আজো পৃথিবী জুঁড়ে শাহীদের রক্ত ঝরে, ক্বেয়ামত পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলনের লোকগুলোই কেবল সুশৃংখল থাকবে, তাই ভয় কি নও জোয়ান?
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০২ এপ্রিল, ২০১৮, ০৪:২৬:৫৫ বিকাল
অবিলম্বে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হওয়া সময়ের দাবি। আজো পৃথিবী জুঁড়ে শাহীদের রক্ত ঝরে, ক্বেয়ামত পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলনের লোকগুলোই কেবল সুশৃংখল থাকবে, তাই ভয় কি নও জোয়ান?
জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াতী কাজের মূল লক্ষ ইক্বামাতে দ্বীন,আর সেই লক্ষে জামায়াতে ইসলামী জামায়াতে ইসলামী নামক সংগঠনের দাওয়াত দেন না,তারা দাওয়াত দেন ইসলামী আদর্শের দিকে,আর সেই লক্ষে জামায়াতে ইসলামীর সচেতন কর্মীরা কাজ করে যান, আর সেই কাজের সত্যতারই প্রমাণ দিতে গিয়ে শহীদ হন একে একে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ,তাদেরই হাত ধরে ইসলামী দ্বীনের অনুসরণ করে বাতিলে দূর্গে আঘাত হানে জামায়াতে ইসলামী নামক সংগঠনটি, ইসলামী আন্দোলন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাতিলের বিরুদ্ধে আপোসহীন ও আল্লাহর দ্বীন কায়েমের অনন্য নাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী,যে সংগঠনের লোকেরা কেবল মাত্র ইসলামের জন্য কাজ করে,তাদের জামায়াতে ইসলামী শব্দটি কেবলমাত্র প্রশিক্ষণ শিবিরের নাম মাত্র।
আজ পর্যন্ত বিভিন্ন ইসলামী মতবাদের লোকগুলির বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত কোন একজন ইসলামী ব্যক্তিত্বের এক লাইনের কলামও কেউ দেখাতে পারবেন না,যেই মওদূদীর বিরুদ্ধে আজকের দুনিয়াদার আলেমদের এতো অভিযোগ,সেই মওদুদীর বইয়ের কোন অংশে ক্বওমী কিংবা কোন পীরবাদীর বিরুদ্ধে একটি মাত্র বক্তব্য নেই,অথচ এই আলেমগুলো কিসের স্বার্থে মওদুদীসহ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধাচারণ করছে,যেই মওদূদী জামায়াতে ইসলামী পরিচয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় হন নি,সারাবিশ্বের কাছে একজন ইসলামী আন্দোলনের নিবেদিত প্রাণ হিসেবেই পরিচিতি লাভ করে দুনিয়া থেকে বিদায় হয়েছেন,তার অন্যতম নজীর পৃথিবীর বুকে মওদূদী জামায়াতে ইসলামীর জন্য এমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে আর্থিক সেন্টার গড়ে যান নি,যার লোভে তার পেছনের সারির নেতারা তার সংগঠনের দায়িত্ব পালন করবেন।
আজকে যারা মূখে ইসলামের কথা বলে দলবাজী করে বেড়ান,তাদের প্রত্যেকেরই ইসলামের নামে পেট চালানোর অভিনব কায়দায় ইসলামী প্রতিষ্ঠানের নামে পেট পূঁজা কিংবা অর্থ ইনকামের ব্যবস্থা আছে,যার ফলে বিভিন্ন ইসলাম বিরোধী গোষ্ঠীকে আয়ত্বে রাখতে তাদের ইসলামী স্বার্থ মোতাবেক কথা বলার নূন্যতম সাহসিকতা নেই, এমন প্রতিষ্ঠানগুলো যদি বন্ধ করে দেয়া হয়, ইসলামের পক্ষে কথা বলা তো দূরের কথা,তাদের ক্ষেতে খামারে কাজ করাটাই দুস্কর হয়ে যাবে, কারণ তাদের পেছনে তাদের কিছু নির্দিষ্ট ছাত্র আর দান খয়রাত করা কিছু রাগব বোয়াল ব্যতীত আর কিছু নেই,অন্য দিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটি নেতাকর্মীকে ইসলামের স্বার্থ রক্ষা করে উহার যথাযথ কাজ জমিনে বাস্তবায়নের প্রশিক্ষন দেয়া হয়।
এই সংগঠনের নেতাকর্মীদের লক্ষ জামায়াতকে ক্ষমতায় বসানো নয়, তাদের লক্ষ পরকালীন মুক্তি ও ইসলামকে ক্ষমতায় বসানোর আন্দোলন,যা আজকের যুগের অনেক মাওলানা মুফতিরাও দ্বীনের পড়াশুনা করে দান খয়রাত খেলেও ইসলাম ক্বায়েমের কথা বলার সাহস পান না,কারণ ইসলাম যদি ক্ষমতায় বসে যায়,তার হুকুমত জমিনে এতো পরিস্কার ভাবে প্রবাহিত হবে যে কেউ দ্বীন ব্যবসার নূনতম সুযোগটুকুও পাবে না। বিশাল বড় বড় মাদ্রাসার আলেমগণ সারাজীবন কেবল ইসলামী শিক্ষার সিলেবাস দিয়ে সার্টিফিকেটের আলেম আমাদের উপহার দিয়ে বেতন কামিয়ে গেছেন,কিন্তু সেই শিক্ষা জমিনে বাস্তবায়নের আন্দোলন কেউ শিখিয়ে যেতে পারেন নি।
জামায়াত এতোটাই পরিকল্পিত এবং সু সংগঠিত দল যে, যে কোন নামেই এর আবির্ভাব ঘটুক না কেন, ইসলামী আন্দোলনের নেতারা কেবল নেতৃত্বের গুনাবলী দেখলেই চিনতে ভুল করেন না যে ইসলামী আদর্শের পথ কোনটি? আজ বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের গভীরতা জামায়াতে ইসলামীর হাত ধরে এতো গভীরে পৌছে যে,নতুন নামে এর আবির্ভাব ঘটলে প্রতিটি ঘরে ঘরে কোরআনের বিপ্লব গঠন ছড়িয়ে পড়বে,ফলে নামধারী ইসলামী আন্দোলনকারীদের সকল চক্রান্ত নস্যাৎ হয়ে ধুমড়ে মুচড়ে পড়বে। মিশর কিংবা তুরস্কের মতো কোরআনের রাজ ক্বায়েমের বিপ্লব ছড়িয়ে পড়তে কতক্ষন?
বাংলাদেশের প্রতিটি দল নির্দিষ্ট নামে সীমাবদ্ধ,বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী তাদের দলগত নামে সীমাবদ্ধ নয়,তাদের প্রতিটি কর্মকান্ড ইসলামী আদর্শে সীমাবদ্ধ, জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দকে আঘাত করে,শহীদ করে আজ জামায়াতে ইসলামীকে লাগাম টেনে ধরা হলেও জামায়াত নিষিদ্ধ হলে ইসলামী আন্দোলনের যে নতুন রূপ রেখা অঙ্কিত হবে,তার গন জোয়ার ঠেকাবে কে? বরং বাতিল সর্বদা আতঙ্কিত হবে,জমদূত না জানি কখন কি নামে এসে হাজির হয়।
ইসলামী গনজোয়ার যখন যেভাবেই আসুক না কেন,একদল লোক সর্বদা ব্যস্ত থাকে, আমার অর্থ ইনকামের কি হবে? তাই এক পর্যায়ে তাদের দ্বারাই বাতিলের তাবেদারী প্রকাশ পায়,আজ সারাদেশ জুড়ে যতগুলো ইসলামী দল আছে,তার প্রায় সবটিই ইসলামের নামে বিভিন্ন অর্থ আয় রুজী রোজগারের সাথে জড়িত, তাই বিপ্লবে গঠনের দিনগুলোতে এমন লোকগুলো সর্বদাই ইসলামের লাগাম পেছনের দিক থেকে টেনে ধরে বাতিলের ছায়াতলেই আশ্রয় গ্রহণ করে ছিলো।
আজ সকল বাঁধা উপেক্ষা করে,জামায়াতে ইসলামী কোন নাম তো নয়,কেবল তাদের সকল নেতাকর্মীদের সামনে ইসলামী আদর্শের রূপরেখা মোতাবেক ইসলামী স্বার্থ রক্ষার সকল ঝান্ডা উঁচু করে ধরার সময় এসেছে,পৃথিবীতে বাঁধা দান করে সকল প্রকার শক্তিকে থামিয়ে দেয়া গেলেও রাসূল (সঃ) এর ২৩ বছর জীবনের প্রায় দেঢ় লক্ষ সাহাবায়ে কেরামদেরকে পৃথিবীর কোন অপশক্তি থামিয়ে দিতে পারে নি, আজো সেই তরী সামনের দিকে প্রবাহিত, আজো পৃথিবী জুঁড়ে শাহীদের রক্ত ঝরে, ক্বেয়ামত পর্যন্ত ইসলামী আন্দোলনের লোকগুলোই কেবল সুশৃংখল থাকবে, তাই ভয় কি নও জোয়ান?
কেবল যদি জামায়াতকে ক্ষমতায় বসানো জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য হতো,তবে নিজামী মুজাহিদদের জীবন দিতে হতো না, জামায়াতে ইসলামীর প্রতিটি কর্মীর একই শপথ,আমরা জামায়াতে ইসলামী করি না, ইসলামী আন্দোলন করি,পৃথিবীতে যতদিন নিঃশ্বাস নিয়ে বাঁচবো,রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর শিখানো ইসলামী আন্দোলন থেকে আমরা একচুলও সরে যাবো না, সেটা জামায়াতে ইসলাম হউক আর ছাত্র শিবির হউক,আমাদের লক্ষ ইসলাম।
আল্লাহ যেন আমাদের সকলকে সর্বদাই ইসলামী হুকুমত ক্বায়ের আন্দোলনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখেন,আমীন।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৮ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন