শেষ কথা বলে যাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আবার বলি, আমরা আপনার শত্রু নই আপনার শত্রু আপনার পাশেই
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ২৯ জানুয়ারি, ২০১৮, ০৮:২৯:৫১ রাত
লক্ষ জনতার সামনে শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিশ্ব নন্দিত আল্লামা সাঈদী বলেছিলেন। শেষ কথা বলে যাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আবার বলি, আমরা আপনার শত্রু নই।
আমরা আপনার শত্রু নই।
আপনার শত্রু আপনার পাশেই। শেখ হাসিনাকে সাবধান করতে ও শিক্ষা নিতে বলে একটি উদাহারণ দিয়ে তিনি বলেছিলেন ।
একটা সিংহ, একটা নেকড়ে ও একটা পাতি শিয়াল এই তিনজন মিলে সারা দিন পরিশ্রম করে তিনটা শিকার করেছে। একটা খরগোশ, একটা হরিণ ও একটা বড় গরু।
সিংহ বলেছে, আমরা পরিশ্রম করে তিনজই শিকার করছি!
আমার নিয়ম হল, বিচার ব্যবস্থা না করে ভাগ না করে আমি খাওয়া পছন্দ করিনা। আমি প্রথমে দায়িত্ব দিলাম নেকরেকে!
এই নেকড়ে ভাগ কর, নেকড়ে বলল মহারাজ এই আবার ভাগ করার কি আছে,
খরগোশটা পাতি শিয়াল খাক, হরিণটা আমি খাই, যেহেতু আপনার দেহটা বড় আপনি বড় গরুটাই খান। সিংহের মেজাজ খারাপ হয়ে গেল বেয়াদব এই ধরনের অসম বন্টননীতি তোকে কে শিখিয়েছে, এক থাপ্পর মারছে,, সে ৫০ হাত দূরে গিয়ে পড়লো....!
এবার সিংহ বলছে, এই শিয়াল ভাগ কর বেটা, মহারাজ এই সাধারণ জিনিস গুলো ভাগ করার বিষয় আছে, না ভাগ না করলে তো আমি খাইতে পারিনা। শিয়াল, ভাগটা যদি আমাকে করতেই বলেন, আমি বলব, খরগোশ দিয়ে ব্রেক ফাস্ট করবেন,
লাঞ্চ করবেন হরিণ দিয়া, ডিনার করবেন গাভি দিয়া।
মহারাজ ইবার খুব খুশি আরে শিয়ালরে এত সুন্দর ভাগ তোকে কে শিখাইছে। শিয়াল, একটু আগে যে কল্লা দিয়া গেছে, সেই আমাকে শিখাইছে এই বন্টন নীতি।
এরপর তিনি মুল কথায় এসে বলেন! আরে ধর্মবিত্তিক রাজনীতি করতে না দিয়ে নমরুদ আর ফেরাউন যে শিক্ষা পেয়েছে,
তার থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। আগুন নিয়ে খেলবেন না,
বরদাসত করবেনা বাংলাদেশের ১৬ কোটি মুসলমান।ধর্মবিত্তিক রাজনীতিক নিষিদ্ধ করার মত দুর্সাহস দেখাবেন না! আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করুন, বন্ধ করুন, জনগণ মানবেনা মানবেনা।
আজ এই জাতি কি দেখছে দেখছে আম্লীগ আর আম্লীগের মারা মারি ভাগা ভাগি নিজেরাই নিজেদের খুনাখুনি টেন্ডার বাজি এমন কোন অপকর্ম নেই যা আম্লীগ আর ছাত্রলীগ করছেনা এটাও আল্লাহর গজব। আর কিছুদির পর এই জাতি দেখবে নিজের শত্রুরা নিজেদেরকেই শেষ করেই ছাড়বে
রিপোর্ট করুন
বিষয়: বিবিধ
১০৬৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের স্মরণ রাখা উচিত,হযরত রাসুল (সা.) এর স্ত্রীগণ উম্মুল মুমিনিন অর্থাৎ উম্মতের জন্য সাংবিধানিকভাবেই ঈমানদারদের মা। আর আল্লাহ্র রাসুলের মর্যাদা তো বর্ণনার অতীত! তাঁদের মধ্যকার পবিত্র যে ভালোবাসা তাকে ইসলামের দৃষ্টিতে যে প্রেম হারাম তার সঙ্গে উপস্থাপন!
আর সেটিকে আমাদের প্রশ্রয় প্রদান করা অবশ্যই এ ব্যাপারে আমাদেরকে কিন্তু আল্লাহ্র কাছে জবাব দিহি করতেই হবে!এবং এ ভুলের জন্য আমাদেরকে তওবা করতে হবে! আর আমাদের প্রিয় রাসুলের শানে যা বেয়াদবি তা থেকে দূরে থাকা ঈমানদারের ঈমানের প্রধানতম দায়িত্ব।
মন্তব্য করতে লগইন করুন