কেন নেই আমাদেরকে সাথে পবিত্র কোরআনের সম্পর্ক-? এর চেয়ে মূল্যবান কোন কথা কি অন্য কোথাও আছে-? হে বিশ্বাসীগন
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:০৫:১১ সকাল
ইচ্ছাই হোক আর অনিচ্ছায় হোক আমাদের
সাথে পবিত্র আল্ কোরান এর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এটাই সত্যি অথচ ঈমানদারদের সম্পর্ক
থাকার কথা ছিল সবচেয়ে বেশি কোরআনের সাথে। বিশ্ব পরিচালনা যদি কোরআন দিয়ে হতো তাহলে এই পৃথিবীটাই হয়ে যেত জাননাতের মতো।
ইসলামী রাষ্ট্র গঠনে কুরআনের ভুমিকা দেখুন মহান আল্লাহ্ কি ভাবে বর্ণনা করেছেন বিশ্ব বাসীর সামনে
১। তামাম পৃথিবী একটি রাষ্ট্র বা রাজ্য এই রাষ্ট্রের নামে আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল মুলক্, মুলক্ মানে রাষ্ট্রের সুরা।
উক্ত সুরার মধ্যে উল্লেখ আছে রাষ্ট্র কাকে বলে, রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট কি, এবং কি কি সজ্ঞার আয়ত্বে পড়লে রাষ্ট্র হয় এ সকল বর্ণনা আছে।
২। এবার রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য দল লাগবে সেই দলের নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হলো সুরাতুল যুমার, যুমার মানে দল, উক্ত সুরাতে আল্লাহ ত'য়ালা মানুষদের দলের কথা কথা বর্ণনা করেছেন।
৩। এবার রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য মানুষ লাগবে, যে মানুষগুলো রাষ্ট্র চালাবে সেই মানুষগুলোকে নির্বাচিত করবে জনগণ, এই জনগণের নামেও (জেনারেল পাবলিকের নামেও) আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুদ দাহার, দাহার মানে জনগণেরর সুরা। জনগণ সরকারের কাছে কি কি দাবি করবে, আর সরকার জনগণের কাছে কি কি দ্বায়বদ্ধ থাকবে উক্ত সুরার মধ্যে তা বর্ণনা আছে।
৪। শুধু জনগণ হইলেই হয়না ঐক্যবদ্ধ হওয়া লাগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয় এই ঐক্যের নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল যুমার। যুমার মানে ঐক্যবদ্ধ জনগণ। ঐক্য কোন্ কোন্ ভিত্তির উপরে হবে সেই ১১টা নীতিমালার কথা বর্ণনা উক্ত সুরার মধ্যে আছে।
৫। এবার রাষ্ট্র পরিচালনা করবে কে? এই রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কোন্ কোন্ মানুষ নেতা হতে পাবরে (লিডার হবে) সেই নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল ইয়াসিন, ইয়াসিন মানে নেতা। উক্ত সুরার মধ্যে রাষ্ট্র পরিচালক নেতার ৮টি কোয়ালিটি বৈশিষ্টের কথা বর্ণনা আছে।
৬। এবার রাষ্ট্র চালাতে সংবিধান লাগবে সেই সংবিধানের নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল ফুরক্বান, ফুরক্বান মানে সংবিধানের সুরা। উক্ত সুরাতে দেশ চালানোর জন্য দেশের সংবিধানের মধ্যে ১৮৩টি ধারা থাকবে সেই ১৮৩টি ধারার বর্ণনা আছে।
৭। এবার দেশ চালাতে মন্ত্রী পরিষদেরর পরামর্শ লাগে এই মন্ত্রী পরিষদের কোয়ালিটি নিয়ে আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুস শুরা। শুরা মানে মন্ত্রী পরিষদ। যারা মন্ত্রী হবেন তাদের জন্য ৪টি কোয়ালিটি এবং আনুসাংগিক কর্মনীতির কথা উক্ত সুরার মধ্যে বর্ণনা আছে।
৮। এবার নেতারা কোথায় বসে দেশ চালাবে সেই নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল বালাদ, বালাদ মানে রাজধানীর সুরা। উক্ত সুরার মধ্যে দেশের রাজধানীর বৈশিষ্ট সম্বলিত বর্ণনা আছে।
৯। এবার রাজধানীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ যায়গা থাকে নগরী, নগরীতে সংসদ ভবন হয় সেই নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুস সাবা। সাবা মানে নগরী। সাজানো ঘোছানো নগরীর বৈশিষ্টের কথা উক্ত সুরাতে বর্ণনা আছে।
১০। এবার দেশ চালাতে সৈন্যবাহিনী লাগে সেই সৈন্যবাহিনীর নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুজ যুখরুফ, যুখরুফ মানে সৈন্যবাহিনী। উক্ত সুরাতে দেশের সৈন্যবাহিনীর জন্য ৭টি কোয়ালিটি গুনাগুন বর্ণনা আছে।
১১। এবার এই সেনাবাহিনীর সংঘবদ্ধ হওয়ার নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুছ ছফফাত, ছফফাত মানে সৈন্য সংঘবদ্ধ। উক্ত সুরাতে সৈন্যদের সংঘবদ্ধের জন্য সারিবদ্ধ থাকার ৩টি নীতি পদ্ধতির কথা বর্ণনা আছে।
১২। এবার র্যার পুলিশ বিজিপি মিলে যৌথ অভিযান চালায় সেই যৌথ নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল আহযাব, আহযাব মানে যৌথবাহিনী। উক্ত সুরার মধ্যে যৌথবাহিনীর ৯টি কোয়ালিটি নীতির কথা বর্ণনা আছে।
১৩। এবার র্যাব পুলিশ বিজিপিরা মিলে যৌথ অভিযান চালায় সেই যৌথ অভিযানের নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল আদিয়াহ, আদিয়াহ মানে যৌথ অভিযান। উক্ত সুরাতে যৌথ বাহিনীর যৌথ অভিযানের ৫টি নীতি অবলম্বন করে অভিযান চালানোর কথা বর্ণনা আছে।
১৪। এবার আমরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে জোটবদ্ধ হয়ে সমাবেশ করি সেই সমাবেশের নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল জুমুআ, জুমুআ মানে সাপ্তাহিক সমাবেশ। উক্ত সুরাতে এই সমাবেশে মানুষের সমাজ জীবন কল্যাণের আদেশ নিষেদ পেশ করার বর্ণনা আছে।
১৫। এবার আমরা জোট বদ্ধ হয়ে মহা সমাবেশ করে থাকি সেই মহা সমাবেশের নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল হাসর, হাসর মানে মহা সমাবেশ। উক্ত সুরাতে আখেরাতের ময়দানে হাসরে আল্লাহ তা'য়ালা সমস্ত মানুষদের নিয়ে মহা সমাবেশ করবেন। আর মানুষেরা তাদের প্রয়োজনে রাজধানীতে মহা সমাবেশ করার বর্ণনা আছে।
১৬। এবার দেশ পরিচালনার জন্য মহিলাদের সাথে জোট করা যাবে কি? সেই সেই ব্যয়াপারেও আল্লাহ তা'য়ালা একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে মুমতাহিনা, মুমতাহিনা মানে পরীক্ষিতা নারী। উক্ত সুরাতে আল্লাহ তা'য়ালা দেশ দশ ও স্বাধীনতার জন্য সর্বত্র ত্যাগকারীনি সাহসী নারীর ৯টি গুনের কথা বর্ণনা করেছেন।
১৭ । এবার জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে হার জিত হবে তাই সেই হার জিত সম্পর্কেও আল্লাহ তা'য়ালা একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে তাগাবুন, তাগাবুন মানে হার-জিত। হার-জিত হয়ে কোনো দল, এক দল আরেক দলের উপর জুলুম নির্যাতন না করার জন্য ২টি পরামর্শের বর্ণনার কথা এই সুরাতে আছে।
১৮। এবার জোটবদ্ধ হয়ে তর্কবিতর্ক করার নামেও আল্লাহ তা'য়ালা একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে মুযাদালাহ, মুজাদালাহ মানে তর্ক। এইযে কোরআনে এতো সুন্দর সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন আমরা কি কোন দিন তা ভেবে দেখেছি। মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেন তোমাদের কি হলো কেন তোমরা কোরআন গবেষণা করছোনা আমি কি তোমাদের অন্তরে তালা লাগিয়েছি--? সুরা মুহাম্মদ আয়াত 24
বিষয়: বিবিধ
১০২৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মূল্যবান আর্টিকেল তুলে ধরেছেন অনেকেই উওর পেয়ে যাবে যারা এতদিন এইসব প্রশ্নের উওর খোজে ফিরছিল।
ইয়া আল্লাহ একদিকে ইহুদী খিস্টানরা আমাদের কে হত্যা করে যাচ্ছে আর অন্য দিকে নামধারী লেবাস ধারী মাদানীদের কারনে মুসলিম মিল্লাত আর ধংশের চুরান্ত পর্যায়ে... ###
মন্তব্য করতে লগইন করুন