কোরআন তো ম্যাগাজিনের মত পড়ার বিষয় নয়, কোরআনের গভীর অর্থবহ বাণী গভীরভাবে চিন্তা করেই পড়া উচিত
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৪:৫৬:২৯ বিকাল
কোরআন তো ম্যাগাজিনের মত পড়ার বিষয় নয়: টনি ব্লেয়ারের শ্যালিকা
লন্ডন: বিশ্বের বহুল আলোচিত ঘটনা নাইন ইলিভেনের ঘটনা। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের এই ঘটনার পর থেকে ইউরোপ ও আমেরিকায় ইসলাম বিদ্বেষী তৎপরতা জোরদার হওয়া সত্ত্বেও ইসলামের প্রতি এ অঞ্চলের অমুসলিম জনগণের আকর্ষণ ক্রমেই বাড়ছে।
মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনের সুরা তওবার ৩২ নম্বর আয়াতে বলেছেন, ‘তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়। কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তার নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে।’
ব্রিটেনের খ্যাতনামা মহিলা ব্যক্তিত্ব ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রীর সৎ বোন লরেন বুথ সাম্প্রতিক সময়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। বুথ জন্ম গ্রহণ করেছেন ১৯৬৭ সালে। ইসলামে দীক্ষিত হওয়া সম্পর্কে তিনি লিখেছেন: ‘আমাকে যখন কেউ প্রশ্ন করে কেন আমি এমন এক ধর্মে দীক্ষিত হলাম যে ধর্ম পশ্চিমা গণমাধ্যমে সবচেয়ে কম নন্দিত হয়, তখন ইরানের একটি মসজিদে আমি যে আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা উল্লেখ করা জরুরি মনে করি।’
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রীর সৎ বোন লরেন বুথ একজন উপস্থাপক, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী। তাই মধ্যপ্রাচ্যের খবর পরিবেশনের জন্য তিনি অনেক বার এ অঞ্চল সফরের সুযোগ পেয়েছেন। ভ্রমণ-কাহিনীর একাংশে মিসেস বুথ বলেছেন, ‘পরবর্তী তিন বছরে আমি বেশ কয়েকবার অধিকৃত ফিলিস্তিন সফর করেছি। ধর্ম ও নানা শ্রেণী বা সম্প্রদায় নির্বিশেষে ফিলিস্তিনিদের যেসব কষ্ট ও দূর্দশা দেখেছি তা আমার কাছে অসহনীয় বা বেশ ভারী বোঝা বলে মনে হয়েছে।’
‘২০০৫ সালের জানুয়ারি মাসে আমি একাকী ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর সফর করেছিলাম যাতে ‘দ্যা মেইল অন সানডে’ নামক দৈনিকটির জন্য নির্বাচনের সংবাদ পাঠাতে পারি। এর আগে আমি কখনও কোনো আরব বা মুসলমানদের এলাকায় থাকিনি। এ সফর আমাকে মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা এনে দেয়। পৃথিবীর এ অঞ্চল এবং হযরত মুহাম্মাদ (সা.)’র অনুসারীদের ব্যাপারে আমরা যা জানি তার বেশিরভাগেরই ভিত্তি হল পশ্চিমা গণমাধ্যমের বৈষম্যমূলক ও উদ্বেগপূর্ণ নানা খবর। আর এ জন্যই মধ্যপ্রাচ্যের পথে বিমানে থাকার সময় কেবলই মনে এসেছে বার বার ব্যবহৃত হওয়া পুরনো কিছু শব্দ। যেমন, যেখানে যাচ্ছি সেখানকার মানুষ উগ্র বা গোড়া, সেখানে বিয়েগুলো হয় আরোপিত, তারা আত্মঘাতি বোমা হামলাকারী এবং জিহাদি। কিন্তু আমি যা ভাবতাম তার চেয়েও অনেক বেশি ইতিবাচক ছিল আমার এই প্রথম অভিজ্ঞতা।’
টনি ব্লেয়ারের স্ত্রীর সৎ বোন লরেন বুথ আরো বলছেন, ‘উপযোগী পোশাক ও কোট না পরেই প্রবেশ করলাম ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে। কারণ, ইসরাইলি কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে আমার স্যুটকেস রেখে দিয়েছিল। রামাল্লার কেন্দ্রস্থলে যখন হাঁটছিলাম শীতে গা কাঁপছিল। এক বৃদ্ধা মহিলা আমার হাত ধরলেন। মহিলা খুব দ্রুত কথা বলছিলেন এবং নিয়ে গেলেন গলির এক কোনে অবস্থিত তার ঘরে। আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে সম্ভবত: একজন বৃদ্ধা সন্ত্রাসী আমাকে অপহরণ করলেন। কয়েক মিনিটের জন্য হতভম্ব হয়ে ছিলাম। এরপর দেখলাম বৃদ্ধা ফিলিস্তিনি মহিলা তার মেয়ের পোশাকের আলমারি থেকে আমার জন্য একটি কোট, টুপি এবং ওড়না বের করলেন। এরপর আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন ঠিক সেই সড়কে যেখানে আমি হাঁটছিলাম। বৃদ্ধা ফিলিস্তিনি মহিলা আমাকে চুমো খেলেন এবং খুব আন্তরিক চিত্তে বা বন্ধুত্বপূর্ণ আবেগ নিয়ে আমাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন। আমাদের মধ্যে বোধগম্য একটি শব্দও বিনিময় হয়নি। কিন্তু তার ওই দানশীল আচরণ আমি কখনও ভুলব না। এমন ঘটনা নানা আঙ্গিকে ঘুরে-ফিরে শত শত বার ঘটতে দেখেছি। কিন্তু যেসব খবর আমরা পড়ি বা দেখি তাতে এমন সহৃদয় আচরণের কথা খুব কমই স্থান পেয়েছে।’
মিসেস বুথ আরো লিখেছেন, ‘ধীরে ধীরে আমার দৈনন্দিন কথোপকথনে মাশাআল্লাহ ও ইনশাল্লাহ জাতীয় শব্দগুলো স্থান করে নেয়। মুসলমানরা গভীর আনন্দময় অনুভূতি নিয়ে আল্লাহর নাম থেকে উৎসারিত এসব সংক্ষিপ্ত বাক্য উচ্চারণ করেন। মুসলিম গ্রুপগুলোর সঙ্গে সাক্ষাত আর অপছন্দনীয় মনে হত না। বরং আবার কখন এ ধরণের গ্রুপের সাথে সাক্ষাত করব সে জন্য অপেক্ষায় থাকতাম। এসব গ্রুপের সাথে সাক্ষাতের ফলে সচেতন ও বিচক্ষণ লোকদের সঙ্গ পেতাম এবং আরো বড় দিক হল, এসব সাক্ষাতের সুবাদে দয়ালু ও দানশীল মানুষের সঙ্গ পেতাম।’
মুসলিম মহিলাদের সঙ্গে ব্যাপক যোগাযোগের সুবাদে লরেন বুথের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে তাদের সম্পর্কে পাশ্চাত্যে যেসব ধারণা দেয়া হয় বাস্তবতা তার সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি লিখেছেন, ‘মুসলিম সংস্কৃতি ও বিশেষ করে মুসলিম মহিলাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে উপলব্ধি ইসলাম সম্পর্কে আরো ব্যাপকভাবে জানার উৎসাহ দিয়েছে আমাকে। মুসলিম নারীর মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা থাকে। আর এই পোশাকের কারণেই তারা অন্যদের কাছে সম্মান পায়। অন্যদিকে আমাদের তথা পাশ্চাত্যের ফ্রি সোসাইটি বা কথিত মুক্ত সমাজে আমাদের নারী ও কন্যাদের কতটা সম্মান দেয়া হয়?’
‘২০০৭ সালে আমি লেবাননে যাই। সেখানে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সঙ্গ দিয়েছি চারদিন। তারা সবাই পরিপূর্ণ হিজাব বা ইসলামী পোশাক পরত। অনুজ্জ্বল কিংবা জিনসের প্যান্টের ওপর পরা তাদের পোশাকে বেল্টও ছিল এবং ঢাকা ছিল তাদের চুল। তারা ছিল প্রাণোচ্ছল, স্বাধীন ও নির্ভিক বা স্পষ্টভাষী। অন্য কথায় জড়সড় বা গুটিয়ে থাকা মেয়ে ছিল না তারা। তাদেরকে জোর করে বিয়ে দেয়া হয় বলে পশ্চিমারা যা প্রচার করে তার সামান্য লেশও দেখা যায়নি।’
মিসেস বুথ আরো বলেছেন, ‘ওরা একবার হিজবুল্লাহর সেনা কমান্ডারের সাক্ষাতকার নিতে আমার সাথে এসেছিল। এই মেয়েদের সাথে হিজবুল্লাহ কমান্ডারের আচরণে বেশ আনন্দিত ও বিস্মিত হয়েছিলাম। তিনি যখন বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে কথা বলছিলেন তারা স্বাধীনভাবেই কমান্ডারের কথার মাঝখানেই কথা বলছিল ও নিজেদের মত প্রকাশ করছিল।’
দোয়া ও মসজিদ প্রসঙ্গে বুথ বলেছেন, ‘সব সময়ই দোয়া বা প্রার্থনায় মশগুল হতে ভালবাসতাম। শৈশব থেকেই হযরত ঈসা (আ.) ও তার পূর্ববর্তী নবী-রাসূলের কাহিনী শুনে মজা পেতাম। …..যতই মধ্যপ্রাচ্যে আমার সফর বাড়ছিল ততই মসজিদে যাওয়ার আগ্রহও বাড়তে থাকে। মসজিদ গির্জার মত মূর্তিযুক্ত ও বেঞ্চযুক্ত নয়। কার্পেট-বিছানো মসজিদকে বড় ধরণের বৈঠকখানার মত দেখলাম যেখানে শিশুরা খেলাধুলা করে এবং মহিলারাও সেখানে এবাদত-বন্দেগী করেন এবং হুইল-চেয়ারে বসা দাদীমারা কোরআন পড়ছেন। তারা তাদের জীবনকে নিয়ে এসেছেন মসজিদে এবং এবাদতের স্থানকে নিয়ে আসতেন নিজ ঘরে।’
বুথের জীবনের এক অনন্য ও মোড়-ঘুরিয়ে দেয়া ঘটনা ছিল কোম সফর। তিনি লিখেছেন, ‘এক সন্ধ্যায় ইরানের কোম শহরে আসি। বসলাম নির্ভেজাল এক আধ্যাত্মিক আনন্দ অনুভব করলাম। এ আনন্দ এমন নয় যা মানুষকে পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন করে, বরং তা এমন এক আনন্দ যা মানুষকে দেয় নিরাপত্তা ও পরিপূর্ণ প্রশান্তি। অনেকক্ষণ বসেছিলাম। ইসলাম মানুষকে যে শক্তি ও প্রশান্তি দান করে তা আমাকে সব সময়ই অভিভূত করেছে। এরপর ভাবলাম যে আমি মুসলিম বিশ্বে এখন আর একজন ট্যুরিস্ট নই, বরং ইসলামী সমাজেরই একজন মুসাফির (যে এখানে মাজার জিয়ারত করতে এসেছে,) যে ইসলামী সমাজে সব মুমিনই পরস্পর ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ।’
বুথ আরো লিখেছেন, ‘মানুষ আমাকে প্রশ্ন করে, আমি কতটা কোরআন পড়েছি, উত্তরে বলতে হয়, কোরআন তো ম্যাগাজিনের মত পড়ার বিষয় নয়, কোরআনের গভীর অর্থবহ বাণী গভীরভাবে চিন্তা করে পড়া উচিত। সারা জীবন ধরে আমাকে বুঝতে হবে কোরআন। কোরআন আমাকে আরবী শিখতেও সহায়তা করে, আমিও আরবী ভাষা শিখতে আগ্রহী, তবে এ জন্যও সময় দরকার।’
ইসলাম গ্রহণের পর বদলে গেছে টনি ব্লেয়ারের শ্যালিকা মিসেস লরেন বুথের জীবন। এই পরিবর্তনে তিনি সন্তুষ্ট। এখন আর তিনি শুকরভোজী ও মদ্যপায়ী নন। ইসলাম তাকে দিয়েছে সৌভাগ্য ও চরম আনন্দের অনুভূতি।
বিষয়: বিবিধ
৮৯৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জনগণের কাছে জবাবদিহিতার নমুনা
**********************************
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর ফারুক ( রাঃ) এর খেলাফত কাল। তিনি হিমসের গভর্নর নিযুক্ত করলেন সাঈদ ইবনে আমের আল জুমাহী (রঃ)কে।
সাঈদ ইবনে আমর(রাঃ) অত্যন্ত সুচারুরুপে এবং দক্ষতার সাথে হিমসের গভর্নরের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। হযরত সাঈদ ইবনে আমর সম্পর্কে খলীফা অত্যান্ত উচ্চ ধারনা পোষন করতেন।
একদিন হিমসের জনগণ গভর্নরের বিরুদ্বে আমিরুল মুমেনিন হযরত উমরের নিকট চারটি অভিযোগ পেশ করেন।
আমিরুল মুমেনিন হিমসের জনগণ ও গভর্নরকে একত্র করে জবাবদিহিতার কাঠ গড়ায় দার করালেন
আমিরুল মুমেনিনঃ- "গভর্নর সম্পর্কে তোমাদের প্রথম অভিযোগটি কি?"
হিমসের জনগণঃ- ' তিনি প্রত্যহ তাঁর দফতরে বিলম্বে আসেন।
আমিরুল মুমেনিন এ অভিযোগের জবাব দানের জন্য গভর্নরকে আহবান জানালেন।
গভর্নর সাঈদ কিছুক্ষণ নিরব থেকে বললেন:
' আমি এর উত্তর দেয়া পছন্দ করছি না এ জন্যে যে, এটি একান্ত ভাবে আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু আপনার নির্দেশের কারণে আমাকে বাধ্য হয়ে তা বলতে হচ্ছে।'
এর পর গভর্নর সাঈদ তাঁর অফিসে বিলম্বে আসার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বললঃ
'' আমার ঘরে কোনো খাদেম বা চাকরাণী নেই। তাই আমি প্রত্যহ সকালে পরিবারের সদস্যদের জন্যে প্রথমে রুটির জন্য আটা দিয়ে খামির তৈরি করি, তারপর তা কিছু সময় রেখে দিতে হয় রুটি তৈরির উপযোগী করার জন্যে। এরপর রুটি বানিয়ে রেখেই ওযু- গোসল করে প্রস্তুত হয়ে দফতরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। এ কারণে অফিসে আসতে আমার সমান্য বিলম্ব ঘটে।''
আতঃপর আমিরুল মুমেনিন জনগণকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃ
" তোমাদের দ্বিতীয় অভিযোগ কী? "
তারা বললঃ
"আমাদের দ্বিতীয় অভিযোগ হলো, রাতের বেলা কোনো প্রয়োজনে গভর্নরকে ডাকা হলে তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দেন না।"
এ অভিযোগ শুনে আমিরুল মুমেনিন গভর্নর সাঈদের উদ্দেশে বললেনঃ
" হে সাঈদ এ ব্যাপারে তোমার বক্তব্য কি?"
গভর্নর সাঈদ বললঃ-
" এটিও আমার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার,যা আমি জনসমক্ষে প্রকাশ করা মোটেই পছন্দ করি না। এতদসত্বেও আপনার নির্দেশ পালনার্তে আমাকে বলতে হচ্ছে।"
এর পর গভর্নর সাঈদ বলতে শুরু করেনঃ-
" আমি দিনকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ও জনসাধারনের খেদমতের জন্যে এবং রাতকে আল্লাহর ইবাদাতের জন্যে নির্দিষ্ট করে নিয়েছি। তাই রাত্রি বেলা তাদের প্রয়োজনে সাড়া দিতে পারি না বলে দুঃখিত।"
এরপর আমিরুল মুমেনিন হিমসের জনগণকে তাদের তৃতীয় অভিযোগ পেশ করতে বলেন।
তারা বললঃ
" গভর্নর সাঈদ বিন আমর মাসে একদিন তঁর কার্যালয়ে অনুপস্হিত থাকেন।"
এ অভিযোগের উত্তর দেয়ার জন্য আমিরুল মুমেনিন গভর্নর সাঈদের প্রতি আহবান জানালেন।
গভর্নর সাঈদ উত্তরে বললঃ-
আমীরুল মুমেনীন! আমার ঘরে কোনো কাজের লোক না থাকায় মাসে একবার আমাকে বাজার করতে হয়। এ ছাড়া পরনের এ পোষাক ছাড়া আমার অন্য কোনো পোষাক না থাকায় মাসে যেদিন বাজার করি সে দিনই বাজার শেষে এ পোষাক পরিষ্কার করি এবং তা শুকানো পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষা করতে হয়। তাই মাসে একদিন অফিসে অনুপস্হিত থাকা ছাড়া আমার উপায় থাকে না।"
****************************************
নামায ও তার গুরুত্বের কথা কুরআন মাজীদের বহু জায়গাতেই আলোচিত হয়েছে। কোথাও নামায কায়েম করার আদেশ দিয়ে, কোথাও নামাযীর প্রশংসা ও প্রতিদান এবং বেনামাযীর নিন্দা ও শাস্তি বর্ণনা করে, আল্লাহ তাআলা নামাযের প্রতি বড় গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এক স্থানে তিনি বলেন,
فإنْ تَابُوْا وَأَقَامُوا الصَّلاَةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّيْنِ
অর্থাৎ, তারপর তারা যদি তওবা করে নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয় তবে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। (নচেৎ নয়।) (কুরআন মাজীদ ৯/১১)
অন্যত্র বলেন,
مُنِيْبِيْنَ إِلَيْهِ وَاتَّقُوْهُ وَأَقِيْمُوا الصَّلاَةَ وَلاَ تَكُوْنُوْا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ
অর্থাৎ, বিশুদ্ধচিত্তে তাঁর অভিমুখী হও; তাঁকে ভয় কর, যথাযথভাবে নামায পড়, আর মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হ্য়ো না। (কুরআন মাজীদ ৩০/৩১)
কুরআন মাজীদে নামাযকে মহান আল্লাহ ‘ঈমান’ বলে আখ্যায়ন করেছেন, তিনি বলেন,
وَمَا كَانَ اللّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ: (১৪৩) سورة البقرة
অর্থাৎ, আল্লাহ তোমাদের (কা’বার দিক ছাড়া বায়তুল মাকদেসের দিকে মুখ করে আদায়কৃত পূর্বের) ঈমান (নামায)কে বরবাদ করবেন না। (কুরআন মাজীদ ২/১৪৩)
নামায মু’মিনের ঈমান ও মুসলিমের ইসলামের নিদর্শন। মহানবী (সাঃ) বলেন, “ইসলাম ও শির্ক এবং কুফরের মাঝে পার্থক্য নির্বাচনকারী হল এই নামায।” (মুসলিম, সহীহ ৮২নং, মিশকাত ৫৬৯নং)
কোন আমল ত্যাগ করার ফলে কেউকাফে র হয়ে যায় না। কিন্তু সাহাবাগণ নামায ত্যাগ করাকে কুফরী মনে করতেন। (তিরমিযী, সুনান, মিশকাত ৫৭৯নং)
হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি নামায ত্যাগ করে তার দ্বীনই নেই।” (ইবনে আবী শাইবাই, ত্বাবারানীর কাবীর, সহীহ তারগীব ৫৭১নং)
হযরত আবূ দারদা (রাঃ) বলেন, “যার নামায নেই তার ঈমানই নেই।” (ইবনে আব্দুল বার, প্রমুখ, সহীহ তারগীব ৫৭২নং)
প্রিয় নবী (সাঃ) আরো বলেন, “আমাদের ও ওদের (কাফেরদের) মাঝে চুক্তিই হল নামায। সুতরাং যে ব্যক্তি তা ত্যাগ করবে, সে কাফের হয়ে যাবে (বা কুফরী করবে।) (তিরমিযী, সুনান ২৬২১, ইবনে মাজাহ্, সুনান ১০৭৯ নং)
তিনি আরো বলেন, “পাঁচ ওয়াক্ত নামায আল্লাহ বান্দাগণের উপর ফরয করেছেন। সুতরাং যে ব্যক্তি তা যথার্থরুপে আদায় করবে এবং তাতে গুরুত্ব দিয়ে তার কিছুও বিনষ্ট করবে না, সেই ব্যক্তির জন্য আল্লাহর এই প্রতিশ্রুতি আছে যে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আর যে ব্যক্তি তা আদায় করবে না, সে ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কোন প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে শাস্তি দেবেন, নচেৎ ইচ্ছা হলে জান্নাতেও দিতে পারেন।” (মালেক, মুঅত্তা, আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে হিব্বান, সহীহ, সহিহ তারগিব ৩৬৩ নং)
পূর্বোক্ত আয়াত ওহাদীসের ভিত্তিতে বড় বড় বহু উলামাগণ বলেছেন যে, বেনামাযী কাফের। কোন মুসলিম (নামাযী) নারীর সাথে তার বিবাহ্ হতে পারে না, তার যবাইকৃত পশুর গোশতহালাল হয় না, সে মারা গেলে তার জানাযা পড়া হবে না, মুসলিম (নামাযী) ছেলেরা তার ওয়ারিস হবে না বা সেও নামাযী বাপের ওয়ারিস হবে না এবং তাকে মুসলিমদের কবরস্থানে দাফন করা হবে না --- ইত্যাদি।
অবশ্য শেষোক্তহাদীস এবং অনুরুপ অন্যান্যহাদীসের ভিত্তিতে অন্যান্য আলেমগণ বলেন যে, ‘বেনামাযী কাফের নয়, তবে নামায ত্যাগ করা কাফেরের কাজ বটে।’ (ইবনে বায, ইবনে উসাইমীন ও আলবানীর ফতোয়া দ্রষ্টব্য)
যাইবা হোক উক্ত আয়াত ওহাদীসসমূহে নামাযের বিরাট গুরুত্ব স্পষ্ট। নামায হল দ্বীনের খুঁটি। (তিরমিযী, সুনান ২১১০, ইবনে মাজাহ্, সুনান ৩৯৭৩ নং) দ্বীনের পাঁচটি বুনিয়াদের মধ্যে এটাই হল দ্বিতীয় বুনিয়াদ। (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৪নং) তাই তো প্রিয় নবী (সাঃ) জীবনের শেষ মুহূর্তে মরণ-শয্যায় শায়িত অবস্থাতেও নামাযের জন্য ব্যতিব্যস্ত ছিলেন। ইন্তেকালের পূর্বে শেষ উপদেশে তিনি নামাযের গুরুত্ব সম্বন্ধে উম্মতকে সচেতন করে গেলেন। বললেন, “নামায! নামায! আর ক্রীতদাস-দাসী (এর ব্যাপারে তোমরা সতর্ক থেকো।) (জামে ৩৮৭৩ নং)
সাবালক হলেই মুসলিমের উপর নামায ফরয হয়। তবুও অভ্যস্ত করার উদ্দেশ্যেই আল্লাহর নবী (সাঃ) বলেন, “তোমরা তোমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে তাদের বয়স ৭ বছর হলেই নামাযের আদেশ দাও। ১০ বছর বয়সে নামাযে অভ্যাসী না হলে তাদেরকে প্রহার কর। আর তাদের প্রত্যেকের বিছানা পৃথক করে দাও।” (আবূদাঊদ, সুনান, মিশকাত ৫৭২নং)
সব ওয়াক্তের নামায নয়, কেবলমাত্র এক ওয়াক্তের আসরের নামায ছুটে গেলে বা না পড়া হলে তার ক্ষতির পরিমাণ বুঝাতে প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি আসরের নামায ত্যাগ করে, সে ব্যক্তির আমল পন্ড হয়ে যায়।” (বুখারী ৫৫৩, নাসাঈ)
তিনি আরো বলেন, “যে ব্যক্তির আসরের নামায ছুটে গেল, তার যেন পরিবার ও ধন-মাল লুণ্ঠন হয়ে গেল।” (মালেক, বুখারী ৫৫২, মুসলিম ৬২৬ নং প্রমুখ)
মহান আল্লাহ বলেন,
فخلفَ مِنْ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوا الصَّلاَةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا
অর্থাৎ, ওদের পর এল এমন (অপদার্থ) পরবর্তীদল; যারা নামায নষ্ট করল ও কুপ্রবৃত্তি-পরবশ হল। সুতরাং ওরা অচিরেই কঠিন শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। (কুরআন মাজীদ ১৯/৫৯)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
(فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّيْنَ، الَّذِيْنَ هُمْ عَنْ صَلاَتِهِمْ سَاهُوْنَ، الَّذِيْنَ هُمْ يُرَاؤُوْنَ)
অর্থাৎ, সুতরাং দুর্ভোগ সেই সকল নামাযীদের, যারা তাদের নামায সম্বন্ধে উদাসীন। যারা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে নামায পড়ে। (কুরআন মাজীদ ১০৭/৪-৬) বলা বাহুল্য, নামাযী হয়েও নামাযে গাফলতি করার কারণে যদি দোযখের দুর্ভোগ ভোগ করতে হয়, তাহলে বেনামাযী হয়ে কত বড় দুর্ভোগ ভোগ করতে হবে তা অনুমেয়।
মরণের পরপারে মধ্যজগতে নামাযে উদাসীন ও শৈথিল্যকারী ব্যক্তির মাথায় কিয়ামত অবধি পাথর ঠুকে ঠুকে মারা হবে। (বুখারী ১১৪৩নং)
নামায আল্লাহ ও বান্দার মাঝে সম্পর্কের এক সেতুবন্ধ। “কিয়ামতের দিন বান্দার নিকট থেকে সর্বাগ্রে যে আমলের হিসাব নেওয়া হবে তা হল নামায। সুতরাং তা সঠিক হয়ে থাকলে তার অন্যান্য আমলও সঠিক বলে বিবেচিত হবে। নচেৎ অন্যান্য সকল আমল নিষ্ফল ও ব্যর্থ হবে।” (ত্বাবারানী, মু’জাম, সহিহ তারগিব ৩৬৯নং)
নামায এত গুরুত্বপূর্ণ যে, তার শর্তাবলী বর্তমান থাকা কালে তা (নাবালক শিশু, পাগল ও ঋতুমতী মহিলা ছাড়া) কারো জন্য কোন অবস্থাতেই মাফ নয়। এমন কি যুদ্ধের ময়দানে প্রাণহ্ন্তা রক্ত-পিপাসু শত্রুদলের সামনেও নয়! (কুরআন মাজীদ ৪/১০২) অসুস্থ অবস্থায় খাড়া হয়ে না পারলে বসে, বসে না পারলে কাৎ হয়ে শুয়েও নামায পড়তেই হবে। (বুখারী, মিশকাত ১২৪৮ নং) ইশারা-ইঙ্গিতে রুকু-সিজদা না করতে পারলে মনে মনে নিয়তেও নামায পড়তে হবে। চেষ্টা সত্ত্বেও পবিত্র থাকতে অক্ষম হলেও ঐ অবস্থাতেই নামায ফরয। (ইবনে উসাইমীন, কাইফা য়্যাতাত্বাহ্হারুল মারীযু অয়্যুসাল্লী দ্রষ্টব্য)
বাঘের হাতে জিম্মি করবেন না' !!
______ অধ্যাপক গোলাম আযম (রহ.)
কবি নজরুল একদিন কথার প্রসঙ্গে
বলেছিলেন 'খোদার বক্ষে লাথি
মার' এই কথা বলার পর পুরো
কুমিল্লা উত্তাল হয়ে গেল!
মাওলানারা তাকে কাফের ঘোষনা
দিলেন এবং বললেন যে মানুষ
খোদার বুকে লাথি মারতে পারে
সেই বেয়াদবের জায়গা এই দেশে
হবেনা।কবিকে বলা হলো এর জবাব
দিতে হবে!
কবি বললেন, ঠিক আছে আমি জবাব
দিবো।আপনারা একটি সমাবেশের
আয়োজন করেন।সমাবেশের
আয়োজন করা হল।হাজার হাজার
মানুষ উপস্থিত হল।কবি আসলেন,
সবাই কবিকে বেইজ্জত করার
প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেন।কবি মঞ্চে
উঠে শুধু দুইটি কথা বললেনঃ খোদা
নিরাকার! তাঁর বুকে কি লাথি
মারা সম্ভব? যে খোদার বুক আছে
সেই খোদার বুকে লাথি মারতে
বলেছি।কবি এ কথার দ্বারা দেব
দেবীকে বুঝিয়েছেন! দুধ বিক্রি
করে চা খাওয়া জনগণ আর বেটকায়
বেটকায় নুরাণী জর্দা দিয়ে পান
খাওয়া মাওলানাদের বুঝ হয়ে গেল।
না বুঝে চিল্লাইয়া, এক কাপ
চায়ের বিনিময়ে বিক্রি হয়
একমাত্র হুজুগে বাঙ্গালীরা!
স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতে
ইসলামী যুদ্ধ করেনি।অস্ত্র হাতে
নেয়নি।এই কারনে শুরু হয়ে গেল
রাজাকার উপাধি! আজ ৪৫ বছরেও
কেউ জানতে চায়নি জামায়াতের
বক্তব্যটি আসলে কী ছিল? কেউ
জানতে চায়নি জামায়াতে
ইসলামী কেন সেদিন অস্ত্র হাতে
নেয়নি? জামায়াতে ইসলামী
স্বাধীনতা বিরোধী ছিলোনা।
যুদ্ধের কৌশলের বিরোধী ছিল!
মরহুম গোলাম আজম সাহেব শেখ
মুজিবকে বলেছিলেন, পূর্ব আর
পশ্চিম পাকিস্তান ভৌগলিক
সীমারেখার যে পার্থক্য, এইভাবে
কোন দেশ চলতে পারেনা।আমরা
আজ না হয় কাল স্বাধীন হবোই হব।
দয়া করে আপনি গান্ধীর ফাঁদে পা
দিবেন না।শিয়ালের হাত থেকে
আমাদের বাঘের হাতে জিম্মি
করবেন না।কারণ শিয়াল হাটুর
নীচে কামড়ায় আর বাঘ মানুষের
কলিজা খায়!
