শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে আরবিতে বলা হয় ليلة النصف من شعبان অর্থাৎ শাবান মাসের মধ্য রজনী

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৫ এপ্রিল, ২০১৮, ০৮:২৪:০৪ সকাল

মাহে শাবান শাবান মাস ফজিলতের দিক থেকে অতানত গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস নবীজি এই মাসে বেশী বেশী এবাদত করতেন । আমাদের ও উচিত এই মাসে বেশী বেশী এবাদত করা । মুলত এটা রমজান মাস উপলক্ষেই প্রস্তুতি ।

শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে আরবিতে বলা হয় ليلة النصف من شعبان অর্থাৎ শাবান মাসের মধ্য রজনী | বাংলাদেশ সহ পাক ভারত উপমহাদেশে এই রাত টি "শবে বরাত" নামে পরিচিত!!

শবে বরাত শব্দ দু’টি ফার্সি শব্দ "শব" মানে রাত, আর "বরাত" মানে ভাগ্য ! একত্রে ২ টি শব্দের অর্থ হচ্ছে ভাগ্যরজনী !

যাঁরা এই রাতটি উদযাপন করে।

তারা বিশ্বাস করে এই রাতে আগামি এক বসরের ভাগ্য নির্দারিত হয় !

তাই তাদের ধারণা এই রাতকে "শবে বরাত" মানে ভাগ্যরজনী বলা হয় !

শবে_বরাত_উপলক্ষ্যে_যা_করা_হয়ঃ

১)সূর্যাস্তের পর গোসল করা।

২)রাতে সমবেত ভাবে অবস্থান করে সালাত !

৩)জিকির,

৪)কুরআন তেলওয়াত,

৫)কবর যিয়ারত,

৬)মিলাদ

৭)ভোর রাতে সমবেতে মুনাজাত করা।

৮)পর দিন নফল সাওম পালন করা, ইত্যাদি!

আরো আছে, এই দিন ব্যাপক ভাবে হালুয়া রুটি তৈরি করা ও বিতরণ করা।

শবে বরাত কে কেন্দ করে এই কাজ গুলো যে করা হয় কুরআন সুন্নাহ এর কোন ভিত্তি আছে কি?

মুসলিম হিসিবে আমাদের ঈমানী দায়ীত্ব হলঃ যে কোন বিশ্বাস পোষণ করবো তা কুরআন সুন্নাহ এর দলীলসহকারে করবো,,

শবে বরাত সম্পর্কে কথা বলার আগে একটা গল্প বলি,

আগের যুগে রাজা-বাদশাদের দরবারে তাদের ভাঁড় থাকতো(গল্প কার,, এদের কাজই হলো রাজাদের খুশি করা,,

রাজা একদিন বেগুন ভর্তা দিয়ে ভাত খেলো!

এবং তার ভারকে বললো এই বিরবল এটা কি খাওয়ালে?

ভার বললোঃ স্যার খুব ভালো লেগেছে?

রাজাঃ হ্যাঁ খুব ভালো লেগেছে!

ভারঃ স্যার এর নাম বাগুন,

এর গুণে ভরা,,

এটা খেলে দুর্বল মানুষ শক্তিশালী হয়, স্ত্রী গুলো তার অনুগত্যশীল হয়, প্রজারা তার কথা মেনে চলে, বিদেশিরা তাকে ভয় করে এবং শুনেছে বেহেশতে গেলে নাকি সর্বপ্রথম এই বাগুনের ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়াবে,,

এরপর রাজা বেশি করে বেগুন ভর্তা খেলো?

এখন রাঁজা অসুস্থ হয়ে পড়লো!

এবার রাজা ভার কে প্রশ্ন করলো এই বিরবল এটা কি খাওয়ালি?

ভারঃ স্যার খুব খারাপ লেগেছে?

রাজাঃ হ্যাঁ আমার শরীল দূর্বল হয়ে গেছে,,

ভারঃ স্যার এর নাম বেগুন এর কোন গুনই নাই,,

এটা খেলে শক্তিশালী মানুষ দুর্বল হয়ে যায়, স্ত্রী গুলো কথা শোনে না, প্রজারা তার আইন মেনে চলে না, বিদেশিরা তাকে ভয় করে না, এবং শুনেছি জাহান্নামে গেলে নাকি সর্বপ্রথম এই বেগুন এর ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়ানো হবে।

রাজাঃ এই বিরবল ব্যাপার কি,

আগে বললি এক রকম আর এখন বলছিস অন্য রকম?

ভারঃ স্যার আমি তো বেগুন এর চাকরি করি না,,

আমি চাকরি করি আপনার,,

আপনি যেটা খুশি ওটাই আমার কাজ খুশি করানো,,

প্রথম বার আপনি বেগুন খেয়ে খুশি হয়েছেন,,

আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব আমি ওটার প্রশংসা করেছি,,

এরপর আপনি বলেছেন ওটা খারাপ,

খারাপের যতটুকু সম্ভব তা আমি করেছি,,,

আমাদের সমাজে রাজনৈতিক লিডারদের সাথে যাঁরা চামচা গিরি করে তারা এটাই করে।

আর একদল লোক যাঁরা ধর্ম ব্যবসায় করে,,

কুরআন সুন্নাহ এলেম নাই,,

রেডিও টেলিভিশেন যায়,

এরপর তারা এক একটা পর্ব নিয়ে আলোচনা করে।

আর ঐ ভাড়ের মত বেগুন এর গল্প শুরু করে দেয়,,

শবে_বরাত সম্পর্কে স্পষ্ট বলছি,,

কুরআনের কোন আয়াত নেই।

কুরআনের যেই আয়াত দিয়ে এই সকল আলেমরা শবে বরাত প্রচার করে তা আপনি নিজে দেখুনঃ তাফসিরের সাথে মিলান,, এরপর যদি আমাদের কথার সাথে মিলে যায়,

তাহলে এই সকল বিভ্রান্তিকর আলেমদের কথায় কান দেওয়ার কোনো কারন নেই । কান দেওয়া যাবে না।

এরা সুরা দুখান নিয়ে আলোচনা করে।

শবে বরাত" ভাগ্যের রাত এই ধারণার ভিত্তি কি?

যাঁরা শবে বরাত কে মর্যাদার রাত মনে করেন। এবং এই আক্বিদাহ পোষণ করেন যে আগামি এক বছরের ভাগ্য নির্ধারন করা হয়। তারা তাদের এই ধারণা বিশ্বাসের পক্ষে সুরা দুখান এর নিচের আয়াত গুলো পেশ করা হয়।

হা-মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমি একে নাযিল করেছি। এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়। আমার পক্ষ থেকে আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী। আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে রহমতস্বরূপ। তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

(সুরা দুখান ৪৪ঃ১-৬ নাম্বার আয়াত)

শবে_বরাত এর মর্যাদা ও এ রাতে সকল বিষয়ে চুরান্ত ফায়সালা করা হয় বলে যারা বিশ্বাস করেন। তারা বলেন যে, (ليلة مباركة ) মধ্য শাবান রজনী অর্থাৎ শবে বরাত | আর এই রাতেই আল্লাহর ফায়সালা চুরান্ত করা হয়।

কিন্তু আমরা দেখবো এই আয়াত সম্পর্কে তাফসির কারকদের বক্তব্য,

ইনশাআল্লাহ

উপরোক্ত আয়াত গুলো সম্পর্কে হাফেজ ইবনে কাছীর (৭০১-৭৭৪ হিঃ) স্বীয় তাফসীরের কিতাবে বলেনঃ "এখানে মুবারক রজনী অর্থ হলঃ লায়লাতুল ক্বদর !"

তিনি আরো বলেন, "লাইলাতুল ক্বদরে কুরআন নাযিল হয়েছে"এই শিরোনামে তার স্বীয় তাফসীরে উল্লেখ্য করেন যে,

আল্লাহ (সুবাঃ) বলেনঃ

এই কুরআন কে তিনি কল্যাণময় রাতে অর্থাৎ ক্বদরের রাতে অবতরণ করেন।

যেমনঃ

"নিশ্চয়ই আমি ইহা নাযিল করেছি এক মহিমান্বিত রাতে!" (সুরা ক্বদরঃ১ আয়াত)

এখন যদি কুরআন কে প্রশ্ন করা হয় যে কুরআন তুমি কখন নাযিল হয়েছো?

তুমি কি রমজান মাসে না-কি শাবান মাসে নাযিল হয়েছো?

আল্লাহ (সুবাঃ) উত্তর দিচ্ছেন,

"রমজান মাস তো সেই মাস, যেই মাসে আমি কুরআন কে নাযিল করেছি।"

(সুরা বাকারাহ ২ঃ১৮৫)

তিনি আরো বলেনঃ কোন কোন লোক এ কথাও বলেছেন যে, যে মুবারক রাতে কুরআন অবতীর্ন হয় তা হলঃ শাবান মাসের ১৫ তম রাত !

কিন্তু এটা সরাসরি কষ্টকর উক্তি, কেননা কুরআনের স্পষ্ট ও পরিষ্কার আয়াত দ্বারা কুরআন রমজান মাসে নাযিল হয়েছে বলে সাব্যস্ত হয়েছে, যা পূর্বোক্ত আয়াতসমূহ দ্বারা প্রমানিত!

আর যে হাদিসে বর্নিত হয়েছে যে, শাবান মাসের ১৫ তারিখ থেকে পরবর্তী শাবান মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত সমস্ত কাজ নির্ধারন করা হয়।

যেমনঃ ভাগ্যের মন্দ, চাকরি প্রাপ্তি, আয়-উপার্জন, বিয়ে, সন্তান হওয়া এবং মৃত্যুবরণ করা ইত্যাদি নির্ধারন করা হয়, ঐ হাদিস মুরসাল ! এ ধরনের হাদিস দ্বারা কুরআনুল কারীমের স্পষ্ট আয়াতের বিরোধিতা করার কোন সুযোগ নেই।

তাফসিরে ইবনে কাসীর ষষ্ঠদশ খন্ড, পৃষ্ঠাঃ৬৩৮-৬৩৯)

(প্রকাশিত ১৪৩৪ হিঃ)}

আরো দেখুনঃ

{(তাফসিরে আদওয়াল বয়ান এর সুরা দুখানঃ৩-৪ নাম্বার আয়াতের তাফসির দ্রষ্টব্য।)

"লাইলাতুল মুবারকা বা বরকত ময় রাত বলতে নিশ্চিতভাবে লাইলাতুল ক্বদরকে বুঝানো হয়েছে !"

ফাতহুল কাদরি খন্ড ৪; পৃঃ ৫৭০

ইমাম শাওকানী বলেছেনঃ সত্য ও সঠিক তো তাই যা জমহুর (নিরংকুশ অধিকাংশের) মত ! "বরকতময় রাত" হচ্ছে ক্বদরের রাত, মধ্য শাবান তথা, শবে বরাত নয় !

(ফাতহুল কাদীর খন্ডঃ৪; পৃঃ ৫৭০)}

ইমাম নববী বলেনঃ ইমাম নববী প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থ মুসলিম শরিফের ব্যাখ্যায় ক্বদরের মর্যাদা বলেনঃ ওলামায়ে কেরাম বলেন যে, ক্বদরের রাতকে ক্বদর বলার কারণ হচ্ছে এ রাতে ফেরেস্তাগণ (মানুষের) ঐ বছরের ভাগ্য, জিবিকা, জিবন-মৃত্যু ইত্যাদি লিখেন,,

শরহে মুসলিম খন্ডঃ৮ পৃঃ ৫৭

তাফসিরে মা'আরেফুল কুরআন (সুরা দুখান এর ৩-৪ নাম্বার আয়াতের তাফসীর দ্রষ্টব্য।

তাফসিরে ফি-যিলালীল কুরআন (সুরা দুখান এর ৩-৪ নাম্বার আয়াত এর তাফসীর দ্রষ্টব্য।

তাফসিরে রুহুল মাআনী (সুরা দুখান এর ৩-৪ নাম্বার আয়াত এর তাফসীর দ্রষ্টব্য।

তাফসিরে কাশ্শাফ (সুরা দুখান এর ৩-৪ নাম্বার আয়াতের তাফসির দ্রষ্টব্য। আসুন আমরা সকলে মিলে সঠিক ইসলামের শিক্ষা গ্রহণ করি। আল্লাহ্ আমাদের তাওফিক দান করুন আমিন

বিষয়: বিবিধ

১২৭৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385181
২৮ এপ্রিল ২০১৮ বিকাল ০৫:২১
আমি আল বদর বলছি লিখেছেন : অসম্ভব ভাল লাগলো ভাই, ইদানীং আমি শবে বরাত নিয়ে খুবই কনফিউজে ছিলাম, বারাকআল্লাহ ফি হায়াতি
০৬ মে ২০১৮ রাত ০২:০৭
317632
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য আসলে আমাদেরকে আলেমগন কোরআন হাদিস নিয়ে গবেষণা করতে চায় না বলেই আসল কথা বুঝতে পারে না।সাধারণ মানুষ কি করবেন ধন্যবাদ আপনাকে
385398
২২ মে ২০১৮ দুপুর ০১:৫৮
কুয়েত থেকে লিখেছেন : *রমাদান মাসের* *গুরুত্বপূর্ণ আমল*

*শুধু কি উপাস থাকা আর তারাবি পড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলেই রমজানের বরকত পেয়ে যাব? *জি না*। আমাদের উচিত ১২ মাসের মধ্যে এই ১টি মাত্র মাসে বেশী বেশী নেক আমল করে বেশী বেশী ফায়দা উঠানো এবং সমস্ত পাপ কাজ থেকে, বেশী কথা বলা থেকে,গীবত থেকে,তর্ক ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা ।
আরেকটি কথা, কত বেশী রাকাত তারাবীর নামাজ পড়লাম সেটার চেয়ে কোয়ালিটি বজায় রেখে ধীর স্থির ভাবে দীর্ঘ সময় ধরে নামাজ পড়াটাই নবীর(সঃ) সুন্নত যা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তারাবী ৮রাকাত না কি ২০ রাকাত নাকি ৩৬ রাকাত পড়ব?*
*ইমাম নামায শেষ না করা পর্যন্ত যে ব্যক্তি ইমামের সাথে (জামাআতে) তারাবীহ পড়ল তার জন্য পূর্ণ রাত নফল পড়ার সাওয়াব লেখা হয়ে গেল।* (তিরমিযী : ৮০৬)
তাহলেই এই মাস হবে আমাদের জন্য বরকতময়। অন্যথায় ক্ষতিগ্রস্থ! কিভাবে সম্ভব?

*রমজানের আমল সমুহঃ*
সূর্য ডুবা মাত্রই ইফতার করা। *লোকেরা যতদিন শীঘ্র(সূর্যাস্ত হওয়া মাত্র) ইফতার করবে,ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।(বুখারী, মুসলিম)

অনেকে আযান দিলে ওজু করতে যায়,তারপর ইফতার করে যেটা ঠিক না। ইফতার করে ওজু করলেই পারেন।

*খেজুর* দিয়ে ইফতার কর, *খেজুর না পেলে পানি* দিয়ে *ইফতার করবে*। *কেননা পানি হলো অধিক পবিত্র* ’’ [আবু দাউদ]
*ইফতার শুরু করবেন বিসমিল্লাহ বলে।*
*ইফতার করে নবী(স) যে দোয়াটি পড়তেন*
*নবী (স) ইফতার করে দোয়া পড়তেন*
*ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ*
(যাহাবাজ্জামাও ওয়া আবতাল্লাতিল ও'রুকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইন শা আল্লাহ।)
অর্থঃ ‘পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, শিরা-উপশিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ প্রতিদানও নির্ধারিত হয়েছে।
নবী (স) *বিলম্বে সেহরী* খেতেন কারণ সেহরী খাওয়ার মধ্যে *বরকত* রয়েছে। (মুসনাদে আহমেদ)।বিলম্বে মানে আযানের প্রায় ২০/৩০ মিনিট আগে থেকে শুরু করে আযানের আগ পর্যন্ত এর মধ্যে খাওয়া। ইহুদি খৃস্টানেরা তাদের রোযায় সেহরী খায় না।
যে ব্যক্তি ইমামের সাথে শেষ পর্যন্ত রাতের সালাত (তারাবীহ) পড়বে তাকে *পুরো রাতের* কিয়ামুল লাইলের সাওয়াব দান করা হবে [আবূ দাউদ ]
তাহাজ্জুদ যেন মিস না হয়। *ফরয সালাতের পর সর্বোত্তম সালাত হল রাতের সালাত অর্থাৎ তাহাজ্জুদের সালাত (মুসলিম)
কাউকে ইফতার করালে আপনি ঐ রোযাদারের রোযার সমান সওয়াব পাবেন।১টি খেজুর বা পানি দিয়ে হলে ও ইফতার করাতে পারেন।
ঠিক সময় মত জামাতে সালাত আদায় করা। জামাতের প্রথম কাতারে শামিল হওয়া।
নবী(স) বলেছেনঃ *তোমরা যদি জানতে অথবা তারা যদি জানত যে, সামনের লাইনে দাঁড়ানো কত কল্যাণকর(মাহাত্ম); তাহলে তারা এটা লাভ করার জন্য লটারী করত।

নিশ্চয় সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয। [সূরা নিসা ১০৩] এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে,
কোন আমল জান্নাতের অতি নিকটবর্তী? তিনি বললেন, সময় মত নামায আদায় করা। ( মুসলিম)
নিজে কুরান খতম করা। (ডেইলি দেড় ঘন্টা পড়লে ১৫/২০ দিনে কুরান খত্ ম সহজেই হবেবে) সহীহভাবে কুরআন শেখা।
বেশি বেশি *দান-সদাকাহ* করা।. রমাদানে নবী(স) এর দানশীলতা আরো বেড়ে যেত [সহীহ বুখারী ]

বেশী বেশী তাওবা / ইসতিগফার ও দোয়া/কান্না কাটি করা। নবী (স) যার সব গুনাহ মাফ তিনি দিনে ১০০ বার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তেন। শ্রেষ্ট ইস্তেগফার হল: দিনে ১ বার, রাতে ১বার পাঠ করা
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُك وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا َأَنْتَ

হে আল্লাহ, তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া প্রকৃত এবাদতের যোগ্য কেউ নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আর আমি তোমার গোলাম আর আমি সাধ্যমত তোমার সাথে কৃত অঙ্গীকারের উপর অবিচল রয়েছি। আমার কৃত-কর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমাকে যত নেয়ামত দিয়েছে সেগুলোর স্বীকৃতি প্রদান করছি। যত অপরাধ করেছি সেগুলোও স্বীকার করছি। অত:এব, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারণ, তুমি ছাড়া ক্ষমা করার কেউ নেই।

ফযিলাত যে কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনের বেলা এই দু‘আটি (সাইয়িদুল ইসতিগফার) পাঠ করবে ঐ দিন সন্ধ্যা হওয়ার আগে মৃত্যু বরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে এবং যে কেউ ইয়াকিনের সাথে রাত্রিতে পাঠ করবে ঐ রাত্রিতে মৃত্যুবরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে।[সহীহ আল-বুখারী : ৬৩০৬]
ফ্রি থাকলে *যিকর* করা। এক ব্যক্তি নবী(স)কে ইসলামের অনেক নির্দেশনা থেকে ১টির পরামর্শ চাইলে, বলেন জিহবাকে জিকিরে ভেজা রাখতে। (জিকিরের আর্টিকল পরবর্তি মেসেজে পাবেন ইন শা আল্লাহ)

বেশী বেশী *মিসওয়াক* করা।নবী(স) উম্মতের কষ্ট হতে পারে মনে করে তা ফরয করেন নাই।উনি মিসয়াক এত বেশী পছন্দ করতেন।
সুযোগ থাকলে ফজরের নামাজের পরে মসজিদে বসে থেকে জিকির/তিলাওয়াত করে সূর্যোদয়ের প্রায় ২০ মিনিট পরে ২রাকাত নামাজ পড়লে ১টি ওমরা ও ১টি হজ্জের সোয়াব পাওয়া যায়।
ই‘তিকাফ করা।প্রত্যেক রমাযানেই নবী(স)শেষ ১০ দিন ই‘তিকাফ করতেন।
দাওয়াতে দ্বীনের কাজ করা। ভাল কাজের পথ প্রদর্শনকারী এ কাজ সম্পাদনকারীর অনুরূপ সাওয়াব পাবে। (তিরমীযি)
সামর্থ্য ও সুজোগ থাকলে *উমরা* পালন করা। *রমাদান মাসে উমরা করা হজ্জ আদায় করার সমতুল্য* (বুখারী)
আত্মীয়তার সম্পর্ক উন্নীত করাঃ
সালাম বিমিয়ের মাধ্যমে হলেও আত্নীয়তার সম্পর্ক তরতাজা রাখ।
আত্নীয়তা ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। শেষ দশকে *লাইলাতুল কদর তালাশ*করা। কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম [সূরা কদর

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File