হিজরী নববর্ষের গুরুত্ব ও ইতিহাস। মুসলিম উম্মাহ হিজরীসনের ব্যপারে তেমন আগ্রহ নেই

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:৪৮:৪৫ রাত

আমাদের মাঝ থেকে ১৪৩৯ হিজরি সন বিদায় নিয়ে হিজরি নববর্ষ ১৪৪০ সন শুরু হয়েছে। ১লা মহরমের মধ্যদিয়ে হিজরি নববর্ষ ১৪৪০ এর সূচনা। মুহাররম ইসলামী পঞ্জিকা হিজরি সনের প্রথম মাস। ইসলামে এ দিনটি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এক বিশেষ স্মারক। হিজরি সন এমন একটি সন, যার সাথে মুসলিম উম্মাহর তাহজিব-তামাদ্দুন ও ঐতিহ্যের ভিত্তি সম্পৃক্ত। মুসলমানদের রোজা, হজ, ঈদ, শবেকদর, শবে মেরাজসহ ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধান হিজরি সনের ওপর নির্ভরশীল।

**হিজরী সনের ইতিহাস**

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সময়ে ও তার পূর্বে রোমান, পারসিয়ান ও অন্যান্য জাতির মধ্যে তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার বা পঞ্জিকা প্রচলিত ছিল। আরবদের মধ্যে কোনো নির্ধারিত বর্ষ গণনা পদ্ধতি ছিল না। বিভিন্ন ঘটনার উপর নির্ভর করে তারিখ বলা হত। *খলিফা হজরত উমর ফারুক (রা.) এর শাসনামলে* ১৬ হিজরি সনে, প্রখ্যাত সাহাবি হজরত আবু মুসা আশআরী (রা.) ইরাক এবং কুফার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একদা হজরত আবু মুসা আশআরী (রা.) খলিফা উমরের (রা.) খেদমতে এ মর্মে পত্র লিখেন যে, আপনার পক্ষ থেকে পরামর্শ কিংবা নির্দেশ সংবলিত যেসব চিঠি আমাদের নিকট পৌঁছে তাতে দিন, মাস, কাল, তারিখ ইত্যাদি না থাকায় কোনো চিঠি কোন দিনের তা নিরুপণ করা আমাদের জন্য সম্ভব হয় না। এতে করে আমাদের নির্দেশ কার্যকর করতে সমস্যা হয়। অনেক সময় আমরা বিব্রত বোধ করি চিঠির ধারাবাহিকতা না পেয়ে। হজরত আবু মুসা আশআরীর চিঠি পেয়ে হজরত উমর (রা.) এ মর্মে পরামর্শ সভার আহবান করেন যে, এখন থেকে একটি ইসলামি তারিখ প্রবর্তন করতে হবে। উক্ত পরামর্শ সভায় হজরত উসমান (রা.), হজরত আলী (রা.) সহ বিশিষ্ট অনেক সাহাবি উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত সকলের পরামর্শ ও মতামতের ভিত্তিতে ওই সভায় ওমর (রা.) সিদ্ধান্ত দেন ইসলামি সন প্রবর্তনের। তবে কোন মাস থেকে বর্ষের সূচনা করা হবে তা নিয়ে পরপস্পরের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি হয়। কেউ মত পোষণ করেন রাসুল (সা.) এর জন্মের মাস রবিউল আওয়াল থেকে বর্ষ শুরু করার। আবার কেউ কেউ মত পোষণ করেন রাসুলের ওফাতের মাস থেকে বর্ষ শুরু করা হোক। অন্যান্যের মতে হুজুর (সা.) এর হিজরতের মাস থেকে বর্ষ করা হোক। এভাবে বিভিন্ন মতামত আলোচিত হওয়ার পর হজরত উমর (রা.) বললেন, হুজুর (সা.) এর জন্মের মাস থেকে হিজরি সনের গণনা শুরু করা যাবে না। কারণ খ্রিস্টান সম্প্রদায় হজরত ঈসা (আ.)-এর জন্মের মাস থেকেই খ্রিস্টাব্দের গণনা শুরু করেছিল। তাই রাসুলের জন্মের মাস থেকে সূচনা করা হলে বাহ্যত খ্রিস্টানদের অনুসরণ ও সাদৃশ্যতা হয়ে যায়, যা মুসলমানদের জন্য পরিত্যাজ্য। এ সম্পর্কে রাসুলের বাণী, خالفوا اليهود و النصاري অর্থাৎ ‘তোমরা ইয়াহুদি-খ্রিস্টানদের বিরোধিতা করো’। (বুখারি) অতএব আমাদের দেশে যারা রাসূল (সাঃ) এর জন্ম দিবসকে সামনে রেখে ঈদে মিলাদুন্নবীর নামে উৎসব পালন করে তারা নবীর সুন্নাতের অনুসারী নয়। বরং সুন্নী নামে ইসলামের বিধানে বিদয়াত সৃষ্টিকারী। অপরদিকে হুজুর (সা.)-এর ওফাত দিবসের মাস থেকেও গণনা শুরু করা যাবে না, কারণ এতে হুজুর (সা.) এর মৃত্যু ব্যথা আমাদের মাঝে বারবার উত্থিত হবে। পাশাপাশি অজ্ঞ যুগের মৃত্যুর শোক পালনের ইসলামবিরোধী একটি কুপ্রথারই পুনরুজ্জীবন ঘটবে। হজরত ওমর (রা.)-এর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যকে হজরত উসমান (রা.) ও হজরত আলী (রা.) এক বাক্যে সহমত পোষণ করে বললেন, এরই পরিপ্রেক্ষিতে খলিফা *হযরত উমর ফারুক (রা.) হিজরতের বছর থেকেই ইসলামি দিনপঞ্জী গণনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় হিজরতের ১৬ বছর পর ১০ জুমাদাল উলা ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দ। মোদ্দা কথা, আমিরুল মুমিনিন হজরত ওমর (রা.)-এর শাসনামলে হিজরি সনের গণনা সূচনা করেন। এটাই ছিল হিজরি সনের প্রেক্ষাপট।*

