বিশ্ব নবী সর্ব যুগের সর্ব শেরা বিশ্ব নেতা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর চোখে এগারোটা আমল আসুন জেনে নিই এবং মেনে চলি

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০১ অক্টোবর, ২০১৯, ০৪:৪৯:৩২ বিকাল

রাসূল (সঃ ) এর চোখে সেরা এগারোটি কর্ম আসুক তা আমরা মেনে চলি।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি

এক। তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা সে যে কুরআন শিখে এবং শেখায়।”

(বুখারী, পর্ব: ফাজায়েলুল কুরআন, অধ্যায়: ২১ হাদীস নং: ৫০২৭)

দুই। নিশ্চই তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে যে তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম আচরণের অধিকারী।”

(বুখারী, পর্ব: শিষ্টাচার, অধ্যায়: উত্তম চরিত্র, হাদীস নং: ৬০৩৫)

তিন। তোমাদের মধ্যে সর্বসেরা ব্যক্তি সে যে ঋণ পরিশোধের বেলায় ভালো।”

(বুখারী, পর্ব: উকীল নিযুক্তকরণ, অধ্যায়: ৬, হাদীস নং: ২৩০৫)

চার। তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে যার কাছ থেকে সবাই কল্যান আশা করে, অনিষ্টের আশংকা করে না।”

(তিরমিজী, পর্ব: ফিতান, অধ্যায়: ৭৬, হাদীস নং: ২২৬৩/২৪৩২)

পাঁচ। তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে যে তার পরিবারের নিকট ভালো।”

(ইবনে হিব্বান, পর্ব: বিবাহ, অধ্যায়: স্বামী-স্ত্রীর জীবনাচার, হাদীস নং: ৪১৭৭)

ছয়। তোমাদের মধ্যে সে সর্বোত্তম যে খাদ্য দান করে এবং সালামের জবাব দেয়।”

(সহীহুল জামে’, অধ্যায়: ‘খা’, হাদীস নং: ৩৩১৮)

সাত। তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সে ব্যক্তি যে সালাতে কোমল-স্কন্ধ। (অর্থাৎ কেউ নামাজের কাতারে প্রবেশ করতে চাইলে কাঁধ কোমল করে তাকে সুযোগ দেয়)।”

(আবূ দাঊদ, পর্ব: সালাহ, অধ্যায় ৯৬, হাদীস নং: ৬৭২)

আট। সেরা মানুষ সে যার বয়স দীর্ঘ এবং কর্ম ভালো হয়।”

(জা-মিউল আহাদীস, অধ্যায়: ‘খা’, হাদীস নং: ১২১০১)

নয়। সেরা মানুষ সে যে মানবতার জন্য অধিক কল্যানকর-উপকারী।”

(সহীহুল জা-মি’, অধ্যায় ‘খা’, হাদীস নং: ৩২৮৯)

দশ। আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম সঙ্গী সে যে তার সঙ্গীর কাছে উত্তম। আর আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম প্রতিবেশী সে যে তার প্রতিবেশীর কাছে উত্তম।”

(তিরমিজী, পর্ব: সদ্ব্যবহার ও সুসম্পর্ক, অধ্যায়: ২৮, হাদীস নং: ১৯৪৪)

এগারো। শ্রেষ্ঠ মানুষ হলো যার অন্তর পরিচ্ছন্ন এবং মুখ সত্যবাদী। সাহবীগন প্রশ্ন করলেন-সত্যবাদী মুখ বুঝা গেলো, কিন্তু পরিচ্ছন্ন অন্তরবিশিষ্ট কে? নবীজি ইরশাদ করেন, যে অন্তর স্বচ্ছ-নির্মল, মুত্তাক্বী, যাতে কোন পাপ নেই, বাড়াবাড়ি বা জুলুম নেই, নেই খেয়ানত ও বিদ্বেষ।”

(সহীহুল জা-মি’, অধ্যায় ‘খা’, হাদীস নং: ৩২৯১)

আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে সর্বোত্তম মানুষের সবগুলো গুন দান করুন এবং প্রকৃত ঈমানদার হওয়ার তাউফীক দান করুন। আমিন

_____________________________

বিষয়: বিবিধ

১০৯৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386749
১৪ অক্টোবর ২০১৯ রাত ০৩:০৩
কুয়েত থেকে লিখেছেন : #ফতোয়াবাজির মেশিনগান দিয়ে জামায়াতে ইসলামিকে স্তব্ধ করা যাবেনা, জামায়াতকে সংশোধনের জন্য আল্লাহর কুরআন এবং রাসুল (সHappy এর সুন্নাহ হাজির কর। -অধ্যাপক মফিজুর রহমান

কারণ:
আমরা রক্তের দামে #জান্নাত কিনে
নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েই সংগঠনে প্রবেশ
করেছি---.

