কোন মুসলমান তাগুতের সাথে আতাত করে ঈমানদার থাকতে পারেনা।সঠিক ঈমানদার মুসলিম হতে হলে তাগুতের পাক্কা কাফের হতেই হবে। তবেই সে ঈমানদার মুসলিম
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৩ জুলাই, ২০১৮, ০৫:৩০:১৫ বিকাল
সঠিক ঈমানদার হতে হলে তাগুতের পাক্কা কাফের হতেই হবে। তাগুতকে শুধু অস্বীকার করলেই হবে না,তাদেরকে উৎখাত করার জন্য সর্বাত্মক সংগ্রাম করতেই হবে।
সেক্ষেত্রে নবীদের জীবনে যেমন তাগুত কতৃক বিভিন্ন ধরনের জুলুমের স্বীকার হতে হয়েছে তেমনি ঈমানদারদেরকেও জেল, জুলুম, নির্যাতন ও ফাঁসির কাষ্ঠে যাওয়া লাগতে পারে।যা অতিতে হয়েছে বর্তমানে হচ্ছে আগামীতেও হবে।
তাহলেই কেবল সঠিক ঈমানদার হওয়া সম্ভব হতে পারে। তাগুত বহু প্রকার।তন্মধ্যে থেকে ইসলামী স্কলারগণ বড় বড় পাঁচটিকে চিহ্ণিত করেছেন।
এগুলোকে অস্বীকার ও উৎখাত করে আল্লাহর বিধান কায়েম করতে গেলেই তো বিপদ অনিবার্য। ১।শয়তান, (পীর পূজা, মাজার পূজা, গাজী-কালুর শ্রদ্ধা,লালন পূজা ইত্যাদি। হে আদম সন্তানেরা! আমি কি তোমাদের এ মর্মে হিদায়াত করিনি যে, শয়তানের বন্দেগী করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সুরা ইয়াসিন ৬০)
২। ঐ সমস্ত অত্যাচী জালেম শাসক, যারা মুসলমান দাবী করে অথচ দেশ ও জাতিকে পরিচালিত করে তাগুতের আইন দিয়ে।
হে নবী ! তুমি কি তাদেরকে দেখোনি, যারা এই মর্মে দাবী করে চলেছে যে, তারা ঈমান এনেছে সেই কিতাবের প্রতি যা তোমার ওপর নাযিল করা হয়েছে এবং সেই সব কিতাবের প্রতি যেগুলো তোমরা পূর্বে নাযিল করা হয়েছিল কিন্তু তারা নিজেদের বিষয়সমূহ ফায়সালা করার জন্য “তাগুতে”র দিকে ফিরতে চায়, অথচ তাদেরকে তাগুতকে অস্বীকার করার হুকুম দেয়া হয়েছিল ? (সুরা নেসা ৬০)
৩। যারা আল্লাহর নাযিলকৃত কুরআনের আইন অনুযায়ী দেশ শাসন করেনা।“আল্লাহর নাযিল করা আইন অনুযায়ী যারা ফায়সালা করে না তারাই কাফের৷ ( সুরা মায়েদাহ ৪৪)
৪। যারা গায়েবের ইলম জানে বলে দাবী করে।তিনি গায়েবী বিষয়ে জ্ঞানের অধিকারী৷ তিনি তাঁর গায়েবী বিষয়ের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না।তবে যে রসূলকে (গায়েবী বিষয়ের কোন জ্ঞান দেয়ার জন্য) মনোনীত করেছেন তাকে ছাড়া৷ সুরা আল জিন ২৬,২৭।
৫। যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যের ইবাদত করে। যাদের ইবাদত করা হয় তাতে তারা খুবই আত্মতৃপ্তি ভোগ করে। “আর তাদের মধ্যে যে বলবে, আল্লাহ ছাড়া আমিও একজন ইলাহ, তাকে আমি জাহান্নামের শাস্তি দান করবো, আমার এখানে এটিই জালেমদের প্রতিফল৷ (সুরা আম্বিয়া ২৯)
উল্লেখিত তাগুত সমূহের সাথে কিভাবে সংগ্রাম করতে হয় তা রয়েছে সকল নবীদের জীবনীতে বিশেষ করে ইব্যাহীম আ: এর জীবনীতে।“তোমাদের জন্য ইবরাহীম ও তাঁর সাথীদের মধ্যে একটি উত্তম আদর্শ বর্তমান৷
তিনি তাঁর কওমকে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছিলেন : আমরা তোমাদের প্রতি এবং আল্লাহকে ছেড়ে যেসব উপাস্যের উপাসনা তোমরা করে থাক তাদের প্রতি সম্পূর্ণরূপে অসন্তুষ্ট৷ আমরা তোমাদের অস্বীকার করেছি৷ আমাদের ও তোমাদের মধ্যে চিরদিনের জন্য শত্রুতা ও বিদ্বেষের সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে- যতদিন তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনবে৷ (সুরা মুমতাহিনা ৪)
আজকের দুনিয়া প্রায় সর্বত্রই তাগুতদের দখলে।
আর একশ্রেণীর মুসলমান যারা নিজেদেরকে তাওহীদ পন্থী ও সহীহ পন্থী বলে নিজেদেরকে জাহির করছেন, কোন প্রকার তাগুতই তাদের প্রতি ক্ষেপে না।তাহলে তারা তাওহীদ পন্থী হন কি করে?
অথচ,এমন কোন নবীই পৃথিবীতে আসেননী যাদেরকে এই তাগুতী শক্তি জুলুম না করেছে। এমনকি হত্যাও পর্যন্ত করেছে।কাজেই সহী পন্থী মুখে নয়, কাজে প্রমাণ দিতে হয়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাগুতসমূহ উৎখাতের মাধ্যমে আল্লাহর দীন বিজয়ের সংগ্রামে, ঈমানী জযবা,হিম্মত, সাহস ও শাহাদাতরে তামান্না,ঈমানের বলে বলিয়ান হওয়ার তাওফিক দান করুন।আমিন
বিষয়: বিবিধ
১১৫২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন