। সে দোয়া তিনি নামাযের মধ্যে, কুরআন তেলাওয়াতের সময়, এবং পরবর্তীতে হজ্বে গিয়ে সেখানেও সেই দ্বীনি মেয়েটিকে স্ত্রী হিসাবে পাওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন। এভাবে ক'এক বছর কেটে যায়। একাধারে সাত বছর বাড়ীর সংগে তার তেমন কোন যোগাযোগ ছিলো না। আর যে মেয়েটিকে স্ত্রী হিসাবে আল্লাহর নিকট সে কামনা করেছে তার সাথেও তার কোন যোগাযোগ ছিলো না। ১২ বছর পর সে বাড়ীতে এসে জানতে পারে যে সেই মেয়েটির বয়স ৩৭/৩৮ বছর হয়ে গেছে তবুও তার বিবাহ হয়নি। বিবাহের জন্য মানুষ তাকে দেখতে এসে যে ছেলেরা তাকে পছন্দ করেন। কিন্তু মেয়েটি তাদেরকে পছন্দ করেন না। আর মেয়েটিও একজন দ্বীনদার বরের জন্য অপেক্ষায় করছেন। এদিকে যে লোকটি তাকে স্ত্রী হিসাবে পাওয়ার জন্য দোয়া করেছে তার পূর্বের স্ত্রী সন্তান রয়েছে। এমতাবস্থায় সমাধান কি হবে?
বিষয়: বিবিধ
১৮২৬ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রথমত লোকটি হালাল রিজিক তালাশে বিদেশে গেছে, তাতে স্ত্রীর অনুমতি থাকলে সমস্যা নেই। ওমরা, তারাবীহ, কুরআন জানার চেষ্টা সবগুলোই ভালো কাজ। নামাজ পড়া অবস্থায় দুনিয়াবী কোন দোয়া করা জায়েয নেই (যেমন আমাকে ঐ মেয়েটির সাথে বিবাহ করিয়ে দাও), যদি মুখে উচ্চারণ করে বলে তাতে নামাজ নষ্ট হয়েছে, যদি অন্তরে অন্তরে আকাঙ্খা করে, তাতেও নামাযের একাগ্রতা নষ্ট হয়েছে। তার পরিবারের দূর্ঘটনাটা উল্লেখিত নয়, তাই কমেন্ট করতে পারছি না। নামাযের মধ্যে বিবাহের দোয়ার কথা আগেই বলেছি। দ্বীনি মেয়েকে বিবাহের আকাঙ্খা করা ভালো কাজ। তবে নামাজের ভিতরে নয়, হজ্বে গেলে দোয়া করতে পারবে সমস্যা নেই। কোনআন তেলাওয়াতের পর দোয়া করবে, তেলাওয়াতের মাঝে নয়। একটানা ১২ বছর বিদেশে থাকা ঠিক হয়নি, কারণ তাতে বিবি ও সন্তানের হক নষ্ট হয়েছে। এখন তার সামর্থ থাকলে দ্বিতীয় বিয়েটি করতে পারে, কোন সমস্যা নেই। والله اعلم
কিন্তু এমন কি ঘটনা আপনাদের ঘটেছে তা পুরোপুরি জানতের আগ্রহী।
এখানে যেহেতু কারণ উল্লেখ নেই, তাই স্থানীয় আলেমদের মতামতের ভিত্তি কি তাও আমার জানা নেই। ধন্যবাদ।
স্ত্রীর হক আদায় করা হয়নি সুতরা যে যাই বলুক আমারটা আমি বুঝে বলছি
তবে উপরে বর্ণিত ঘটনার আলোকে বলা যায় কথিত ছেলেটির চাওয়া সৎ নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন