তবে কি তারা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করবে না ও তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে না? আর আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৮ জুন, ২০১৮, ০৪:৪৯:৩০ বিকাল

তাওবা (توبة) শব্দের তা (تا) বর্ণে যবর ওয়া (واو) বর্ণে সুকুন যোগে গঠিত হয়। আভিধানিক অর্থ পাপ থেকে ফিরে আসা, প্রত্যাবর্তন করা, প্রত্যাগমন করা ইত্যাদি। বিশেষ পদে অর্থ অনুতাপ, অনুশোচনা। ড. মুহাম্মদ ড. হামিদ সাদিক বলেন:

التوبة: مصدر تاب ، الرجوع عن الذنب الندم على فعل الذنب ، وعقد العزم على عدم العودة إليه والتوجه إلى الله طلبا للمغفرة.

(‘তাবা (تاب) ক্রিয়া হতে তাওবা (توبة) হলো মাসদার। অর্থ পাপ থেকে ফিরে আসা। কৃতপাপের অনুশোচনা করা। পুনরায় না করার দৃঢ়সংকল্প করা।’ শব্দটি মহান সৃষ্টিকর্তার সত্তা ও তাঁর সৃষ্টিকুল বান্দাগণ উভয়ের সম্পর্কে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলার জন্য এ মর্মে যে, তিনি স্বীয় মাগফিরাত (মার্জনা) ও রাহমাত (করুণা) সহকারে বান্দাহদের প্রতি করুণা দৃষ্টি প্রদান করেন অর্থাৎ তিনি বান্দাদের তাওবা কবুল করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ وَهُوَ ٱلَّذِي يَقۡبَلُ ٱلتَّوۡبَةَ عَنۡ عِبَادِهِۦ ١٠٤ ﴾ [التوبة: ١٠٤]

‘তিনি স্বীয় বান্দাদের তাওবা কবুল করেন।’[1]

এতে এ অর্থের প্রকাশ ঘটায় মূলত আল্লাহ তা‘আলার সাথে এই ক্রিয়াটির সম্বন্ধ স্থাপন তাঁর ক্ষমা-মাগফিরাত ও দয়া-রাহমাতের বহিঃপ্রকাশ। তবে উভয়টির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়ের জন্য শব্দটি আল্লাহর সাথে সম্বন্ধিত হলে আল-কুরআনে তা على সংযোজক صلة সহকারে ব্যবহৃত হয়। যাতে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও সমুন্নত অবস্থান প্রকাশ পায়। যেমন, আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ ثُمَّ تَابَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِمۡ﴾ [المائ‍دة: ٧١]

‘অতঃপর আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হলে তাদের তাওবা কবুল করলেন।’[2]

কারও কারও মতে তাওবা অর্থ অনুতাপের সাথে পাপ পরিহার করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿وَتُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ﴾ [النور: ٣١]

‘হে মুমিনগণ! তোমরা সকলেই আল্লাহর কাছে তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।’[3]

মুফতী মুহাম্মদ আমীমুল ইহসান বলেন:

التوبة: هو الرجوع إلى الله بحل عقد الإصرار عن القلب ثم القيام بكل حقوق الرب.

‘অন্তর হতে গোনাহ না করার সংকল্পের মাধ্যমে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করা। অতঃপর প্রতিপালকের যাবতীয় বিধানকে পালন করা।’[4]

‘আইনুল ইলম’ গ্রন্থে বলা হয়েছে:

التوبة تنزيه القلب عن الذنب وقيل الرجوع من البعد إلى القرب وفى الحديث: الندم هى التوبة.

‘তাওবার সংজ্ঞা হলো অন্তরালে পাপ মুক্ত করা। কারও কারও মতে দূরত্ব হতে নিকটে প্রত্যাবর্তন করা। কারণ, ‘অনুশোচনাই’ তাওবা।[5]

মুহাম্মাদ আলী আত-থানভী (রহ.) বলেন:

الندم على معصية من حيث هى معصية، مع عزم أن ألا يعود إليها إذا قدر عليها

কোনো পাপকাজে সেটি যে পাপ এ অনুভূতিতে অনুশোচনা করার সাথে সাথে সুযোগ পেলেও আর কখনোও না করার দৃঢ় সংকল্প করা।[6]

মাজমা‘উস সুলুক গ্রন্থে বর্ণিত আছে,

التوبة شرعا هى الرجوع إلى الله تعالى مع دوام الندم وكثرة الاستعفار

শরী‘আতের পরিভাষায় তাওবা হলো স্থায়ী অনুশোচনা ও অধিক ক্ষমা প্রার্থনার সাথে আল্লাহ তা‘আলার প্রতি প্রত্যাবর্তন করা। কারও কারও মতে তাওবা মূলত অনুশোচনা অর্থাৎ তাওবার বৃহৎ স্তম্ভই হলো অনুশোচনা।[7]

তাওবা সম্পর্কে কুরআনের বর্ণনা

1. আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনগণকে তাওবা করার নির্দেশ দিয়ে বলেন:

﴿وَتُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ﴾ [النور: ٣١]

“হে মু’মিনগণ! তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারে।”[8]

2. আল্লাহ তা‘আলা অপর আয়াতে বলেন:

﴿إِنَّمَا ٱلتَّوۡبَةُ عَلَى ٱللَّهِ لِلَّذِينَ يَعۡمَلُونَ ٱلسُّوٓءَ بِجَهَٰلَةٖ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِن قَرِيبٖ فَأُوْلَٰٓئِكَ يَتُوبُ ٱللَّهُ عَلَيۡهِمۡۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمٗا ١٧ ﴾ [النساء: ١٧]

“আল্লাহ অবশ্যই সেসব লোকের তাওবা কবুল করবেন যারা ভুলবশত মন্দ কাজ করে এবং সত্বর তাওবা করে, ওরাই তারা, যাদের তাওবা আল্লাহ কবূল করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।”[9]

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম মুহাম্মদ ইবন জারীর আত-তাবারী (রহ.) বলেন: অত্র আয়াতাংশ: ﴿ إِنَّمَا ٱلتَّوۡبَةُ عَلَى ٱللَّهِ لِلَّذِينَ يَعۡمَلُونَ ٱلسُّوٓءَ بِجَهَٰلَةٖ ﴾ এর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা ঘোষণা করেছেন যে, মু’মিনগণের মধ্যে যারা অসতর্কতাবশত গুণাহর কাজ করে অবিলম্বে যথা সময় যদি তারা আল্লাহর দরবারে তাওবা করে ক্ষমা প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাদের ছাড়া অন্য কারও তাওবা কবুল করেন না। অর্থাৎ যে সকল লোক তাদের মহান প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান রাখে তারা ভুলবশতঃ গুনাহর কাজ করার পর যদি যথাসময়ে সে গুনাহ মাফের জন্য আল্লাহর দরবারে লজ্জিত হয়ে তাওবা করে এবং আল্লাহর আদেশ নিষেধ অনুযায়ী চলার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এমনিভাবে আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে যে, সে মৃত্যু পর্যন্ত কৃত পাপ কার্য দ্বিতীয়বার করবে না, আল্লাহ তা‘আলা তাদের গুণাহসমূহ ক্ষমা করেন, এদের ব্যতীত অন্য কারও গুনাহ ক্ষমা করেন না। অত্র আয়াতে من قريب দ্বারা এ কথাই বুঝায়।[10]

3. আল্লাহ তা‘আলা বলেন:.

﴿يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ تُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ تَوۡبَةٗ نَّصُوحًا عَسَىٰ رَبُّكُمۡ أَن يُكَفِّرَ عَنكُمۡ سَيِّ‍َٔاتِكُمۡ وَيُدۡخِلَكُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ ٨ ﴾ [التحريم: ٨]

“হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবা কর বিশুদ্ধ তাওবা; তাহলে তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের মন্দ কর্মগুলো মোচন করে দিবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যারা পাদদেশে নদী প্রবাহিত।”[11]

4. আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿أَفَلَا يَتُوبُونَ إِلَى ٱللَّهِ وَيَسۡتَغۡفِرُونَهُۥۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٧٤ ﴾ [المائ‍دة: ٧٤]

“তবে কি তারা আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করবে না ও তাঁর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে না? আর আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”[12]

এ আয়াতের ব্যাখ্যায় মুহাম্মদ ইবন জারীর আত-তাবারী (রহ.) বলেন: “এই দুই কাফির দল, যাদের একদল বলে, মরিয়ম-তনয় মাসীহ-ই আল্লাহ; আরেক দল বলে, আল্লাহ তিনজনের মধ্যে একজন। তারা কি তাদের এ উক্তি থেকে ফিরে আসবে না? করবে না তাওবা এরূপ কুফরী কথাবার্তা থেকে? প্রার্থনা করবে না এজন্য আল্লাহর ক্ষমা? যে সকল বান্দা তাওবা করে এবং অবাধ্যতা পরিহার করে আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যে ফিরে আসে, তিনি তাদের অপরাধ ক্ষমা করেন। সেই সাথে আল্লাহ তা‘আলার অপছন্দ কাজ পরিহার করে পছন্দজনক কাজের দিকে ফিরে আসে, তাদের তাওবা ও প্রত্যাবর্তনকে তিনি কবুল করে নেন। ফলে নিজ কৃপায় তাদের পাপরাশি ক্ষমা করে দেন।

5. আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿أَلَمۡ يَعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ هُوَ يَقۡبَلُ ٱلتَّوۡبَةَ عَنۡ عِبَادِهِۦ وَيَأۡخُذُ ٱلصَّدَقَٰتِ وَأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ ١٠٤ ﴾ [التوبة: ١٠٤]

“তারা কি জানে না যে, আল্লাহ তার বান্দাদের তাওবা কবুল করেন এবং সাদাকা গ্রহণ করেন এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।[13]

বিষয়: বিবিধ

৯৫৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385500
০৯ জুন ২০১৮ রাত ০২:৫৫
আমি আল বদর বলছি লিখেছেন : জাযাকাল্লাব প্রিয় ভাই,
০৯ জুন ২০১৮ দুপুর ১২:৪০
317743
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য
০৯ জুন ২০১৮ সন্ধ্যা ০৬:২২
317744
আমি আল বদর বলছি লিখেছেন : শুকরিয়া
১২ জুন ২০১৮ দুপুর ০১:৩৭
317746
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনার জন্য ও অনেক ধন্যবাদ شكرا جزيلا و عيد كم مبارك وكل مام وانتم بخير
385648
০৯ জুলাই ২০১৮ রাত ০১:৫৯
কুয়েত থেকে লিখেছেন : লিডারশীপ (LEADERSHIP): পৃথিবী পাল্টে দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন কিছু গুণের সমষ্টি

আমাদের পৃথিবীতে যতগুলো শব্দ সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় তার মধ্যে অন্যতম একটি শব্দ হলো লিডারশীপ (LEADERSHIP) বা নেতৃত্ব। কিন্তু এই শব্দের যে বিশাল ব্যাপ্তি তা কয়জনই বা উপলব্ধি করি!
চলুন এই শব্দটাকে আমরা একটু বিস্তৃত (Expansion) করে এর ভিতরের ম্যাসেজটা বের করে আনি!
---
L= Long Term Vision: একজন নেতার অবশ্যই সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকতে হবে। তিনি হুটহাট কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না। তিনি জানেন তার গন্তব্য কোথায়। সেই লক্ষ্যে নিজে কাজ করবেন এবং তাঁর স্বপ্ন তথা বিশ্বাসকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবেন।

E= Expertise: হঠাৎ করে কেউ নেতা হয়ে উঠতে পারেন না। তাকে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের মাধ্যমে দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠতে হয়। সময়ের সঙ্গে তাঁর চিন্তা চেতনায় পরিণত বোধ জেগে ওঠে। তখন তিনি হয়ে ওঠেন সত্যিকারের নেতা।

A= Attractive: নেতার মধ্যে মানুষকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা না থাকলে তাঁর অনুগত বাহিনী তৈরী হবে না। অনুসারীরা নেতার মধ্যে এমন কিছু খুঁজে পেতে চান, যা তাদের নিজেদের মধ্যে অনুপস্থিত। সেটাই তাদেরকে নেতৃত্বের প্রতি অনুগত রাখে।

D= Determination: নেতা হবেন দৃঢ় চিত্তের। কোনো প্রতিকূলতাই তাকে তাঁর লক্ষ্য, নীতি ও অবস্থান থেকে টলাতে পারবে না। তিনি তাঁর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকল বাঁধা ও প্রতিকূলতা অতিক্রম করে নির্দিষ্ট পথে হাঁটবেন। এবং পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবেন।

E= Energetic: নেতা কখনো অবসাদে ভুগবেন না। তাহলে টিমের গতি (Speed) ও শক্তি (Sprite) দুটোই বিনষ্ট হবে। সবাই হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেবে। মনোবল একবার ভেঙে গেলে আবার জোড়া দেওয়া কঠিন। নেতাকে তাই দৃঢ়চিত্তের অধিকারী হতে হবে। প্রচুর পরিশ্রম করার মানসিকতা ও সামর্থ্য থাকতে হবে। তাঁর যোগাযোগ দক্ষতা হবে অত্যন্ত কার্যকর। যা বলবেন, স্পষ্ট ভাষায়, দীপ্ত কন্ঠে বলবেন।

R= Reliable: নেতাকে হতে হবে নির্ভরতার প্রতিক, যেন কর্মী/অনুসারীরা নিঃসঙ্কোচে নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখতে পারেন। নেতার নির্দেশে অনুসারীরা অন্ধ বিশ্বাসে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। কোন কারণে একটিবার আস্থার সম্পর্ক ভেঙে গেলে তা আর পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। নেতাকে কখনো অল্পস্বল্প ঝুঁকিও নিতে হয়, নইলে সাফল্য আসে না।

S= Self Confidence: নেতার মধ্যে কোনোরূপ লুকোচুরি বা আড়ালের ভিন্নরূপ অনুসারীরা পছন্দ করেনা। তাই নেতাকে আত্মবিশ্বাসী ও সলিড হতে হয়।

H= Helicopter View: নেতাকে মনের চোখদিয়ে সবকিছু উপর থেকে একনজর দেখে নিয়ে পুরো ব্যাপারটা বুঝে নিতে হয়।

I= Inspiring: নেতাকে হতে হবে চরম অনুপ্রেরণাদাতা! তিনি সার্বক্ষণিক সকলকে উদ্দীপ্ত করবেন, সাহস দেবেন, ভরসা যোগাবেন। তাহলেই অনুসারীরা কাজে ঝাঁপিয়ে পরবে।

P= Pursuit of Excellence: নেতাকে কাজে, কর্মে, কথায়, আচরণে অনন্য ও অসাধারণ হতে হবে। যে কাজে তিনি নিজে হাত লাগাবেন, সেটা হবে নিখুঁত। কারণ নেতার ভুল-ত্রুটি অনুসারীদের দৃষ্টিগোচর হলে তারা কাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন।



মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File