শেখ মুজিব গোলাম আজম সাহেবকে
আস্বস্ত করলেন যে, আপনি কোন
চিন্তা করবেন না।শেখ সাহেব ৭ই
মার্চ ভাষণের একদিন আগেও
স্বাধীনতার ঘোষণার বিরুদ্ধে
ছিলেন।কিন্তু কিছু বাংলাদেশী
গান্ধীর ভাড়াটে দালাল শেখ
সাহেবকে জোর করে স্বাধীনতা
ঘোষণা করালো। যদিও শেখ
সাহেবের গোটা ভাষনে স্বাধীনতা
ঘোষনার পক্ষে স্পষ্ট কোনো
বক্তব্য নেই! এই অগোছালো
সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের কোন
আলেম সমাজ মেনে নেয়নি।
জামায়াতে ইসলামীও তাদের
একটি অংশ।
সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে
এক কোটি মানুষও এই স্বাধীনতা
চায়নি।আপনি আপনার এলাকায়
যাচাই করুন কয়জন মুক্তিযোদ্ধা
আছে? যুদ্ধ বেজে গেল,
পাকিস্তানিরা ভারতের উপর
ক্ষেপে গিয়ে পাইকারী ভাবে
হিন্দুদের হত্যা করা শুরু করে।ভারত
সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে।
দেখা গেল উভয় পক্ষে মুসলমান
মরতেছে, মজা মারতেছে ভারত।এরই
মধ্যে ভারত আবার পাকিস্তান
বাহিনীর প্রধান নিয়াজীকে যুদ্ধ
বিরতির প্রস্তাব দিল।নিয়াজী
মেনে নিল।যুদ্ধ বিরতি হয়ে গেল ৯৩
হাজার সৈন্যের পরাজয়।এগুলো
সবার জানা বিষয়।কিন্তু এই বাস্তব
ইতিহাস আজ বিলুপ্ত।এই ইতিহাস
আজ হাস্যকর।এই অপরাধে আজ
জামায়াতের উপর এত নির্যাতন,
তারা ফাঁসির মঞ্চে!
কবি নজরুলের কথার মত
বাঙ্গালিরা কিছুদিন পর বুঝতে শুরু
করে জামায়াতে ইসলামীর ভাষা।
স্বাধীনতার পর যখন ভারতীয়
সৈন্যদল বাংলাদেশের সব জিনিষ
লুট করে নিয়ে যাচ্ছে তখন সেক্টর
কমান্ডার মেজর জলিল অস্ত্র
উচিয়ে বলেছিলেনঃ আমাদের
আরো একটি মুক্তিযুদ্ধের দরকার।
স্বাধীনতার পর শুরু হল ভারতের
যুদ্ধের বিনিময়।নয় মাস আগে শেখ
সাহেবের সাথে কথা বলতে
গান্ধীর বুক কাঁপতো।সেই গান্ধী
শেখ সাহেবকে ২৫ বছরের গোলামী
চুক্তি করালো।এখনো জাতি
জানেনা, এই গোলামী চুক্তিতে
আসলে কী লিখা ছিল?
সেখানে ছিল শেখ সাহেবকে
গান্ধী বললোঃ 'ফারাক্কা বাঁধটি
একটু খুলে দাও' শুধু পানির কিউসেক
পরীক্ষা করার জন্য।৭ দিন পর
আবার বন্ধ করে ফেলবো।কিন্তু আজ
৪৫ বছরে হয়ে গেলো, এখনও সেই
৭দিন শেষ হলো না! হঠাৎ আমরা
হয়ে গেলাম এক হিন্দু রাজার
গোলাম।এই গোলামীর বোঝা বহন
করে’ এখনও চলছি।এখন একজন
'বঙ্গবীর'খেতাব প্রাপ্ত কাদের
সিদ্দিকী যখন বলেঃ স্বাধীনতা
যুদ্ধ করে ভুল করেছি।জামায়াত
যেটা ৪৫ বছর পূর্বে বুঝেছিল, সেটা
আমরা আজ বুঝতেছি।অনেক
মুক্তিযুদ্ধা যখন বলেনঃ যদি এমন
জানতাম স্বাধীনতা যুদ্ধ করতাম
না।তাহলে এখন প্রমাণিত হলো ৭১
সালে জামায়াতে ইসলামীর
সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল!আজ ন্যায্য
মুল্যে কিনা স্বাধীনতা
‘বিনামুল্যে’ ভোগ করছে ভারত!
যে বাঙ্গালীরা যেমন চিন্তা
না করে কবি নজরুলকে কাফের
ডাকলো, সেই বাঙ্গালীরাই না
বুঝে জামায়াতে ইসলামীকে
রাজাকার ডাকা শুরু করলো এবং
তাদের সাথে যোগ দিলো কিছু
ফতোয়াবাজরাও।এমন একদিন
আসবে যেদিন
নিজের ভুল বুঝে মরহুম গোলাম
আযমের কবর ধরে মাফ চাইবে!!
#ইনশাআল্লাহ্
---সহীহ হাদিসে কুদসী হা: নং -৩০
মন্তব্য করতে লগইন করুন