সুফীদের বিশ্বাস হচ্ছে আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে সুফী সাধকের হৃদয়ের পর্দা উঠে যায় এবং সৃষ্টি জগতের সকল রহস্য উন্মুক্ত হয়ে যায়
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ০৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৪:৫৬:২৪ বিকাল
শরীয়ত ও অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে সুফীবাদের মূলনীতি
সকল মাজহাবের লোকগণ ইসলামের মূলনীতি হিসেবে কুরআন ও সুন্নাহকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়ে থাকেন। কিন্তু সুফীবাদের মূলনীতি সম্পর্কে যতদূর
জানা যায়, তাদের মূলনীতির ব্যাপারে যথেষ্ট
গড়মিল রয়েছে।
কতিপয় সুফীবাদে কুরআন ও হাদীছকে বাদ দিয়ে নিম্নে মূলনীতিগুলোর উপর তারা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে থাকেন।আবার কতিপয় সুফী তরীকার লোকেরা কুরআন ও হাদীছের সাথে আরও অনেকগুলো কাল্পনিক মূলনীতি থেকে তথাকথিত আত্মশুদ্ধির জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা গ্রহণ করে থাকে। আসুন আমরা তাদের এ মূলনীতিটি একটু বিস্তারিত আলোচনা করি।
১) কাশ্ফ বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও আধ্যাত্মিক উন্নতির
জন্য সুফীগণের সবচেয়ে অধিক নির্ভরযোগ্য মূলনীতি হচ্ছে কাশফ। সুফীদের বিশ্বাস হচ্ছে আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে একজন সুফী সাধকের হৃদয়ের পর্দা উঠে যায় এবং তাদের সামনে সৃষ্টি জগতের সকল রহস্য উন্মুক্ত হয়ে যায়। তাদের পরিভাষায় একেই বলা হয় কাশফ।
ﻭﻗﺪ ﻋﺮﻑ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺘﺼﻮﻑ ﺍﻟﻜﺸﻒ ﺑﺄﻧﻪ : ﺍﻹﻃﻼﻉ ﻋﻠﻰ ﻣﺎ ﻭﺭﺍﺀ
ﺍﻟﺤﺠﺎﺏ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻌﺎﻧﻲ ﺍﻟﻐﻴﺒﻴﺔ ﻭﺍﻷﻣﻮﺭ ﺍﻟﺤﻘﻴﻘﻴﺔ ﻭﺟﻮﺩﺍً ﻭﺷﻬﻮﺩﺍً
সুফীগণ কাশফের সংজ্ঞায় বলেছেন, যে পর্দার
আড়ালে যে সমস্ত গায়েবী তথ্য ও প্রকৃত বিষয়সমূহ
লুকায়িত আছে তা পাওয়া ও দেখার নামই হচ্ছে
কাশফ।
কাশফ হাসিল হয়ে গেলে আল্লাহ এবং সুফী সাধকের মাঝে কোন অন্তরায় থাকে না। তখন তারা জান্নাত, জাহান্নাম, সাত আসমান,আল্লাহর আরশ, লাওহে মাহফুজ পর্যন্ত ঘুরে আসতে পারেন। তারা গায়েবের সকল খবর, মানুষের
অন্তরের অবস্থা এবং সাত আসমানে I জমিনে যা
আছে তার সবই জানতে পারেন। এমন কি তাদের
অবগতি ব্যতীত গাছের একটি পাতাও ঝড়েনা, এক
বিন্দু বৃষ্টিও বর্ষিত হয় না, আসমান-যমীনের কোন
কিছুই তাকে অক্ষম করতে পারে না। এমন কি
লাওহে মাহফুযে যা আছে তাও তারা অবগত হতে
পারেন। এমনি আরও অসংখ্য ক্ষমতা অর্জনের দাবী
করে থাকেন, যা একমাত্র মহান আল্লাহর গুণ।
কাশফের একটি উদাহরণঃ
তাবলীগি নেসাব ফাযায়েলে আমাল নামক বইয়ের
মধ্যে কাশফ-এর একাধিক ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
পাঠকদের জন্য আমরা এখানে মাত্র একটি ঘটনা
উল্লেখ করছি।
শায়খ আবু ইয়াজিদ কুরতুবী (রঃ) বলেনঃ আমি
শুনিয়াছি, যে ব্যক্তি সত্তর হাজার বার লা-ইলাহা
ইল্লাল্লাহ পড়ে সে দোযখের আগুন হইতে নাজাত
পাইয়া যায়। আমি এই খবর শুনিয়া এক নেছাব
অর্থাৎ সত্তর হাজার বার আমার স্ত্রীর জন্য
পড়িলাম এবং কয়েক নেছাব আমার নিজের জন্য
পড়িয়া আখেরাতের সম্বল করিয়া রাখিলাম।
আমাদের নিকট এক যুবক থাকিত। তাহার সম্বন্ধে
প্রসিদ্ধ ছিল যে, তাহার কাশ্ফ হয় এবং জান্নাত-
জাহান্নামও সে দেখিতে পায়। ইহার সত্যতার
ব্যাপারে আমার কিছুটা সন্দেহ ছিল। একবার সেই
যুবক আমাদের সহিত খাওয়া-দাওয়ায় শরীক ছিল।
এমতাবস্থায় হঠাৎ সে চিৎকার দিয়া উঠিল এবং তাহার শ্বাস বন্ধ হইয়া যাওয়ার উপক্রম হইল এবং সে বলিলঃ আমার মা দোযখে জ্বলিতেছে, আমি তাহার অবস্থা দেখিতে পাইয়াছি। কুরতুবী (রহঃ) বলেনঃ আমি তাহার অস্থির অবস্থা লক্ষ্য
করিতেছিলেন। আমার খেয়াল হইল যে, একটি নেছাব তাহার মার জন্য বখশিয়া দেই। যাহা দ্বারা তাহার সত্যতার ব্যাপারেও আমার পরীক্ষা হইয়া যাইবে।অর্থাৎ তাহার কাশ্ফ হওয়ার ব্যাপারটাও পরীক্ষা হইয়া যাইবে। সুতরাং আমার জন্য পড়া সত্তর হাজারের নেছাব সমূহ হইতে একটি নেছাব তাহার মার জন্য বখশিয়া দিলাম। আমি আমার অন্তরে ইহা গোপন রাখিয়াছিলাম।
কিন্তু ঐ যুবক তৎক্ষনাৎ বলতে লাগিল চাচা! আমার মা
দোযখের আগুন হইতে রক্ষা পাইয়া গিয়াছে। কুরতুবী (রহঃ) বলেনঃ এই ঘটনা হইতে আমার দুইটি ফায়দা হইল। (1)সত্তর হাজার বার কালেমা তাইয়্যেবা পড়ার বরকত সম্পর্কে যাহা আমি শুনিয়াছি উহার অভিজ্ঞতা। (2) যুবকটির সত্যতার (তার কাশ্ফ হওয়ার) একীন হইয়া গেল। দেখুনঃ ফাযায়েলে আমাল, ১ম খন্ড, ১৩৫ পৃষ্ঠা, প্রথম প্রকাশ, অক্টোবর-২০০১ ইং। দারুল কিতাব, ৫০ বাংলা বাজার ঢাকা-১১০০ থেকে প্রকাশিত)
এমনি আরও অনেক শির্কী ও বিদআতী কথা ফাযায়েলে আমল বইটিতে রয়েছে, যা সচেতন পাঠক
একটু খেয়াল করে বইটি পড়লে সহজেই ধরতে পারবেন।
প্রিয় পাঠক ভাই ও বন্ধুগণ! জান্নাত ও জাহান্নামের ব্যাপারে আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাতে যতটুকু বলা হয়েছে, তা ব্যতীত অন্য কোন খবর জানার কোন উপায় নেই। কারণ এগুলো গায়েবী বিষয়। আল্লাহ্ তাআলা আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে আমাদেরকে যতটুকু বলেছেন, আমরা শুধু ততটুকুই জানি।
সুতরাং কোন ব্যক্তি যদি এর অতিরিক্ত কিছু দাবী করে, তাহলে সে মিথ্যাবাদী। তা বিশ্বাস করা সুস্পষ্ট শির্ক।
আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
ﻗُﻞْ ﻟَﺎ ﺃَﻣْﻠِﻚُ ﻟِﻨَﻔْﺴِﻲ ﻧَﻔْﻌًﺎ ﻭَﻟَﺎ ﺿَﺮًّﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﺎ ﺷَﺎﺀَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﻟَﻮْ ﻛُﻨْﺖُ ﺃَﻋْﻠَﻢُ
ﺍﻟْﻐَﻴْﺐَ ﻟَﺎﺳْﺘَﻜْﺜَﺮْﺕُ ﻣِﻦَ ﺍﻟْﺨَﻴْﺮِ ﻭَﻣَﺎ ﻣَﺴَّﻨِﻲَ ﺍﻟﺴُّﻮﺀُ ﺇِﻥْ ﺃَﻧَﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﻧَﺬِﻳﺮٌ
ﻭَﺑَﺸِﻴﺮٌ ﻟِﻘَﻮْﻡٍ ﻳُﺆْﻣِﻨُﻮﻥَ
আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ
সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু
যা আল্লাহ্ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা
জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে
নিতে পারতাম। ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও
হতে পারত না। আমি তো শুধু একজন ভীতি প্রদর্শক
ও সু-সংবাদ দাতা ঈমানদারদের জন্য। (সূরা
আরাফঃ ১৮৮)
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
ﻗُﻞْ ﻟَﺎ ﺃَﻗُﻮﻝُ ﻟَﻜُﻢْ ﻋِﻨْﺪِﻱ ﺧَﺰَﺍﺋِﻦُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻋْﻠَﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐَ ﻭَﻟَﺎ ﺃَﻗُﻮﻝُ ﻟَﻜُﻢْ
ﺇِﻧِّﻲ ﻣَﻠَﻚٌ ﺇِﻥْ ﺃَﺗَّﺒِﻊُ ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﺎ ﻳُﻮﺣَﻰ ﺇِﻟَﻲَّ ﻗُﻞْ ﻫَﻞْ ﻳَﺴْﺘَﻮِﻱ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﻰ
ﻭَﺍﻟْﺒَﺼِﻴﺮُ ﺃَﻓَﻠَﺎ ﺗَﺘَﻔَﻜَّﺮُﻭﻥَ
আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে,
আমার কাছে আল্লাহ্র ভাণ্ডার রয়েছে। তাছাড়া
আমি অদৃশ্য বিষয় অবগতও নই।আমি এমনও বলি না
যে, আমি ফেরেশতা। আমি তো শুধু ঐ অহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃঅন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না? (সূরা আনআমঃ ৫০) আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
ﻋَﺎﻟِﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﻈْﻬِﺮُ ﻋَﻠَﻰ ﻏَﻴْﺒِﻪِ ﺃَﺣَﺪًﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﻣَﻦِ ﺍﺭْﺗَﻀَﻰ ﻣِﻦْ ﺭَﺳُﻮﻝٍ
তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও
কাছে প্রকাশ করেন না। তবে তাঁর মনোনীত কোন
রাসূল ব্যতীত। (সূরা জিনঃ ২৬-২৭)
আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ
ﺛَﻠَﺎﺙٌ ﻣَﻦْ ﺗَﻜَﻠَّﻢَ ﺑِﻮَﺍﺣِﺪَﺓٍ ﻣِﻨْﻬُﻦَّ ﻓَﻘَﺪْ ﺃَﻋْﻈَﻢَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻔِﺮْﻳَﺔَ ﻗُﻠْﺖُ
ﻣَﺎ ﻫُﻦَّ ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻣَﻦْ ﺯَﻋَﻢَ ﺃَﻥَّ ﻣُﺤَﻤَّﺪًﺍ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺭَﺃَﻯ ﺭَﺑَّﻪُ
ﻓَﻘَﺪْ ﺃَﻋْﻈَﻢَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻔِﺮْﻳَﺔ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻭَﻣَﻦْ ﺯَﻋَﻢَ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﺘَﻢَ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻣِﻦْ ﻛِﺘَﺎﺏِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻓَﻘَﺪْ ﺃَﻋْﻈَﻢَ ﻋَﻠَﻰ
ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻔِﺮْﻳَﺔَ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝُ ﺑَﻠِّﻎْ ﻣَﺎ ﺃُﻧْﺰِﻝَ ﺇِﻟَﻴْﻚَ ﻣِﻦْ
ﺭَﺑِّﻚَ ﻭَﺇِﻥْ ﻟَﻢْ ﺗَﻔْﻌَﻞْ ﻓَﻤَﺎ ﺑَﻠَّﻐْﺖَ ﺭِﺳَﺎﻟَﺘَﻪُ ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻭَﻣَﻦْ ﺯَﻋَﻢَ ﺃَﻧَّﻪُ ﻳُﺨْﺒِﺮُ
ﺑِﻤَﺎ ﻳَﻜُﻮﻥُ ﻓِﻲ ﻏَﺪٍ ﻓَﻘَﺪْ ﺃَﻋْﻈَﻢَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻔِﺮْﻳَﺔَ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﻗُﻞْ ﻟَﺎ
ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﻦْ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ
যে ব্যক্তি বলবে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার রবকে চক্ষে দেখেছেন সে আল্লাহর উপর বিরাট মিথ্যাচার করল। যে ব্যক্তি বলবে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কিতাবের কিছু অংশ তিনি গোপন করেছেন, সে আল্লাহর উপর বিরাট মিথ্যা রচনা করল।
আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ হে রসূল! পৌঁছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তার পয়গাম কিছুই পৌঁছালেন না। (সূরা মায়িদাঃ ৬৭)
আর যে ব্যক্তি বিশ্বাস করবে যে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস সাল্লাম (গায়েবের) আগাম খবর দিতে
পারতেন সেও আল্লাহর উপর চরম মিথ্যা রচনা করল।
(তিরমিযী, হাদীছটি সহীহ)
বুখারী শরীফে রবী বিনতে মুআওভিয (রাঃ) হতে
বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। তখন
কতিপয় ছোট মেয়ে দফ তথা একদিকে খোলা ঢোল
বাজাচ্ছিল এবং বদরের যুদ্ধে নিহত তাদের
পিতাদের বীরত্বগাঁথা বর্ণনা করছিল। মেয়েদের
মধ্য হতে একটি মেয়ে বলে ফেললঃ
ﻭَﻓِﻴﻨَﺎ ﻧَﺒِﻰٌّ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﺎ ﻓِﻰ ﻏَﺪٍ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻻَ
ﺗَﻘُﻮﻟِﻰ ﻫَﻜَﺬَﺍ ﻭَﻗُﻮﻟِﻰ ﻣَﺎ ﻛُﻨْﺖِ ﺗَﻘُﻮﻟِﻴﻦَ
আমাদের মধ্যে এমন একজন নবী আছেন, যিনি
আগামীকালের খবর বলতে পারেন।তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ বালিকার কথার প্রতিবাদ করে বললেনঃ এই কথা অর্থাৎ আমাদের মধ্যে এমন একজন নবী আছেন, যিনি আগামীকালের খবর বলতে পারেন-এটি বাদ দাও। আর বাকী কথা গুলো বলতে থাকো। (সহীহ বুখারী হাদীছ নং- ৪০০১)
এমনি আরও কুরআন অনেক আয়াতও সহীহ হাদীছের মাধ্যমে জানা যায় যে, আল্লাহ ছাড়া গায়েবের
খবর আর কেউ জানে না।
বিষয়: বিবিধ
১৬৭৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার জ্ঞানগর্ভ মূল্যবান লিখাটির জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
জান্নাত ও জাহান্নামের ব্যাপারে আল্লাহর কিতাব ও রাসূলের সুন্নাতে যতটুকু বলা হয়েছে, তা ব্যতীত অন্য কোন খবর জানার কোন উপায় নেই। কারণ এগুলো গায়েবী বিষয়। আল্লাহ্ তাআলা আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মাধ্যমে আমাদেরকে যতটুকু বলেছেন, আমরা শুধু ততটুকুই জানি।
সুন্দর ও খাঁটি কথা বলেছেন।
হৃদয়গ্রাহী শিক্ষণীয় লিখাটির জন্য আন্তরিক মুরাকবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন