হেফাজত সামনের দরজায় যা দেখেছে, তা কিন্তু আসল নয়, আসল হলো পিছনের দরজাদিয়ে যা হচ্ছে তা ইসলামী আন্দোলন বা বিরোধী দলের আন্দোলন কোনক্রমেই যাতে বেগবান হতে না পারে

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১৫ এপ্রিল, ২০১৭, ০৪:১৫:৫৩ বিকাল

আমাদের অনেক ঈমানদার ভায়েরা মনে করছেন হুদাইবিয়ার সন্ধি হয়েছে হেফাজতে ইসলামীর সাথে বর্তমান সরকারের কি আবেগ কি ঈমানি জযবা আমাদের ঈমানদারদের।

ঈমানি জযবা থাকা নিশ্চই ভালো কিন্তু বিবেকহীন ঈমানি জযবা দিয়ে না জাতির কল্যান হবে না ইসলামের কল্যান। এটুকু যারা বুঝেনা তাদের ঈমানেরও কোন মূল্য নেই।

যখন হেফাজতে ইসলাম ঘোষনা করা হলো! তখন অনেক বন্ধুরা ফোনে বলেছিল দেখো! এবার কিছু একটা নিশ্চয়ই হবে। আমি তাদেরকে বলে ছিলাম দেখ ভাইয়েরা এতে আনন্দিত হওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ যদি বেড়ায় ধান খায়! তখন ফসলের আশা করা যায় না আর সরিষার মধ্যেই যদি ভূত থাকে,তাহলে ভূত তাড়াবে কি করে.. ?

যখন শাপলা চত্তরের ঘটনা এবং প্রাণহানি ঘটলো। হায়! এ কি হলো.. ? আমি তখন বলেছিলাম ইহাই হলো,বেড়ায় ধান খাওয়া আর সরিষার মাঝে ভূত থাকা।এটিও একটি সুপরিকল্পিত ঘটনা বটে..!

বলেছিলাম হেফাজতে ইসলামীর সামনের দরজায় যা দেখেছো, তা কিন্তু আসল নয়, আসল হলো পিছনের দরজাদিয়ে যা হচ্ছে তা। যাতে করে ইসলামী আন্দোলন বা বিরোধী দলের আন্দোলন কোনক্রমেই যেন বেগবান না হতে পারে সে উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সরকারের ছত্রছায়ায় এমন ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে !

যাতে ভবিষ্যৎ -এ গ্রামাঞ্চলের সহজ সরল ধর্মপ্রাণ মানুষগুলো আর কখনো আন্দোলনের নামে শহরমূখী না হতে পারে..!

সব সম্ভবের দেশ এই বাংলাদেশ অবশেষে তেঁতুল হয়ে গেল ফুলের ফুলের মিষ্টি শাপলাতে ওরা রংমেখে শুয়েছিল..! সংসদে সেই অমূল্য বাণী সত্য করে নিলো হেফাজতের মুরব্বিরা তথা আমাদের শ্রদ্ধেয় হুজুর মুরুব্বি গনরা।

সাব্বাস! বর্তমান দেশের অ-বৈধ প্রধানমন্ত্রীকে। উনার রাজনীতির কাছে আজ সকলেই ধরাসায়ী। শাপলা চত্বরের বার্ষিকীকে সামনে রেখে কওমী সনদের সরকারী স্বীকৃতি প্রদান করে, কওমী পন্থী আলেম ওলামাদের কাছে টানলেন মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী। এটা অবশ্যই আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক বিচক্ষণতা।

এখন থেকে কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররাও বলতে পারবে আমি মাষ্টার্সে পড়ি। দুর্ভাগ্য ঐ সব ভাইদের জন্য যারা শাপলা চত্বরের গণহত্যার শিকার হয়ে, দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে, তারা দেখে যেতে পারলেননা এমন অপুর্ব মিলন মেলা।

তারা পেলনা তাদের সনদের সরকারী স্বীকৃতি। তাদেরকে মরণোত্তর স্বীকৃতি প্রদান করা হোক তাদের সনদের। তাদের বাবা মা কে যথাযথ সম্মানের সাথে ভাতা প্রদান করা হোক। নতুবা তাদের আত্না অনেককেই অভিশাপ দিতে পারেন।

আফসোস হেফাজত কর্মীর হত্যাকারীদের সাথে বানিজ্যও শুরু হয়ে গেছে লেনাদেনা পাক্কা..!

শাপলা চত্বরের আমাদের ভাইদের রক্তকে কবুল কর মাবুদ,শহীদদের সর্বোচ্চ মর্যাদা বৃদ্ধি করে তাদের কে জান্নাত দান করুন আমীন, বে-ঈমান দারদের হাত থেকে হে আল্লাহ এই দেশের সাধারণ মুসলমানদের হেফাজত করুন আমীন

বিষয়: বিবিধ

১৬৪২ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

382702
১৫ এপ্রিল ২০১৭ বিকাল ০৪:২৯
হতভাগা লিখেছেন : ৪ বছর আগে হেফাজতদের যে চরম প্যাদানী দিয়েছিলেন হাসুবু সেটা কি শফি সাহেব ভুলে গেলেন ?

ভুলে গিয়ে থাকলে আরেকটা প্যাদানী সামনে আসতে পারে।
১৫ এপ্রিল ২০১৭ বিকাল ০৪:৩৮
316208
কুয়েত থেকে লিখেছেন : দোয়া করুন যাতে সামনে আর প্যাদানী না আসে কারন অসোহায় নিরিহ আবেগীরাই ক্ষতি গ্রস্থ হয় ওনারাতো তা বুঝেননা। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
382706
১৫ এপ্রিল ২০১৭ সন্ধ্যা ০৬:২২
চেতনাবিলাস লিখেছেন : বে-ঈমান দারদের হাত থেকে হে আল্লাহ এই দেশের সাধারণ মুসলমানদের হেফাজত করুন আমীন
১৫ এপ্রিল ২০১৭ রাত ১১:০৮
316211
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
382708
১৬ এপ্রিল ২০১৭ রাত ০১:১৫
কাব্যগাথা লিখেছেন : ঠিক বলেছেন বিলকুল,
ভুল নেই একচুল!
যথার্থ আপনার বিশ্লেষণ,
থাকলো আমার সমর্থন|
১৬ এপ্রিল ২০১৭ দুপুর ০১:৪২
316214
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সমর্থনের জন্য
382712
১৬ এপ্রিল ২০১৭ রাত ০৮:২২
আবু আশফাক লিখেছেন : রং মেখে ঢং সেজে শুয়েছিল রাস্তায়
জনতার বাহবা পেয়েছিল সস্তায়।

কথা মোর মিছে নয় দেখ নারে আসিয়া
কেমনেতো পাশে পাশে আছে তারা বসিয়া।

খুন আর রক্তের ধারা যারা বলেছো
মিথ্যা যে ছিল তা প্রমাণ পেয়েছো?

ইসলাম বান্ধব আর নয় কোনো দল
আছি শুধু আমরাই বলো না যে এটা ছল!

তেঁতুলের কথা যদি বলে যাও আবারও
পাশে ছিল সেদিনও সাথে ছিল খাবারও।

কই তবে দেখিনি তো লালা ঝরে পড়তে
নাকি বলো গিলেছিল স্বার্থটা গড়তে?
382723
১৭ এপ্রিল ২০১৭ বিকাল ০৪:৫০
কুয়েত থেকে লিখেছেন : খুন আর রক্তের ধারা যারাই করিয়ে ছিল
মিথ্যা যে ছিল না তা প্রমাণ পেয়েছো?আপনাকে ধন্যবাদ
382891
০৪ মে ২০১৭ বিকাল ০৫:৪৮
কুয়েত থেকে লিখেছেন : সব্জি বিক্রেতার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,
ক্রেতা: আপেলের কেজি কত?
বিক্রেতা: ১০ রিয়াল।
ক্রেতা: কলা?
বিক্রেতা: ৮ রিয়াল
ক্রেতা: কমলা?
বিক্রেতা: ৬ রিয়াল।
ক্রেতা-বিক্রেতা দামাদামী চলছে এমন সময় জনৈক বয়স্ক মহিলা দোকানে ঢুকেই জিজ্ঞেস করল,
মহিলা: আপেলের কেজি কত?
বিক্রেতা: ৩ রিয়াল।
মহিলা: কলা?
বিক্রেতা: ২ রিয়াল
মহিলা: কমলা?
বিক্রেতা: ২ রিয়াল।
মহিলাটি বলল, এগুলো ১ কেজি করে আমাকে দিন।
ওদিকে পুরুষ ক্রেতাটি তো হতবাক। চোখ রাঙিয়ে দোকানদারকে কিছু বলতে যাবে, এমন সময় সে চোখের ইশারা দিয়ে বলল, একটু অপেক্ষা করুন।
মহিলাটি দাম চুকিয়ে দোকান থেকে বিদায় নেয়ার পর দোকানদার বলল,
ভাই! আমার উপর খারাপ ধারণা করবেন না। আমাকে অস‍‌ৎ ও ধোকাবাজ মনে করবেন না। আল্লাহর কসম আমি আপনাকে প্রতারণা করতে চাইনি।
এই মহিলাটি কয়েকজন 'ইয়াতীম' বাচ্চার মাতা। আমি জানি তারা অভাবী পরিবার। ঐ ইয়াতীমগুলোর জন্য আমি মহিলাটিকে বিভিন্নভাবে সহায়তার কথা বলেছি। কিন্তু মহিলাটি তা প্রত্যাখ্যান করেছে। সে চায় তার সন্তানরা যেন কারো গলগ্রহ না হয়। কারো কাছে হাত বাড়াতে না হয়।
তাই তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য অনেক ভেবে-চিন্তে আমি এই পন্থা অবলম্বন করেছি। যেন বুঝতে পারে যে, সে কারো মুখাপেক্ষী নয়।
এর মাধ্যমে আমি আমার রবের সাথে ব্যবসা করতে চেয়েছি। সামান্য কিছু হলেও এই অভাবী মহিলা এবং তার ইয়াতীমগুলোর খেদমত করতে চেয়েছি। আমার আমল নামায় কিছু ছোয়াব যেন আল্লাহ লিখে দেন।
আল্লাহর কসম, সপ্তাহে সে মাত্র ১বার আসে। আর যেদিন সে আমার নিকট থেকে ক্রয় করে নিয়ে যায়... সেদিন আমার প্রচুর ব্যবসা হয়। অনেক লাভবান হই। কিভাবে যে আমার কাছে রিযিক আসে আমি অনুভব করতে পারি না।
ঘটনা শুনে পুরুষ ক্রেতাটির চক্ষু দুটি অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠল। দোকানদারের মাথায় চুম্বন করে বলল, আল্লাহ তোমাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File