ঘরে ঘরে মুফতি তৈরি হয়ে গেলেও পুরো জাতির মধ্যে ক'জন প্রকৃত আলেম তৈরি হলো? মুসলিম উম্মাহর মধ্যে অজ্ঞানতার সয়লাব
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ০৯:২৪:০১ সকাল
সেই শিক্ষাই শিখতে হবে, যে শিক্ষা মহান রবের জন্যই নিবেদিত । বসরার একটি ঘটনা। এক বৃদ্ধ তার একমাত্র পুত্র সন্তানকে উপযুক্ত শিক্ষিত করে তোলার জন্য বাগদাদের সবচেয়ে নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সে যুগের সবচেয়ে বুজুর্গ জ্ঞানীর নিকট পাঠালেন। বছর কয়েক ছেলেটি সেখানে শিক্ষা গ্রহণ শেষে বাড়ি ফিরল।
বহুদিন পরে আত্মজ ফিরে আসছে, বাবার আনন্দের কোনো শেষ নেই যেন! বৃদ্ধ পিতা অধীর আগ্রহে অপেক্ষমাণ! এক সময় ছেলে বাড়ি আসল। বাবার সাথে পুত্রের দীর্ঘ দিন পরে দেখা, কুশল বিনিময়। ছেলে তার বৃদ্ধ বাবাকে ভক্তি-সম্মান-ভালোবাসা দেখাতে কোনো ত্রুটিই করলো না।
কিন্তু বৃদ্ধ তার পুত্রের দিকে খুব গভীরভাবে খেয়াল করে তৃপ্ত হতে পারলেন না। তিনি যেন কোনো মতেই শান্তি পাচ্ছেন না মনে। যে শিক্ষা গ্রহণের জন্য নিজের সন্তানকে এতটা বছর চোখের আড়ালে রাখলেন, সন্তান কি সেই শিক্ষা পেয়েছে? তার ভেতরে তো তেমন কোনো লক্ষণই নেই!
সারা রাত বৃদ্ধ ছট ফট করলেন। সকাল হতেই তিনি সন্তানকে ডেকে নিলেন কাছে, বললেন; ' বাছা, তুমি আবার ফেরত যাও, তোমার ওস্তাদকে আমার সালাম দিয়ে বলবে; তোমাকে যেন সেই জ্ঞান তিনি শিখিয়ে দেন, যে জ্ঞান কেউ কখনও কাউকে শেখাতে পারে না। '
বৃদ্ধ বাবার এমন অদ্ভূত নির্দেশ শুনে ছেলেটা অবাক হলেও তার অবাধ্য হবার মত সাহস ছিল না, কাজেই বাবার নির্দেশ পালনে সে ফিরে গেল ওস্তাদের কাছে। ওস্তাদকে সবিনয়ে জানালো বাবার নির্দেশ।
ওস্তাদ খুব মনোযোগ দিয়ে শুনে ছাত্রটিকে নির্দেশ দিলেন শহরের বাইরে মরুময় ও পাহাড়ী অঞ্চলে রাখালদের কাছে যেতে। এক রাখালের নাম বলে তিনি বললেন; তার কাছে তিনশত ভেড়া-দুম্বা আছে। তুমি তার কাছ থেকে উক্ত ভেড়া আর দুম্বাগুলো দেখা শোনার ভার নেবে, আর যখন দেখবে ঐ ভেড়া দুম্বাগুলো সংখ্যায় বেড়ে এক হাজার পূর্ণ হয়েছে, তখন ফেরত আসবে আমার কাছে।'
কুরআন-হাদিস, উসুল-ফিক্বাহ, দর্শন-ইতিহাস বিষয়ে বিশ্ববিখ্যাত উস্তাদের সান্নিধ্যে থেকে একাডেমিক পাঠ সমাপ্ত করা তুখোড় ছাত্রটি অনিচ্ছা সত্তেও শেষ পর্যন্ত সম্মানিত ওস্তাদ ও বৃদ্ধ পিতার নির্দেশ পালনে একান্ত বাধ্য হয়েই চলে গেল জনমানবহীন পাহাড়ী মরুপ্রান্তরে। সেখানে খুজে বের করল সেই রাখালকে, ওস্তাদের নির্দেশমত তার কাছ থেকে ঐ তিনশত পশুচারণ ও দেখভালের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিল।
এভাবেই জনমানবহীন এক নির্জন প্রান্তরে শুরু হলো এক তুখোড় একাডেমিশিয়ানের নি:সংগ জীবন। রাখাল জীবন! কথা বলার কেউ নেই। শোনারও নেই কেউ। নিজের সাথেই কথা বলে চলে ছেলেটা আনমনে। কখনও কখনও ভেড়ার সাথেও! অবোধ ভেড়া ভ্যা ভ্যা করে তাকিয়ে থাকে, আর হয়ত ভাবে, এ কোন পাগলের পাল্লায় পড়লাম রে বাবা!
রাখাল পালের ভেড়া আর দুম্বাগুলো চরানোর পাশাপাশি পাহাড় দেখে, পাহাড়ের গা‘এ পাথরের রং-এ রং-এ মেশানো বৈচিত্রতা দেখে। আকাশে মেঘের আনোগাণা দেখে, এক অসীম শূন্যতার মাঝেও সে দেখে! কি যেন দেখে!!
আমাবশ্যার রাতে ঘোর আঁধারে চারিদিকে এক অবর্ণনীয়, অচিন্তনীয়, অকল্পনীয় রুপ দেখে! আঁধারের রুপ! আঁধারের কী রুপ থাকে? থাকে কী কোনো সৌন্দর্য?
সে তো দর্শন পড়েছিলো। ওস্তাদ বড় যত্ন করেই দর্শন পড়িয়েছেন, কিন্তু আঁধারের এই রুপ তো তিনি শেখান নি! রাখাল ছেলে নির্ঘুম জেগে জেগে রাতের আকাশ ভরা তারা দেখে, চাঁদের জোস্নায় আলোকিত এক অপরুপ বিশ্ব দেখে! ওস্তাদ শিখিয়েছিলেন মহান আল্লাহর বাণী; ‘মা খালাক্বতা হাজা বাতিলাঁও'
আজ কেন যেন আয়াতটির অর্থ অনেক বেশি অর্থবহ, অনেক বেশি গভীর হয়ে তার কাছে ধরা দিচ্ছে! মাদ্রাসায় সহপাঠীদের সাথে বাহাসে, ওস্তাদের কাছ থেকে জ্ঞান আহরণে সবচেয়ে তুখোড় ছেলেটা এই নির্জনে যেন নতুন করে শিখছে! শিখছে এমন কিছু, যা কোনদিন কোনো ওস্তাদ তাকে বলেন নি, যা কোনো দিন সে কোনো কেতাবেও পড়েনি।
শন শন শব্দে বয়ে যাওয়া বাতাসের গুঞ্জনের মাঝেও যে সূর লহরী আছে! নিকষ আঁধারেরও যে একটা মনোহরী রুপ আছে, রুক্ষ পাথরের গা’এও যে খোদাই করা থাকে ইতিহাসের পাঠ, দর্শনের সুত্র, তা তার জানা ছিল না।
অবুঝ, অবোধ পশুর জীবনাচারের মধ্যেও যে একজন মানুষের শেখার মত শৃংখলাবোধ থাকে, তা তো কোনো ওস্তাদ কোনো দিন বলেন নি! মসজিদ নয়, খানক্বাহ নয়, মরুর নির্জন পরিবেশেও যে ঐ আকাশের মালিকের সাথে মন খুলে কথা বলা যায়, যায় মনের আকুতি মিশিয়ে মিনতি জানানো, তা তার জানা ছিল না। কেউ কোনদিন তাকে সে কথা বলে নি!
যুবকটির ভাবনার জগতে এক ভিন্ন মাত্রা পায়। তবে কী এই কারণেই আল্লাহপাক তাঁর প্রতিটি নবী রাসুলকে তাদের জীবনের কোনো না কোন পর্যায়ে মরুপ্রান্তরে নির্জন বাস করিয়ে নিয়েছেন? এই কারণেই কী তিনি ঐ সব মহামানবদের দিয়ে পশু চারণের মত কাজটাও করিয়ে নিয়েছেন! মহাকুশলী, মহাজ্ঞানী আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কৌশল বোঝে, সে সাধ্য কার?