তোমরা কিসের হিসাব কর ২১০ জন,২৩৪ জন॥
কাতারে কাতারে লাশ পড়বে তার নামই ইসলামী বিপ্লব!
-
আমাদের হারানোর কিছুই নেই, হারাবে তো তারাই যারা প্রতিনিয়ত আতংকে আছে ক্ষমতা হারানোর।

জীবনকে নিয়ে আমরা খেলা করি, রবের
যখন ইচ্ছা যতদিন রেখেছেন জান। মৃত্যু আমাদের সফলতার দ্বার। আমরা মৃত্যুকে ভয় করি না।
“অধ্যাপক গোলাম আযম” স্যারের ভাষায়
বলব, “আল্লাহ ছাড়া তো কাউকে ভয় করা
জায়েজই নাই”

#অধ্যাপক_মফিজুর_রহমান
386767
১০ নভেম্বর ২০১৯ রাত ০৩:৩৪
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ১৫২৮: মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপ্রধান মীর বাকী বাবরের নামানুসারে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেন।
১৮৮৫ : মহন্ত রঘুবীর দাস এক কট্টর হিন্দু বাবরি মসজিদের বাইরে একটি অস্থায়ী মন্দির তৈরির দাবি জানান। ফৈজাবাদ কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
১৯৪৯: বিতর্কিত কাঠামোর বাইরে কেন্দ্রীয় ডোমের নীচে রামলালার মূর্তি স্থাপন করা হয়।
১৯৫০: জনৈক গোপাল সিমলা বিশারদ রাম লালার মূর্তি পূজার জন্য জানিয়ে ফৈজাবাদ জেলা কোর্টে আবেদন জানায়।
১৯৫৯: এলাকার অধিকার দাবি করে নির্মোহী আখড়া মামলা করে।
১৯৬১: উত্তরপ্রদেশের সুন্নী ওয়াকফ বোর্ডও এলাকার অধিকার জানিয়ে পাল্টা আবেদন করে।
১৯৮৬ (১ অক্টোবর): স্থানীয় আদালত সরকারকে এক নির্দেশে হিন্দুদের পূজা করার অনুমতি দিয়ে রামলালা যেখানে রয়েছে তার গেট খুলে দিতে বলে।
১৯৮৯: ভগবান শ্রী রামলীলা বিরাজমানের পক্ষে তার সখা এলাহাবাদ হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি দেওকী নন্দন আগরওয়াল আদালতে মামলা করে।
১৯৯০(২৫ সেপ্টেম্বর): অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মানের লক্ষ্যে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানী গুজরাটের সোমনাথ থেকে দেশব্যাপী রথযাত্রা শুরু করে।
১৯৯২ (৬ ডিসেম্বর): কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতারা ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী বাবরি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশ করে। যেখানে পরিকল্পিতভাবে কট্টর হিন্দুত্ববাদী ও মুসলিম বিদ্ধেষী ১৫০,০০০ জনের সম্মিলিত একটি দল মসজিদটি সম্পূর্ণরূপে ভূমিসাৎ করে শহীদ করে।
১৯৯৪ (২৪ অক্টোবর): সুপ্রিম কোর্ট ইসলাম ফারুকির মামলার রায়ে জানায় , মসজিদ মুসলমানদের অবিচ্ছেদ্য অংশ নয়।
২০০২(এপ্রিল): এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিতর্কিত স্থানের মালিকানা সংক্রান্ত মামলার শুনানী শুরু করে।
২০১০ (৩০ সেপ্টেম্ব): এলাহাবাদ হাইকোর্ট ২:১ সংখ্যাধিক্যের রায়ে বিতর্কিত জমিকে সুন্নী ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া এবং রামলালার মধ্যে তিনভাবে ভাগ করার নির্দেশ দেয়।
২০১১ (৯ মে): সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যার ভূ’মি বিবাদ নিয়ে এলাহাবাদ হাইকের্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।
২০১৭ (২১ মার্চ): সুপ্রিম কোর্টেও তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জে এস খেহার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে কোর্টের বাইরে সমাধান খোঁজার কথা বলেন।
২০১৭ (১ ডিসেম্বর): ২০১০ সালের এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৩২ জন সিভিল রাইটস অ্যক্টিভিস্ট মামলা করে।
২০১৯ (৮ জানুয়ারি): সুপ্রিম কোট অযোধ্যার বিতর্কিত ভূমি বিবাদ মামলার শুনানীর জন্য প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, শরদ অরবিন্দ বোরদে, এন ভি রমন, ইউ ইউ ললিত ও ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে ৫ সদস্যের সংবিধান বেঞ্চ গঠন করে।
২০১৯ (২৫ জানৃুয়ারি): বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোয় সুপ্রিম কোর্ট সংবিধান বেঞ্জ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, শরদ অরবিন্দ বোরদে, এস আব্দুল নাজির, অশোক ভ’ষন ও ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়কে নিয়ে পুনর্গঠন করে।
২০১৯ (২৬ ফেব্রুয়ারি): সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতার কথা জানায়। তিন সদস্যের মথ্যস্থতাকারী কমিটি তৈরি করে দেয়।
২০১৯ (৯ মে): মধ্যস্থতাকারী কমিটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করে।
২০১৯ (১ আগষ্ট): মধ্যস্থতাকারী কমিটি সিলকরা ঘামে আদালতে তাদের রিপোর্ট জমা দেয়।
২০১৯ (৬ আগষ্ট): সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদ ভূমি বিবাদ মামলার প্রতিদিন শুনানীর কথা ঘোষনা করে।
২০১৯ (১৬ অক্টোবর): শুনানী শেষে ঘোষনা করে আদালত রায় সংরক্ষিত রাখে।
২০১৯ (৯ নভেম্বর): চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে। মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপ্রধান মীর বাকীর নির্মিত মুসলিম ঐতিহ্যের সাক্ষরবাহী এ বাবরি মসজিদের জমিকে হিন্দুদের জমি বলে ঘোষনা করে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File