স্মৃতির পাতায় গেঁথে রাখা দিনগুলি-(পর্ব-৭)

লিখেছেন লিখেছেন মুক্তিযোদ্ধার ভাগনে ২৪ মার্চ, ২০১৫, ১১:১৯:০০ রাত



শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান প্যারেড:

প্রশিক্ষণ মাঠের গ্যালারীগুলো আগত নারী-পুরুষ অতিথিগণের পদচারণায় মুখরিত। অতিথিগণের সাথে আসা ছোট ছোট বাচ্চারা সুন্দর সুন্দর পোষাক পরিচ্ছদ পরে ভালভাবে সেজে গুজে রয়েছে। তারাও আজ মনের আনন্দে গ্যালারীগুলি মাতিয়ে রেখেছে। সকলেই অধিক আগ্রহ নিয়ে শপথ কুঁচকাওয়াজের অনুষ্ঠান দেখার জন্যে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে। এমনি সময় সকলের অপেক্ষার প্রহর ভেঙ্গে প্যারেড বি.এস.এম (ব্যাটালিয়ান সার্জেন্ট মেজর) নাছির উদ্দিন (কুমিল্লা) জলদি গতিতে মার্চ করে প্রশিক্ষণ মাঠে প্রবেশ করছেন। এ দৃশ্য দেখে সমস্ত দর্শনার্থী মুহু-র্মুহু করতালির মাধ্যমে তাদের আনন্দ প্রকাশ করছেন এবং অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এরই মধ্যে প্যারেড বি.এস.এম মাঠের মধ্যখানে পৌঁছে তার জন্য নির্ধারিত স্থানে দাঁড়িয়ে গেলেন।

সামান্য বিশ্রামের পর প্যারেড বি.এস.এম প্লাটুন মার্কার এবং ভি.আই.পি গাইডকে মাঠে প্রবেশের আহবান জানালেন। আদেশ পেয়ে সুসজ্জিত পোষাকের উপরে লাল পাট্টা পরিহিত মার্কারগণ এবং হাত পাঁ ও শরীরের পোষাকের উপর সাদা শ্যাস পরিহিত ভি.আই.পি গাইডগণ জলদি গতিতে মার্চ করে মাঠে প্রবেশ করছেন। এ দৃশ্য দেখে দর্শনার্থীগণ আবারও তুমূল করতালির মাধ্যমে তাদের আবেগ অনুভূতি প্রকাশ করছেন। এরই মধ্যে প্লাটুন মার্কার ও ভি.আই.পি গাইডগণ যার যার নির্ধারিত স্থানে দাঁড়িয়ে গেলেন।

এবার প্যারেড বি.এস.এম (ব্যাটালিয়ান সার্জেন্ট মেজর) নাছির উদ্দিন মূল প্যারেডকে প্রশিক্ষণ মাঠে প্রবেশের জন্যে আহবান জানালেন। প্যারেড বি.এস.এম’র আহবান শুনে প্যারেড সি.এস.এম.(কোম্পানী সার্জেন্ট মেজর) রহুুল আমিন (নোয়াখালী) প্যারেডকে মাঠে প্রবেশের জন্য সতর্ক করলেন এবং পরক্ষণেই প্যারেডকে মাঠে প্রবেশের নির্দেশ দিলেন। প্যারেড সি.এস.এম এর আদেশ শোনার সাথে সাথেই প্যারেডের সামনের গাইডের বাম পাঁগুলি যেন এক নিমিষের মধ্যেই আসমানে উঠে প্রচণ্ড তীব্র গতিতে জমিনে আচড়ে পড়লো। আর সেই সাথে ব্যাণ্ড মাষ্টার সার্জেন্ট জজ মিয়ার ব্যাণ্ড ষ্টিকের ইশারায় পূর্ব থেকে প্রস্তুত ব্যাণ্ড প্লাটুনের সৈনিক শাহ আলমের বিগড্রামটিও তার হাতের ষ্টিকের আঘাত পেয়ে স্ব-শব্দে বেজে উঠলো।

এদিকে বিগড্রামের সাথে সাথে সাইড ড্রামগুলিও কড়-কড় শব্দ করে বেজে উঠলো। আর সেই সাথে ব্যাণ্ড প্লাটুনের প্যারেডে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র ও সুরেলা বাঁশিগুলো সুরের ঝংকার তুলে গেয়ে চললো আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত সেই হৃদয় কাঁপানো মন মাতানো রোমাঞ্চকর বাংলাদেশের জাতীয় রণ সঙ্গীতের পংক্তিগুলোঃ-

চল....চল....চল

উর্ধ্ব গগণে বাজে মাদল

নিম্নে উথলা ধরণী তল

অরূণ প্রাতের তরুণ দল

চলরে...চলরে...চল..........চল...চল...চল....