এভাবেই এক এক করে দিন পার হয়। দিন বাড়ার সাথে সাথে পালের ভেড়া-দুম্বাও বাড়তে থাকে। একসময় তা হাজারে এসে ঠেকে। যে যুবক একদিন নি:সঙ্গতার ভয়ে নির্জনাবাসে আসতে চায় নি, আজ সেই তারই মন কেঁদে উঠছে নির্জনতাকে ছেড়ে যেতে! শেষ পর্যন্ত একদিন যুবকটি ওস্তাদের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো।
বিনম্র, নত যুবক! ওস্তাদের এক কালের প্রিয় সেই ছাত্রটিই আজ আবার ভিন্ন এক রুপে ওস্তাদের সামনে হাজির! নির্জনতাকে ছেড়ে আসতে গিয়েও ছাত্রটি যেন নির্জনতার পুরো মৌনতাকেই নিজের মধ্যেই ধারণ করেছে! ওস্তাদ তাকে দেখে মুঁচকি হাসলেন কেবল, কিছুই বললেন না, নীরবই রইলেন।
নীরবতারও যে একটা ভাষা আছে, ততদিনে যুবকটি তা খুব ভালো করেই জেনেছে। আর তাই ওস্তাদের না বলা কথাও সে বুঝেছে। ওস্তাদ তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে দোয়া করলেন, আর বাড়ি গিয়ে বৃদ্ধ পিতার সাথে দেখা করার জন্য বলে দিলেন।
যুবকটি বিদায় নিয়ে দ্রত বাড়ির পথ ধরলো। দীর্ঘ দিন পরে সন্তান এসে দাঁড়ালো বাবার সামনে। বৃদ্ধ, প্রাজ্ঞ জন্মদাতা পিতা সন্তানকে দেখে তৃপ্তির হাসি হেসে বুকে জড়িয়ে ধরলেন!
হ্যাঁ, আজ যেন মনে হচ্ছে সন্তান তার কিছু শিখে এসেছে! জ্ঞান আর প্রজ্ঞার ভারে সন্তান তার নুয়ে পড়ছে যেন! মৌনতাকে ধারণ করে শিক্ষিত হয়ে এসেছে! সন্তান সেই শিক্ষা শিখে এসেছে, যে শিক্ষা কেউ কাউকে শেখাতে পারে না।
শিখতে হয় নিজে নিজেই। শিখতে হয় প্রকৃতি থেকে, যেখানে কোনো পাঠ নেয়া দেয়া নেই! উপলব্ধি কেবলই হৃদয় দিয়ে! আর তৃতীয় নয়নে বিশ্বকে দেখে দেখে মনের কোণে জ্বালাতে হয় হেরার আলো!
এর জন্য প্রয়োজন হয় নীরবতা, নির্জনতা আর গভীর ভাবনাবোধ! এ ভাবেই মানুষ প্রাজ্ঞ হয়ে উঠে জ্ঞানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা (Clarity of Knowledge) লাভের মাধ্যমে।
আজ মুসলিম যুব মানসে, এমনকি, অনেক আলেম ওলামাদের মাঝেও প্রাজ্ঞতার পাশাপাশি জ্ঞানের ক্ষেত্রে এই স্বচ্ছতারই বড় অভাব! আর এরই কারণে তারা নিজ নিজ জ্ঞানের উপরে এত বেশি নির্ভরশীল যে, তাদের জানার বাইরে আর কারো কোনো জ্ঞান যে থাকতে পারে, সে কথাটাই যেন তাদের বোধে ধরা দেয় না!
ফল কী হয়েছে? ফল এই হয়েছে যে, এক আল্লাহ'র ইবাদাতের দাবীদার, এক রাসুলের উম্মত হবার দাবীদার হয়েও তারা শতধা বিভক্ত। সামান্য মতবিরোধেই পরষ্পর পরষ্পরের গলা কাটতে, অথবা নিদেন পক্ষে; 'কাফের' 'মুরতাদ' ফতওয়া দিতে ব্যস্ত!
এ কারণেই আজ কাল ঘরে ঘরে মুফতি তৈরি হয়ে গেলেও পুরো জাতির মধ্যে ক'জন প্রকৃত আলেম তৈরি হলো? মুসলিম উম্মাহর মধ্যে অজ্ঞানতার সয়লাব দেখে, তাদের সীমাহীন দূর্গতী দেখে সে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
বিষয়: বিবিধ
৯৬৫ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অসম্ভব সুন্দর জিনিস তুলে ধরেছেন প্রিয় ভাই
আল্লাহ আমাদের সবাইকে এক কাতারে হওয়ার তৌফিক দান করুণ। বারাকআল্লাহ ফি হায়াতি
রাসূল ﷺ কে বেশ উৎফুল্ল দেখে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ আমার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন । রাসূল ﷺ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহার জন্য দোয়া করলেন । "হে আল্লাহ আয়েশাকে মাফ করে দাও । তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দাও, তার আগামীর গুনাহ মাফ করে দাও, তার গোপনে করা গুনাহ মাফ করে দাও, তার প্রকাশ্যে করা গুনাও মাফ করে দাও ।
" রাসূল ﷺ দোয়া শুনে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হাসলেন । তিনি এত হাসলেন যে হাসতে হাসতে রাসূল (ﷺ) এর কোলে মাথা রাখলেন। সুবহানআল্লাহ।
রাসূল ﷺ আয়েশাকে জিজ্ঞেস করলেন, আমার এই দোয়া কি তোমাকে আনন্দিত করেছে ? আয়েশা (রাঃ) বললেন, কি করে এমন দোয়া কাউকে সন্তুষ্ট করতে না পারে !
