গালি দেওয়া ইসলামে হারাম, অশ্লীল গালাগালি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ , এটা মুনাফিকেরই একটি আলামত। মুনাফিকরা জাহান্নমী
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০২ আগস্ট, ২০১৮, ০৪:৩৭:০১ বিকাল
অশ্লীল গালাগালি করা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং তা হারাম। আমরা দেখতে পাই অনেক মুসলমান ভাই একটু বেশ কম হলেই গালাগালি শুরু করে অথচ এটা একটি মুনাফিকের আলামত। আর মনাফিকরা জাহান্নমের সর্বনিম্নে অবস্থান করবেন।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে এই মুনাফিকের আমল তথা মুনাফিকের চরিত্র থেকে দূরে রাখুন। মুনাফিকের ব্যপারে কোরআন হাদিসে বহু সতর্ক বাণী রয়েছে।
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাযি.) হতে বর্ণিত। নবী (সাঃ) বলেনঃ চারটি স্বভাব যার মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাঁটি মুনাফিক। যার মধ্যে এর কোন একটি স্বভাব থাকবে, তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকের একটি স্বভাব থেকে যায়।
১. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে
২. কথা বললে মিথ্যা বলে
৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে; এবং
৪. বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীলভাবে গালাগালি দেয়। বুখারী, হাদিস নং ৩৪
"আল্লাহ তা‘আলা অশ্লীল এবং কটুভাষীকে অবশ্যই ঘৃণা করেন। তিরমিজী, হাঃ নং ২০০৮
ইসলামে গালিগালাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আর অশ্লীল গালিগালাজ মুনাফিকির একটি বৈশিষ্ট্য। আল্লাহতা'আলা অশ্লীল গালাগালিকারীদের ঘৃণা করেন। এরপরেও আপনি কি করে অশ্লীল গালাগালি করেন?
ইসলামে যা নিষিদ্ধ, তা নিষিদ্ধই। কোনরকম অজুহাত বা যুক্তি অশ্লীল গালাগালিকে জায়েজ করে দিতে পারে না। অথচ দুঃখজনক যে, গালিগালাজের পর অনেকেই গালিগালাজের সপক্ষে যুক্তি পেশ করে থাকে। একবার চিন্তা করুন, শেষ বিচারের দিনে আল্লাহ্র সামনে গালিগালাজের সপক্ষে এভাবে অজুহাত বা যুক্তি পেশ করতে পারবেন? না, কখনোই পারবেন না। তাহলে এই গালিগালাজ বন্ধ করুন, আল্লাহকে ভয় করুন।
কোন ব্যক্তি যদি কাউকে অশ্লীল গালাগালি করে, তাহলে আপনার উচিত হবে সেই ব্যক্তিকে সতর্ক করা। যদি সেই ব্যক্তি এরপরেও সতর্ক না হয়, তাহলে আপনার উচিত হবে তাকে বয়কট করা বা এড়িয়ে চলা। কিন্তু সেই ব্যক্তি যদি সাধারণ কেউ না হয়ে জনপ্রিয় কোন ব্যক্তিত্ব হয়, তাহলে আপনার উচিত হবে প্রকাশ্যেই তার বিরোধিতা করা। কিন্তু এরপরেও যদি আপনি তাকে সমর্থন করে যান, তাহলে এর পাপের ভার আপনাকেও বহন করতে হবে, সন্দেহ নেই। বিশেষ করে, মুসলিম নেতা হিসেবে পরিচিত কিংবা ইসলামী আন্দোলনের কোন কর্মী কাউকে গালিগালাজ করলে ও নিজেকে সংশোধন না করলে প্রকাশ্যেই তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা উচিত। কেননা এরকম ব্যক্তি ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এমনকি আপনার জন্যেও ক্ষতিকারক। কেননা সে আপনাকে "ভূল" শিক্ষা দিচ্ছে। তাই অজুহাত বন্ধ করে, গালিগালাজকারীদের পদমর্যাদা, বংশপরিচয়, প্রতিভা, প্রভাবপ্রতিপত্তি ইত্যাদি না দেখে সম্পূর্ণরূপে বয়কট করুন। এখনই এর প্রতিকার না করলে পৃথিবীতে ভয়াবহ পরিস্থিতির স্বীকার হতে হবে এবং আখিরাতে জবাবদিহি করতে হবে।
শুধু সাধারণ কোন ব্যক্তি কেন, বিশ্বের সবচেয়ে নামকরা কোন মুসলিম ব্যক্তিত্বও যদি কাউকে অশ্লীল গালাগালি করেন ও তার সপক্ষে যুক্তি পেশ করে থাকেন, তাহলে আপনার উচিত হবে প্রকাশ্যে তারও বিরোধিতা করা।
গালিগালাজের বিরোধিতা করে আরো অনেক হাদিস আছে। নীচে কয়েকটি উল্লেখ করলাম। যাতে আপনারা এথেকে শিক্ষা নিতে পারেন।
"আইশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা এক ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হওয়ার অনুমতি চাইলে, তিনি বলেনঃ সে খারাপ বংশের লোক । এরপর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তাকে আসতে দাও । সে ব্যক্তি ভিতরে প্রবেশ করলে তিনি তার সাথে নরম-ভদ্র ব্যবহার করেন । তখন আইশা (রাঃ) বলেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ! আপনি তার সাথে ভদ্র ব্যবহার করলেন, অথচ ইতোপূর্বে আপনি তার সম্পর্কে এরূপ উক্তি করলেন ? তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তি আল্লাহ্র কাছে অধিক ঘৃণিত হবে, যার দুর্ব্যবহারের কারণে লোকজন তার সাথে মেলামেশা পরিত্যাগ করে। আবু দাউদ, ৪৭১৬
"জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ *যে ব্যক্তি নরম স্বভাব হতে বঞ্চিত, সে সব ধরনের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত।আবু দাউদ, ৪৭৩৪
আনাস ইবনু মালিক হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গালি-গালাজকারী, অশালীন ও লা‘নতকারী ছিলেন না। তিনি আমাদের কারো উপর অসন্তুষ্ট হলে, শুধু এতটুকু বলতেন, তার কী হলো। তার কপাল ধূলিমলিন হোক। বুখারী, ৬০৩১
আহমাদ ইবন হাসান ইবন খিরাশ বাগদাদী (রহঃ) জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যার চরিত্র ও ব্যবহার ভাল সে ব্যক্তি আমার নিকট তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয় এবং কিয়ামত দিবসে সে আমার সবচেয়ে নিকটে অবস্থান করবে। আর আমার নিকট তোমাদের মধ্যে সবচে’ ঘৃণ্য ব্যক্তি কিয়ামত দিবসে যারা আমার থেকে দূরে থাকবে সেই ব্যক্তিরা হল যারা, ছারঝারূন অনর্থক বক বক করে এবং মুতাশাদ্দিকুন যারা উপহাস করে এবং’মুতাফায়হিকুন- তো আমরা জানি। কিন্তু মুতাফায়হিকুন কি? তিনি বললেন, যারা অহংকার করে।
এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
الثَّرْثَارُ - যে ব্যক্তি বেশী কথা বলে।
الْمُتَشَدِّقُ - যে ব্যক্তি কথা বার্তায় লোক সমাজে অহংকার প্রদর্শন করে এবং অন্যদের উপর অশ্লীল এবং উপহাসমূলক কথা প্রয়োগ করে তিরমিজী, ২০২৪
সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বসেছিলেন এবং তাঁর সাহাবীগণ তাঁর সংগে ছিল। এ সময় এক ব্যক্তি আবূ বকর (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে (কটুক্তি করে) তাঁকে কষ্ট দেয়। আবূ বকর (রাঃ) তা শুনে চুপ করে থাকেন। সে ব্যক্তি তাকে দ্বিতীয়বার কষ্ট দিলেও তিনি চুপ করে থাকেন। এরপর সে তৃতীয়বার তাঁকে কষ্ট দিলে তিনি প্রতিশোধ নেন - (অর্থাৎ তিনি তার কটুক্তির জবাব দেন।) আবূ বকর (রাঃ) যখন কটুক্তির জবাব দিয়ে প্রতিশোধ নেন, তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দাঁড়িয়ে যান। তখন আবূ বকর (রাঃ) বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আপনি কি আমার উপর রাগ করলেন ? তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ আসমান থেকে একজন ফেরেশতা এসে ঐ ব্যক্তিকে তোমার পক্ষ হতে মিথ্যা প্রতিপন্ন করছিল। কিন্তু তুমি নিজেই যখন জবাব দিলে, তখন শয়তান সেখানে এসে হাযির হয়ে গেল । আর শয়তান যেখানে আসে, আমি সেখানে বসতে পারি না। আবু দাউদ, হাঃ নং ৪৮১৬
অনেকে পিতা-মাতাকে ও উল্লেখ করে ব্যাপক গালিগালাজ করতে দেখা যায়। এসম্পর্কে নীচের হাদিসটি পড়ুন।
আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী ﷺ বলেছেনঃ কবীরা গুনাহসমূহের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো নিজের পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা। জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে আল্লাহর রসূল! আপন পিতা-মাতাকে কোন লোক কিভাবে অভিসম্পাত করতে পারে? তিনি বললেনঃ সে অন্য কোন লোকের পিতাকে গালি দেয়, তখন সে তার পিতাকে গালি দেয় এবং সে অন্যের মাকে গালি দেয়, অতঃপর সে তার মাকে গালি দেয়।বুখারী পর্ব ৭৮ঃ /অধ্যায় ৪ হাঃ ৫৯৭৩
বিষয়: বিবিধ
১৬৫২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঢাকা: ‘অন্যায়ের মধ্য দিয়ে যারা ক্ষমতা দখল করে তারা কখনো ন্যায়বিচার করতে পারে না’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কথাটি ১০০% সত্য এবং বর্তমানে ১০০% বাস্তবায়নও হচ্ছে। বাহ! দেখলেনতো তিনি কত বাস্তবসম্মত কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলনের সেনাপতি....!!
ছেলেটি মাদ্রাসায় নবম বা দশম
শ্রেনীতে পড়ে। অসম্ভব মেধাবী
তবে দুষ্টের শিরোমনি। ক্লাসের
সবাই ভয়ে ভয়ে থাকে তার
দুষ্টোমীর হাত থেকে বাচতে। কেউ
সাদা পাঞ্জাবী পড়ে আসলে
ছেলেটির আশে পাশে কখনোই
বসতো না।
যদি ভুল করেও কেউ বসতো তাইলে
তার পাঞ্জাবী হয়ে যেত
ছেলেটির লেখার খাতা! এই
ছেলেটিও একদিন শিবিরের
দাওয়াত গ্রহন করল। কিন্তু করলে কি
হবে তার দুষ্টুমি কিছুতেই কমে না।
তাকে শপথের কর্মী বানানো
প্রায় অসম্ভব চিন্তা হয়ে দাড়াল
দায়িত্বশীলদের জন্য। কিন্তু শহীদ
আব্দুল মালেকের উত্তরসূরীরা কি
আর থেমে থাকে? এক দায়িত্বশীল
ভাই পণ করেই বসলেন এই দুষ্ট
ছেলেকে ইসলামী আন্দোলনের
শপথের কর্মী বানাবেনই।
রোজ ফজরের নামাজ পড়ানোর রোজ ফজরের নামাজ পড়ানোর জন্য
মাইলখানেক পথ হেঁটে আসেন
দায়িত্বশীলভাইটি। দায়িত্বশীল
ভাই এর ডাকেই ঘুম থেকে জেগে
ওঠে দুষ্টু ছেলেটি। ফজরের নামাজ
পড়ে একসাথে প্রাতরাশ সেরে
কুরাআন তিলাওয়াতও চলে কিছুক্ষণ
একসাথে। হাদীস পাঠ ও ইসলামী
সাহিত্য ও মাঝে মাঝে হতো।
কিন্তু সে ইসলামী আন্দোলনের শপথ
নিতে রাজী হয়না কিছুতেই।
একদিন প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির মাঝে
ছেলেটি ঘুমাচ্ছিল নিশ্চিন্তে।
কারন দায়িত্বশীল ভাইটি আজ
কিছুতেই আসতে পারবেনা সে ধরেই
নিয়েছিল।
কিন্তু ফজরের নামাজের আগেই
দরজায় ঠক ঠক আওয়াজ হলো ! ঘুম
জড়ানো চোখে উঠে দরজা খুলতেই
দেখলেন দায়িত্বশীল ভাইটি
দাঁড়িয়ে! তার সমস্ত শরীর পোশাক
আশাক কাঁদা পানিতে ভিজে চুপচুপ
করছে । দুষ্টু ছেলেটি তার জামা
কাপড় দিয়ে তাকে ফ্রেশ হতে
সাহায্য করল। দায়িত্বশীল ভাইটির
ইমামতিতে নামাজ পড়ল দুজন।
নামাজ শেষ করেই ঢলে পড়লেন
দায়িত্বশীল ভাইটি। জ্ঞান
হারানোর আগে শুধু এইটুক বলতে
পেরেছিলেন যে, " সাপে কেটেছে
" দুষ্টু ছেলেটি দৌড়ে গিয়ে
গ্রামের ওজা আনল।
যখন ওজা আসল তখন দেখা গেল
দায়িত্বশীল ভাইটির পুরো শরীর
বিষক্রিয়ায় নীল বর্ণ ধারন করেছে।
ওজা সাপে কাটার স্থান দেখেই
বলে দিলেন, এটা ভয়ংকর বিষধর
সাপের কাটা। আপনাদের অনেক
দেরী হয়ে গেছে।একে বাচাঁনো
প্রায় অসম্ভব। একথা শুনেই দুষ্ট
ছেলেটি হাউমাউ করে
কান্নাকাটি শুরু করে দিল। ওজাকে
বলল, আপনি আপনার যত চেষ্টা আছে
করেন। তারপর মন থেকে দোয়া শুরু
করল দুষ্টু ছেলেটি সরাসরি আল্লাহর
কাছে। ইয়া আল্লাহ! যেই মানুষটি
শুধুমাত্র আমাকে ফজরের নামাজ
পড়ানোর জন্য মাইল খানেক হেটে
আসেন, আজ সাপে কাটার পরও
যিনি ফিরে না গিয়ে আমাকে
নামাজ পড়ানোর নামাজ পড়ানোর জন্য
এসেছেন,তাকে তুমি নিজ হাতে
হেফাজত কর।
আমি ওয়াদা করলাম আজীবন
তোমার দ্বীন প্রতিষ্ঠার
আন্দোলনে নিয়োজিত থাকবো!
আল্লাহ দুষ্টু ছেলেটির দোয়া কবুল
করলেন। তার দায়িত্বশীল ভাইটি
সুস্থ হয়ে উঠলেন আর তারও শুরু হল
দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে পথ
চলা। আজ সেই দুষ্টু ছেলেটিই হয়ে
উঠলেন ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
যিনি বিশ্ব ইসলামী আন্দোলনের
অন্যতম এক সেনাপতি।
এই লিখাটি পড়ে চোখের পানি
ধরে রাখতে পারলাম না!!
বিন্দুমাত্র কোন দুনিয়াবি
স্বার্থের জন্য নয় রে ভাই,,,,,
শুধুমাত্র ছাত্রদেরকে পরিপূর্ণভাবে
ইসলামের ছায়াতলে আনার জন্য,
ইসলামকে এই পৃথিবীতে বিজয়ী
আদর্শ হিসাবে প্রমাণ করার জন্য
একজন নয় দুইজন নয়!! শত শত ভাই জীবন
দিয়েছেন। মহান রাব্বুল আলামিন
যেন, আমার সেই সমস্ত ভাইদের
আত্বদানকে কবুল করেন, আর
তাদেরকে শহীদের সর্ব
'
তিনিই সর্বপ্রথম গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি যিনি একই সাথে কা'বা শরীফের ইমাম ও খতীবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ৷
তিনি তাঁর প্রদত্ব বয়ানে প্রচন্ডরকমভাবে, অশ্লীলতা ও ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ বস্তুগুলো থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব বলেন, এবং যারা বেহায়াপনার প্রচার করছে তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করার আদেশ করেন,
যদিও তিনি তাঁর সব গুলো কথা অজ্ঞাত ব্যক্তিকে উদ্দেশ্যে করে বলেন কিন্তু যাদের বুঝার তারা বুঝে নিয়েছেন তিনি এই কথা গুলো কাকে সম্ভোধন করে বলেছেন!
_____________________________________________
নিচের খুৎবা'র পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷
তিনি বলেন, মুনাফেকরা তাদের মঞ্চে বলে, তোমরা কুরআনের মজলিসকে বর্জন করো ৷ আমরা আমাদের মসজিদের মিম্বার থেকে স্পষ্ট ভাষায় তাদেরকে বলছি, হে মুসলমানরা তোমরা মুনাফেক ও বেইমানদের অনুষ্ঠানকে বর্জন করো ৷
তোমরা আল্লাহর নাফরমান এবং যারা এই সমাজের মধ্যে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনাকে চালু করছে তাদেরকে বয়কট করো ৷ আমরা ঐ কথায় বলব যা আমাদের পূর্বসূরী বড় বড় উলামায়ে কেরামগণ বলে গেছেন।
তাঁরা বলেছেন, তোমরা যে কোন ধরণের গোনাহের অনুষ্ঠানকে বর্জন করো এবং ঐ সমস্ত মানুষদের অনুষ্ঠানকে বর্জন করো যাদের কর্ম পদ্ধতী সন্দেহযুক্ত, এবং যারা নারীদেরকে রাস্তায় বের করে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনুমতি দেয়, যারা নারীদেরকে উলঙ্গপনার দিকে আহবান করে, যারা নারী-পুরুষের অবাদে মেলামেশার দিকে উৎসাহিত করে বর্তমান সমাজে ফাসাদ শুরু করেছে, তাদেরকে বয়কট করুন ৷
যারা নেশাযুক্ত পানীয়কে বৈধতা দান করে তাদেরকে বৈকট করো ৷
আপনারা পরিপূর্ণভাবে গান-বাজনা এবং কমেডি, কৌতুক ও সিনেমার অনুষ্ঠানকে বয়কট করুন ৷ যদিও যারা এই সিনেমা ও কমেডি চালু করেছে তারা এটাকে নিছক বিনোদন মনে করে ৷
অথচ, এটা কেবল বিনোদন নয় বরং এই সিনেমার অনুমোদন দ্বারা একমাত্র উদ্দেশ্য হল পশ্চিমা চিন্তা-চেতনাকে লালন করা এবং সমাজের রন্ধে রন্ধে পশ্চিমা আদর্শ ও নীতিকে ঢুকিয়ে দেওয়া ৷ যে নাচ গানের এবং কমেডি নাটক সিনেমার অনুমোদন একেবারে, ইসলামী নেই ৷ ইসলামী নীতিতে এই কাজ হারাম, ইসলাম এর অনুমোদন প্রদান করে না ৷
তারা অশ্লীলতাকে বিনোদন নামের পোষাক পরিয়ে এবং বেহায়াপনাকে মুক্তচিন্তা-চেতনার চাদর পরিয়ে উপস্থাপন করছে। অথচ, এই বিনোদন দ্বারা কেবল এটাই উদ্দেশ্য যেন, তারা যুবক যুবতীদেরকে নাচ-গান, বেহায়াপনা ও অশ্লিলতা ও ইখতিলাত অর্থাৎ অবাদ মেলামেশার দিকে মাজনুন তথা পাগলপারা বানিয়ে দিতে পারে ৷
তাদের এই অসৎ উদ্যেগ পবিত্র এই ভূমির জন্য লজ্জাজনক বিষয়, এবং এই পবিত্র ভূমিকে লাঞ্চিত করার শামিল, তাদের এই অসৎ উদ্যেগ ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ সংকেত, এক সময় আসবে যখন এই বেহায়াপনায় 'কুদওয়াতুন লিশ্শাবাব' তথা যুবকদের উত্তম মডেল হিসাবে স্থান পাবে ৷
হে সীমাহীন চরমপন্থীরা!
তোমরা জনগণের ধন সম্পদকে অন্যায়ভাবে, অহেতুক পাপ কাজে খরচ করছো, এতে না আছে জনগণের কোন রকম উপকারের ছিটাফোঁটা, না আছে জনগণের কল্যান ৷
হে চরমপন্থীরা!
যদি তোমরা জনগনের পয়সাকে পাপকাজে খরচ করা বন্ধ না করো, তাহলে একদিন আসবে যেদিন এই অপরাদ ও পাপ তোমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে এবং তোমাদের জন্য বড়ই আফসোসের কারণ হবে, ফলে তোমরা পরাজয় বরণ করবে ৷
হ্যাঁ, অচিরেই তোমাদেরকে শক্তি এবং আদর্শের পরাজয় হবে ৷ তোমাদেরকে তারাই পরাজিত করবে যারা সর্বদায় দ্বীনের উপর অটল থাকে, তারাই একদিন তোমাদের বিনোদন নামক বেহায়পানা ও অশ্লীলতাকে ময়লা আবর্জনার ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করবে, তাদের নিজেদের উত্তম আদর্শ এবং সঠিক নিয়ত ও ইসলামী আক্বীদার মাধ্যমে ৷ অচিরেই তোমাদের অশ্লীলতার মঞ্চেকে কুরআনের ধারকবাহকগণ আদর্শের যুদ্ধের মাধ্যমে পরাজিত করবে ৷
অচিরেই তোমাদেরকে পরাজিত করবে ঐ আল্লাহুআকবার ধ্বনীর আওয়াজ যা দিবারাত্রি পাঁচ বার কানে ভেসে আসে, এবং আমাদের অন্তরে এই পবিত্র আওয়াজের বাতাস প্রবাহিত হয়, ও চক্ষু শীতল হয় ৷ এরপর আরোও বলেছেন তবে ইন্টারনেটে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার কারণ হিসাবে এতটুকু ভাষনেই উল্লেখ করা হয়েছে ৷
দুআ করি, আল্লাহ শাইখকে যে কোন বিপদের হাত থেকে হিফাযত করুন, আমীন।
অনুবাদ- রাশিদ আহমেদ কাসেমী
হাফেজ্জী হুজুর রহঃ সেবা সংস্থা
H Sahadat Hussain Milon ভাই এর ওয়াল থেকে।
aljazeera link -
https://www.aljazeera.com/news/2018/08/saudi-detains-mecca-imam-challenged-mixed-gatherings-180822105619043.html
ভিডিও বক্তব্য নিচে দেওয়া হলো -
'
তিনিই সর্বপ্রথম গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি যিনি একই সাথে কা'বা শরীফের ইমাম ও খতীবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ৷
তিনি তাঁর প্রদত্ব বয়ানে প্রচন্ডরকমভাবে, অশ্লীলতা ও ইসলামী শরীয়তে নিষিদ্ধ বস্তুগুলো থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব বলেন, এবং যারা বেহায়াপনার প্রচার করছে তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করার আদেশ করেন,
যদিও তিনি তাঁর সব গুলো কথা অজ্ঞাত ব্যক্তিকে উদ্দেশ্যে করে বলেন কিন্তু যাদের বুঝার তারা বুঝে নিয়েছেন তিনি এই কথা গুলো কাকে সম্ভোধন করে বলেছেন!
_____________________________________________
নিচের খুৎবা'র পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় ৷
তিনি বলেন, মুনাফেকরা তাদের মঞ্চে বলে, তোমরা কুরআনের মজলিসকে বর্জন করো ৷ আমরা আমাদের মসজিদের মিম্বার থেকে স্পষ্ট ভাষায় তাদেরকে বলছি, হে মুসলমানরা তোমরা মুনাফেক ও বেইমানদের অনুষ্ঠানকে বর্জন করো ৷
তোমরা আল্লাহর নাফরমান এবং যারা এই সমাজের মধ্যে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনাকে চালু করছে তাদেরকে বয়কট করো ৷ আমরা ঐ কথায় বলব যা আমাদের পূর্বসূরী বড় বড় উলামায়ে কেরামগণ বলে গেছেন।
তাঁরা বলেছেন, তোমরা যে কোন ধরণের গোনাহের অনুষ্ঠানকে বর্জন করো এবং ঐ সমস্ত মানুষদের অনুষ্ঠানকে বর্জন করো যাদের কর্ম পদ্ধতী সন্দেহযুক্ত, এবং যারা নারীদেরকে রাস্তায় বের করে এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনুমতি দেয়, যারা নারীদেরকে উলঙ্গপনার দিকে আহবান করে, যারা নারী-পুরুষের অবাদে মেলামেশার দিকে উৎসাহিত করে বর্তমান সমাজে ফাসাদ শুরু করেছে, তাদেরকে বয়কট করুন ৷
যারা নেশাযুক্ত পানীয়কে বৈধতা দান করে তাদেরকে বৈকট করো ৷
আপনারা পরিপূর্ণভাবে গান-বাজনা এবং কমেডি, কৌতুক ও সিনেমার অনুষ্ঠানকে বয়কট করুন ৷ যদিও যারা এই সিনেমা ও কমেডি চালু করেছে তারা এটাকে নিছক বিনোদন মনে করে ৷
অথচ, এটা কেবল বিনোদন নয় বরং এই সিনেমার অনুমোদন দ্বারা একমাত্র উদ্দেশ্য হল পশ্চিমা চিন্তা-চেতনাকে লালন করা এবং সমাজের রন্ধে রন্ধে পশ্চিমা আদর্শ ও নীতিকে ঢুকিয়ে দেওয়া ৷ যে নাচ গানের এবং কমেডি নাটক সিনেমার অনুমোদন একেবারে, ইসলামী নেই ৷ ইসলামী নীতিতে এই কাজ হারাম, ইসলাম এর অনুমোদন প্রদান করে না ৷
তারা অশ্লীলতাকে বিনোদন নামের পোষাক পরিয়ে এবং বেহায়াপনাকে মুক্তচিন্তা-চেতনার চাদর পরিয়ে উপস্থাপন করছে। অথচ, এই বিনোদন দ্বারা কেবল এটাই উদ্দেশ্য যেন, তারা যুবক যুবতীদেরকে নাচ-গান, বেহায়াপনা ও অশ্লিলতা ও ইখতিলাত অর্থাৎ অবাদ মেলামেশার দিকে মাজনুন তথা পাগলপারা বানিয়ে দিতে পারে ৷
তাদের এই অসৎ উদ্যেগ পবিত্র এই ভূমির জন্য লজ্জাজনক বিষয়, এবং এই পবিত্র ভূমিকে লাঞ্চিত করার শামিল, তাদের এই অসৎ উদ্যেগ ভবিষ্যতের জন্য ভয়াবহ সংকেত, এক সময় আসবে যখন এই বেহায়াপনায় 'কুদওয়াতুন লিশ্শাবাব' তথা যুবকদের উত্তম মডেল হিসাবে স্থান পাবে ৷
হে সীমাহীন চরমপন্থীরা!
তোমরা জনগণের ধন সম্পদকে অন্যায়ভাবে, অহেতুক পাপ কাজে খরচ করছো, এতে না আছে জনগণের কোন রকম উপকারের ছিটাফোঁটা, না আছে জনগণের কল্যান ৷
হে চরমপন্থীরা!
যদি তোমরা জনগনের পয়সাকে পাপকাজে খরচ করা বন্ধ না করো, তাহলে একদিন আসবে যেদিন এই অপরাদ ও পাপ তোমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে এবং তোমাদের জন্য বড়ই আফসোসের কারণ হবে, ফলে তোমরা পরাজয় বরণ করবে ৷
হ্যাঁ, অচিরেই তোমাদেরকে শক্তি এবং আদর্শের পরাজয় হবে ৷ তোমাদেরকে তারাই পরাজিত করবে যারা সর্বদায় দ্বীনের উপর অটল থাকে, তারাই একদিন তোমাদের বিনোদন নামক বেহায়পানা ও অশ্লীলতাকে ময়লা আবর্জনার ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করবে, তাদের নিজেদের উত্তম আদর্শ এবং সঠিক নিয়ত ও ইসলামী আক্বীদার মাধ্যমে ৷ অচিরেই তোমাদের অশ্লীলতার মঞ্চেকে কুরআনের ধারকবাহকগণ আদর্শের যুদ্ধের মাধ্যমে পরাজিত করবে ৷
অচিরেই তোমাদেরকে পরাজিত করবে ঐ আল্লাহুআকবার ধ্বনীর আওয়াজ যা দিবারাত্রি পাঁচ বার কানে ভেসে আসে, এবং আমাদের অন্তরে এই পবিত্র আওয়াজের বাতাস প্রবাহিত হয়, ও চক্ষু শীতল হয় ৷ এরপর আরোও বলেছেন তবে ইন্টারনেটে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার কারণ হিসাবে এতটুকু ভাষনেই উল্লেখ করা হয়েছে ৷
দুআ করি, আল্লাহ শাইখকে যে কোন বিপদের হাত থেকে হিফাযত করুন, আমীন।
অনুবাদ- রাশিদ আহমেদ কাসেমী
হাফেজ্জী হুজুর রহঃ সেবা সংস্থা
H Sahadat Hussain Milon ভাই এর ওয়াল থেকে।
aljazeera link -
https://www.aljazeera.com/news/2018/08/saudi-detains-mecca-imam-challenged-mixed-gatherings-180822105619043.html
ভিডিও বক্তব্য নিচে দেওয়া হলো -
মন্তব্য করতে লগইন করুন