**হিজরী সনের গুরুত্ব**

মুসলিম জীবনে হিজরি সনের গুরুত্ব অপরিসীম। এ প্রসঙ্গে আল্লাহপাক ইরশাদ করেনঃ

إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِندَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ۚ ذَٰلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ ۚ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنفُسَكُمْ ۚ

অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে বিধান ও গণনা হিসেবে মাস হলো বারোটি। আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। এদের মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করোনা। (সূরা তাওবাহ : ৩৬)

হিজরী সনের প্রথম মাস হলো মহররম। মহররম একটি তাৎপর্যমন্ডিত ও বরকতময় মাস। মুসলিম ইতিহাসে এ মাসটি বিভিন্ন কারণে মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। এ মাসটিকে ‘শাহরুল্লাহ’ তথা আল্লাহর মাস বলা হয়। এ প্রসঙ্গে নবী সাঃ বিদায় হজ্বের সময় মিনা প্রান্তরে প্রদত্ত খোতবায় বলেন, ‘চারটি মাস রয়েছে যেগুলো সম্মানিত মাস। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো মহররম। (বুখারী, হা-১৭১২) আর এ মাসেই রয়েছে ফজিলতপূর্ণ ‘আশুরা’। মহররমের দশম তারিখে ঐতিহাসিক ‘কারবালা’ সংঘটিত হয়েছিল। এছাড়াও বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এই দিনে ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও এই দিনে আরও অনেক ঘটনা ঘটবে। মহররমের ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল রয়েছে তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নফল রোজা। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুল (সা.) কে এই দিন (আশুরার) এবং এই মাসে রমজানের রোজার চেয়ে অন্য কোনো রোজাকে এত গুরুত্ব দিতে দেখিনি। (মিশকাত) সহীহ মুসলিম শরীফের বর্ণনা,

‏1 - عَنْ ‏‏أَبِي هُرَيْرَةَ ‏‏رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ‏‏قَالَ : ‏قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ‏‏صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ‏: " ‏أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللَّهِ الْمُحَرَّمُ " أخرجهُ مسلمٌ

অর্থাৎ ‘রামজানের পরে সবচেয়ে বেশি ফযিলতের রোযা হলো আল্লাহর মাস মুহাররামের রোযা। (সহীহ মুসলিম, হা-৮৬১) উক্ত হাদীসেشَهْر কে اللَّهِ -এর দিকে যে إضافة করা হয়েছে এটি إضافة تعظيم অর্থাৎ,সম্মানের ইযাফত। আল্লামা ক্বারী রহ. বলেন, হাদিসের বাহ্যিক শব্দমালা থেকে পূর্ণ মাসের রোজা বুঝে আসে। তবে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান ব্যতীত আর কোনো মাসে পূর্ণ মাস রোজা রাখেননি, এটি প্রমাণিত। তাই হাদিসকে এ মাসে বেশি পরিমাণে রোজা রাখার ব্যাপারে উৎসাহ দেয়া হয়েছে বলে ধরা হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন,

صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ " رواه مسلم 1162

*‘আমার বিশ্বাস যে, আশুরার রোজার বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা বিগত এক বছরের গোনাহ মাফ করে দিবেন’। (তিরমিজি)* আশুরার রোজা সব নবীর আমলেই ছিল। নবী করিম (সা.) মক্কায় থাকতেও আশুরার রোজা পালন করতেন।

عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ فَرَأَى الْيَهُودَ تَصُومُ يَوْمَ عَاشُورَاءَ فَقَالَ مَا هَذَا ؟ قَالُوا : هَذَا يَوْمٌ صَالِحٌ ، هَذَا يَوْمٌ نَجَّى اللَّهُ بَنِي إِسْرَائِيلَ مِنْ عَدُوِّهِمْ فَصَامَهُ مُوسَى، قَالَ فَأَنَا أَحَقُّ بِمُوسَى مِنْكُمْ فَصَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ "

হিজরতের পর মদিনায় এসে রাসুলুল্লাহ (সা.) দেখতে পেলেন, ইহুদিরাও এই দিনে রোজা রাখছে। প্রিয় নবী (সা.) তাদের রোজার কারণ জানতে চাইলেন, তারপর জানতে পারলেন, এ দিনে মুসা (আ.) সিনাই পাহাড়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাওরাত লাভ করেন। এ দিনেই তিনি বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের কয়েদখানা থেকে উদ্ধার করেন এবং এ দিনেই তিনি বনি ইসরাইলদের নিয়ে লোহিত সাগর অতিক্রম করেন। আর ফেরাউন সেই সাগরে ডুবে মারা যায়। তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য ইহুদিরা এই দিন রোজা রাখে। মহানবী (সা.) বললেন, মুসা (আ.)-এর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক তোমাদের চেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ ও অগ্রাধিকারমূলক। অতঃপর তিনি ১০ মহররমের সঙ্গে ৯ মহররম মিলিয়ে দুটি রোজা রাখতে বললেন। কারণ, ইহুদিদের সঙ্গে মুসলমানদের যেন সাদৃশ্য না হয়। দ্বিতীয় হিজরিতে রমজান মাসের রোজা ফরজ হলে আশুরার রোজা নফল হয়ে যায়। তবে রমজানের রোজার পর আশুরার রোজা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ। এ মাসের নফল রোজা ও অন্যান্য ইবাদত রমজান মাস ছাড়া অন্য যেকোনো মাস অপেক্ষা অধিক উত্তম। (মুসলিম ও আবু দাউদ)।

**মহররম মাস সম্পর্কে কিছু প্রচলিত ভুল ধারণাঃ**

মহররম মাসের যেমন শ্রেষ্ঠত্ব ও ফজিলত রয়েছে, তেমনি এ মাস সম্পর্কে সাধারণে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে।

*যেমনঃ এই মাসে বিয়ে-শাদি না করা, নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণ না করা, কোনো শুভ কাজ বা ভালো কাজের সূচনা না করা, গোশত না খাওয়া ও নিরামিষ আহার করা, পান না খাওয়া, নতুন কাপড় ও সুন্দর পোশাক পরিধান না করা, সাদা কাপড় বা কালো কাপড় তথা শোকের পোশাক পরা, সকল প্রকার আনন্দ-উৎসব পরিহার করা ইত্যাদি। এসবই কুসংস্কার। কোরআন ও হাদিসে এ রকম কিছু লেখা নেই।* ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও আনন্দ-উৎসবসহ সব ক্ষেত্রেই মুসলিম উম্মাহ হিজরি সনের অনুসারী। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, হিজরি সনের পহেলা মাস মহররম একের পর এক আমাদের দুয়ারে হাজির হয় ঠিক, কিন্তু হিজরি সনের নব আগমন উপলক্ষে হৈ-হুল্লোড় নেই, নেই কোনো প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়ার বিশেষ কোনো আয়োজন। যেমনভাবে বিশেষ আয়োজন পরিলক্ষিত হয় ঈসায়ী নববর্ষ কিংবা বাংলা নববর্ষের আগমনে। ঈসায়ী নববর্ষ কিংবা বাংলা নববর্ষ আগমনে আমাদের দেশের সংস্কৃতি প্রেমিকরা সংস্কৃতির নামে অপসংস্কৃতির চর্চায় মেতে ওঠে। এতে ইসলামী বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা করা হয় না। তথাকথিত সংস্কৃতিপ্রেমীদের সাথে সাথে আমাদের একশ্রেণির তারুণ-তরুী নববর্ষ উদযাপনের নামে অশ্লীলতা ও বেলেল্লাপনায় গা ভাসিয়ে দেন। ঈসায়ী নববর্ষ কিংবা বাংলা নববর্ষকে যেভাবে গুরুত্ব তথা আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে উদযাপন করা হয় এবং হিজরি নববর্ষের প্রতি অবহেলা দেখে মনে হয় হিজরি নববর্ষের যেন আমাদের প্রয়োজনই নেই। অথচ হিজরি নববর্ষকে গুরুত্বসহকারে পালন করাই ছিল আমাদের মুসলিম অধ্যুষিত দেশে কাম্য। যেসব উপাদান মুসলিম উম্মাহকে উজ্জীবিত করে তন্মধ্যে হিজরি সন অন্যতম। বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর কৃষ্টি-কালচারে হিজরি সনের গুরুত্ব অপরিসীম।

★ হিজরি সন গণনার সূচনা হয়েছিল ঐতিহাসিক এক অবিস্ময়রণীয় ঘটনাকে উপলক্ষ করে। রাসুল (সা.) এবং তাঁর সঙ্গী-সাথীবর্গের মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের ঐতিহাসিক ঘটনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই আরবি মহররম মাসকে হিজরি সনের প্রথম মাস ধরে সাল গণনা শুরু হয়েছিল। আল্লাহর নির্দেশ পালনার্থে তথা দ্বীনের স্বার্থে পবিত্র মক্কা থেকে মদিনায় রাসুল (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরামগণের হিজরতের বছর থেকেই হিজরি সনের সূচনা। শেষ কথা: হিজরি সনের সম্পর্ক চাঁদের সাথে থাকার কারণে এই সনের তাৎপর্য অত্যন্ত ব্যাপক। এই চাঁদের হিসাবে মুসলমানদের অনেক ইবাদত-বন্দেগী, আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়ে থাকে। কাজেই সর্বক্ষেত্রে হিজরি তারিখকে গুরুত্ব দেয়া জরুরি।

বিষয়: বিবিধ

১২৪৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385876
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ দুপুর ০১:৫২
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভুলতো আপনিই করেছিলেন।
তবে এখন বোঝার জন্য ধন্যবাদ।
কিন্তু আরো অনেক বুঝতে বাকী আছে।

হাজারও ভুলের মাঝে কিছু বড় ভুল না "
বলে পারছিনা আজ।
জানি জোটের অনেকেরই খারাব লাগবে" তবে চিন্তার বিষয় "এখনো সময় আছে বন্ধু না চিনলে শকুনের হাতথেকে দেশ জাতী ও ইসলাম রক্ষাপাবে না ?

১ জোট সরকারের শেষ সময়ে দেশে সরকারি চাকরিতে ৪০ থেকে ৫০ % কোটা খালি ছিলো।
নিয়োগ করাহবে ঠিক তখনি আপনি বলেছিলেন আম্মা এখন নিয়োগ দেওয়া যাবেনা "কারণ সব জামায়াত শিবির এসে যাবে। তখন যদি সরকারি চাকরিতে সব জামায়াত শিবির এসেযাতো তাহলে আজ আপনার কোমর ভাঙ্গাতো দুরের কথা আপনাকে গ্রেফতারের স্বপ্নও দেখতে পারতো না।

২ গোলাম আজমের ছেলে সেনা প্রধান হয়ে যাচ্ছিলো ঠিক তখনি আপনি আপনার আম্মাকে বলেছিলেন আম্মা আমার বাবা কিন্তু সেনাপ্রধান থেকেই
রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছিলো।
তখন যদি গোলাম আজমের ছেলে সেনাপ্রধান হতো তাহলে আজ সেনানিবাস থেকে আপনাদের বের করেদেওয়ার কলিজা কারো হতোনা।

৩ জোটের আমলে জামায়াতকে যদি তাদের সঠিক ক্ষমতা টুকু দিতেন "তাহলে আজ আপনাকে দেশের বাইরে থাকালাকতো না।

৪ জামায়াতে সঙ্গে সকল আন্দোলনে,
যদি রাজপথে নামতেন,
তাহলে ৩ বারের সফল প্রধানমন্ত্রীকে, জেলে থাকাতো দুরের কথা জেল স্বপ্নেও দেখালাকতোনা।

৫ জামায়াত নেতাদের অবৈধ রায় দেখে (বোবা) না হয়ে' যদি প্রতিবাদ করতেন,তাহলে আজ আমাদের প্রিয় নেতাদের,
হয়তো বা হারানো লাকতোনা।

আর সেই ভয়ে সরকার আপনাদেরও অবৈধ রায় দেওয়ার চিন্তাও করতোনা।

৬ জামায়াতে সাঙ্গে মনথেকে যদি মিলতে পারতেন তাহলে দেশ জাতী ও ইসলাম রক্ষার জন্য" আজ জাতীয় ঐক্যর নামে এই মিসকিন দের দিকে তাকিয়ে থাকা লাকতোনা।

এখনো সময় আছে জামায়াতে হাতে হাত মিলিয়ে দেশ জাতী ও ইসলাম রক্ষার শপথ নিন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File