আমাদের প্রিয় নবী আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে বললেন, আল্লাহর কসম ! আমি আমার উম্মতের জন্য আমার প্রতিটি নামাজে এই একই দোয়া করি ।
যে দোয়া রাসূল ﷺ উনার প্রিয়তম স্ত্রীর জন্য করেছেন সেই একই দোয়া প্রতি নামাজে তিনি তাঁর উম্মতের জন্য করেছেন, আপনার জন্য, আমার জন্যও করেছেন । তিনিই আমাদের প্রিয় রাসূল ﷺ।
-
একদিন চলার পথে রাসূল ﷺ কেঁদে উঠলেন । সাহাবারা কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আমি আমার ভাইদের জন্য কাঁদছি । সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ ! আমরা কি আপনার ভাই নই ? রাসূল ﷺ তোমরা তো আমার সাথী । আমার ভাই হল তারা যারা আমার পরে আসবে আর আমাকে না দেখেই আমার উপর ঈমান আনবে ।
আপনি এই দুনিয়াতে আসার আগেই রাসূল ﷺ আপনার জন্য কেঁদেছেন, আপনাকে মিস করেছেন । আমি আপনি কি কখনও প্রিয় নবীকে মিস করেছি? কেঁদেছি কখনও ? যে নবী আমার আপনার জন্য প্রতি ওয়াক্ত নামাজে দোয়া করতেন, সেই নবীর নামে দরুদ পড়েছি কয়দিন ? ভালোবেসে কোনদিন তার কয়টা সুন্নাহ পালন করেছি আমরা ?
-
রাসূল ﷺ একটি গাছে হেলান দিয়ে খুতবাহ দিতেন, তখনও মিম্বার তৈরী হয়নি । পরের সপ্তাহে রাসূল ﷺ যখন মিম্বরে দাঁড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন সাহাবারা বলেন, গাছের ভেতর থেকে শিশুর মত অঝোরে কান্না তারা শুনতে পেয়েছেন । একটি গাছও রাসূল ﷺ মিস করেছে, তার জন্য চোখের পানি ফেলেছে ।
-
রাসূল ﷺ এর মৃত্যুর পর বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আর আযান দিতে পারেনি । এরপর একদিন বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মদীনা ছেড়েই চলে গিয়েছিলেন ।
একদিন তিনি রাসূল ﷺ স্বপ্নে দেখলেন । রাসূল ﷺ বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলছেন, "এতদিনেও কি তোমার সময় হয়নি আমার রওজায় আসার ? "ছয় বছর পর বিলাল মদীনায় আসলেন সবাই তাকে আযান দিতে অনুরোধ করলেন । কিন্তু তিনি মনঃস্থির করেছেন রাসূলের জন্য যে আযান দিতেন তা আর কোনদিন কারো জন্য দিবেন না ।
শেষে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর অনুরোধে বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আযান দেওয়া শুরু করলেন । সেই আযান, সেই মধুময় সময়, রাসূলুল্লাহর স্মৃতি সব একসাথে ভেসে আসা শুরু করল । কিছুক্ষণের জন্য মানুষ মনে করল রাসূল ﷺ আবার ফিরে এসেছেন, মদীনার ঘর থেকে সবাই বেরিয়ে আসা শুরু করল, বিলাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যখন আযানে আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহর জায়গায় এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিলেন, পুরো মদীনা জুড়ে হু হু কান্নার শব্দ ছাড়া আর কিছু শোনা যায়নি ।
-
শেষ কবে আমি আপনি আমাদের প্রিয় নবীর জন্য কেঁদেছি ?
আখেরী নবী হযরত মুহাম্মাদ ﷺ এর আদর্শে জীবন পরিচালনার তাওফিক মহান আল্লাহ্ আমাদেরকে দান করুন।আমিন।
সংগৃহীত।
মন্তব্য করতে লগইন করুন