তারা আদর্শীক লড়াই এ পূর্ন বিজয়ী। তাদের হারাবার কিছুই নেই । কারন ইসলামী ব্যাংকিং এখন শুধু বাস্তব পৃতিবীে দেশে বিদেশে একটা সফল ইসলামী ব্যাংকিং এর নাম
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৫:৫৮:৫৯ বিকাল
এ রকম যে হবে তা আগে থেকেই দেখা যাচ্ছিল । এখন ষোলকলায় পূর্ন হল মাত্র তবুও বিষ্যয় ও বেদনার । কয়েক দিন ধরে খবর গুলি পড়ছিলাম । প্রথম আলো বিস্তারিত লিখেছে ।
সবচেয়ে বড় বিষয় হল ইসলামী ব্যাংককে জামায়াতের প্রভাব মুক্ত করা হয়েছে। সরকারের ইঙ্গিতেই সব কিছু হয়েছে বলে পত্রিকাটি লিখেছে। নব নিযুক্ত ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জে:মতিন বলেছেন যে, ব্যাংকের কর্মকর্তারা সব জামায়াতের।
কাজেই নিয়োগ পলিসী পরিবর্তন করা হবে। ১১-১২ তাং সম্মেলন এ সম্পর্কে নির্দেশশনা দেয়া হবে।
ব্যাংকটি এ বছরও দশ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করেছে। মাত্র গতমাসেই ব্যাংকের সদ্য বিদায়ী এম ডি লন্ডন থেকে ব্যাংকের জন্য পুরস্কার নিয়ে ফিরলেন।
সব কিছুই রিপোর্টে লেখা হয়েছে। কি দোষে ব্যাংকটি দখল তা কিন্তু বলা হয় নাই। যাদের প্রভাব মুক্ত করা হল তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই আওয়ামী লীগের জন্য দখলের ইতিহাস নূতন নয়। কিন্ত পরিনতি সুখকর নয়।
একটা প্রতিষ্ঠান ও তারা চালাতে পারে নাই। সবাই চাকুরী হারিয়েছে । অবশেষে তা পরিত্যাক্ত হয়েছে। সরকারি নিলামে পানির দামে জায়াগার মালিক হয়েছে দলের লোকেরা। ইতিমধ্যেই মন্তব্য পাওয়া গিয়েছে অর্থনীতিবিদের ।
তাদের মতে অতিতে যেসব ব্যাংক দখল করা হয়েছে তার একটাও ভাল চলছেনা। গ্রামীণ ব্যাংক তার শেষ উদাহরণ । আসলে জামায়াত ব্যাংকের জন্য কি করেছিল। জামাতের কাজ ছিল ইসলামী ব্যাংকিংয়ের চিন্তা দেয়া ।
দেশি বিদেশী যোগাযোগ এ সাহায্য করা । উদ্দেশ্যে একটাই দেশে ইসলামী ব্যাংকিং পতিষ্ঠা করা । আজ ইসলামী ব্যাংকিং একটা বাস্তবতা। এটা প্রমানিত হয়েছে যে ইসলামী ব্যাংকিং হলো সব চেয়ে সফল ব্যাংকিং।
এ ব্যাংকিং জনগনের কাছে সবচেয়ে বেশী গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে।আসলে ইসলামী ব্যাংকেই বলা যায় জনগনের ব্যাংক। যার ফলে দেশে এখন অনেক গুলি ইসলামী ব্যাংক।যারা সব সময় বলেন যে ইসলামী ব্যাংকিং আবার কি জিনিস তাদের এ সব সহ্য হবে না এটাই স্বাভাবিক ।
শূধূ তাই নয় ইসলামী ব্যাংকের সহযোগীতায় নাইজেরীয়ায় জায়েজ ব্যাংক নামে একটি ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।কিন্তু আলোকিত ভোর হোক এটা পেঁচা কোন দিনও তা চায় না, তবুও ভোরের আলোকিত সূর্য উদয় হবেই হবে।
এ দখল পদক্ষেপের ফলাফল কি হতে পারে সপ্নসররা তাদের শেয়ার বিক্রি করে ফেলবেন । ইতোমধ্যেই বিদায়ী চেয়ারম্যান ও একজন সপ্নসর তার শেয়ার বিক্রী করেছেন। ইতিপুর্বে কয়েকজন বিদেশী সপ্নসর তাদের শেয়ার বিক্রি করেছেন।
বাকীরা হয়ত এমনই ভাববেন । আই ডি বি সহ বিদেশী ফাইনেনস হাউজ গুলি কি বার্তা পাবে ভেবে দেখতে হবে। আমারা যখন বিদেশী বিনিয়োগ চাচ্ছি তখন এ সব আচরনের সূদুর পসারি ফলাফল কি হবে তা ভেবে দেখা দরকার।
যারা খুব খুশী হয়েছেন তাদের ভাবতে হবে এটা শূধু জামায়াতের বিষয় নয়। বিদেশী print and electronic media এ সব নিয়ে আলোচনা হবে। কর্মকর্তারা তাদের চাকুরী হারাবেন । যারা থাকবেন তারা প্রমোশন পাবেন না। নিজেদের গূরূত্বই হারাবেন।
যখন সপ্নসররা তাদের শেয়ার বিক্রী করে ফেলেন তখন সাধারন আমানতদাররাও টাকা তুলে ফেলতে পারেন। কারন বিশ্বাস যাদের উপর তাঁরাই যখন নাই তখন টাকা রাখার যুক্তি কোথায়। টাকা তোলার হিরিক পড়তে পারে ।
শেয়ার বাজারের প্রতিকীয়া কি হয় তাও দেখতে হবে ব্যাংক ফাউন্ডেশন ইসলামী ব্যাংক একমাত্র ব্যাংক খুব কম টাকায় চিকিৎসা চালু করেছেন। এর হাসপাতালে রুগীর ভিড় দেখলে তা সহজে বুঝা যায়।
সুদমুক্ত ঋন আরো একটি বিরাট আবদান। সামনের দিনে এ সব কিছু কোন দিকে যায় তা দেখতে আমাদের আরো কিছু অপেক্ষা করতে হবে ব্যাংকের প্রাক্তন পরিচালকদের হারাবার কিছুই নাই । তারা উদাহরণ হয়ে থাকবেন তাদের সততা ও দক্ষতার জন্য ।
কমকর্তা ও কর্মচারীরা একইভাবে তাদের সততা ও দক্ষতা আন্তরিকতার জন্য স্বরনীয় থাকবেন জামায়াত তার আদর্শীক লড়াই এ পূর্ন বিজয়ী। তাদের হারাবার কিছু নেই। কারন ইসলামী ব্যাংকিং এখন শুধু বাস্তব নয়। দেশে বিদেশে একটা সফল ব্যাংকিং এর নামও। পরিশেষে বলবো আজ হোক আর কাল হোক এ নিয়ে বহু আলোচনা সমালোচনা অবশ্যই হবে। আমরা সে দিনের অপেক্ষায় রইলাম।
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন