রোযা (সাওম) আত্মপরিশুদ্ধির এক উত্তম মাধ্যম-(২য় পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন মুক্তিযোদ্ধার ভাগনে ২৮ জুন, ২০১৩, ০২:৫১:৩১ দুপুর
রোযার উদ্দেশ্যঃ
সুমহান প্রতিপালক দয়াময় আল্লাহ বলছেনঃ “আমি জ্বিন ও মানব জাতিকে এ জন্যে সৃষ্টি করেছি যে, তারা শুধুমাত্র আমারই ইবাদত করবে।”(সূরা যারিয়াতঃ ৫৬)
উপরযুক্ত আয়াত দ্বারা আমরা পরিস্কারভাবে জানতে পারছি যে, আমাদের পরম সৃষ্টিকর্তা মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তাঁকেই একমাত্র প্রভূ হিসেবে মেনে নিয়ে তাঁরই ইবাদতের উদ্দেশ্যে। যাতে মানবমন্ডলী পরম প্রভূ সুমহান সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করে তাঁরই সন্তুষ্টি লাভ করে দুনিয়া ও আখেরাতে মহাকল্যাণ লাভ করতে পারে।
আর ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে হলে বান্দাকে অবশ্যই মুত্তাকী হতে হবে। আর বান্দাকে মুত্তাকী হতে হলে তার আত্মাকে অর্থাৎ হৃৎপিন্ডকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। তার কারন মানব জাতি সৃষ্টির জন্ম লগ্ন থেকে মানব জাতির চিরশত্রুও সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই মহাশত্রুর কাজ হচ্ছে মানব জাতি যাতে করে বিশুদ্ধচিত্তে সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করতে না পারে সেই জন্য মানব হৃৎপিন্ডকে কু-প্ররোচনার মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত থেকে মানুষকে সরিয়ে রাখা। তাই দয়াময় প্রতিপালক মানব জাতিকে শয়তানের শত্রুতা সম্পর্কে সর্তক করে দিয়ে বলছেনঃ
“সে শয়তান বললোঃ (আদমকে সিজদা না করার অপরাধে) আপনি যে আমাকে উদভ্রান্ত করলেন (সে কারনেই) আমিও অবশ্যই তাদেরকে উদভ্রান্ত করার লক্ষ্যে আপনার (নির্দেশিত) সরল পথে ওঁৎ পেতে বসে থাকবো। এরপর তাদেরকে পথভ্রষ্ট করার জন্যে তাদের সামনের দিক থেকে, পিছন দিক থেকে, ডান দিক থেকে, এবং বাম দিক থেকে তাদের কাছে আসবো। আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞরূপে পাবেন না।”(সুরা আ’রাফঃ১৬-১৭)
তিনি আরো বলছেনঃ “নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। অতএব তাকে শত্রু হিসেবেই গ্রহন কর। সে তার দলবল (ভারী করার জন্য মানুষ)-কে আহবান করে এ জন্যে যে, তারা (সকলেই যেন) জাহান্নামী হয়।”(সূরা ফাতিরঃ ৬)
মহান %E
বিষয়: সাহিত্য
১৬২৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন