আল জিহাদ ফিল ইসলাম, জিহাদরে উপর এক অসাধারন গ্রন্থ। যা ইসলামে জিহাদের প্রকৃত পরিচয় মুসলিম / অমুসলিমদের কাছে স্পষ্ট করে তোলেছে
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:২৭:২৮ রাত
আল্লামা সাঈয়েদ আবুল আলা মওদুদী জুমার নামাজ পড়তে দিল্লী জামে মসজিদে গেলেন! তিনি যখন মসজিদে প্রবেশ করলেন তখন মসজিদের ইমাম সাহেবের আলোচনা চলছিল।
ইমাম সাহেবেও তখন খুব আবেগময় আলোচনা তথা
খোৎবা পাঠ করছিলেন। আল্লামা সাঈয়েদ আবুল আলা মওদুদী এই আলোচনা তথা খোৎবা খুব মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং আবেগময় হয়ে পড়েন।
ইমাম সাহেব তখন খোৎবায় বলেছিলেন, হায় খোদা হায় আল্লাহ ভারতবর্ষে আজ যদি এমন কোন আল্লাহর বান্দা ইসলামের জিহাদ নীতির উপর একটি প্রামাণ্য গ্রন্থ যদি রচনা করতো তাহলে ইসলাম বিরোধী অপপ্রচারের দাতভাঙ্গা জবাব দিয়ে ইসলামের প্রকৃত রূপ সবার সামনে তুলে ধরতো তবে কতই না ভালো হতো।
২৪ বছরের যুবক সাঈয়েদ আবুল আলা মওদুদী জুমার
নামাজ শেষ করলেন। নামাজের পরেই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তথা জিহাদের উপর তিনিই এই বইটি লিখার জন্য মনস্থির করলেন। এই বইয়ের লেখক তিনিই হবেন।
যে আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করেছেন,আমি কেন তার মহিমা ঘোষণার জন্য তার পক্ষে কলম ধরবো না ?
২৪ বছরের এ টগবগে যুবক লিখা শুরু করে দিলেন এবং লিখে ফেল্লেন আল্ জিহাদ ফিল্ ইসলাম নামের এক অসাধারন পুস্তক।
যা ইসলামে জিহাদের প্রকৃত পরিচয় অমুসলিমদের কাছে স্পষ্ট করে তোলে। বইটি এতোটা তথ্যপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে কবি সম্রাট আল্লামা ইকবাল তার এ বইটি পাঠ করে অত্যন্ত আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
কবি আল্লামা ইকবাল তখন এ বইয়ের ভূয়সি প্রশংসা করে বলেন, জিহাদ, যুদ্ধ ও সন্ধি সম্পর্কে ইসলামী আইন-কানুন সম্বলিত এ গ্রন্থটি অসাধারণ ও চমৎকার।
তিনি আল্লামা কবি ইকবাল সাঈয়েদ আবুল আলা মওদূদীর এই বইটি আল্ জিহাদ ফিল ইসলাম প্রত্যেক জ্ঞানী ও সুধীকে এ গ্রন্থটি পাঠ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
যে সময়ে মুসলমানরা বিধর্মীদের অপপ্রচারে ছিল দিশেহারা, সেসময়ে ২৪বছরের এ যুবক অসীম সাহসে এগ্রন্থ রচনা করে ইসলামের পক্ষে যে ভূমিকা রেখেছিলেন। তা আজও ভারতীয় উপমহাদেশে অবিস্মরণীয় হয়ে আছে।
সে ২৪বছরের যুবক পরবর্তী সময়ে ইসলামের পক্ষে ১২০টিরও বেশী বই লেখেন। এবং ৫৫টি ভাষায় তাহার বই গুলো অনুবাদ হয়ে পৃথিবীর কটি কটি মানুষ ইসলামকে একটি পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবে জান্তে
পেরেছে এবং দ্বীনের সটিক ধারনা পেয়েছে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাহার এই খেদমতকে কবুল করূন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নবীজী বললেন, ঠিক আছে তুমি পরামর্শ নিয়েই আমার কাছে চাও। আয়েশা (রাঃ) উনির আব্বু হযরত আবু বকর (রাঃ) এর কাছে পরামর্শ চাইলেন। আবু বকর (রাঃ) বললেন, যখন কিছু চাইবেই, তাহলে তুমি মুহাম্মাদ (সাঃ) এর কাছে, মিরাজের রাতে আল্লাহ পাক রাব্বুল আ'লামীন এর সাথে হইছে এমন কোন গোপন কথা জানতে চাও। আর কথা দাও নবীজী যা বলবেন তা সর্বপ্রথম আমাকে জানাবে।
আয়েশা (রাঃ) নবীজী (সাঃ) এর কাছে গিয়ে মিরাজের রাতের কোন এক গোপন কথা জানতে চাইলেন, যা এখনও কাউকে বলেন নি। মুহাম্মাদ (সাঃ) মুচকি হেসে দিলেন, বললেন বলে দিলে আর গোপন থাকে কি করে! একমাত্র আবুবকর ই পারেন এমন বিচক্ষণ প্রশ্ন করতে।
মুহাম্মাদ (সাঃ) বলতে লাগলেন, হে আয়েশা আল্লাহ আমাকে মিরাজের রাতে বলেছেন, "হে মুহাম্মাদ (সাঃ) তোমার উম্মাতের মধ্যে যদি কেউ, কারো বেঙ্গে যাওয়া মন জোড়া লাগিয়ে দেয় তাহলে আমি তাহাকে বিনা হিসাবে জান্নাতে পৌঁছে দেব।(সুবাহানআল্লাহ)
প্রতুশ্রুতি মত, আয়েশা (রাঃ) ইনার আব্বু হযরত আবুবকর (রাঃ) এর কাছে এসে নবীজীর বলে দেওয়া এই কথাগুলো বললেন। শুনে আবুবকর (রাঃ) কাঁদতে শুরু করলেন। আয়েশা (রাঃ) আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আব্বু আপনি তো কত বেঙ্গে যাওয়া মন জোড়া লাগিয়েছেন, আপনার তো সোজা জান্নাতে যাওয়ার কথা কাঁদছেন কেন?
আবুবকর (রাঃ) বললেন, আয়েশা এই কথাটার উল্টা চিন্তা করে দেখো, কারো ভাঙ্গা মন জোড়া লাগালে যেমন আল্লাহ সোজা জান্নাতে দিবেন, কারো মন ভাঙলে ও আল্লাহ যদি সোজা জাহান্নামে দিয়ে দেন, আমি না জানি নিজের অজান্তে কতজনের মন ভেঙেছি। আল্লাহ যদি আমাকে জাহান্নামে দিয়ে দেন, সেই চিন্তায় আমি কাদতেছি।(সুবাহানআল্লাহ)
এই হলো আমাদের ইসলাম, দুনিয়ায় থেকে জান্নাতের সুসংবাদ পাওয়ার পরেও এইভাবে চিন্তা করেন। এইভাবে ইসলাম আমাদেরকে শিক্ষা দেয়, কাউকে কষ্ট না দিতে, মানুষের কষ্টে পাশে দাড়াতে। মুহাম্মাদ (সাঃ) আরো বলেছেন, যদি
তুমি গোস্ত রান্না করতে চাও, তাহলে এক গ্লাস পানি বেশি দিয়ে দাও, যাতে তোমার গরীব প্রতিবেশীকে একটু
দিতে পারো। আর যদি না দিতে চাও, তাহলে এমন সময় রান্না করবে, যখন প্রতিবেশীর বাচ্চা ঘুমিয়ে থাকে,গোস্তের ঘ্রান পেয়ে বাবা-মাকে গোস্ত খাওয়ার কথা না বলে, গরীব বাবা-মা, গোস্ত কিনে খাওয়াতে পারবে না, মনে
অনেক কষ্ট পাবে। এইভাবে ইসলাম আমাদের শিক্ষা দিয়েছে, মুহাম্মাদ (সাঃ) আমাদের কে শিক্ষা দিয়ে গেছেন। মানুষের মন না বাঙ্গিতে, মানুষকে কষ্ট না দিতে। আল্লাহ পাক রাব্বুল আ'লামীন আমাদেরকে মানুষের কষ্টে পাশে দাড়ানোর, মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে, মানুষের বেঙ্গে যাওয়া মন জোড়া লাগাতে, অন্যের কষ্ট ভাগভাগি করতে তাওফিক দান করুন। আমীন।
আজ থেকে প্রায় ২২ বছর পূর্বে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ২ শতাধিক আসনে জামায়াত ১২.১৩ শতাংশ ভোট পান। মনমোহনদের হিসেবে বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ২৫% (অর্থাৎ ৪ কোটি)। মাহমুদুর রহমান তার এক লেখায় উল্লেখ করেছেন দেশে জামায়াতের ভোট ৭-৮ শতাংশ তথা ১ কোটির উর্ধ্বে।
জামায়াতের প্রকৃত ভোট ব্যাংক কত তা নিরুপন করা কঠিন। কারন সত্যিকার অর্থে কোনো নির্বাচনেই দেশের সবগুলো আসনে দলটি অংশ নেয়নি। একমাত্র ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলাম সবগুলো আসনে অংশ নিলেও কৌশলগত কারনে নৌকা ঠেকাতে তারা অধিকাংশ আসনে ধানের শীষে ভোট দেয়। আজ থেকে ২২ বছর পূর্বে ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ২ শতাধিক আসনে ১২.১৩ শতাংশ ভোট পেলেও তাদের জনসমর্থন ছিল আরো বেশি। কারন ৯১ এর নির্বাচনে ১০০’র মত আসনে জামায়াতের কোনো প্রার্থী ছিল না। তাছাড়া ২০০’র মত আসনে জামায়াতের দলীয় প্রার্থী থাকলেও বাছাইকৃত কিছু আসন ছাড়া অন্যান্য আসনে নৌকা ঠেকাতে তাদের ভোট যায় বিএনপির ঘরে। যে কারনে অনেক আসনে ৯১ এর নির্বাচনে জামায়াতের নির্বাচনী সমাবেশে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ হাজার লোক হলেও ভোট পায় মাত্র ২/৩ হাজার। অর্থাৎ বরাবরের মতই আওয়ামী বিরোধী সেন্টিমেন্টের কারনে নৌকা ঠেকাতে জামায়াতের লোকেরাও বিএনপিকে ভোট দিয়েছিল। মূলত জামায়াতের সমর্থন তখন আরো বেশি ছিল। আর ২২ বছরে নিশ্চয়ই তাদের সমর্থন আরো বেড়েছে। তাছাড়া অনেকেই চান জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় আসুক। কিন্তু প্রপাগান্ডার কারনে অনেকেই মনে করেন জামায়াত ক্ষমতায় যেতে পারবে না তাই ভোট দিয়ে লাভ কি?
বিগত নির্বাচনের তুলনায় প্রতি নির্বাচনেই প্রধান ইসলামী দল জামায়াতের মোট ভোট বেড়েছে। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে ৪.৬০ শতাংশ ভোট পেয়ে জামায়াত আসন পায় ১০টি, ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ১২.১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে আসন পায় ১৮টি, ১৯৯৬ সালে প্রাপ্ত ভোট ছিল ৮.৬১ শতাংশ। ২০০১ সালে ৪.২৯ শতাংশ ভোট পেয়ে আসন পায় ১৭টি আর ২০০৮ সালে ৩৮টি আসনে ৪.৬০ শতাংশ ভোট পেয়েও জামায়াত পেয়েছে ২টি আসন। তবে গত নির্বাচনে ৩৮ টি আসনে নির্বাচন করে প্রতি আসনে গড়ে ৮৮ হাজারের উপরে ভোট পায় যা কিনা বিগত ২০০১ এর নির্বাচনে তাদের প্রাপ্ত ভোটের অধিক।
অনেককে দেখা যায়, বিভিন্ন বক্তব্যে কিংবা লেখায় জামায়াতের সমর্থন ৪-৫ শতাংশ বলে উল্লেখ করতে। যা মোটেই তথ্যনির্ভর নয়। কারন গত ২টি নির্বাচনে জামায়াত ৪০টিরও কম আসনে তাদের দলীয় প্রার্থী দেয়। সারাদেশেই দলটির সাংগঠনিক ও সমর্থন থাকায় ৪০ আসনের প্রাপ্ত ভোটের বাইরে অন্যান্য আসনে তাদের অবস্থানকেও বিবেচনায় রাখতে হবে। বিশেষ করে, দেশের সীমান্তবর্তী ৩১টি জেলার প্রায় দেড় শতাধিক আসনের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আওয়ামী বরাবরই বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। এক্ষেত্রে কারন হিসেবে যেটা দেখা যায়, সীমান্তবর্তী ৩১ টি জেলার প্রায় দেড়শ’ আসনেই জামায়াতের আছে একটা ভালো ভোট ব্যাংক। যা আওয়ামী লীগের পরাজয়ের ব্যবধান বরাবরই বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। প্রকৃত বিচারে দেশের বিগত নির্বাচনী ফলাফলগুলো বিবেচনা করলে দেখা যায়, জামায়াতে ইসলামীর সমর্থন ২০ শতাংশের (অর্থাৎ ৩ কোটি) কম নয়।
বেঁধেছি ঘর আমি হয়েছি বধু কিবা বর
তবে যে প্রকৃত আত্মসমালোচনার প্রয়োজন,
দুই অবুঝের ধরায় বিচরণ
রব চাহে তু সফল হোক তার স্বপ্ন দিন।।
নিজের মতো করে পাইনি তারে
কি হতে পারে তার কারণ ?
আপন দোষে দোষী নয় আমি
হয়েছে কি কবো সেই চিন্তা বারণ ???
যখনই মনে পড়ে সে হয়নি আমার আপন
অমনি করে মোর জেগে ওঠে মন,
হয়তো আমার মাঝে সেই যোগ্যতা নেই
কেমনে হব আমি তার আপন??
যখনই কিছু বলি সে রাখেনি আমার কথা,
নিজে নিজে ভাবি অপরাধী আমি
হয়তো বলতে পারিনি রাখার মত করে কথা।।
যখনই তার হতে পাই আমি মন্দ ব্যবহার
নিজেকে ধিক্কার দিয়ে বলি,
হয়তো এমন কিছু করতে পারিনি আমি
তাহার প্রতি সুবিচার।।
যখনই বুঝতে পারি শুনতে পাই
সে বড় শত্রু আমার,
সতর্ক ভাবে চলি আর নিজেকে বলি
হয়তো সে পায়নি বন্ধুসুলভ আচরণ
তাইতো হয়েছে এমন যা ছিল হবার ।।
যখনই দেখি সে আমায় করে ঘৃণা
হয়তো প্রকৃত ভালোবাসা পারিনি দিতে,
তাইতো এর চেয়ে ভালো কিছু
পাওয়ার আশা করতে পারি না !!
যখন দেখি আমি শত চেষ্টার পরেও
আমার ডাকে সেই দেইনি সারা,
তখন নিজেকে বারংবার শুধরিয়ে বলি
হাজার চেষ্টা বাকি আছে উচিত নয় তাড়াহুড়া।।
মন্তব্য করতে লগইন করুন