আল কুরানে সৎ কাজের আদেশের কথা বলা হয়েছে ১০০০ বার। এবং অসৎ কাজের নিষেদের কথা ও বলা হয়েছে ১০০০ বার

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ০১:০০:০২ দুপুর

পবিত্র আল কোরআনে সৎ কাজের আদেশের কথা বলা হয়েছে ১০০০ বার। এবং আল কোরআনে অসৎ কাজের নিষেদের কথা বলা ও হয়েছে ১০০০ বার। আমি এবং আমরা কতটুকু পালন করছি

বাংলাদেশের সমস্ত আলেমের এমন কোনো ক্ষমতা আছে কি? "ইক্বামাতে দ্বীন" রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীন প্রতিষ্টা করার আগে সমাজে ইসলামের সমস্ত বিধান সকল সৎ কাজের আদেশ এবং সকল অসৎ কাজের নিষেদ করতে পারবো কি --?

আমরা সমস্ত আলেম সমাজ কিয়ামত পর্যন্ত চেষ্টা করলেও পারবেননা, কারন রাষ্ট্র ক্ষমতা ছাড়া এসব কাজ করা কিছুতেই সম্ভব নয় তাই স্বয়ং আল্লাহ তা'য়ালাই বলে দিয়েছেন যে,

নেক তথা লোক, যাদেরকে আমি যদি পৃথিবীতে ক্ষমতা দান করি (রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীন ক্বায়েম হয়) তাহলে তারা নামায ক্বায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে, ভালো কাজের আদেশ দেবে, এবং খারাপ কাজের নিষেধ করবে। (সুরা হজ্জ ৪১) এগুলো করতে হলে রাষ্ট্র ক্ষমতা অবশ্যই দরকার।

রাষ্ট্র ক্ষমতা হাতে পাওয়ার জন্য স্বয়ং নবীজি সা: আল্লাহর কাছে দোয়াও করেছিলেন পবিত্র কোরআনে তা আল্লাহ তায়ালা পৃথিবী বাসীকে জানিয়েদিলেন।

﴿ وَقُل رَّبِّ اَدۡخِلۡنِىۡ مُدۡخَلَ صِدۡقٍ وَّاَخۡرِجۡنِىۡ مُخۡرَجَ صِدۡقٍ وَّاجۡعَل لِّىۡ مِنۡ لَّدُنۡكَ سُلۡطٰنًا نَّصِيۡرًا‏﴾

হে আমার পরওয়ারদিগার! আমাকে যেখানেই তুমি নিয়ে যাও সত্যতার সাথে নিয়ে যাও এবং যেখান থেকেই বের করো সত্যতার সাথে বের করো। এবং তোমার পক্ষ থেকে একটি কর্তৃত্বশীল রাষ্ট্র শক্তিকে আমার সাহায্যকারী বানিয়ে দাও।

(সুরা বনি ইসরাইল ৮০)

এজন্যই সব ফরজের বড় ফরজ "আন আক্বিমুদ্দ্বীন" রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীনকে আগে ক্বায়েম করতে হবে।

আর এই দ্বীনকে ক্বায়েম করার জন্যে নবীজি সা: এবং তাঁর সাহাবাগন ১৭ই রমজান বদরের যুদ্ধে ৪ ওয়াক্ত নামাজ কাযা করেছিলেন রমজানের রোজা ভংগ করেছিলেন।

আমরা আপনারা যারা আক্বিমুদ্দ্বীন দ্বীন, সব ফরজের বড় ফরজ দ্বীন ক্বায়েমের কাজ বাদ দিয়ে ইসলামের দোহাই দিয়ে কি করে নবীর ওয়ারিস দাবি করছি বা করেন? এর কি কোন উত্তর আমাদের কাছে আছে --? উত্তর চাই সম্মানিত বলগার ভাইদের কাছে।

বিষয়: বিবিধ

১০২৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385829
৩১ আগস্ট ২০১৮ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
শেখের পোলা লিখেছেন : আপনার সাথে একমত। তবে মনে রাখতে হবে যে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছেলের হাতের মোওয়া নয় যে চাইলেই বা ধমকেই পাওয়া যাবে। দ্বীন কায়েম অবশ্যই ফরজ, কার বা কাদের দ্বারায় তা সম্পন্ন হবে আর কখন হবে তা আল্লাহই জানেন। আমাদের আগে যা করতে হবে তা জিহাদ বা সংগ্রাম। এই সংগ্রামের অংশই হবে সকল মানুষের মাঝে দ্বীন কায়েমের চেতনা জাগ্রত করে চুড়ান্ত জিহাদের জন্য প্রস্তুত করা। যখন তা হবে শুধু তখনই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পাবার লড়াইয়ে নামতে হবে। রসুল সঃ মক্কার জীবনে প্রস্তুতীই করেছেন আর মাদানী জীবনে করেছেন তার সংগ্রাম। আর জনবল গড়তে গিয়ে সবরের সাথে যাবতীয় জুলুম নীরবে সহ্য করতে হবে। আমাদের মওলানারা দ্বীন বলতে পাঁচটি স্তম্ভ ছাড়া আর কিছুই বোঝেন না আর ঝামেলায় জড়াতে চান না। আর সব চাইতে বড় কথা আমরা সঠিক মুসলীম হয়েই উঠতে পারিনি।
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
317922
কুয়েত থেকে লিখেছেন : মুহতারাম আপনার কথাই সত্যি যতদিন আলেম সমাজ সঠিক ইসলাম কুরআন সুননাহ৷ অনুযায়ী জাতির সামনে দিক নিদর্শন াা পেস নাকরবেন ততদিন পর্যন্ত এই জাতিকে অনদকারেই থাকতে হবে আপনাকে অনেক অনেক মোবারকবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File