স্ব স্ব প্লাটুনের নেতৃত্বদানকারী প্রশিক্ষকগণ ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে স্ব স্ব প্লাটুন নিয়ে ক্রমান্বয়ে প্রশিক্ষণ মাঠে প্রবেশ করছেন। শপথপ্রার্থী প্লাটুনগুলো জলদিগতিতে মার্চ করে যখনি সুসজ্জিত প্রশিক্ষণ মাঠে প্রবেশ করছেন, তখনি সমস্ত দর্শনার্থী তাদেকে মুহু-র্মুহু করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এদিকে ব্যাণ্ড প্লাটুনের সম্মিলিত বাদকদল তাদের বাদ্য যন্ত্রগুলো থেকে হৃদয় কাঁপানো মন মাতানো রণ সঙ্গীতের সুরের ঝংকার তুলছে, আর ওদিকে সৈনিক শাহ আলম হেলে দুলে তার দুই হাতের দৃষ্টি নন্দন নৈপূণ্যে ও বিভিন্ন কলা কৌশলের মাধ্যমে বিগ ড্রামটির শব্দে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করছে। সম্মিলিত বাদকদলের সম্মিলিত রণ সঙ্গীতের সুরের মূর্চনায় শপথপ্রার্থী রিক্রুটগণের হৃদয় আজ বিগলিত বিমোহিত। ব্যাণ্ডের তালে তালে তাদের সকলেই হাত ও পাঁয়ের কসরত সর্বাধিক নৈপুন্যের সাথে দর্শনার্থীদের প্রদর্শনের জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

না! আজ কোন রিক্রুটকেই কোন প্রশিক্ষকই কড়া প্রহড়া নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন না। যা অন্যান্য দিন দুই একজন ফাঁকীবাজ রিক্রুট, প্রশিক্ষকের সতর্ক চোখকে এড়িয়েও দুই চারবার ফাঁকি দিয়েছে বা ডজ মেরেছে। আর ধরা পড়লে শাস্তিও প্রচুর পেয়েছে। কিন্তু আজ কেউ তা করছে না। সকলেই নিজ নিজ দায়িত্বে তাদের হাত, পাঁ ও শরীরের সেরা নৈপুন্যের কসরতগুলোই দর্শনার্থীগণকে দৃষ্টি নন্দন করে প্রদর্শন করার সর্বাধিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আর তা করবেই বা না কেন? আজ শপথপ্রার্থী রিক্রুটগণ যখন মাঠে প্রবেশ করছে তখন তারা রিক্রুট। আর আজ যখন প্রশিক্ষণ মাঠ থেকে বেড় হবে তখন তারা একজন দায়িত্ববান দেশপ্রেমিক, গর্বিত পূর্ণাঙ্গ সৈনিক। তাই মনের আনন্দেই তারা তাদের প্যারেডে সেরা নৈপুণ্যই প্রদর্শন করছে।



আবার মনের ভিতরে ভয়ও কাজ করছে। কারণ বেশী জোসের কারণে যদি একাই কিছু করতে যায়, তাহলে কদম ভেঙ্গে যেতে পারে, আর যদি এক জনের কদম ভাঙ্গে, তাহলে তার পিছনের সকলের সেই কদম ভাঙ্গার প্রভাবে পড়তে হবে। তাই খুবই সতর্কতার সহিত পরস্পর পরস্পরের সাথে তাল মিলিয়ে থাকতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। না! মাঠে প্রবেশ করতে আজ কেউ কদম ভাঙ্গে নাই। সকলেই অতি দক্ষতার পরিচয় দিয়েই ব্যাণ্ডের তালে তালে জলদি গতিতে মার্চ করছে। স্ব স্ব প্লাটুন গুলো তাদের নির্ধারিত স্থানে পৌছিতেই প্যারেড বি.এস.এম নাছির প্যারেডকে জলদি চলা থেকে থামিয়ে দিলেন এবং প্যারেড-কে সামনে ফিরিয়ে নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্যে অপেক্ষায় থাকলেন।



অল্প কিছুক্ষণ পর আজকের প্যারেড এ্যাডজুটেণ্ট সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার শাহজাহান (রাজশাহী) জলদি গতিতে মার্চ করে প্যারেড গ্রাউণ্ডে প্রবেশ করছেন। এবারও সকল দর্শনার্থী তুমুল করতালির মাধ্যমে প্যারেড এ্যাডজুটেণ্টকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। প্যারেড এ্যাডজুটেণ্ট মাঠের মধ্যখানে আসতেই প্যারেড বি.এস.এম নাছির প্যারেড এ্যাডজুটেণ্ট এর কাছে গিয়ে শপথ গ্রহণ প্যারেডের পূর্ণ দায়িত্ব তার নিকট বুঝিয়ে দিয়ে প্যারেডে তার জন্যে নির্ধারিত স্থানে স্থান নিলেন। প্যারেড এ্যাডজুটেণ্ট দায়িত্ব বুঝে নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্যে অপেক্ষায় থাকলেন।

সামান্য কিছু পরেই আজকের শপথ গ্রহণ প্যারেডের প্যারেড অধিনায়ক ২/লেঃ ফারুক (কুমিল্লা) জলদি গতিতে মার্চ করে প্যারেড গ্রাউণ্ডে প্রবেশ করছেন, দর্শনার্থীগণ আবেগাপ্লুত করতালির মাধ্যমে প্যারেড অধিনায়ক-কে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। প্যারেড অধিনায়ক মাঠের মধ্যখানে পৌছিতেই প্যারেড এ্যাডজুটেণ্ট প্যারেড’র পূর্ণ দায়িত্ব প্যারেড অধিনায়কের কাছে হস্তান্তর করে তার জন্যে নির্ধারিত স্থানে গিয়ে স্থান নিলেন। প্যারেড অধিনায়ক প্যারেডের দায়িত্ব বুঝে নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্যে অপেক্ষায় থাকলেন।

শপথ গ্রহণ প্যারেডে মাননীয় প্রধান অতিথি মহোদয়ের উপস্থিতি ও প্যারেড পরিদর্শন:

শপথপ্রার্থী প্যারেড সহ কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারীতে সমস্ত দর্শনার্থী এমনভাবে নিস্তব্ধ হয়ে আছেন, যেন একটি পিনপতন শব্দও কোথাও হচ্ছে না। কেউ নড়াচড়াও করছে না। কি অপূর্ব এক দৃষ্টি নন্দন শৃঙ্খলা। এ অবস্থায় হঠাৎ সমস্ত নিরবতা ভেদ করে সি.এইচ.কিউ এর দোতলা বিল্ডিং এর ছাদের উপর থেকে একজোড়া বিউগলে আজকের প্যারেডের প্রধান অতিথির আগমনি বার্তা ঘোষিত হলো। আজকের ৭ম ব্যাচের শপথ গ্রহণ প্যারেডের প্রধান অতিথি হিসেবে ভি.আই.পি মঞ্চটি অলংকৃত করবেন ১১ পদাতিক ডিভিশনের মাননীয় এরিয়া কমাণ্ডার ও জেনারেল অফিসার কমাণ্ডিং (জি.ও.সি) মেজর জেনারেল আর. এ. এম. গোলাম মুক্তাদির (বগুড়া)। নির্দিষ্ট সময়ে আজকের শপথ গ্রহণ প্যারেডের মাননীয় প্রধান অতিথি মহোদয় ৫ম মিলিটারী পুলিশ ইউনিট কর্তৃক প্রদত্ত মিলিটারী পুলিশের সুসজ্জিত মটর শোভাযাত্রা সহকারে প্যারেড গ্রাউণ্ডে প্রবেশ করে ভি.আই.পি মঞ্চের নিকটে গিয়ে থামলেন। সাথে সাথেই মাননীয় সেণ্টার কমাণ্ড্যান্ট কর্ণেল শামসুজ্জামান ও সেণ্টার শাখার প্রধান প্রশিক্ষক লে. কর্ণেল এএফএম খালেদ প্রধান অতিথিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে ভি.আই.পি মঞ্চে নিয়ে গেলেন। প্রধান অতিথি ভি.আই.পি মঞ্চে দাঁড়ালেন, সাথে সাথে আজকের প্যারেড অধিনায়ক ২/লেঃ ফারুক প্রধান অতিথিকে সশস্ত্র ছালাম জানালেন। প্রধান অতিথি ছালাম গ্রহণ করলেন। প্যারেড অধিনায়ক প্রধান অতিথিকে প্যারেড পরিদর্শনের জন্যে আমন্ত্রণ জানালেন।



প্রধান অতিথি মহোদয় প্যারেড পরিদর্শন:

প্রধান অতিথি মহোদয় প্যারেড পরিদর্শনের আমন্ত্রন গ্রহণ করলেন এবং দুইজন সুসজ্জিত গাইডের পথ নির্দেশনায় প্যারেড পরিদর্শনের জন্যে এগিয়ে চললেন। প্রধান অতিথির সাথে রয়েছেন সেণ্টার কমাণ্ড্যান্ট কর্ণেল শামসুজ্জামান ও সেণ্টার শাখার প্রধান প্রশিক্ষক লেঃ কর্ণেল এএফএম খালেদ এবং পথিমধ্যে প্যারেড অধিনায়ক গিয়ে পরিদর্শন দলের সাথে মিলিত হলেন। তিন সারিতে শপথ গ্রহণ প্যারেড প্রশিক্ষণ মাঠে দাঁড়িয়ে আছে। প্রধান অতিথি প্যারেডে দাঁড়িয়ে থাকা শপথপ্রার্থীগণকে প্রথম থেকে প্যারেডের সর্বশেষ ব্যক্তি পর্যন্ত পরিদর্শন করে প্রধান অতিথি তার পরিদর্শন দলকে সাথে নিয়ে মঞ্চে ফিরে গেলেন।



এবার প্যারেড অধিনায়ক প্রধান অতিথির কাছে শপথ গ্রহণ কুঁচকাওয়াজ শুরু করার জন্যে অনুমতি নিয়ে কুঁচকাওয়াজ শুরু করলেন। প্রথমেই প্যারেডে অংশ গ্রহনকারী সবগুলি প্লাটুন তাদের স্ব স্ব প্লাটুন অধিনায়কের নেতৃত্বে ধীর গতিতে মার্চ করবে। ১নং প্লাটুন আগে, তারপর ক্রমান্বয়ে ১১নং প্লাটুন পর্যন্ত। প্যারেড অধিনায়ক, প্যারেড এ্যডজুটেণ্ট এবং প্লাটুন অধিনায়কগণ তাদের স্ব স্ব স্থানে দাঁড়িয়ে গেলেন এবার ১নং প্লাটুন অধিনায়ক তার প্লাটুনকে ধীর গতিতে মার্চ করার নির্দেশ দিলেন। নির্দেশের সাথে সাথেই প্লাটুনের শপথপ্রার্থী রিক্রুটদের বাম পাঁগুলি যেন আকাশে চমকানো বিদ্যুত গতির মত ঝলক মেরে সামনের দিকে বেরিয়ে পড়লো। সাথে সাথেই ব্যাণ্ড মাষ্টার জজ মিয়ার ব্যাণ্ড ষ্টিকের সংকেতে সৈনিক শাহ আলমের বিগ ড্রামটি ষ্টিকের আঘাতে স্ব শব্দে বেজে উঠলো। সাথেই অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রগুলি সুরের ঝংকার তুলে গেয়ে চললো সেই প্রিয় দেশমাতৃকার দেশাত্মবোধক সঙ্গীতটি:-

“এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি,

সকল দেশের সেরা সে যে আমার জন্মভূমি...”

দেশমাতৃকার দেশাত্মবোধক সঙ্গীতের সুরের মুর্ছনায় আর বিগড্রামের শব্দের সাথে তাল মিলিয়ে সকলের কদমগুলো এমনভাবে কিক মেরে বিদ্যুৎ গতিতে সামনে বেড় হচ্ছে, যেন কোন মহাশত্র“ যদি আমাদের এই পবিত্র মাতৃভূমির অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব কেড়ে নিতে আসে, তাহলে এভাবেই কিক মেরে তাদেরকে তাড়ানো হবে। তারই নমুনা যেন সকলের পাঁ গুলো থেকে বেরিয়ে আসছে। মহান আল্লাহ আমাদেরকে এমন সুন্দর একটি দেশে জন্মগ্রহণ করিয়েছেন, যে দেশের মাটিতে আল্লাহর অসংখ্য অলি আউলিয়া শুয়ে আছেন, যে দেশে আল্লাহর প্রিয় মুমিন বান্দা-বান্দী তথা আল্লাহর প্রিয় রাসুল (সা.)-এর প্রাণাধিক প্রিয় উম্মতগণ বসবাস করছেন, তাদের সেবায় নিয়োজিত থেকে সে দেশ রক্ষার জন্য নিজেদের জীবনটা করে অকাতরে আল্লাহর পথে বিলিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু নিজেদের শরীরে আল্লাহ প্রদত্ত প্রাণস্পন্দন স্বচল থাকা অবস্থায়, সে দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করাও যায় না, এবং সেই পবিত্র দেশটাকেও কাউকে কেড়ে নিতে দেয়া যায় না।

প্লাটুন গুলো ধীর গতিতে মার্চ করে একের পর এক ভি.আই.পি. মঞ্চের সামনে পৌঁছাচ্ছে এবং প্রধান অতিথি মহোদয়কে ডানে সালাম জানিয়ে মঞ্চ অতিক্রম করছে। কি অপূর্ব এক দৃশ্য! যারা দেখেছে তারা কখনই এ দৃশ্যকে ভুলতে পারবেন না। একের পর এক, এভাবে এক থেকে এগারোটি প্লাটুন ধীর গতিতে মার্চ করে প্রধান অতিথিকে সালাম জানিয়ে ভি.আই.পি মঞ্চ অতিক্রম করে স্ব স্ব প্লাটুন তাদের পূর্ব নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে থেমে গেল। (চলবে...ইনশা-আল্লাহ)

বিষয়: সাহিত্য

১৮৪৩ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

310927
২৪ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:২৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার প্রাঞ্জল বর্ননাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আর্টিলারি সেন্টার ,ইবিআরসি এবং বিএমএর প্যারেড দেখার অভিজ্ঞতা আছে। আপনার বর্ণনা একেবারে যেন তার সাথে ছন্দ মিলান। তবে ছবিগুলি নেট থেকে নেওয়া মনে হয়। ইএমই কোর তো নিল রং এর ব্যারেট পড়ে থাকে যতটুক জানি। সেই ছবি কিন্তু দেখলাম না!!!
২৮ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৩৪
252468
মুক্তিযোদ্ধার ভাগনে লিখেছেন : জি ভাই! আপনি যা দেখেছন তার'ই বর্ণনাটি আবারো মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে। জি, ছবিগুলো নেট থেকেই নেয়া হয়েছে। ই,এম,ই, কোরের ব্যারেড ডার্গ ব্লু কালার। সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
310930
২৪ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৩২
আবু জান্নাত লিখেছেন : বরাবরের মত হৃদয় ছুয়ে যাচ্ছে, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর কথাগুলো পড়তে অনেক আনন্দ লাগছে। লিখে যান সাথে আছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৮ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৪৮
252469
মুক্তিযোদ্ধার ভাগনে লিখেছেন : লিখাটি আপনার হৃদয় ছুতে পেরেছে জেনে মহান আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আলহামদুলিল্লাহ। জি ভাই, সেনা-সমাজটা বৈচিত্রময় এক নান্দনিক সুশৃঙ্খল সমাজ। এখানে একজন ব্যক্তি ইচ্ছে করলে নিজের কর্মকান্ডের মাধ্যমে জান্নাতের বাসিন্দাও হতে পারে। আবার কেউ জাহান্নামের জ্বালানীও হতে পারে। সাথে থেকে উৎস্হিত করার জন্য আপনাকে অনেক ধম্যবাদ।
310931
২৪ মার্চ ২০১৫ রাত ১১:৩৩
আফরা লিখেছেন : খুব সুন্দর করে বর্ননা দিয়েছেন পড়ে মনে হল নিজ চোখে দেখতে পেলাম ।

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
২৮ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৫৫
252470
মুক্তিযোদ্ধার ভাগনে লিখেছেন : আলহামদুলিল্লাহ। মানুষের প্রকাশের ক্ষমতা মানুষের নয়। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন, তাকে ভাষা শিক্ষা দিয়েছেন এবং মনের ভাব প্রকাশের শিক্ষা ও ক্ষমতা দিয়েছন। সকল প্রশংসা সেই মহান রবের। সাথে থেকে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
311035
২৫ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:২৫
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : ভালো লাগলো পড়ে,,,
২৮ মার্চ ২০১৫ রাত ০১:৫৯
252472
মুক্তিযোদ্ধার ভাগনে লিখেছেন : জি ভাই, আপনার সদয় উপস্থিতি আমাকে আরো উৎসাহিত করবে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
311644
২৯ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৪:১৯
ফাতিমা মারিয়াম লিখেছেন : সবগুলি পর্ব পড়লাম। এই ধরণের অভিজ্ঞতা সমৃ্দ্ধ লেখাগুলি পড়লে অনেক কিছুই শেখা যায়।

আপনি কি এই লেখাটা বই আকারে প্রকাশ করেছেন?


২৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:১০
252764
মুক্তিযোদ্ধার ভাগনে লিখেছেন : জ, মা! কিছু শিক্ষনীয় বিষয় জড়িত আছে জন্যেইতো লিখছি। শেষ পর্যন্ত সাথে থাকেন আরো কিছু জানতে পারবেন ইনশা-আল্লাহ। না মাা, এখনো বই আকারে বেড় করা হয়নি তবে বেড় করার ইচ্ছা আচ্ছে। দোয়া করবেন আল্লাহ যেন সে তাওফিক দেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File