ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন ভিসা ও মুদ্রার প্রবর্তনের প্রস্তাব দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধূরী

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ০৯:৫০:৫১ রাত

সর্বশেষ ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন ভিসা ও মুদ্রার প্রবর্তনের প্রস্তাব দিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা ও আওয়ামী ঘরনার সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

শুক্রবার ভারতের আগরতলায় রবিন্দ্র শতবার্ষিকীর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ইকবাল সোবহান চৌধুরী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে অভিন্ন ভিসা চালু ও মুদ্রা প্রবর্তনের প্রস্তাব দেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইকবাল সোবহান চৌধুরী বাংলাদেশের মিডিয়া পাড়ায় একজন সুবিধাবাদী লোক হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। নীতি-নৈতিকতার চেয়ে তিনি সব সময় নিজের স্বার্থটাই বড় করে দেখেন বলে সাংবাদিক সমাজের অভিযোগ।

অভিযোগ রয়েছে, সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার শুধু ইকবাল সোবহান চৌধুরীর জন্যই হচ্ছে না। সাংবাদিকদের বড় একটি অংশকে নিয়ন্ত্রণ করেন ইকবাল সোবহান। সাগর-রুনি হত্যার পর যখন বিচারের দাবিতে সাংবাদিকরা মাঠে শক্ত অবস্থান নেন। তখন সরকার সাংবাদিকদের বিভক্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা পদের অফার করে। ইকবাল সোবহানও সরকারের এ প্রস্তাব লুফে নেন। ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে গড়ে উঠা আন্দোলনে ধীরগতি নেমে আসে। দুয়েকটি প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করলেও এগুলো স্রেফ লোক দেখানো। যার কারণে আজ পর্যন্ত সাগর-রুনি হত্যার বিচারের কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না।

ভারতে গিয়ে দেয়া ইকবাল সোবহানের এ বক্তব্য নিয়ে এখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বমহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সিনিয়র সাংবাদিকরা কঠোর সমালোচনা করছেন।

ওরা সবকিছুই করতে পারবে কারন আওয়ামীলীগ বলে কথা । এই বাংলাদেশের যে ক্ষতি অবৈধ আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের কারনে হচ্ছে বা হয়েছে তা অন্য কোন দল বা সংগঠনের কারনে হয়নি। যে পরিমান অর্থ এই দশ বছরে পাচার হয়েছে তা দিয়ে সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে প্রতিষ্টা করা যেতো। যারা অন্যদেশে বাড়িঘর কিনেছে তারা কি করে বাংলাদেশ প্রিয় হয়--?

বিষয়: বিবিধ

১০১৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

386350
১৯ জানুয়ারি ২০১৯ দুপুর ০১:১২
কুয়েত থেকে লিখেছেন : -ঃঃইসলামী রাষ্ট্র গঠনে কুরআনের ভুমিকাঃঃ-
★১. তামাম পৃথিবী একটি রাষ্ট্র বা রাজ্য এই রাষ্ট্রের নামে আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল মুলক্, মুলক্ মানে রাষ্ট্রের সুরা।
উক্ত সুরার মধ্যে উল্লেখ আছে রাষ্ট্র কাকে বলে, রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট কি, এবং কি কি সজ্ঞার আয়ত্বে পড়লে রাষ্ট্র হয় এ সকল বর্ণনা আছে।
★২. এবার রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য দল লাগবে সেই দলের নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হলো সুরাতুল যুমার, যুমার মানে দল, উক্ত সুরাতে আল্লাহ ত'য়ালা মানুষদের দলের কথা কথা বর্ণনা করেছেন।
★৩. এবার রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য মানুষ লাগবে, যে মানুষগুলো রাষ্ট্র চালাবে সেই মানুষগুলোকে নির্বাচিত করবে জনগণ, এই জনগণের নামেও (জেনারেল পাবলিকের নামেও) আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুদ দাহার, দাহার মানে জনগণেরর সুরা। জনগণ সরকারের কাছে কি কি দাবি করবে, আর সরকার জনগণের কাছে কি কি দ্বায়বদ্ধ থাকবে উক্ত সুরার মধ্যে তা বর্ণনা আছে।
★৪. শুধু জনগণ হইলেই হয়না ঐক্যবদ্ধ হওয়া লাগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয় এই ঐক্যের নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল যুমার। যুমার মানে ঐক্যবদ্ধ জনগণ। ঐক্য কোন্ কোন্ ভিত্তির উপরে হবে সেই ১১টা নীতিমালার কথা বর্ণনা উক্ত সুরার মধ্যে আছে।
★৫. এবার রাষ্ট্র পরিচালনা করবে কে? এই রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কোন্ কোন্ মানুষ নেতা হতে পাবরে (লিডার হবে) সেই নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল ইয়াসিন, ইয়াসিন মানে নেতা। উক্ত সুরার মধ্যে রাষ্ট্র পরিচালক নেতার ৮টি কোয়ালিটি বৈশিষ্টের কথা বর্ণনা আছে।
★৬. এবার রাষ্ট্র চালাতে সংবিধান লাগবে সেই সংবিধানের নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল ফুরক্বান, ফুরক্বান মানে সংবিধানের সুরা। উক্ত সুরাতে দেশ চালানোর জন্য দেশের সংবিধানের মধ্যে ১৮৩টি ধারা থাকবে সেই ১৮৩টি ধারার বর্ণনা আছে।
★৭. এবার দেশ চালাতে মন্ত্রী পরিষদেরর পরামর্শ লাগে এই মন্ত্রী পরিষদের কোয়ালিটি নিয়ে আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুস শুরা। শুরা মানে মন্ত্রী পরিষদ। যারা মন্ত্রী হবেন তাদের জন্য ৪টি কোয়ালিটি এবং আনুসাংগিক কর্মনীতির কথা উক্ত সুরার মধ্যে বর্ণনা আছে।
★৮. এবার নেতারা কোথায় বসে দেশ চালাবে সেই নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল বালাদ, বালাদ মানে রাজধানীর সুরা। উক্ত সুরার মধ্যে দেশের রাজধানীর বৈশিষ্ট সম্বলিত বর্ণনা আছে।
★৯. এবার রাজধানীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ যায়গা থাকে নগরী, নগরীতে সংসদ ভবন হয় সেই নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুস সাবা। সাবা মানে নগরী। সাজানো ঘোছানো নগরীর বৈশিষ্টের কথা উক্ত সুরাতে বর্ণনা আছে।
★১০. এবার দেশ চালাতে সৈন্যবাহিনী লাগে সেই সৈন্যবাহিনীর নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুজ যুখরুফ, যুখরুফ মানে সৈন্যবাহিনী। উক্ত সুরাতে দেশের সৈন্যবাহিনীর জন্য ৭টি কোয়ালিটি গুনাগুন বর্ণনা আছে।
★১১. এবার এই সেনাবাহিনীর সংঘবদ্ধ হওয়ার নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুছ ছফফাত, ছফফাত মানে সৈন্য সংঘবদ্ধ। উক্ত সুরাতে সৈন্যদের সংঘবদ্ধের জন্য সারিবদ্ধ থাকার ৩টি নীতি পদ্ধতির কথা বর্ণনা আছে।
★১২. এবার র‍্যার পুলিশ বিজিপি মিলে যৌথ অভিযান চালায় সেই যৌথ নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল আহযাব, আহযাব মানে যৌথবাহিনী। উক্ত সুরার মধ্যে যৌথবাহিনীর ৯টি কোয়ালিটি নীতির কথা বর্ণনা আছে।
★১৩. এবার র‍্যাব পুলিশ বিজিপিরা মিলে যৌথ অভিযান চালায় সেই যৌথ অভিযানের নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল আদিয়াহ, আদিয়াহ মানে যৌথ অভিযান। উক্ত সুরাতে যৌথ বাহিনীর যৌথ অভিযানের ৫টি নীতি অবলম্বন করে অভিযান চালানোর কথা বর্ণনা আছে।
★১৪. এবার আমরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে জোটবদ্ধ হয়ে সমাবেশ করি সেই সমাবেশের নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল জুমুআ, জুমুআ মানে সাপ্তাহিক সমাবেশ। উক্ত সুরাতে এই সমাবেশে মানুষের সমাজ জীবন কল্যাণের আদেশ নিষেদ পেশ করার বর্ণনা আছে।
★১৫. এবার আমরা জোট বদ্ধ হয়ে মহা সমাবেশ করে থাকি সেই মহা সমাবেশের নামেও আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনে একটি সুরা নাযিল করছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে সুরাতুল হাসর, হাসর মানে মহা সমাবেশ। উক্ত সুরাতে আখেরাতের ময়দানে হাসরে আল্লাহ তা'য়ালা সমস্ত মানুষদের নিয়ে মহা সমাবেশ করবেন। আর মানুষেরা তাদের প্রয়োজনে রাজধানীতে মহা সমাবেশ করার বর্ণনা আছে।
★১৬. এবার দেশ পরিচালনার জন্য মহিলাদের সাথে জোট করা যাবে কি? সেই সেই ব্যয়াপারেও আল্লাহ তা'য়ালা একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে মুমতাহিনা, মুমতাহিনা মানে পরীক্ষিতা নারী। উক্ত সুরাতে আল্লাহ তা'য়ালা দেশ দশ ও স্বাধীনতার জন্য সর্বত্র ত্যাগকারীনি সাহসী নারীর ৯টি গুনের কথা বর্ণনা করেছেন।
★১৭. এবার জোটবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে হার জিত হবে তাই সেই হার জিত সম্পর্কেও আল্লাহ তা'য়ালা একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে তাগাবুন, তাগাবুন মানে হার-জিত। হার-জিত হয়ে কোনো দল, এক দল আরেক দলের উপর জুলুম নির্যাতন না করার জন্য ২টি পরামর্শের বর্ণনার কথা এই সুরাতে আছে।
★১৮. এবার জোটবদ্ধ হয়ে তর্কবিতর্ক করার নামেও আল্লাহ তা'য়ালা একটি সুরা নাযিল করেছেন, সুরাটির নাম হচ্ছে মুযাদালাহ, মুজাদালাহ মানে তর্ক
386369
২৩ জানুয়ারি ২০১৯ সন্ধ্যা ০৭:১৬
কুয়েত থেকে লিখেছেন : জেরুজালেম বিজয়ে সুলতান সালাহুদ্বীন আইয়ুবীর পথেই হাঠছেন সুলতান এরদুগান...

হযরত ওমর (রাঃ) কতৃক ৬৩৮ খৃষ্টাব্দে প্রথম বায়তুল মোকাদ্দস বিজয়ের পর ১০৯৯ খৃষ্টাব্দে ক্রুসেডাররা বায়তুল মোকাদ্দাস দখল করে নিলে সর্বপ্রথম যিনি বায়তুল মোকাদ্দাস পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই শুরু করে তিনি হলেন তৎকালীন ইরাকের মসুলের শাসক ইমাদ উদ্দিন জেঙ্কি (রাহঃ)। তিনি ছিলেন আব্বাসীয় খেলাফতের একজন আমীর বা মসুলের শাসক।তিনি ইরাকের মসুল থেকে বায়তুল মোকাদ্দাস দখল করা সম্ভব নয় তাই প্রথমে বর্তমান সিরিয়ার হোমস শহর দখল করেন। হোমস শহর দখলের উদ্দেশ্যে হচ্ছে দামেস্ক দখল করা বা দামেস্কের তৎকালীন আমীর কে জেরুজালেম বিজযে সঙ্গী করা।

যাই হোক ইমাদ উদ্দিন জেঙ্কি ইন্তেকাল করলে বায়তুল মোকাদ্দাস বিজয়ের লড়াই চালিয়ে যান তার সুযোগ্য পুত্র ও আলেপ্পোর আমীর নুরউদ্দিন জেঙ্কি।বর্তমান জর্জিয়ার একটি জনপদের শাসকের ২ পুত্র নাজিমুদ্দিন আইয়ুবী ও আসাদ উদ্দিন শেরকু সহ ঐ জনপদের মুসলমানদের খৃষ্টানরা উৎখাত করলে তারা প্রথমে ইরাকের তিকরিত ও পরে সিরিয়ার আলেপ্পোতে জেঙ্কি পরিবারের কাছে আশ্রয় গ্রহন করেন।

সেই আশ্রীত গোষ্টির প্রধান নেতা নাজিমুদ্দিন আইয়ুবীর ঘরে জম্ম নেয় ইতিহাস বিখ্যাত মহান বীর সালাহুদ্বীন আইযুবী।নুরউদ্দিন জেঙ্কির দামেস্ক বিজয় ও তার এক সেনাকমান্ডার সালাহুদ্বীন আইয়ুবীর মিশর বিজযের মাধ্যমে জেরুজালেম বিজয়ের ভিত্তি স্থাপিত হয়।

পরিশেষে বেদখল হওয়ার ৮৮ বছর পর ১১৮৭ সালের ২ অক্টোবর শুক্রবার মহাবীর সালাহুদ্বীন আইয়ুবীর নেতৃত্বে মুসলমান বাহিনী জেরুজালেম জয় করেন।

বর্তমানে এরদুগানের সেনাবাহিনী সিরিয়ার হোমসের পাড়ে অবস্থান করছে, পেছনে ঘাপটি মেরে থাকা কুর্দী সেকুলারদের উৎখাত যে কোন মুহুর্তেই হবে কারন ইতিমধ্যে আমেরিকান সেনারা কুর্দীদেরে ভাগ্য তাদের হাতে ছেড়ে দিয়ে চলে যাওয়ার ঘোষনা দিয়েছে। এর পরের পদক্ষেপ দামেস্ক বিজয়, তারপরের পদক্ষেপ মিশরের সিসিকে উৎখাত করে ইসলাম পন্থীদের হাতে মিশরের ক্ষমতা তুলে দেওয়া।তার পর আবার জেরুজালেম বিজয়ের সেই মহান দিনের আগমন..
386372
২৪ জানুয়ারি ২০১৯ রাত ১২:৫৩
কুয়েত থেকে লিখেছেন : মৃত্যুশয্যায় সাহাবী খালিদ বিন ওয়ালিদ। দূর্বল কন্ঠে তাঁর স্ত্রীকে বিছানায় পাশে বসতে বললেন। খুব প্রয়োজনীয় একটি প্রশ্নের উত্তর জানা যে বাকি রয়ে গেছে! এই সেই মহাবীর খালিদ যিনি সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সেনাপ্রধান। যার নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী ১০০ টিরও বেশি যুদ্ধে অংশ নিয়েছে এবং কোনোটাতেই পরাজয় বরণ করেনি। তার রণকৌশল আজও বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণের সময় পাঠ্য হিসাবে শিখানো হয়! তাঁর নামে মুসলিম দেশগুলোতে আজও অনেক ব্রিগেড, যুদ্ধবিমান ও নৌযানের নামকরণ করা হয়। এই সেই খালিদ বিন ওয়ালিদ যাকে স্বয়ং রাসূল মুহাম্মদ (সা.) 'সাইফুল্লাহ' উপাধি দিয়েছিলেন, যার মানে আল্লাহর তরবারি। এই সেই খালিদ যিনি মুসলিম বাহিনীর সেনাপ্রধান হিসেবে তুখোড় বিজয়ী আর ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় তৎকালীন খলিফা উমর ইবনুল খাত্তাবের নির্দেশে বিনা বাক্য ব্যয়ে সেনাপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সাধারণ সৈনিক হিসেবে লড়াই করা শুরু করেন। নেতার নেতৃত্ব মানতে হবে, এতো ইসলামে ভীষণ জোড় দিয়ে বলা। নেতার নির্দেশের প্রতি আনুগত্য একজন সত্যিকার বীরের মহত্ব।

স্ত্রীকে খালিদ বললেন, 'প্রিয়তমা স্ত্রী, আমি বেশিক্ষণ বাঁচবো বলে মনে হচ্ছেনা। একটা আফসোস এই বিদায় বেলায় ভীষণ কষ্ট দিচ্ছে, তুমি কি উত্তর দিতে পারো'? খালিদের স্ত্রী বিনয়ের সাথে জিজ্ঞাসা করলেন, 'হে মহাবীর, কি প্রশ্ন আপনার মনে'? ৫৭ বছরের খালিদ বললেন, 'তুমি আমার সারাটা শরীর পরীক্ষা করে দেখো, এমন কোনো স্থান কি আমার শরীরে আছে যেখানে শত্রুর তরবারীর আঘাত নেই'? দীর্ঘক্ষণ পরীক্ষা করে স্ত্রী উত্তর দিলেন, 'না, আল্লাহর রাস্তায় আপনি এতো বেশি যুদ্ধ করেছেন যে শত্রুর আঘাত আপনার সারাটা শরীরেই আছে'। খালিদ বিন ওয়ালিদ তখন দুঃখ নিয়ে বললেন, 'আল্লাহর কসম, প্রতিটা জিহাদে আমার নিয়ত থাকতো যেনো আমি ময়দানে শত্রুর আঘাতে মারা যাই, তাতে যেনো শহীদের মর্যাদা পাই। কিন্তু আফসোস, দেখো আজ যুদ্ধের ময়দানে মৃত্যু না হয়ে আমার মৃত্যু হচ্ছে আমারই বিছানায়! আমায় কি আল্লাহ শহীদদের মাঝে রাখতে চাননা'? স্বামীর আফসোস দেখে স্ত্রী কিছুক্ষণ মৌন রইলেন। এরপর করলেন সেই বিখ্যাত উক্তি, 'আপনার নাম স্বয়ং রাসূল (সা.) রেখেছিলেন ‘সাইফুল্লাহ’- এমন কোনো তরবারী কি দুনিয়ায় আছে যেটা আল্লাহর তরবারীর মোকাবেলা করতে পারে? তাইতো ময়দানে আপনার মৃত্যু হয়নি কারন আল্লাহ তাঁর তরবারী মাটিতে লুটিয়ে যেতে দেননি'। ভীষণ খুশি হলেন খালিদ বিন ওয়ালিদ, বুঝতে পারলেন আল্লাহর ইচ্ছা এবং কিছুক্ষণ পরে শান্তিতে বেহেস্তের রাস্তায় চলে গেলেন।

আমরা অনেকেই সম্রাট জুলিয়াস সিজারের গুনগান করি, আলেকজান্ডারের ঘটনা মন দিয়ে শুনি, নেপোলিয়ানকে শ্রেষ্ঠ বলি। অথচ নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে গবেষণা করলে সবাই একবাক্যে স্বীকার করবে যে জেনারেল খালিদ বিন ওয়ালিদের নেতৃত্বগুণ, বীরত্ব আর রণকৌশলের সামনে অন্য যেকোনো সেনানায়কই তুচ্ছ। খালিদ বিন ওয়ালিদকেই আমার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা মনে হয়। আর এসব কোনো কল্পকাহিনী নয়, ইতিহাস ঘাটলেই তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানিত হয়। এমন বীর সাহাবীদের জীবনী যেনো আমাদের প্রতিদিনের পথচলায় অনুপ্রেরণার উৎস হয়... ধন্যবাদ
386381
২৭ জানুয়ারি ২০১৯ সন্ধ্যা ০৬:১০
কুয়েত থেকে লিখেছেন : (১)কাবা ঘরের ভেতরে কোনোইলেকট্রিক লাইট নাই।
(২) এ ঘরের মেঝে এবং ওয়াল মার্বেল পাথরদ্বারা নির্মিত।
(৩) এ ঘরের কোনো জানালা নাই।
(৪) কাবা ঘরের ১টি মাত্র দরজা।কাবা ঘরের ছাদে ১২৭ সে.মি লম্বা ও ১০৪ সে.মি. প্রস্থের একটি ভেন্টিলেটার আছে যেটি দিয়ে সূর্যের আলো ভেতরে প্রবেশ করে।এটি একটি কাচ দিয়ে ঢাকা থাকে।যখন কাবা ঘরের ভেতর পরিস্কার করা হয় তখন এই কাচটি খোলা হয়।কাবা শরীফের দুটি সিলিং রয়েছে।এর ভেতরের দেয়ালগুলি সবুজ ভেলভেটের পর্দাদিয়ে আবৃত। এই পর্দাগুলি প্রতি তিন বছর পর পর পরিবর্তন করা হয়।এর সিলিংকে তিনটি কাঠের পিলার ধরে রেখেছে। প্রতিটি পিলারের ব্যাস ৪৪ সে.মি.।পবিত্র কাবা শরীফ পরিস্কার করার জন্যে এর দরজা বছরে দুইবার খোলা হয়। রমজান এর ১৫ দিন আগেএবং হজ্জ এর ১৫ দিন আগে।পরিস্কারের পরে মেঝে এবং দেয়াল সাদা কাপড় ও টিসু দিয়ে মোছা হয়।এরপর দেয়ালগুলি পারফিউম দিয়েসুগন্ধযুক্ত করা হয়।কাবা শরীফের কালো কাপড়ের আবরনটি (কিশওয়া)প্রতি বছর ৯ই জিলহজ্জ পরিবর্তন করা হয়।কাবা শরীফের দরজার চাবি বনী সায়বা নামক একগোত্রের কাছে থাকে।মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) এই চাবী এই গোত্রেরকাছে দিয়েছিলেন,যা কিয়ামতের আগ পর্যন্ত তাদের কাছেই থাকবে।তারা কাবা শরীফ পরিস্কার করারকাজের জন্য বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রেসিডেন্ট,মন্ত্রী, কুটনীতিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিদেরদের অভিবাদন জানান।মক্কা শহরের গভর্নর তাদের কাবাশরীফের ভিতরে নিয়ে যান এবংতারা জমজম কুপের পানি এবং গোলাপ জল দিয়ে কাবা শরীফের ভিতর পরিস্কার করেন!

হে-আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে তোমার ঘরে যাওয়ারতৌফিক দান করুন

______"আমীন"
386556
০৮ মার্চ ২০১৯ রাত ১১:৪০
কুয়েত থেকে লিখেছেন : রাসুল সা: একবার এক বেদুইনকে প্রশ্ন করলো, "তুমি কি কখনো
উম্ম মিলদাম দ্বারা আক্রান্ত হয়েছো? " উত্তরে লোকটি
জিজ্ঞেস করল,
"উম্ম মিলদাম কি? " রাসুল সা : বললেন : "এক ধরণের জ্বর যা হাড়
ও চামড়ার ভেতর দিয়ে আসে। উত্তরে লোকটি বলল : "না "
.
রাসুল সা: তাকে পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন :"তোমার কি কখনো
মাথাব্যথা হয়েছে? " উত্তরে লোকটি জিজ্ঞেস করল :
"মাথাব্যথা কি? "
উত্তরে রাসুল সা: বললেন:" মাথার স্নায়ুজনিত কারণে সৃষ্ট
ব্যাথা।" উত্তরে লোকটি বলল :"না"। লোকটি চলে যাওয়ার পর
রাসুল সা: বললেন তোমরা যদি কোন জাহান্নামী লোককে
দেখতে চাও তাহলে একে দেখে নাও। [আবু হুরাইরা :নাসাঈ,
হিব্বান]
.
বিশ্বাস করুন মুমিনের জীবনে বিপদাপদ আসবেই। বিপদাপই তার
সঙ্গী কিন্তু কারো যদি বিপদাপদ না আসে তাহলে বুঝতে হবে
তার সমস্ত প্রতিদান হয়তো এ দুনিয়াতেই আল্লাহ তাকে দিয়ে
দিচ্ছেন।
.
এক ভাইকে এর আগে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম,
"কেমন আছেন? "উত্তরে বলেছিলেন, "আলহামদুলিল্লাহ খুব
ভালো আছি। কিন্তু সর্দি লেগেছে। " আমার পাশের ভাই এবার
পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন, " সর্দি লেগেছে তাহলে ভাল থাকলা
কেমনে?? " উত্তরে ভাই বলেছিলেন, "সর্দির কারণে শুধু আমার
অসুস্থতা দেখলে চলবে?? এর কারণে যে আমার গুনাহ মাফ হচ্ছে
সেটা কে দেখবে!!!
.
সুবহানআল্লাহ বিশ্বাস করুন মুমিন বান্দাদের আল্লাহ তা আলা
খুবই ভালবাসেন এজন্যই সামান্য কাটা বিঁধলেও তিনি আমাদের
গুনাহগুলোকে ক্ষমা করেন। বিপদে বা অসুস্থ হলে এই হাদীসটা
আমার বারবার স্মরণে আসে,
.
"মুমিনের ব্যাপারটা সত্যিই আশ্চর্যজনক। যখন সে আল্লাহর
নিয়ামত ভোগ করে তখন সে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে এটা
তার জন্য মঙ্গলজনক। আবার যখন সে কোন বিপদে পতিত হয় তখন
সে ধৈর্যধারণ করে এটাও তার জন্য মঙ্গলজনক ". [বুখারী,
মুসলিম ]
.
জ্বি হ্যা আল্লাহ তা আলা আপনাকে বিপদে ফেলে অসুস্থ করে
আপনাকে পরীক্ষা করবে। মনে রাখবেন আপনি যত বেশী
পরীক্ষার সম্মুখীন হবেন আল্লাহ ঠিক তত বেশী আপনাকে
ভালবাসেন। তিরমীযি শরীফের একটি হাদিসের সারমর্ম
অনেকটা এরুপ, " বান্দা আল্লাহকে জিজ্ঞেস করেন, "হে
আল্লাহ সবসময় কেন আমার সাথেই ঘটে " উত্তরে আল্লাহ তা
আলা বলেন, "কারণ আমি তোমাকে ভালবাসি। "
.
ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে। আমি সহ অনেক ভাইবোনই হয়তো অসুস্থ।
কিন্তু মনে রাখতে হবে একটি স্বর্ণ কেও কিন্তু আগুনের মধ্যেই
যাচাই করা হয়। মাঝে মাঝে একটি কথা প্রায় ভাবি মাত্র
সাতদিনের কোন অসুখ আমরা সহ্য করতে পারি না। আল্লাহকে
অভিযোগ দিতে শুরু করি । অথচ আইয়ুব আ: কত দীর্ঘ দিন ধরেই না
অসুস্থ ছিলেন অথচ কত বিনম্রভাবে তার অবস্থা আল্লাহর কাছে
জানিয়েছিলেন।
.
কতই না অপরিসীম ধৈর্যের অধিকারী তিনি ছিলেন। ঠিক
এজন্যই আল্লাহ তাদেরকে জমিনের বুকে সর্বশ্রেষ্ঠ বান্দাদের
অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।
.
বিপদাপদ, দু:খ কষ্ট, অসুখ-বিসুখ আমাদের জীবনের পরীক্ষার এক
একটি ধাপ। কিন্তু এর মধ্যেও স্বস্তি রয়েছে।
.
"নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে। নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে
স্বস্তি রয়েছে। " [নাশরাহ :৫-৬]
.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File